নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
উত্তরের যাত্রা -১ম পর্ব: মেরুজ্যোতি দর্শন
উত্তর মেরু এলাকা মানুষের কাছে এক রহস্যময় জগৎ। সেখানে আকাশে থাকে অদ্ভুত রঙের অরোরা, আর বছরের দীর্ঘ সময় ধরে চলে আলো আঁধারের খেলা । বরফের তৈরি ইগলুতে বাস করে সেখানকার এস্কিমোরা । কেন তারা বাস করে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর বরফের মধ্যে সে নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন ।
উত্তর মেরুর চারপাশে আলাস্কা , কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও রাশিয়া। উত্তর মেরু এক বিশাল এলাকা যার আয়তন প্রায় সম্পূর্ণ উত্তর আমেরিকার সমান। উত্তর মেরুতে বলতে গেলে সারা বছরই শীত থাকে ও শীতে তাপমাত্রা গড়ে -৪০ ডিগ্রিতে চলে আসে । উত্তর মেরু অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুরু হয় জুলাই মাসের মাঝামাঝি এবং থাকে প্রায় আগস্টের শেষ পর্যন্ত । উত্তর মেরুতে সামারে জন্মে বিভিন্ন গাছপালা । উত্তর মেরু জোনের দক্ষিণাংশে আছে বরিল বনভূমি যা তাইগা বা স্নো ফরেস্ট নামেও পরিচিত । এতে ফার, লার্চ, মাউন্টেইন অ্যাশ ও ফায়ারউইডের মতো বার্চ গাছ দেখা যায়। তবে আর্কটিক তুন্দ্রা এলাকায় বার্চ, উইলো, হিথ, লিঙ্গোনেবেরি, বাইবেরি, ব্লুবেরি, আর্কটিক পপি, কটনগ্রাস, লিঞ্চেন এবং মসেস নামের ঘাস দেখা যায়।
ছবি – ১ : শেওলার মত গজানো লিঞ্চেন এবং মসেস ঘাস এবং সামার টাইমে পাথরের ফাটলে ফুটা আর্কটিক পপি
আর্কটিক সাগরের চারপাশে বিভিন্ন সংস্কৃতির বহু মানুষের বাস । এর মধ্যে এস্কিমোরা বাস করে আলাস্কা থেকে শুরু করে কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ড এলাকা পর্যন্ত।
ছবি-২ : উত্তর মেরুর এস্কিমো বসবাস এলাকা ( দাগ দেয়া অংশ)
এছাড়া স্ক্যানডিনেভিয়া অঞ্চলের সামি, রাশিয়ায় স্যাকহা, রাশিয়ার উত্তর পূর্ব অংশের নেনেটস এবং সাইবেরিয়ায় চুকচি বিখ্যাত। এদের একত্রে ইনোইট ( Inuit ) বলা হয়। তাদের মধ্যে বহু ধরনের ভাষা প্রচলিত আছে। তবে সবাইকে এস্কিমো হিসেবেই সাধারণত মানুষ চিনে। এ লিখায় তাই এরা এস্কিমো হিসাবেই অভিহিত হবে ।
বর্তমানে আলাস্কা, কানাডা ,সাইবেরিয়া ও গ্রীনল্যন্ডে Yupik , Yuit, এবং Inuit নামের জনগোষ্ঠি মিলে প্রায় ১৫০০০০ এস্কিমো আছে এর মধ্যে গ্রীন ল্যান্ডেই আছে সবচেয়ে বেশী ,প্রায় ৫০ হাজার, যা গ্রীনল্যন্ডের মোট জনসংখা্র শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ । তাই এ পোস্টে এস্কিমোদের বিষয়াদি পর্যালোচনার জন্য গ্রীনল্যান্ডের এস্কিমোদেরকেই বেশী হাইলাইট করা হয়েছে । তবে প্রসঙ্গক্রমে কানাডা ও আলাস্কার এস্কিমোদের কথাও আলোচনায় এসে যাবে ।
গ্রীন ল্যান্ড উত্তর আমিরিকা মহাদেশে অবস্থিত হলেও এর সাথে ইউরোপের ডেনমার্কের এর যোগাযোগটাই বেশী, তাছাড়া এটা মুলত ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রনাধীন একটি স্বায়ত্বসাসিত দেশ ( Self governed country) । এটা পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ , আয়তন প্রায় ২০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার তবে লোকসংখ্যা মাত্র ৬০ হাজারের কাছাকাছি । দেশটা বলতে গেলে সারা বছরই থাকে বরফে ঢাকা । ডেনমার্কের কোপেনহেগেন থেকে এয়ার গ্রীনল্যান্ড এর ফ্লাইট ধরে ৫ ঘন্টায় গ্রীনল্যান্ডে যাওয়া যায় ।
ছবি- ৩ : এয়ার গ্রীনল্যান্ডের একটি যাত্রীবাহী বিমান
এস্কিমো ছাড়াও গ্রীনল্যান্ডে রয়েছে অনেক আকর্ষনীয় পাকৃতিক দৃশ্য, বলা হয়ে থাকে এটা রহস্যময় সমুদ্র বিস্ময় ‘আইস বার্গের’ জন্মস্খান ।
ছবি- ৪ : গ্রীনল্যান্ডের বরফাচ্ছন্য পাহাড়ে আরোহনটাও পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষনীয় ।
এস্কিমোদের বাড়ী ঘর
উত্তর মেরুর অন্যান্য অঞ্চলের মত এখানকার এস্কিমোরা সাধারণত পশুর চামড়া, তিমির হাড়, ঘাসের চাপ, কাঠ ও বরফ দিয়ে ঘর-বাড়ি বানায়। তবে বর্তমানে সেখানে ইওরোপিয়ানদের মতো বাড়িঘরও দেখা যায়।
এসকিমোরা সারা বছর বরফের ঘরে বাস করে না । সাধারনত শীতকালে শিকারের উদ্দেশ্যে সাময়িক বসবাসের জন্য বরফের ঘর বানায় সুবিধামত স্থানে । এগুলি বরফের ব্লগ কেটে তৈরী করা হয় , উপরে একটি ছিদ্রযুক্ত চিমণী থাকে ।
ছবি – ৫ (১) : শক্ত বরফের ব্লগ কেটে ইগলু ঘর তৈরী করার দৃশ্য
উত্তর মেরু এলাকার মানুষ জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে ব্যবহার করে মাছের তেল। বিশেষ করে সিল, তিমি এবং সামুদ্রিক প্রাণীর চর্বি দিয়ে তারা ল্যাম্প ও চুলা জ্বালায়।
ছবি – ৫(২) : ইগলুর (Igloo) ভিতরে Kudlip ( soapstone oil lamp) ব্যবহার করে এস্কিমো ফেমিলির লোকজন আলো ও উত্তাপ পায়
স্থায়ী বসবাসের ঘর সাধাররত তৈরী করা হয় কাঠ ও তিমি মাছের হার দিয়ে । সিল এর চামড়ার সাথে মাটির প্রলেপ দিয়ে সে ঘরের ছাদ বানানো হয় । সর্ট সামারের সময় পশুর চামড়ায় তৈরী তাবুতেও এরা বসবাস করে ।
ছবি – ৫(৩) : সিল এর চামড়া দিয়ে তৈরী এস্কিমোদের ঘর
গ্রীন ল্যান্ড এর এস্কিমো বসবাসের এলাকায় ইউরোপিয়ান স্টাইলে তৈরী কিছু বাড়ীঘরও দেখা যায় তবে এগুলি মুলত পর্যটকদের জন্যই নির্মিত, সেখানে গেলে থাকতে পারা যায় আরাম আয়েস করে ।
অধুনা পাহাড়ের পাদদেশে এস্কিমোদের জন্য নগরায়ন প্রক্রিয়াও চলছে ।
ছবি – ৫(৪) : গ্রীনল্যান্ডের উত্তরে ররফাচ্ছন্ন এলাকা ও দক্ষীনাংশের পাহাড়ী এলাকায় এস্কিমোদের নগরায়ন
এস্কিমোদের খাদ্য ও শিকার
উত্তর মেরু এলাকার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই বহু প্রকার মাছ, সিল, তিমি, বলগা হরিণ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এছাড়াও তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে সামান্য শাক ও মূল। এগুলোও উত্তর মেরু অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রায় দুই হাজার বছর আগে ইওরোপের কাছের উত্তর মেরুর মানুষ রেইন ডিয়ার ( বগ্লা হরীন) নামের এক ধরনের বড় হরিণ পোষ মানিয়েছে।
ছবি- ৬(১) : সিন্ধোঘোটক তথা ওয়ালরাস ( Walrus), সিল ও বলগা হরিণ
উত্তর মেরু এলাকার মানুষ কাঁচা বা খুব অল্প সেদ্ধ মাংস খেতে অভ্যস্ত। এভাবে মাংস খাওয়া হলে তাতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত শাক-সবজি পাওয়া না গেলেও এভাবে তারা ভিটামিন সি পেয়ে যায়। শীতকালে দীর্ঘদিন সূর্যের আলো পাওয়া না গেলেও গ্রীষ্মকালে এ এলাকায় সূর্যের আলো পাওয়া যায়। এ সময় পাওয়া সূর্যের আলোতে এবং বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে তাদের শরীরের ভিটামিন ডিয়ের চাহিদা মিটে যায়।
ছবি – ৬(২) : ডান দিকে এস্কিমোদের ট্রেডিশনাল আইস ফিসিং ও বায়ে একটি এস্কিমো মেয়ে হারপুন দিয়ে মাছ ধরছে
গ্রীস্মের আগমনে বরফ গলে পাহাড়ের রং বদলায় , সেখানে ফুটে উঠতে থাকে কিছু সবুজের সমারোহ , তবে এর স্থায়িত্ব খুবই কম । এ সময়ে অনেক মাইগ্রেটরী প্রাণী যথা বলগা হরিণ ও পাখী চলে আসে ঝাকে ঝাকে ।
ছবি -৭(১) : সামারে বরফ গলে গিয়ে পাহাড়ের রং বদলায়
ছবি -৭(২)( : পাহারের রং বদলানোর সাথে সাথে বলগা হরিণেরা আসে কচি ঘাসের খুঁজে আর তারা হয় সহজেই এস্কিমোদের নিপুন হাতের শিকার
এস্কিমোদের শিকারের যন্ত্রপাতি তৈরি হয় বিভিন্ন প্রাণীর দাত, হাড়, চামড়া, পালক ইত্যাদি দিয়ে। এছাড়াও পাথর এবং কাঠও ব্যবহার করা হয়, তাদের শিকারের জন্য ব্যবহৃত অস্রের মধ্যে হার্পুন, স্পিয়ার থ্রোয়ার, তীর ধনুক, টগলিং হারপুন , স্নো নাইফ উল্লেখ যোগ্য ।
ছবি -৭(৩) : স্পিয়ার থ্রোয়ার দিয়ে এস্কিমোদের মেরু ভাল্লুক শিকার
ছবি - ৭(৪) : ওয়ার হারপুন দিয়ে সিল শিকার
আর্কটিক সাগরে বিচরণ করে সবচেয়ে ছোট প্রজাতির সাদা তিমি বেলোগা ( লম্বায় সর্বোচ্চ ১৮ ফিট , ওজন প্রায় ২ টন যা ডলফিন থেকে আকারে কিছুটা বড় ) । একে এক্সিমোরা কায়াকে ( নোকায়) করে সাগরে গিয়ে হার্পুন দিয়ে শিকার করে । এটা বিলুপ্ত প্রায় সামুদ্রিক প্রাণী হলেও এর শিকারে এস্কিমোদের নেই কোন বারণ ।
ছবি- ৭(৫) : হার্পুণ দিয়ে এস্কিমোদের সাদা বেলোগা ( Beluga ) তিমি শিকার
বেলোগা তিমিকে বদ্ধ জলাশয়েও লালন পালন করা যায় ও এদেরকে দিয়ে সার্কাসও দেখানো হয়ে থাকে ।
ছবি- ৭(৬) : কানাডার ভেনকোবার একোরিয়ামে রাখা একটি বেলোগা সাদা তিমি ।
ডানে Beluga whales show at ocean kingdom Kids learn and fun world, China
সুত্র : https://www.youtube.com/watch?v=MczrVz1zwG0
ছবি - ৭(৭) : টগলিং হারপুন দিয়ে সিল শিকার
তীর ধনুক দিয়েও শিকার করা হয় মেরু ভাল্লুকসহ অনেক প্রাণী । বুকে তীর বিদ্য এই মেরু ভাল্লুকটির চিত্র কর্ম রয়েছে এমিরিকান মিউজিয়াম অফ আর্টে ।
ছবি - ৭(৮) : তীর ধনুক দিয়ে এস্কিমোদের শিকারের দৃশ্য
এস্কিমোরা কেন ঠান্ডা এলাকা ছেড়ে যায় না
এস্কিমোরা কেন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এলাকা ছেড়ে দক্ষিণের নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় চলে আসে না? এটা একটি কমন প্রশ্ন , এস্কিমোদের দক্ষিণের নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় চলে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা সে এলাকাতে বেশ আরাম করেই বেচে আছে। অন্য এলাকায় গেলেই বরং তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় । ১৯৮০ সনে দুজন ডেনিস চিকিৎসক বেঙ ও ডাইবার্জ গ্রীন ল্যান্ডে কাজ করার সময় লক্ষ করেন এস্কিমোরা হার্ট ডিজিস ইমিউনড , সত্য কথা বলতে তারা কোন এস্কিমোকেই হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত হতে দেখেন নি । ডেনিস পিপলদের তুলনায় এস্কিমোদের রোগ বালাইএর একটি চিত্র নীচে দেখা যেতে পারে ।
ছবি – ৮ : এস্কিমোদের রোগ বালাইএর একটি তুলনামুলক চিত্র
উৎস : The Eskimo story Click This Link
এস্কিমোদের যাতায়াত ব্যবস্থা
উত্তর মেরু অঞ্চলে এস্কিমোদের যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে এস্কিমোদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ধরনের স্লেজ , কায়াক (কাঠের ফ্রেমে সিলের চামড়ায় আবৃত নৌকা) এবং হাটার জন্য স্নো –শু ( জুতা) উল্লেখযোগ্য। তবে বর্তমানে ইঞ্জিন চালিত স্নো- মোবাইল ও ফাইবারগ্লাস দিয়ে তৈরি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এখনো স্লেজ সেখানে ব্যাপকভাবে হয় ব্যবহৃত ।
ছবি- ৯(১) : এস্কিমোদের যাতায়াতের জন্য ব্যাবহৃত স্লেজ
ছবি- ৯(২) : এস্কিমোদের যাতায়াতের জন্য সিলের চামড়ায় তৈরী নৌকা ‘কায়াক’
গ্রীনল্যান্ডিক ভাষায় গ্রীনল্যান্ডের নাম Kalaallit Nunaat যার অর্থ হল The Land of the People, কিন্ত আজ হতে প্রায় ২০০০ বছর পুর্বে গ্রীনল্যান্ড হঠাৎ করে জনমানব শুন্য হয়ে পরে , সেখানে কোন মানব বসতিই পাওয়া যায় নাই । এর আগে প্রায় ২৫০০ বছর ধরে সাগরের টানে nomadic people গ্রীনল্যান্ডে এসে বসবাস করলেও হঠাৎ করে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপটি মানব শুন্য হয়ে পরে । পরে ক্রমে ক্রমে আবার সেখানে এস্কিমোদের জনবসতি গড়ে উঠে এবং থুল জনগুষ্টীর তিমি ও সিল শিকারীরা সেখানে প্রথম স্লেজ ডগ নিয়ে আসে এবং সেগুলিকে স্লেজ টানার কাজে লাগায় ।
ছবি - ৯(৩) : গ্রীন ল্যন্ডের বাফিন বে উপসাগরের কুলে একজন এস্কিমো শিকারী তার টিমের ১৩ টি কুকুরের টানা স্লেজে শিকারে চলেছে
ছবি-৯(৪) : বায়ে বলগা হরিণে টানা স্লেজ , ডানের ছবিতে স্নো-শু বা তুষার জুতা পায়ে লাঠি ভর দিয়ে বরফের উপরে চলার দৃশ্য
এস্কিমোদের পোশাক
উত্তর মেরু এলাকার লোকজনের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। বিভিন্ন পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক খুব আরামদায়ক । এর মধ্যে সবচেয়ে গরম পোশাক তৈরি হয় বলগা হরিণ ও মেরু ভল্লুকের চামড়া দিয়ে। এছাড়া সিল ও বিভিন্ন পশুর চামড়া দিয়েও পোশাক তৈরি হয়। পাখির পালক ও চামড়া পোশাক তৈরী এবং সাজাতে কাজে লাগে। এ ধরনের পোশাকগুলো অধিকাংশই পশুর নাড়িভুড়ি দিয়ে সেলাই করা হয়। ফলে পোশাকগুলো হয় হালকা, আরামদায়ক ও ওয়াটার প্রোফ ।
২৪ছবি - ১০(১) : পশমসহ কাবিরু রেইন ডিয়ারের ( বল্গা হরিণ) চামড়া দিয়ে তৈরী জ্যাকেট
ছবি -১০(২) : সিল এর চামড়া দিয়ে তৈরী ট্রেডিশনাল এস্কিমো ড্রেস
ছবি -১০(৩) : ওয়ালরাস ও সিলের চামড়া দিয়ে তৈরী ট্রেডিশনাল এস্কিমো ড্রেস
ছবি-১০(৪) : এস্কিমোদের পোশাকের ফ্যাশন
প্রচন্ড শীত ও বরফের মধ্যে চলাচলের জন্য এস্কিমোরা ব্যবহার করে ফুলের সৌন্দর্যময় অপুর্ব প্রযুক্তির জুতা । বলগা হরিণ কিংবা সিলের চামড়া দিয়ে পাঁচ ভাঁজ পর্যন্ত জুতা তারা তৈরী করতে সক্ষম যা তাদের পা ও শরীরকে গরম রাখার জন্য ইনসুলিলের মত কাজ করে ।
ছবি – ১০(৫) : এস্কিমোদের জুতার অপরূপ ডিজাইন ।
এস্কিমোদের বিবাহ
যৌবন সন্ধিক্ষনে এস্কিমো পরুষেরা যখন শিকার করার উপযুক্ত হয় ও মেয়েরা সন্তান জন্মদান উপযোগী হয় তখন সামাজিক মতে তাদের বিয়ে হয় । পুরুষেরা একের অধিক স্ত্রী রাখতে পারে উপরুন্ত নীজের স্ত্রী শারিরিকভাবে অসুস্থ হলে বন্ধুর স্ত্রীকে পারিবারিক দেখবাল ও রান্না বান্নার জন্য ধার করতে পারে ।
ছবি -১১ : এস্কিমো যুগল
এস্কিমোদের খেলাধুলা
এস্কিমোদের বিভিন্ন খেলাধুলার মধ্যে হারপুন নিক্ষেপ রেসলিং ও ডাইস বা লুডু খুব জনপ্রিয়। স্টোরি নাইফিং নামে একটি খেলা বাচ্চাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। এ খেলায় স্টোরি নাইফ ব্যবহার করে বরফ বা বালিতে বিভিন্ন আকারের কিছু চিহ্ন বা নকশা আকা হয়। এ চিহ্নগুলো দিয়ে তাদের আকর্ষণীয় গল্প বানাতে হয়।
ছবি-১২(১) : বয়স্কদের হার্পুন নিক্ষেপ খেলা এবং স্টোরি নাইফিং নামে এস্কিমো বাচ্চাদের একটি খেলা
এছাড়াও বাচ্চাদের খেলনার মধ্যে আছে বুলরোয়ারার নামের বাদ্যযন্ত্র, ইয়ো-ইয়ো বা ছোট ঘুরন্ত চাকা এবং বিভিন্ন ধরনের পুতুল। এছাড়াও বড়দের শিকার করার যন্ত্রগুলোর মতো দেখতে খেলনা নিয়েও বাচ্চারা খেলাধুলা করে এবং বড় হয়ে শিকারী হওয়ার জন্য নীজেদেরকে গড়ে তুলে ।
ছবি-১২(২) : এস্কিমো বাচ্চাদের খেলার পুতুল
পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের মতোই এস্কিমোরা গান গায়। তবে তাদের কিছু বাদ্যযন্ত্র আছে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। বুলরোয়ারার ড্রাম বা ঢোল উত্তর মেরুর সর্বত্র দেখা যায়।
ছবি-১৩ : ওয়ালরাস এর স্টমাক বা ব্লাডারের তৈরী বুলরোয়ারার ড্রাম বা ঢোল বাজনারত যুবক যুবতি
এস্কিমো সমাজ ব্যবস্থা
এস্কিমো সমাজে কোন ক্লাস স্ট্রাকচার নাই এবং তাদের সম্পত্তির অধিকারও খুব সিমীত । নীজের পোশাক এবং শিকারের সরঞ্জাম ছাড়া বাকি সব কিছুই শেয়ারড প্রোপার্টি ।
ছবি - ১৪ : এস্কিমো সমাজে কোন ক্লাস স্ট্রাকচার নাই, সবকিছুই শেয়ার্ড
সামর্থ অনুযায়ী সমাজে তাদের স্টেটাস নির্ধারিত হয়
ট্রেডিশনাল এস্কিমো ধর্মীয় বিশ্বাসে অন্তরভুক্ত এনিমিজম ও শাহানিজম বিশ্বাস মুলে আধ্যাত্বিক ভাবে আত্নাকে নিরাময়ের বিধান আছে বলে মনে করা হয় । শাহান ধর্ম বিশ্বাস সমাজে বেশ প্রাধান্য বিস্তার করে আছে । এই ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসীরা মনে করে আত্মা পশু ও মানবে বিচরণ করতে পারে , উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় তারা বায়ুদেবী ‘আশিয়াক’( mistress of wind) এবং ‘সাগর মাতা ( mother of the sea ) তাদের জীবনের সকল বিষয়ের নিয়ামক ।
ছবি –১৫(১) : বায়ু দেবী তথা মিসট্রেস অফ উইন্ড ( ( mistress of wind)
ছবি – ১৫(২) : মাদার অফ দি সি ( Mother of the sea )
সমাজে পরুষের প্রতিপত্তি নির্ভর করে তাদের মাছ ধরা ও পশু শিকাড়ের পারদর্শীতার উপর , আর মেয়েদের প্রতিপত্তি নির্ভর করে তাদের মেয়ে-দর্জিগীরি ও সন্তান উৎপাদন ক্ষমতার উপর । তবে মায়েদের উপরই ন্যস্ত সন্তানের দেখবালের দায়িত্ব ।
ছবি – ১৫(৩) : ঘুমন্ত সন্তান পিঠে নিয়ে এস্কিমো মায়েদের পথ চলা , দুটো বাচ্চাই চলার পথে মায়ের পিঠে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে
সামাজিক ও দেশাত্ববোধক দায়ীত্ব পালনের মহান অনুভুতি
প্রতিটি এস্কিমোর মধ্যেই রয়েছে সামাজিক সংহতি ও দায়িত্বপালনের একটি শক্তিশালী অনুভূতি । কখনো জনবসতিতে ক্ষুধা কিংবা বিপর্যয় নেমে আসলে বয়োবৃদ্ধরা সকলের ঘরে ঘরে গিয়ে তার খবরাখবর নেয়, প্রয়োজনে তাদের নীজের জীবনকে সমর্পিত করে বিপর্যয়ের কাছে , তারা কোন মতেই সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে পছন্দ করেনা । তাছাড়া দেশের বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য এস্কিমোরা এগিয়ে আসে যে কোন মূল্যের বিনিময়ে । এটা সকল দেশে বসবাসকারী এস্কিমোদের বেলাতেই দেখা যায় । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হতে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল যুদ্ধ ও পিছ কিপিং কর্মকান্ডে উত্তর আমিরিকার এবরিজিনাল এসকিমোদের মুল্যবান অবদান স্মরণে কানাডার ওটোয়াতে স্মৃতি ভাস্কর্য স্থাপন করা করা হয়েছে ।
ছবি- ১৬ : Monument to Eskimo and aboriginals war veterans in Confederation Park, Ottawa, Canada
মিথ ও লিগান্ডের উপরে এস্কিমোদের রয়েছে প্রশ্নাতীত বিশ্বাস
এস্কিমোদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে অনেক মিথ , এ মিথ গুলিকে তারা একান্তই সত্য বলে মনে করে এবং এটাও বিশ্বাস করে যে তাদের জনবসতির শান্তি ও শৃংখলা বজায় রাখার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । মৃত আত্মার প্রতিও রয়েছে তাদের অগাধ বিশ্বাস , এমন কি তারা বিশ্বাস করে যে মেরু জ্যোতিতে ভর করে ( অরোরা বরিয়ালিস) তাদের মৃত স্বজনেরা এসে নাচানাচি করে, মেরু জ্যোতির রং যত উজ্জল দেখাবে তাদের মৃত স্বজনেরা ততই ভাল ও সুখে আছে বলে হবে ।
ছবি – ১৭(১) : মেরু জ্যোতির সাথে এস্কিমোদের মৃত পরিজনদের নাচানাচির দৃশ্য
আদি এস্কিমোরা আত্মার পুনর্জন্মে বিশ্বাস করত । তারা বিশ্বাস করত যে প্রতিটি পাথর , খড় কুটা ও প্রাণী জীবিত ছিল এবং তাদের আত্মা ছিল । তারা এটাও বিশ্বাস করত যে, মানুষের আত্মা পশু থেকে পশুতে মাইগ্রেট করতে পারে , তাদের এই বিশ্বাস এখনো বলবত আছে ।
সাগর মাতা (Mother of the Sea) এমনি একটি অপুর্ব কল্প কাহিনী যেখানে গ্রীনল্যান্ডে পশুগুলি কিভাবে এসেছে তা বলা হয়েছে এবং পশুগুলি গ্রীনল্যান্ড বাসীদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করেছে ।
সাগর মাতা মিথ এর সাথে যে বিশ্বাস জড়িত তা হল এই যে এস্কিমো লোকালয়ে কিছু দুস্ট লোকের মন্দ কর্মের ফলে সাগর মাতা ছিল রিরক্ত ।দুষ্ট এস্কিমো যারা বাছ বিচার না করে প্রাণী শিকার করত তাদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য সাগরমাতা তার মাথার লম্বা চুলে বেধে এনে জড় করেছিল । সে সময়ে এক অন্ধ লোক এসে সাগর মাতার চুল চিরুনী দিয়ে আচরিয়ে তার মাথা হতে ময়লাসম চুলবন্ধী সবকটিকে একত্রিত করে দুরে ছুড়ে ফেলে দিল । এর পরেই জীবিত সব প্রাণী সেখানে চলে এল , এ সমস্ত প্রাণীদের মধ্যে ছিল , ভাল্লুক, শিয়াল, গুণ্ঠিত সীল (hooded seal ), শ্মশ্রুধারী সীল ( bearded seal ), বৃত্তাকার সীল (ringed seal ) , বীণা সীল ( harp seal ) , সাধারণ সীল ( common seal ) , সিন্ধুঘোটক (walrus) ও সর্বপ্রকার পক্ষীকুল ।
ছবি – ১৭(২) : পশুকুল যথা মেরু ভাল্লুক, সিল, ওয়ালরাস ও অন্ধলোক পরিবেস্টিত সাগর মাতার ভাস্কর্য
সাগর মাতা ( মাদার অফ দি সি) সম্ভবত এস্কিমোদের মধ্যে প্রচলিত সকল মিথের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ । এই মিথের শিক্ষামুলক দিক এটাই ছিল যে, মানুষ মাত্রাতিরিক্ত লোভী হবেনা এবং সামাজিক ও প্রাকৃতিক নিয়ম রীতিগুলি মেনে চলবে এবং শামানের ( ধর্ম বিশ্বাসের প্রতিভু নেতা ) বিধি বিধান অনুসরণ করবে ।
বিখ্যাত গ্রীনল্যান্ডিক আরটিস্ট Aka Høegh মাদার অফ সি কে নিয়ে একেছেন বিখ্যাত শিল্প কর্ম যা এমিরিকান আর্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে ।
ছবি- ১৭(৩) : Aka Høegh এর আঁকা মাদার অফ দি সি তথা সাগর মাতার ছবি
সুত্র : Click This Link
এস্কিমো সমাজে প্রচলিত কল্পকাহিনী সুন্দরতম সামাজিক আচার আচরণ গঠনে সহায়তা করেছে । শত বছর ধরে সম্ভবত হাজার বছর ধরেই এসব কল্প কাহিনী যথা Navaranaaq, Kaassassuk প্রভৃতি আলাস্কা ও কানাডা হতে শুরু করে গ্রীন ল্যান্ড পর্যন্ত প্রতিটি এস্কিমোদের মুখে মুখে ফিরত । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে গ্রীনল্যান্ডিক সকল শিশু জানে যে ‘কাসাসুক’ নামের একটি অনাথ শিশু কিভাবে নিদারুন দুঃখকষ্ট সহ্য করার পর দৈব আশীর্বাদে মহাশক্তি অর্জন করেছে ।
কাসাসুক নামক মিথ গল্পটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
একদা কোন এক এস্কিমো দম্পতির সকল সন্তান জন্মের পর পরই মারা যেতো। অবশেষে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্মের পর দৈবক্রমে বেচে যায়, তারা ছেলেটির নাম রাখে ‘কাসাসুক’ ।
তারা কাসাসুককে খুব ভালবাসতো কিন্ত দু:খ জনক ভাবে কিছুদিন পরেই কাসাসুকের পিতা মাতা তাকে দুনিয়াতে রেখে মারা যায় ।
এই অনাথ ছেলেটি কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃস্টি করতে থাকায় সমাজের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায় , ফলে তাকে সমাজ চুত্য করে গৃহ প্রবেশদ্বারের একটি ছোট কুঠুরিতে কুকুরের থাকার জন্য নির্ধারিত জায়গায় আটকিয়ে রাখা হয় । মাঝে মাঝে তাকে ঘরে প্রবেশ করিয়ে ওয়ালরাসের শক্ত কাঁচা চামড়া খেতে দেয়া হতো । বদ্ধ ঘুমোট কুঠুরিতে থাকার সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় কাসাসুকক খুব জোড়ে জোড়ে শ্বাস টানতে হতো বলে ক্রমে ক্রমে তার নাসারন্ধ্র খুব বড় আকারের হয়ে যায় ।
ছবি – ১৭(৪): কাসাসুকের বড় আকারের নাসারন্ধ্র
দীর্ঘ দিন ধরে কাসাসুকের দিবস রজনী এমনি করেই কাটতে থাকে । একদিন ক্ষুধার তারনায় অস্থির হয়ে সে খাদ্যসন্ধানে পর্বতারোহণের যায় । পর্বতারোহণের সময় সে বিশালাকার এক দৈত্যের সামনে পরে যায় , দৈত্য তার মুখের খাবার থেকে কিছু মাংস কাসাসুকের দিকে ছুড়ে দেয়, কাসাসুকের ভিতরে থাকা আত্মা এ সময়ে তাকে প্রভুত শক্তি যোগায় এবং দৈত্যের বিশাল মাংস পিন্ড খেতে সক্ষমতা দেয় । তবে সব খাবার খেতে না পেরে কাসাসুক কান্না শুরু করে দেয় । দৈত্য কাছে এসে তার কান্না দেখে ও জীবনের কষ্টের কথা শুনে তার বন্ধু হয়ে যায় এবং কাসাসুকের মধ্যে প্রচুর শক্তি সঞ্চার করে দেয়ার জন্য মনে মনে ইচ্ছা পোষন করে। তবে তার ইচ্ছাটি একটি কারণে গোপন রাখে ।
একদিন যখন তিনটি মেরু ভাল্লুক কে বরফের উপরে দেখা যায় তখন দৈত্যটি কাসাসুককে একটি বৃহৎ পাথর সরানোর কথা বলে , কাসাসুক পাথরটি সরাতে সক্ষম হলে দৈত্যটি বুঝে যায় কাসাসুকের শক্তি তার সমান হয়েছে,, সে তখন কাসাসুককে সমাজে ফিরে গিয়ে তা ভাল কাজে লাগাতে বলে ।
ছবি - ১৭(৫) : বরফের উপরে ৩ টি মেরু ভাল্লুক
কাসাসুকের এই গল্পটি গ্রীনল্যন্ডের শিল্প ও সাহিত্যে এখন বিখ্যাত একটি কল্পকাহিনী ও কিংবদন্তি হয়ে আছে । কাসাসুককে নিয়ে গ্রীনল্যান্ডিক কথা শিল্পিগন রচেছেন অনেক বিখ্যাত পুথি পুস্তক ।
৪৩ছবি-১৭(৬) : কাসাসুক কল্প কাহিনী নিয়ে বাচ্চাদের জন্য রচিত পুস্তক
গ্রীন ল্যান্ডের রাজধানী Nuuk এর স্ব:শাসন রাজভবনের ( Self Government building ) সামনে কাসাসুক এর বৃহৎ একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে ।এই ভাস্কর্যের চারদিকে সেখানকার কলেজের সদ্য স্নাতক ছাত্রদের নাচের ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে, এখান হতেই তারা সমাজের জন্য মঙ্গলময় কাজে নিবেদিত হতে উদ্ভোদ্ধ হয় ।
ছবি – ১৭(৭) : গ্রীনল্যান্ডের রাজধানী Nuuk এর স্ব:শাসন রাজভবনের ( Self Government building ) সামনে কাসাসুকের বৃহৎ ভাস্কর্য
এস্কিমোদেরকে নিয়ে সাহিত্য ও শিল্প কর্ম
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই কল্প কাহিণী সমৃদ্ধ মিথ গুলিকে বহু বছর ধরে গ্রীনল্যান্ডের এস্কিমো এলাকা ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করে বিখ্যাত ড্যানিস আর্কটিক এক্সপ্লোরার নুদ রামুসেন (Knud Rasmussen, 1879-1933 ) প্রকাশ করেন 'Greenlandic Myths and Legends' নামে একটি জগত বিখ্যাত পুস্তক, যার মাধ্যমে এস্কিমোদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য জগতবাসী জানতে পারে ।
দক্ষীনের সংস্পর্শে এসে এস্কিমোদের জীবন ধারায় অনেকটা পরিবর্তন এসেছে, কুকুর নির্ভর স্লেজের স্থল পরিবহনে অনেকটাই স্থান করে নিয়েছে স্নো –মোবাইলস, এবং শিকারের জন্য হার্পুনের পরিবর্তে রাইফেল স্থান করে নিয়েছে । পোশাক ও সংস্কৃতিতেও এসেছে বেশ পরিবর্তন , গতানুগতিক বিনিময় অর্থনীতিতে এসেছে মুদ্রার প্রচলন । এক্মিমোরা গতানুগতিক আদিম সমাজ ব্যবস্থা হতে আধুনিক অর্থনীতি ও নগরায়নে ঝুকছে ।
উন্নতি হচ্ছে তাদের শিল্প সাহিত্যে ও অন্যন্য অর্থনৈতিক শৈল্পিক কর্মকান্ডে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় উত্তর আর্কটিক সাগরের শ্বেত তিমির মুখের ভিতরে হা করা অংশে ছাকনীর মত থাকা জালের জালর ( বেলেন) দিয়ে এস্কিমোরা তৈরী করে বেলেন বাসকেট এর মত খুবই মুল্যবান শিল্প কর্ম ।
ছবি- ১৭ : তিমির মুখের ভিতরে হা করা অংশে ছাকনীর মত বেলেন
[img|
ছবি – ১৯ : কালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগো মিউজিয়ামে রক্ষিত ওয়ালরাসের দাঁতের (আইভরির ) তৈরী হাতল ওয়ালা তিমির বেলেন দিয়ে তৈরী একটি বাস্কেট
উত্তর মেরু এলাকার অধিবাসী উদ্ভাবিত অনেক প্রযুক্তি আধুনিক সমাজ বরন করে নিয়েছে ।বর্তমানে কানাডিয়ান ও ইওরোপিয়ানরা যেসব স্নো -সুজ, স্লেজ, স্কি ও স্নো -গগলস ব্যবহার করে সেগুলোর আবিষ্কারক মূলত এস্কিমোরাই।
এস্কিমো মৃতদের সমাধি
উত্তর মেরু এলাকার এস্কিমো অধিবাসীরা মৃতদেরকে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী মাটি বা বরফের উপর রেখে তার উপর পাথর দিয়ে সাজাতো। একে কেয়ার্ন বলা হয়। তবে বর্তমানে সে এলাকার প্রচুর লোকজন খ্রিস্টান প্রথা অনুযায়ী মৃতদেহ কবর দেয়।
ছবি-২০ : পাথর দিয়ে তৈরী এস্কিমো মৃতদের সমাধি কেয়ার্ন
কামনা করি এস্কিমোরা থাকুক সুখে শান্তিতে জীবনে ও মরনে ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থেকে উত্তর মেরু এলাকায় এস্কিমোদের সাথে কিছুক্ষন বিচরণ করার জন্য ।
সকলের তরে রইল বসন্তের শুভেচ্ছা ।
তথ্য ও ছবি সূত্র: আর্কটিক স্টাডিস সেন্টার ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ http://nmnh.typepad.com/arctic_studies/
যে যাই বলুক ভাই আমার দেশের মত এমন দেশটি কোথাও নাই, এ যে রূপ কথারি দেশ , ফাগুন যে তার হয়না কভু শেষ, নাই বরফের কোন লেশ , বাতাশ সেথায় মধুর ছোয়া পায় , বসন্তে এত এত ফুল ফোটে, তাই চলুন নীচের গানটি শুনতে শুনতে যাই পরবর্তী চিন্তা ভাবনাতে ।
আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রথম মন্তব্য দানের জন্য । আমার পরিচিত স্কুল বয়সি কিছু ইয়ংদের কাছ হতে আমার প্রতি একটি ছোট অনুরুধ আছে , আমার লিখাগুলিতে যেন তাদের লেখাপড়ার উপযোগী কিছু তথ্য ও ছবি থাকে । তাই গতানুগতিক ব্লগীয় লিখা হতে একটু বিচ্যুত হয়ে লিখি । জানা মতে মন্তব্যবিহীন সাধারণ পাঠক হিসেবে তারা লিখাটি পড়ে । বড় পোষ্টের লিখা হয়তবা অনেকের কাছে বিরক্তিকর ঠেকে, তবু আমার কাছে ভাল লাগে যতটুকু পারি তথ্য ও ছবি দিয়ে অনেকটা একাডেমিক স্টা্ইলে লিখতে । আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ! এত শ্রমসাধ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট এই ব্লগে শুধু আপনাকেই লিখতে দেখি। সংশ্লিষ্ট ছবিগুলোর ব্যবহার এক কথায় অনন্য।
এস্কিমোদের নগরায়ন কার্যক্রমের তথ্য জেনে অবাক হলাম। আরও অবাক হলাম তাদের হার্ট ডিজিজ ইমিউনিটির কথা জেনে। এটা সম্ভবত তাদের বংশ পরম্পরায় অত্যাধিক শীত প্রধান অঞ্চলে বসবাসের ফলে তারা অর্জন করেছে। অথবা হয়তো জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হতে পারে।
তবে আপনার শেষের কথাটিই শেষ কথা। আমাদের এই ধন ধান্যে পুস্পে ভরা সবুজ শ্যামলিমার ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশই পৃথিবীর সেরা দেশ। আমাদের এই মাতৃভূমিই সবচেয়ে সুন্দর। এ দেশে জন্মেছি বলে আমি গর্বিত।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই , আপনার অসাধারণ মন্তব্যে উঠে এসেছে অনেক মুল্যবান কথা । এস্কিমোদের নগরায়ন কার্যক্রমে অবাক হওয়ারই কথা । এদের নগরায়ন প্রক্রিয়া আসলেই শুরু হয়ে যায় সেই সপ্তদশ শতক থেকেই যখন তাদের উপর নেমে আসে ঔপনিবেসিক শাসনের হাতিয়ার । তবে বিভিন্ন স্টাডি হতে উঠে আসছে যে কয়জন এস্কিমোরে নগরে আনা হয়েছে বসবাসের জন্য তাদের মধ্যে জীবন জীবিকা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।
যাহোক, শেষ কথাটিই ভাল লাগল , আসলেই পৃথিবীর বুকে আমাদের দেশটিই প্রকৃতিগত ভাবে সেরা, আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করলে মিলে মিশে একে করতে পারি সমৃদ্ধশালী সুখের নীড় ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ছবি গুলা অনেক চমৎকার।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ছবিগুলি চমৎকার লেগেছে শুনে ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট ভাই। অনেকক্ষণ সময় গেলেও জানতে পারলাম একেবারেই অজানা অনেক। অবাক লাগলেও এস্কিমোদের জীবন যাপন আপনার আলোচনায় সহজই মনে হচ্ছে তাদের কাছে। আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হবে।
ভালো লাগা রইল ভাই। প্রিয়তে রাখলাম। আরও বোঝার আছে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , কথায় বলে জীবন যেখানে যেমন , এস্কিমোরা সেখানেই ভাল থাকে , যা অআমাদের কাছে অসম্ভব বলে মনে হয় ।
তবে অনেক বাংলাদেশীই অআলাস্কার মত বরফের দেশে থেকে কাজ করছে । কোথায় পাবেন না বাংলাদেশীদেরে, পৃথিবীর উত্তর মেরু হতে শুরু করে দক্ষীন মেরু সব জায়গাতেই কিছু না কিছু বাংগালী আছে । প্রিয়তে নেয়ার বাসনার কথা শুনে খুশি হলাম ।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"যে যাই বলুক ভাই আমার দেশের মত এমন দেশটি কোথাও নাই, এ যে রূপ কথারি দেশ , ফাগুন যে তার হয়না কভু শেষ, নাই বরফের কোন লেশ , বাতাশ সেথায় মধুর ছোয়া পায় , বসন্তে এত এত ফুল ফোটে, তাই চলুন নীচের গানটি শুনতে শুনতে যাই পরবর্তী চিন্তা ভাবনাতে । "
-চট্টগ্রামের গ্রামগুলোতে ইটের ভাটার ধোঁয়ায় বসন্ত বাতাস ভরে থাকে; মানুষ প্রয়োজনের বেশী ঘরবাড়ী বানাচ্ছে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ দেশের ভাবনার কথায় ভাল লাগল ।
ইটের ভাটার ধোঁয়ায় বসন্ত বাতাস ভরে যাচ্ছে শুনে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল
পরিবেশবাদী সকলকেই রামপালের বিদ্যুত কেন্দ্রের মত
ইটের ভাটার ধোঁয়া নিয়েও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন ।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
রোগ শোক কম থাকলেও, আগে এস্কিমোদের আয়ু ছিল খুবই কম।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । তাদের অআআয়ু এখনো মেইন স্ট্রিম অধিবাসী থেকে অনেক কম । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে
In 1991, life expectancy at birth in the Inuit-inhabited areas was about 68 years, which was 10 years lower than for Canada overall. From 1991 to 2001, life expectancy in the Inuit-inhabited areas did not increase, although it rose by about two years for Canada as a whole।
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২
সুমন কর বলেছেন: এস্কিমোদের সম্পর্কে বিশদ আর অবাক সব তথ্য জানলাম। গ্রেট পোস্ট।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা পোষ্টকে গ্রেট অনুভুত হওয়ায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । তাদের অআআয়ু এখনো মেইন স্ট্রিম অধিবাসী থেকে অনেক কম । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে
In 1991, life expectancy at birth in the Inuit-inhabited areas was about 68 years, which was 10 years lower than for Canada overall. From 1991 to 2001, life expectancy in the Inuit-inhabited areas did not increase, although it rose by about two years for Canada as a whole।
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই আমার কাছে রীতিমত 'শিক্ষা সফর'।
আপনার পোস্ট থেকে এমন অনেক বিষয় জেনেছি যা প্রথম জানাও বটে!
শুভ কামনা জানবেন ডঃ ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ , প্রসংসায় আপ্লুত ।
আপনার লিখাগুলি থেকেও আমরা সকলেই
অনেক নতুনের সন্ধান পাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১
ভাবনা ২ বলেছেন: এস্কিমোদের জীবন কাহিনী নিয়ে সুস্দর সচিত্র পোস্ট, খুব ভাল লাগল ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট ভাল লাগায় ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৫
জীবন সাগর বলেছেন: উত্তরের যাত্রা য় অনেক তথ্য জানা গেলো, যা কখনওই জানতাম না।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, কিছু তথ্য জানাতে পেরে ভাল লাগছে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৫
সোহানী বলেছেন: ২য়া দিয়েই শুরু করলাম। অনেকদিন পর সামু ঢুকলাম অনেক কিছুই মিস করছি.... যাহোক অনেক ভালো লাগলো এস্কিমোদের জীবন। কখনো যদি সুযোগ পাই কানাডার নুনাবুথে যাবো ও তাদের জীবন দেখবো....
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । এস্কিমোদের জীবনের কাহিনী দেখে ভাল লাগায় খুশি হলাম ।
কানডার নুনাবুথের এস্কিমোদের দেখে সুন্দর একটি পোষ্ট দিলে ভাল লাগবে । জানা যাবে ও
দেখা যাবে তাদের আরো আনেক অজানা কাহিনী ।
বসন্তের ফাল্গুনী শুভেচ্ছা রইল ।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ১ম পর্বের মতো ২য় পর্বটাও চমৎকার, সুন্দর ও সাবলীল!!!
তবে এ দুটো পর্বের মধ্যে ১ম পর্বকে এগিয়ে রাখব!!!
পোস্টে লাইক!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
আসলে যতই উত্তরে যাওয়া হবে ততই নিরস মনে হবে
সেজন্যইতো তাদের হতে দক্ষীনে থেকে আমরাই বেশী
ভাল আছি প্রকৃতিগত দিক দিয়ে । আমাদের মত
বসন্ত আর কোথাও নাই এই দুনিয়াতে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২০
জেন রসি বলেছেন: বরফের ঘরে থাকার ইচ্ছা আছে। স্কেটিং করারও ইচ্ছা আছে। তবে সেখানে গেলে মনে হয় আমি নিজেই বরফ হয়ে যাব! আপনার পোস্ট পড়ে বেশ কিছু তথ্য জানলাম। এস্কিমোরা হার্ট ডিজিজ ইমিউনড- এই তথ্যটা খুব ইন্টারেস্টিং! কেন সেটার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে মন্দ হতনা।
আরেকটি চমৎকার পোস্ট।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য । জীবন যেখানে যেমন কিছুই হবেনা বরফের ঘরে থাকলে । শিতের দেশে পা দিয়ে আমারো মনে হয়েছিল মরে বুজি যাব, কিন্তু সয়ে গেছে কয় দিনেই ।
এস্কিমোরা হার্ট ডিজিজ ইমিউনড- এই তথ্যটা আসলেই ইন্টারেস্টিং বলেই মনে হয় । এটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখনো আমার কাছে নেই তবে এটা জানা যায়
Many years ago, two Danish physicians “Bang and Dyerberg” while working in Greenland noticed that the Eskimos seemed practically immune to heart disease – in fact, they didn’t have a phrase for “heart attack” in their vocabulary. Considering the Eskimos’ high fat diet, this struck the doctors as intriguing enough to investigate further, and they discovered that the Eskimos’ diet was rich in particularly beneficial fatty acids – omega-3 fatty acids: eicosapentaenoic acid (EPA) and docosahexaenoic acid (DHA). The Eskimos’ Diet included alot of oily fish such as mackerel, trout, herring, sardines, tuna and salmon, which contain valuable omega-3 fats EPA and DHA. According to Professor Tom Saldeen, Department of Medicine, Greenland Eskimos consumption of Omega-3 fatty acids is very high.
শুভেচ্ছা রইল
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথম পর্ব যেমন আকর্ষণীয় ছিল , এই পর্ব ও দারুন রোমাঞ্চকর !
ধন্যবাদ চমৎকার তথ্য বহুল পোষ্ট এর জন্য
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপুমনি এসে দেখার জন্য,
পোষ্ট দারুন ও রোমাঞ্চকর অনুভুত হওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২০
SHONAR BANGLA বলেছেন: দারুন হয়েছে। পড়ে বেশ ভালা লাগল। @ http://pcjobs24.com/
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার ভাল লাগার কথা শুনে ভাল লাগল
সাথের লিংকটি ঘুরে অআসলাম , অনেক মুল্যবান ও প্রয়োজনীয়
জব ইনফরমেশন দেখতে পেলাম সেখানে
মনে হল বেশ উপকারী ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
বাকরুদ্ধ! স্তব্দ! কী বলে স্তুতি স্তব করি!
আগের পর্বের কথাটাই অাবার বলতে হয়- ''আলী ভাইর পোস্ট মানে অন্য কিছু।
মুখিয়ে থাকি, কখন নতুনের- জ্ঞানের- প্রজ্ঞার- আলোর প্রকাশ ঘটবে, আলী ভাইর ব্লগ কুটিরে।''
ম্যারাথন পোস্ট!
ম্যারাথন কষ্টও নিশ্চয়!
ম্যারাথন গবেষনা!
আলী ভাই,
দু:খিত, দেরি হয়ে গেল। বিগত পোস্টের একটি মন্তব্যে অামার কথা বলার কথা ছিল। সেখানে দ্রুত ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হোক নতুন নতুন গবেষনায়!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই,
আপনার মত বিজ্ঞজনের প্রসংসায় আমি মুগ্ধ ।
এস্কিমোদেরে নিয়ে কিছু বলতে গিয়ে পোষ্টটি একটু বড় হয়ে যায়
অাপনি না হলেও অনেকেই তাতে কিছুটা বিরক্ত হন এতে কোন
সন্দেহ নাই ।
গবেষনা আর কি করতে পারলাম , এস্কিমোদেরে নিয়ে অনেক
কিছুই রয়ে গেছ অজানায় । ছেলে বেলার স্কুলের পাঠ্য বই এ
এদের কথা কিছুটা জেনেছিলাম এরা বাস করে বরফের ঘরে ।
কিন্তু ঘরটি কি করে তৈরী করে ও তার ভিতরে কি করে বাস
করে সে ছিল এক বিস্ময় অনেক বছর ধরে ।
লাইটেনিং বিষয়ের কথাগুলি গত শুক্রবারে আমাদের
মসজিদের ইমাম ড:ইমাদের খুৎবায় শুনেছিলাম সংক্ষেপে
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার ইচ্ছে মনে ধরে ।
তাই আপনাকে রিকোয়েষ্ট করেছিলাম বলার জন্য
যদি এ জানা থাকে কিছু এ বিষয়ে । আপনার পোষ্ট
গুলি দেখে মনে হয়েছিল হয়ত আপনার কাছে
এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানা যাবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল ।
১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: রির্সাস খুব সুন্দর এবং শ্রমসাধ্য হয়েছে বর্ণনা যথযথ। ছবিগুলো দারুণ।
তবে "এস্কিমো মানে রো মিট ইটার" কাঁচা মাংস ভক্ষন কারী, তাই কানাডায় বিশেষ করে এই শব্দটি ব্যবহার অশোভন মনে করা হয়। মূলত সবাইকে এবরিাজনাল বা আদিবাসী বলা হয়। তবে বিভিন্ন দলের বিভিন্ন ন্মম আছে। ইনুইট শব্দটা প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহহৃত হচ্ছে।
শুভেচ্ছা রইল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, পোষ্টটির প্রেক্ষিত অল্প সল্প গল্প কথাটি কি মনে আছে । ছবি দারুন হওয়ায় ভাল লাগছে । এস্কিমো সম্পর্কে কানাডিয়ান দৃষ্টি ভংগী সম্পর্কে মুল্যবান তথ্য দানের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ । I know that "Eskimo" is an offensive term in Canada; they use the term "Inuit" or aboriginal , But I see the term "Eskimo" popping up regularly in news articles that I read; I hardly see the term "Inuit" being used. Why? Ignorance? Apathy? Is the term "Eskimo" offensive only in Canada, or in the rest of the world too? দুনিয়াব্যপি সে এক বিরাট প্রশ্ন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
ক্লে ডল বলেছেন: পুরো নতুন বিষয় পড়লাম! চমৎকার! আপনার পোষ্টগুলো বড় হলেও বর্ণনার প্রাঞ্জলতা এবং ছবি দিয়ে উপস্থাপন আর নিত্য নতুন বিষয় উপস্থাপনের কারণে একেবারেই বোরিং লাগে না।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ । পোষ্টের উপরে মন্তব্য ভাল লাগল ।
পোষ্টটি বড় হলেও পাঠে তেমন বোরিং লাগেনা শুনে খুশী হলাম ।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল
২১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই বৈচিত্রে ভড়পুর এস্কিমোদের জীবন, একবার ওদের ওখানে ঢু মারতে পারলে মনে হয় জীবনটা স্বার্থক হতো।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনি দেশ বিদেশে ভ্রমনের মানুষ একটা ডু মেরে আসুন সেখান থেকে । আপনার পাকা হাতের ক্যামেরায় উঠে আসবে এস্কিমোদের জীবনের সুন্দর সুন্দর ছবি সাথে মনোমুগ্ধ কর সব বিবরণ । আপনার জিবনের স্বার্থকতার সাথে অামরা সকলেই হব অনেক অনেক প্রিত ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
এমন একটা ঘরে জীবনে কোন দিন থাকতে পারাটা সত্যিই অসাধারণ হতো
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , একেই বলে জীবন যেখানে যেমন ,
অসাধারণ তো বটে্ই এমন ঘরে থাকতে পারলে হতো অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ন ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বাপরে বরফের ঘরে এস্কিমোরা থাকে কি করে! মরে যাবার কথা তো। তিমির হাড় আর সিলের চামড়া দিয়েও ঘর বানানো যায় জানতাম না। তবে শিকার প্রয়োজনীয় জেনেও দৃশ্যগুলো কষ্ট দিল। মেরু ভাল্লুকটার মুখ ভেসে আসছে চোখের সামনে।
পোস্টের কথা আর কি বলব বলুন।জ্ঞানের জাহাজ আপনি। অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিচ্ছেন আমাদের।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । অরুনিমার সংস্পর্শে সে কি আর বরফ থাকবে , তাতো নিমেশেই গলে যাবে । আসলেই মেরু ভাল্লুকের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে দুনিয়া জুরে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে । প্রাণী প্রেমিকেরা তীর মেরে মেরু ভাল্লুক শিকার ও হার্পুন দিয়ে সন্তরণরত সিল ও তিমি মারার বিপক্ষে জোড়ালো ভুমিকা রাখছে । জ্ঞানের জাহাজ না ছোট ডিঙ্গী তা জানিনা তবে সকলের কাছ হতে প্রকৃতির ছাত্র হিসাবে শিখছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার আলী ভাই। একেকটি পোস্ট তৈরি করতে আপনি যে অনেক পরিশ্রম করেন তা পোস্টটি পাঠমাত্রই উপলব্ধি করা যায়।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম ভাই ।
ঠিকই বলেছেন বাংলায় টাইপ করে পোস্টের জন্য লিখতে একটু বেগ পেতে হয় ফন্টের ও কি বোর্ডের টেকনিকেল কারণে ,
তাছাড়া তথ্য সংগ্রহ আর উপস্থাপনের জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতাতো আছেই ।
আপনার সুললিত প্রসংসা বাণীতে আপ্লুত হলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
পরিশ্রম যার লেখায় সতত সঙ্গী তাকে আর নতুন করে বাহবা দেয়া বাহুল্যতা । এরকম লেখার তৃষ্ণা যার মেটেনা কিছুতেই , হাজির হয় নিত্য নতুন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে তার তুলনা অরোরা বোরিয়ালিসের বর্ণাঢ্যতার সাথেই ।
অনেক অনেক ভালো লাগা এমন করে ছবি আর বর্ণনার বরফের চাই কেটে কেটে এস্কিমোদের ইগলুর মতো উষ্ণ এই লেখা বানানোয় ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, এসে দেখায় খুবই খুশী হয়েছি ।
আপনার সুললিত প্রসংসায় মুগ্ধ ও অনুপ্রানীত ।
বাংলায় লিখা হতে দীর্ঘ দিন ছিলাম দুরে,
অনেক দিন গ্যাপ দেয়ার পরে সামুর
পাতায় বাংলায় লিখা শুরু, বড় সমস্যা
ঘন ঘন ফন্ট বদলানোর কারণে, একটি
শব্দ কয়েকবার লিখতে হয়, এতে
সময় ও মনযোগ দুটোই নস্ট হয় ।
আপনাদের অনুপ্রেরণা পাথেয় হয়ে থাকবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: এস্কিমোদের ব্যাপারে অনেক নতুন কিছু জানলাম।যুদ্ধে এদের অংশগ্রহণের তথ্য অবাক করেছে আমাকে।বহির্বিশ্বের রাজনৈতিক দোলাচল নিয়ে এদের চিন্তাভাবনা থাকতে পারে বলে আমার ধারণা ছিলো না।ভালো লাগলো এদের শ্রেণীভেদহীন সমাজব্যবস্থা আর দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম দেখে।আপনার লেখাগুলো লেখার ক্ষেত্রে এত যত্নের ছাপ দেখে সত্যিই ভালো লাগে।ভালো থাকবেন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ,
সুললিত প্রসংসায় মুগ্ধ ও অনুপ্রানীত হলাম ।
এস্কিমো সমাজ ব্যবস্থ সত্যিই অপুর্ব ।
যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি কর্মসুচীতে
অবদান রাখার জন্য কানাডা সরকার
এদের জন্য দিয়েছে সন্মানজনক স্বীকৃতি,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ তবে সাথের বাটিতে সেটা কি জিনিস তা বুঝতে পারলাম না ।
২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: অল্প সল্প গল্প- আমারএকটুখানী লেখার প্রেক্ষিতে - একটি অঞ্চল এবং জাতি নিয়ে বড়সর গল্প হয়ে গেলা পাঠকরা মুগ্ধ হয়ে পড়ল জানল। পরিশ্রম করে এবং উৎসাহ নিয়ে লেখা সার্থক হয়েছে। আমার অনেক ভালোলাগছে।
আমিও ভেবেছিলাম আরেকটা লেখা দিব কিন্তু অন্য একটা লেখার কাজে ব্যস্ত আছি তাই লেখাটা হলো না।
ইনুইট" শুধুমাত্র উত্তর আলাস্কা, কানাডা এবং গ্রীনল্যান্ডে এখন চালু আছে। ইনুইট, "মানে" মানুষ। এ নামে ডাকতে সাচ্ছন্দ অনুভব করে। বা বিষয়টা প্রচলন করার চেষ্টা করছে এসব দেশের মানুষরা, মানুষকে মানুষ বলতে চাইছে।
এখন অনেকে শখ করে ক্রিসমাসের সময় বরফের ঘর তৈরি করে ইগলু স্টাইলে , অবশ্যই যদি অনেক বরফ পরে। পার্টিটা বরফ ঘরে হয়। আবার কিছু হোটেল, রেস্টুরেন্টও আছে বরফ ঘরে থাকার অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য।
আমিও একটা বানিয়েছিলাম বছর দুই আগে। একদম ইগলু না হয়ে বরফের গুহা হয়েছিল। রঙিন বাতি দিয়ে বেশ সুন্দর দেখা যায়। শুভেচ্ছা রইল
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
প্রেক্ষিত এখনো শেষ হয়নি আর একটি পর্ব এখনো বাকী আছে যা কয়েক দিনের মধ্যেই ছাড় দেয়া হবে বলে আশা করি ।
ইনুইট নিয়ে মুল্যবান তথ্যগুলি জেনে খুশী হলাম । বরফের ব্লগগুলি পাথরের মত শক্ত না হলে সেগুলিতো গুহাই হবে, তবু তো কিছু একটা হয়েছে । আমিতো তাও পারিনি । বরফ দিয়ে শুধুমাত্র মেরু ভাল্লুকের মত একটা কিছু বানাতে পেরেছিলাম মাত্র ।
আপনার নতুন পোষ্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম । পোষ্ট দিলে অনুগ্রহ করে একটু জানান দিবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
প্রেক্ষিত এখনো শেষ হয়নি আর একটি পর্ব এখনো বাকী আছে যা কয়েক দিনের মধ্যেই ছাড় দেয়া হবে বলে আশা করি ।
ইনুইট নিয়ে মুল্যবান তথ্যগুলি জেনে খুশী হলাম । বরফের ব্লগগুলি পাথরের মত শক্ত না হলে সেগুলিতো গুহাই হবে, তবু তো কিছু একটা হয়েছে । আমিতো তাও পারিনি । বরফ দিয়ে শুধুমাত্র মেরু ভাল্লুকের মত একটা কিছু বানাতে পেরেছিলাম মাত্র ।
আপনার নতুন পোষ্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম । পোষ্ট দিলে অনুগ্রহ করে একটু জানান দিবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কেমন করে ডাবল হয়ে যায় বুঝতে পারছিনা
৩০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩১
জাহিদ অনিক বলেছেন: সাধারণত কোন সিরিজের প্রথম পর্ব টা যতটা ভালো হয় পরের পর্ব গুলো অতটা ভালো হয় না ।
কিন্তু আপনার ১ ও ২ দুটোই খাসা হয়েছে । পরেও গুলোও ভালো হবে ।
বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল তথ্যগুলো ।
ধন্যবাদ
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় জাহিদ অনিক , ভাল লাগল আপনার কথা শুনে ।
অারেক টি পর্বে এই উত্তরের যাত্রা শেষ হবে । দিন কয়েকের
মধ্যে্ই উপস্থাপন করতে পারব বলে মনে করি । দোয়া
করবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অসম্ভব সাধনার ফসল এই পোষ্ট।।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ অনুভবে আসার জন্য।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
জুন বলেছেন: প্রথমেই প্রশংসা করছি আপনার লেখার স্টাইলের ডঃ এম আলী । প্রতিটি বিষয়কে ছোট ছোট প্যারায় উপস্থাপন । সবল দৃঢ় লেখার সাথে রয়েছে আকর্ষন যা ছোট বড় সবার জন্ই প্রযোজ্য । অত্যাধিক অলংকার ব্যাবহারে লেখাটি ঝুলে যায়না । এ মনে হয় আপনার নিত্যদিনের কার্যক্রমের ফসল ।
এবার আসি এস্কিমোদের কথায় । প্রথম দিকেই তাইগা শব্দটি পড়েই মন চলে গেল রাশান সাহিত্যে । বিশেষ করে চুক আর গেক বইটিতে। ভুতত্ববিদ বাবাকে বড়দিনের সারপ্রাইজ দিতে মাকে নিয়ে স্লেজে করে সুবিশাল তাইগা পাড়ি দেয়া।
আপনার কথায় জানা হলো তারা সবসময় ইগলুতে থাকে না আর ব্যাক্তিগত সম্পত্তি না থাকায় সে দেশে মনে হয় দুদক নেই
আমি ফোন থেকে অনেক কষ্টে আফনাকে মন্তব্যটি করলাম । পরে আবার আসবো কারন অনেক কথা বাকি রয়ে গেলো
শুভেচ্ছা সকালের ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু । প্রসংসায় আপ্লুত ওমুগ্ধ ।
তাইগা নিয়ে রাসিয়ান সাহিত্যের চুক ও গেক এর বই হতে মুল্যবান গল্পের মুল কথাটি আপনার কাছ হতে শুনে জানার আগ্রহটা আনেকটা গেল যে বেড়ে।
তাইগা নিয়ে অনেক সুন্দর কথা বলেছেন । আমার পরের পর্বটা এই তাইগা নিয়েই হবে । এস্কিমোদের নিয়ে কথা বলার সময় এটা অনেক বড় হয়ে যাবে বিধায় শুরুতে অল্প কথায় ও দুএকটা ছবি দিয়ে স্কিপ করে সরাসরি চলে গিয়েছিলাম এস্কিমো প্রসঙ্গে। এখন মনে হয় ভুলই করেছি, তাইগা নিয়েই আরো বিস্তারিত লিখলে মনে হয় বেশী ভাল হত । যাহোক ,এখন আপনার কথায় ধারনাটা মাথায় কেবলি ঘুরপাক খাচ্ছে । আপনি ইতিহাসের ছাত্র তাই ধরতে পেরেছেন বিষয়টা , এখানেই গুরুত্ব দেয়া ভাল ছিল । স্কুল কলেজের ভুগোলের ব্ইয়ে পড়েছিলাম তাইগা তথা বরিল বনাঞ্চলের কথা , এর বিস্তারিত জীব বৈচিত্রের কথা সবিস্তারে পাইনি আমাদের স্কুল কলেজের ভুগোলের পাতায় । তাই এই বিষয়টি নিয়ে সকলেই করতে পারি কিছু শেয়ার ।
ফোনে লিখায় অবাক করা পারদর্শিতা আপনার, আমিতো ফোনে লিখতে গেলে ক এর জায়গায় ত আসে, ট চাপলে আসে চ , ইত্যাকার যত যন্ত্রনা । তাই ফোনে লিখা আমার কাছে বড়ই কষ্টকর । আপনি কি এখনো ভ্রমনেই আছেন ? , ভ্রমন কাহিনীটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২১
অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো। সোজা প্রিয়তে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ,
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট! উত্তরের দেশে জীবনে একবার হলেও যাওয়ার ইচ্ছে আছে। দেখি পারি কি-না!!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় অনেক ধন্যবাদ ।
গেমো ভাইয়ার অসাধ্য কিছু নেই । উত্তর থেকে একবার ঘুরে আসুন ।
আপনার ভ্রমণ বিবরণ দেখে আমাদের আনেক ভাল লাগবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
ব্লগার ডঃ এম এ আলী
ডঃ এম এ আলী এক মহান ব্লগার
জটিলতা বিশ্লেষণে সুদক্ষ অনেক
নাহি ছেড়ে গবেষণা ফলেতে অর্ধেক
বিষয়ের পুরোটই করেন দখল।
ব্লগ রাজ্যে মহারাজ সুপ্রিয় সবার
সকলের সাথে থেকে সময়ে প্রত্যেক
ক্ষান্ত নাহি দিয়ে কাজে মূহুর্ত কয়েক
নিরিবিলি করে যান মানব মঙ্গল।
মুক্তমনা মহা আলী পরান জুড়াতে
পোষ্ট দানে সর্বদাই বৈচিত্র আনেন
কোথায় কি প্রয়োজন আলোক ছড়াতে
সেসকল ক্ষেত্রমত তিনি তা’ জানেন।
জ্ঞানময় চিত্রে মন মোহতে জড়ায়
বিজ্ঞতার রনজয়ে নিশান উড়ায়।
# ছন্দঃ অমৃতাক্ষর
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# বর্ণ বিন্যাসঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, সনেট আকারে লিখা কবিতাটি খুবই সুন্দর হয়েছে
আপনার ক্ষুরদার লিখনি যে কোন সৃস্টিকেই মহান করে তুলবে ।
ইদানিং আপনার অনেক লিখাই পাঠ করা হয়েছে , কিন্তু
কমেন্ট দিলে তার নীচে কিসের কি ইমেজ চলে আসে
সে ভাবনায় পরে লিখা কিছু হয়ে উঠেনা তাতে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় আপনাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিলাম, এখন আপনার মন্তব্য আশা করছি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার নতুন পোষ্টটা দেখে আমার কথা কিছু বলে এসেছি সেখানেই । নীজের সম্পর্কে ভাল কথা শুনতে সকলের মত আমারো অনেক ভাল লাগে । সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । তবে প্রসংসার কথা শুনলে মনে কিছু আশংকাও জাগে । নিভৃতে থাকার জ্বালা অনেক কম, বেশী সুখ তাতে ।
আপনার বিশুদ্ধ ইসলাম পোস্টে আসছি সেখানে কিছু কথা বলার আছে আপনার সাথে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
আপনার মন্তব্য লিখুন
৩৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমেজতো ম্যাচ করে দেই। তথাপি কি ইমেজকে ভয় পান? আর মমি হয়ত অল্প কথায় সব বলতে পারিনি।আমার পোষ্টে চাঁদগাজীর মন্তব্যে আপনার মূল্যায়ন রয়েছে। আর ব্লগ যদি হয় বিদ্যাপিঠ তবে নিঃসন্দেহে আপনি তার অধ্যাপক। সুনামে অনেক সময় লজ্জা লাগে এটা ঠিক বলেছেন। তবে উৎসাহের জন্য এর যথেষ্ট দরকার আছে। আপনার পোষ্ট দেখে মানুষ আল্রঅহর প্রতিও কৃতজ্ঞতাও জানায়। এর জন্য আপনি সোয়ব পেতেই পারেন। আসলে মানুষের দোয়া সাথে থাকা মোটেও মন্দ নয়। আর ব্লগ থেকে আমি অনেক কিছু জেনেছি শিখেছি এবং শিখছি। আমার দুই মেয়েও ব্লগিং এ আছে। ওদেরও জ্ঞান সমৃদ্ধ হচ্ছে। মানুষ যদি মানুষকে মানুষ ভাবতে পারে তবে ব্লগিং সত্যি অর্থবহ হয়ে উঠবে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর বক্তব্যের জন্য ।আপনার ইমেজ ব্যবহার প্রাসঙ্গিক তাতে কোন সন্দেহ নাই । প্রশ্নাতীত ভাবেই একটা যুতস্ই ইমেজ কোন সাধারণ কথাকেও খুব শক্তিশালী কিংবা হৃদয়গ্রাহী করে তার উদাহরণ আপনার ইমেজ ব্যবহারে রয়েছে অনেক । ইমেজকে আমার ভয় পাওয়ার রয়েছে দু একটা অন্যবিদ এমপেরিকেল কারণ, যা আপনার বিষয়ে নয় , তবু ইমেজকে নিয়ে আমি একটু ভয়েই থাকি । তবে আপনার ইমেজ নিয়ে আমার কোন ভয় নেই যত ইচ্ছা দিতে পারেন
নীচের কথাগুলি অব দি টপিক, শুধু প্রসঙ্গক্রমে আসা বিষয়টিনিয়ে একটু আলোচনা শেয়ার করা মাত্র ।
সত্যি কথা বলতে গেলে ইমেজের কনটেন্ট এনালাইসিস সে এক কঠিন ব্যপার । একই ইমেজ দেখে কেও খুশি হয় আবার কেওবা অন্য কিছু ভেবে বসে । উদাহরণ স্বরূপ দেখা যায় অনেকেই অনেকের পুস্টে মন্তব্যের ঘরে কথা নাই বার্তা নেই ধুপ করে খাবার জাতীয় কিছু রেখে দিলেন । এরকম ইমেজটার কনটেন্ট এনালাইসিস করবেন কিভাবে। এধরনের ইমেজ ব্যবহারের আগে পরে দুএকটি সাধারণ কথা, কুশল বিনিময় করতে হয় বলেই জানি । তানা হলে কারো ঘরে গিয়ে খানাপানি কিছু রেখে আসলাম আগে পরে কিছু বললামনা , এটাকে আপনিই বলুন কিভাবে নিবেন । এটাকে দুভাবেই নেয়া যায় , একটা দিক হল একে খুবই সাদরে গ্রহণ করা যায় দেয়া অকুণ্ঠ ধন্যবাদ । তবে কেও যদি এটাকে মনে করে 'খাইলে খাও নইলে না খাও' তাহলে তাকে কি কোন দোষ দেয়া যাবে !!! অনেক সময় কাওকে হি্মউলিয়েট করার জন্য ইমেজের একটা সুক্ষ ব্যবহারও রয়েছে । ইমেজকেই তো সংক্ষেপে ইমো বলে , অনেক ইমোতেই দেখা যায় একদিকে হাসি আর দিকে তিব্র বিদ্রুপ, মোট কথা হল একটা ইমেজকে দুভাবেই নেয়া যায় যদিনা এর প্রদানকারী সঠিক উদ্দেশ্যটা ব্যক্ত না করেন । সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে এটার ভুল বুঝাবুজির অবকাশ তো থেকেই যায়।
আমিও য়থেষ্ট পরিমাণে ইমেজ প্রয়োগ করি । তবে সমাধারনত কোন ইমেজ ব্যবহার করার আগে তার প্রেক্ষাপট ও ব্যবহারের যৌক্তিকতার সংক্ষিপ্ত একটা বিবরণ দেই, তার প্রাসঙ্গীকতা সম্পর্কে দুএকটা কথা বলি ।তার পরেও মনে ভয় থাকে, যার জন্য ইমেজ প্রয়োগ করা হল তিনি যেন ভুল না বুঝেন , ইমেজটা হয়ত সঠিক নাও হতে পারে । উল্লেখ্য আমার পি এইচ ডি কোর্স করার সময় ছোট একটা মডিউল ছিল ইমেজের কনটেন্ট এনালাইসিস , কারণ গবেষনা কর্মে ইমেজ ব্যবহার একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় , তখন ইমেজের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে অল্প কিছু জানা হয়েছে , কখন কি ভাবে কোথায় ইমেজকে করতে হবে প্রয়োগ । একটি বিষয়কে সহজে বোধগম্য ও ব্যখ্যা করার জন্যই মুলত এটার বহুল প্রয়োগ। বাকীটা হল নীজের সময় ও কস্ট সংক্ষেপ কিংবা সঠিক ইমেজ নির্বাচন থেকে শুরু করে এর প্রয়াশলব্দ ডাউন লোডের মাধ্যমে অন্যের কাছে নীজের ভাল লাগার অনুভুতির প্রকাশ। এই শেষোক্ত অনুভুতি হতে ইমো প্রদানকারীর প্রতি ইমো গ্রহিতার থাকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা এবং অন্তরংগতার একটি মোহনীয় অনুভব , আপনার ইমোগুলিতে এমনিই ঘটে শেষোক্ত অনুভুতির প্রকাশ
মন্তব্যের কথামালায় অনেক খুশী হয়েছি ।
আপনার বিশুদ্ধ ইসলাম শিরোনামের পোস্টে একটি বিষয়ে জানতে চেয়েছি, সম্ভব হলে একটু দেখবেন ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
৩৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন? অনেক দিন কথা হয় না।
অনেক আগেই বলেছিলাম আপনি একজন অনেক জানাশোনা লোক।
ক্রমে ক্রমে তার প্রমাণ পাচ্ছি।
শুভকামনা রইল।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, তাইতো অনেক দিন ধরে দেখা নাই
কথা কিছু বলে এসেছি, কান পাতলেই শুনা যাবে ।
জানাশুনাতো দাদার কাছে তো কে্বলই শিখছি
বসন্তের শুভেচ্ছা রইল ।
৩৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
পলাশমিঞা বলেছেন: অনেক অজানা জানা হলো।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পলাশ ভাই এর আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম ।
কিছু জানাতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
৪০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
পলাশমিঞা বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
শুভ কামনা রইল ।
৪১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২
পলাশমিঞা বলেছেন: সবার মঙ্গল হোক।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সব কথার সেরা কথা জগতের সকলের মঙ্গল হোক ।
সুখবাদী দার্শনিকেরা বলেন
যাবত জীবং সুখং জীবন
ঋনং কৃতং ঘ্রিতং পিবং
অর্থাৎ
জীবনভর সুখে থাক
ঋন করে ঘি খাও ।
শুভেচ্ছা রইল
৪২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
জানিনা ভাই কি, দোষ করেছিলাম যে কবে!
ছোট ভাইটির খবর নেননি অনেকদিন ধরে।
পুড়লে হয় কি প্রেম খাঁটি ভবে,
জ্বালো আগুন আরও পুড়ো তবে।
দগ্ধ মনে যাবো তোমা নাম জপে,
সেজে মুনিঋষি সাধু বনে জনে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই মনে কিছু নিবেন না, বয়স হয়েছেতো , অনেক কিছুই করতে পারিনা ঠিকঠাক, কোন না কোন জায়গায় ভুল হয়ে যায় ।
ঠিকই বলেছেন অনেক শিখা পুরে পুরে এমন প্রদীপ জ্বলে, আর অনেক কথার মরণ হলে তবে হৃদয় কথা বলে ।
কবি গুরু বলেছেন
আমার এ ধুপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,
আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয় না কিছুই আলো ।।
যখন থাকে অচেতনে এ চিত্ত আমার
আঘাত সে যে পরশ তব, সেই তো পুরস্কার ।
আপনি এসে না বললে হয়ত আমার ভুলের মাত্রাটা বেড়েই যেতো
তাই কবি গুরুর ভাষার মত আপনার কথাগুলোও আমার কাছে
অনেক বড় পুরস্কার । এটুকুর জন্যই তো তব ঘরে গিয়ে
এসেছি ফিরে নিয়ে অনেক কাব্য সুধা , মিটেছে কাব্যের তৃঞ্চা
মন প্রাণ ভরে গিয়েছে ভাল লাগায় আর মুগ্ধতায় ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
৪৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
পলাশমিঞা বলেছেন: ঋণ করে ঘি খেলে ঘুম হারাম হয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন ঋণ করে ঘি খেলে ঘুম হারাম হয়, এবার অনেক কথাই বলতে হয় ।
ভারতীয় সুখবাদী দার্শনিক তত্ববাদীরা যেহেতু জন্মান্তরবাদ,স্বর্গ,নরক ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে না তাই স্বাভাবিক মৃত্যতেই জীবনের পরিসমাপ্তি বলে ধরে নেয়।আর মৃত্যুর পর কিছু নেই বলে মোক্ষেরও দরকার নেই।মোক্ষ যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা দুনিয়ার জীবনটাকে উপভোগ করা।সেই হিসাবে এটি চরম লৌকিক বা ভোগবাদী/ সুখবাদী মতবাদ। তারা ঋণ করে ঘি খেয়ে সুখে থাকতে চায় ।
সুখবাদ অনেক রকম আছে। এই উপমহাদেশে চারবাক ছিলেন সুখবাদী। আর তার দর্শন যথেষ্ট খ্যাত হয়ে আছে। তিনি বলেছেন যেমনটি পুর্বে বলা হয়েছে :
যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ
ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ
অর্থাৎ, যত দিন বাঁচবে, সুখেই বাঁচবে। এ জন্য যদি ঋণ করেও ঘি খেতে হয়, তবে খাবে। কেননা, মরে গেলে ঋণ শোধ করতে হবে না। এই ভোগবাদ অবশ্যই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভোগবাদ। এর মধ্যে কোনো সামাজিক উপাদান নেই। নেই সর্বাধিকজনের জন্য সর্বাধিক কল্যাণের কথা। বেন্থাম ছিলেন গণতন্ত্রী; কিন্তু চারবাক তা ছিলেন না। বাংলাদেশে এখন বেন্থামের চেয়ে চারবাকের প্রভাবই পরিলক্ষিত হচ্ছে বেশি- কিছু সংখক লোক ব্যাংক হতে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে মহা সুখে অআছে , তাদের নীজের ঘুম হারাম হয়নি হারাম করে দিয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের ঘুম ,যারা ঋণ না নিয়েও ঋণী বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমান নাকি ১৫০০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে যার মধ্যে দুগ্ধপুষ্য শিশুও অন্তরভুক্ত আছে !!! ভাবতে অবাক লাগে দেশে ঋণ করে কিছু সংখ্যক লোকের সুখে নিদ্রা যাওয়ার দৃশ্য দেখে!!!
আপনি নিশ্চয়ই জানেন বিলাতের জেরেমি বেন্থামও ছিলেন সুখবাদী দার্শনিক। তিনি বলেন, মানুষ চায় ব্যথার অনুভূতিকে কমাতে এবং সুখের অনুভূতিকে বাড়াতে। যা কিছু সুখের অনুভূতিকে বাড়ায়, তাকে গ্রহণ করতে হবে মঙ্গল হিসেবে। তিনি সুখের এই অনুভুতির সাথে দু’টি খুব গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যোগ করেন। তিনি বলেন, এই সুখের অনুভূতি কেবল ক্ষণিকের জন্য হলে চলবে না। হতে হবে একটি মানুষের সারা জীবনের জন্য। অন্য দিকে এই সুখের অনুভূতি কেবল গুটিকয়েক মানুষের জন্য হলে চলবে না। হতে হবে সর্বাধিকজনের জন্য। অর্থাৎ সুখ হতে হবে সামাজিক, ব্যষ্টিক নয়। বেন্থামের এই মতকে বলা হয় হিতবাদ। হিতবাদ বিলাতে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে। বেন্থাম ছিলেন বিলাতের দার্শনিক। কিন্তু তার কাছে আমরাও যথেষ্ট ঋণী। বেন্থামের অনুসারী ছিলেন লর্ড বেন্টিং। তিনি ভারতে গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন যতদুর মনে পরে ১৮৩০ সালের দিকে বেন্টিং সাহেব ছিলেন বেন্থামের শিষ্য। তিনি এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে করতে চান গণমুখী। এবং তিনি হিন্দুসমাজে প্রচলিত ভয়াবহ সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেন। এগুলো তিনি করেছিলেন বেন্থামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। বেন্থাম চেয়েছিলেন এই উপমহাদেশে উদার ভাবধারার প্রবর্তন হোক।
এখন কোন দর্শনে আমরা যাব তা নিয়ে সকলের চিন্তার অবকাশ আছে ।
অনেক শুভ কামনা রইল
৪৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৫
পলাশমিঞা বলেছেন: ভাইজান আমি সাধারণ মুসলমান। আল্লাহ রাসূল যা বলেছেন আমি তা মানি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাশা আল্লাহ । এর উপরে কোন কথা নাই ভাই । জগতের সেরা মতবাদ এটাই । ইসলামেই বিশ্বের সকলের জন্য কল্যান নিহীত একজন ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমান শান্তি ও কল্যানের ধর্ম ইসলামে নিবেদিত হয়ে সকলের জন্য কল্যান বয়ে আনবেন এ কামনা ও দোয়াই আল্লার কাছে করি ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল ।
৪৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫১
কালীদাস বলেছেন: যাস্ট এমুহুর্তে নুকে টেম্পরেচার ১ ডিগ্রি! কালকে সকাল ১১টায় হবে -৪ এবং আগামী কয়েকদিন টানা দেখলাম নামতেই থাকবে। জিনিষটা খুব মজার, গ্রীনল্যান্ড বরফের আখড়া অন্য দিকে আইসল্যান্ডে কম্পারেটিভলি কম। কোপেনহেগেনে দেখেছি গ্রীনল্যান্ডে যাওয়ার প্যাসেন্জারদের লাইন, কোন একদিন সাহস করে চলে যেতে পারি হয়ত বরফের আখড়ায়
অরোরা নিয়ে এস্কিমের কুসংস্কার আছে নাকি? এদের জীবন খুবই কষ্টের মনে হয়, এখনও তেমন সভ্যতার ছোয়া নিয়েছে বলে মনে হয়না।
চমৎকার পোস্ট, সুপাঠ্য যে তা বলাই বাহুল্য চালিয়ে যান।
বাইদ্যাওয়ে, আপনি কি নর্থ পোলের কাছাকাছি কোথাও থাকেন নাকি? রাশিয়া বা আলাস্কা?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এসে দেখার জন্য । মাইনাস ২/৪/৫ ডিগ্রী কোন ব্যপার নয় , সময় করে চলে যান ঘুরে আসুন বরফ হতে, এখন গেলে মাউন্টেনে আইস স্কেটিং করতে পারবেন মনের সুখে । এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার ।
হ্যা গ্রীন ল্যান্ডের এস্কিমোদের মধ্যে মিথ ও লিগেন্ডের অগাধ বিশ্বাস , তারা একে লালন করে সামাজিক ভাবে । লিগেন্ডের মুর্তীগুলিকে তারা করে রেখেছে অতি সন্মান ভরে ।
কাছাকাছি অবস্থানের কারণে হলিডেতে আমার কিছুটা বিচরণ হয় উত্তর মেরু জুনের দেশগুলিতে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৬
পলাশমিঞা বলেছেন: আমিন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছুন্মা আমিন ।
শুভেচ্ছা রইল
৪৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই ,
আমি কিন্তু আপনাকে ভুল বলিনি ,সাজাইনি কোনো অপরাধী।
যাঁর দরশনে ভরে উঠে মোর শূন্যতায় ঘেরা জীর্ণশীর্ণ বাড়ি,
সেই প্রিজন নিজেকে অপরাধী ভাবুক তা কেমনে সবো আমি!
আমি তো আকুতি ভরা নয়নে জানিয়েছি সে দরশনের মিনতি।
মুগ্ধতা পেয়েছি ঘুচেছে শূন্যতা ওঠেছে যে মোর ঘর সুখে ভরি।
যদি সুখময় লগন করি গো হরণ, বিতৃষ্ণ কারণ, যেন হই ক্ষমী।।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় নাঈম ভাই ।
শুধুতো কথার কথা বলেছি আমি
অনেক অনেক খুশী প্রিত অআপনার
প্রতি । নতুন পোষ্ট দিলে একটু খানি
জানান দিয়ে গেলে অনেক খুশী হব ।
দৈনিক শত শত নতুন পোস্টের ভিরে
অনেক প্রিয় পোষ্ট চোখের পলকে
চলে যায় অগোচরে ।
৪৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩১
কালীদাস বলেছেন: হা হা, আমি আলপাইন লাইনের গোড়ায় থাকি, - ১২ এর আগে আমার সমস্যা হয় না। স্কি করা দূরের কথা, দেখাও হয়নি কখনও। প্রাগে গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, যাওয়ার আগে আম্মার প্রথম "নো স্কিয়িং!!" বুঝেন! তবে শিঘ্রি একবার জাস্ট দেখতে যাওয়ার প্ল্যান আছে, দেখি পারি কিনা। গ্রীনল্যান্ডে স্কি রিসোর্ট আছে?
আপনার লেখাগুলো অনেক তথ্যবহুল এবং চমৎকার। আমার হিসাবে ভুল হয়ে না থাকলে অলরেডি অনেকবার চুরি হওয়ার কথা
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , তাহলে তো আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না ।
তবে সব কিছুই মায়ের দোয়া নিয়ে করাই ভাল ।
হ্যা গ্রীনল্যান্ডে স্কি রিসোর্ট আছে । নীচে বিস্তারিত দেখুন
Ski resorts in Greenland (Kalaallit Nunaat)
Elevation info : 10 m - 137 m (Difference 127 m
Slopes : 0.8 km 0.8 km 0 km 0 km
Ski lifts : 2
Lift ticket : DKK 170,- / approx. € 23,- (Day ticket main season)
Towns/villages : Nuuk/Godthåb
www.skiresort.info/ski-resorts/greenland/
Alpine Valley Resort এর আজকের অবস্থা তো অনেক ভাল
Snow Variable
Open trails ;21/21
Open lifts :12/13
Base
48cm 12°C
Snow depth W 7 mph
Summit
48cm 12°C
Snow depth W 7 mph
আমরো ধারণা কিছু কিছু লিখা একটু এদিক সেদিক হচ্ছে । কি আর করা কোন নিয়ন্ত্রন নাইতো সামু ব্লগের লিখা অন্য কেও নিতে । মাঝে মধ্যে গুগল ইমেজে কোন ছবির উপরে ক্লিক করলে অমার অনেক লিখার লিংক ভেসে আসতে দেখি । যাহোক লিখালিখি তো পড়ার জন্যই, শান্তনা এ টুকুই যে লোকে তা যে কোন ভাবে হলেও পড়তে পারে । ধন্যবাদ এ বিষয়ে আপনার উৎকন্ঠা প্রকাশের জন্য । আপনার কমেন্টগুলি খুবই মুল্যবান , অনেক জায়গায় দেখেছি পোষ্টের লিখার উপরে ভিত্তি করে চুম্বক কথাগুলি তুলে ধরা হয়েছে আপনার মন্তব্যে । তাই ঐ পোষ্ট পড়ার সময় আপনার মন্তব্যগুলিতেও একবার চোখ বুলিয়ে নিই ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , আপনার মাধ্যমেই (এস্কিমো জীবনাচার দর্শন) সম্পর্ক-েএ অনেক কিছু জানতে পারলাম।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , এটাতো মুলত টুনটুনিদের জন্যই লিখা ।
আমাদের সোনামনিরা জগতের সকল কিছু দেখুক ,
জানুক তাদেরকে এই কামনাই সব সময় করি ।
অনেক অনেক শুভ কামনা সাথে এক
রাশ ফ্গুনের বাসন্তি শুভেচ্ছা রইল ।
৫০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?
শরীরটা কি ভালো?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
আল্লার রহমতে ভাল আছি
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ।
৫১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাক বেঞ্চার এগেইন
অসাধারন! বললেও কম বলা হয়!
মুগ্ধ হেয় তৃষ্ণা মিটালাম! অনেক জমে গেছে আমি গত ৩ সপ্তাহ েদৌড়ের উপর ছিলাম তো!
এখন পাঠের রেস শূরু করি! শূন্যস্থান পূরণ করতে
কামনা করি এস্কিমোরা থাকুক সুখে শান্তিতে জীবনে ও মরনে ।
++++++++++++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, আমিও সবসময় থাকি দৌঁড়ের পিছনে ।
শুধু দৌঁড়ের না, সব কিছুরই পিছনে থাকি
শুধু সকলে যেখানে বিপদ মনে করে সেখানে
আমাকেই থাকতে হয় আগে !!!
পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল ।
মনে হয় বই মেলায় নীজের বই নিয়ে দৌঁড়ের উপরে ছিলেন
যাহোক, যে কারণেই হোক সাফল্য কামনা করি ।
আপনার শুভ কামনা এস্কিমোদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, সামু কর্তৃপক্ষ কি মোবাইল থেকে ব্লগ দেখার উপরে নিষেধ করলো কিনা বুঝি না। এন্ড্রয়েড এ মোবাইল অপশন আসছে। ফুল ভার্সন আসছে না, কিছুই আর বুঝি না এখন। কারো ছবিও দেখতে পারি না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
আমি দু:খ্যের সাথে জানাচ্ছি যে আমি মোবাইলে সামুতে যা্ইনা বলে এ বিষযটা বলতে পারছিনা । আমি সবসময় লেপটপ ব্যাবহার করি । আমি মোবা্ইলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনা তাই সঠিক বলতে পারছিনা । তবে গতকাল বিলিয়ার রহমানের পোষ্টে দেখলাম কে যেন বিষয়টা উল্লেখ করেছেন , তিনি দেখলাম একটা সমাধানও দিয়েছেন । আমার মনে হয় তাঁর পোষ্টে গিয়ে একটু খুঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ তথ্যবহুল পোষ্টটি থেকে অজানার দুুনিয়ার অনেক সুন্দর কিছু ছবি সহ দেখার ও জানার সুযোগ করে দিয়ে কৃতজ্ঞ করলেন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রহমান ভাই ।
পোষ্ট দেখে সুন্দর মন্তব্য দানে কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভ কামনা রইল ।
৫৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা । সাথের ছবিগুলোও অপূর্ব ।
তথ্যগুলো সহজ করে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি, পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
৫৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পাথরের ফাটলে ফোটা আর্ক্টিক পপি গুলো কি সুন্দর!
আফসোস! এখন আর বয়স নেই। মন চাচ্ছে একবার উত্তর মেরু ঘুরে আসতে! বিশেষ করে আপনার এ পোস্টটা পড়ে সে ইচ্ছেটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো!
মানুষের অসাধ্য বলে কিছু নেই। নইলে কি আর এমন বরফাচ্ছাদিত গিরিশিখরেও পর্যটকগণ আরোহণ উপভোগ করতে পারতেন?
শীতকালে শিকারের আশায় বরফের ব্লক কেটে এস্কিমোদের গৃহ নির্মাণ কৌশল সত্যিই বিস্ময়কর! জ্বালানি কাঠের বদলে মাছের তেল ও চর্বি দিয়ে উনুন জ্বালানোর পদ্ধতিটাও। সীল মাছের চামড়া দিয়ে বানানো ঘরগুলোও মনে হয় পরিস্হি্তি-উদ্ভূত কৌশল। তাদের এসব কৌশল দেখে ইংরেজী প্রবাদ নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অভ ইনভেনশন এর কথাটা মনে পড়লো।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ পুরাতন একটি লেখা পাঠে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ ।
আপনি এক্স আর্মী ম্যান , আপনাদের জীবনী শক্তি অন্যদের চেয়ে
বেশী শক্ত সামর্থ । এছাড়া আপনাদের পাহারে পর্বতে উঠার জন্য তো
প্রশিক্ষন কিছুটা রয়েছেই । মনে বল নিয়ে একসময় উত্তরে যাত্রা শুরু করুন।
শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকলে দলে যোগ দিব ।
শুভেচ্ছা রইল
৫৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পাহাড়ের পাদদেশে এস্কিমোদের জন্য নগরায়ন প্রক্রিয়া চলছে - কথাটা জেনে ঠিক সেরকম খুশি হতে পারলাম না। মনে হচ্ছে যেন এতে ওদের কৃষ্টি বিকৃত হবে, যেমনটি হয়েছিল গাদ্দাফির লিবিয়ায়। সেখানে বেদুইনদের জন্য বিলাসবহুল দালান কোঠা তৈরি করা হয়, কিন্তু ওরা সেগুলো ফেলে রেখে তাঁবুতেই ঘর-গেরস্হি করতে পছন্দ করতো।
পোস্ট পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে স্রষ্টার অপূর্ব শৈলী ও মহিমার কথা ভেবে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেলাম! তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে কি বিস্ময়কর সমন্বয় বিদ্যমান!
হরিণের মত একটা চঞ্চলা নিরীহ প্রাণীকে দিয়েও স্লেজ টানা হয়? একসাথে তেরটি কুকুর দিয়ে স্লেজ টানার দৃশ্যটি বিস্ময়কর।
এস্কিমোদের জীবন যাপন প্রণালী এবং সমাজ ব্যবস্হার কথা জানতে পেরে দেশটি ভ্রমণের ঔৎসুক্য এবং আকাঙ্খাটা অনেক বেড়ে গেল!
অসাধারণ এ পোস্টটিতে ২০তম প্লাস। ++
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার বলা পাহাড়ের পাদদেশে এস্কিমোদের জন্য নগরায়ন প্রক্রিয়া চলছে - কথাটা জেনে ঠিক সেরকম
খুশি হতে পারলাম না। মনে হচ্ছে যেন এতে ওদের কৃষ্টি বিকৃত হবে, যেমনটি হয়েছিল গাদ্দাফির লিবিয়ায়
কথামালার সাথে সহমত ।
হাজার হাজার বছর ধরে এস্কিমোরা সুবিশাল আর্কটিক অঞ্চলে যাযাবর জীবন যাপন করছে।
আজ আধুনিক সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রভাব তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, ভাষা এবং
তাদের সমাজের ঐতিহ্যগত কাঠামোকে ধ্বংস করার হুমকি দিচ্ছে। তাইতো সেখানকার
এস্কিমো লোকেরা নীজেরাও তাদের জন্য গৃহীত নগরায়ন প্রকৃয়ায় বিলুপ্ত বা অদৃশ্য হতে
অস্বীকার করছে ।
পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হয়ে প্লাস দানের জন্য ধন্যবাদ ।
৫৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এবং অন্যান্য আরও কয়েকজনের পুরনো পোস্ট পড়তে গিয়ে যখন মরহুম আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন এর মন্তব্যগুলো পড়ি, তখন কিছুক্ষণের জন্য থমথকে থাকি। আজও তাই হলো। আমাদেরই একজন ছিলেন, এখন চিরতরে নীরব এবং নিরুদ্দেশ! তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। বিশেষ করে নয়নের ৪২ এবং ৪৭ নং মন্তব্যের আক্ষেপটুকু মন ছুঁয়ে যায়।
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: .... মেরু ভাল্লুকটার মুখ ভেসে আসছে চোখের সামনে - আমারও!!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ ।
মরহুম আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম আমার
একজন শ্রদ্ধাভাজনীয় ব্লগার ছিলেন ও এখনো আছেন,
তাঁর স্মৃতি আমার কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে ।
তাঁর ও আমার অনেক পোষ্টে আমরা অনেক মুল্যবান
মন্তব্য চালাচালি করতাম , অনেক নতুন তথ্য ও লেখার
বিষয়ে দিক নির্দেশনা পেতাম । তাঁর প্রতি রইল
শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
মরহুম নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন আমার খুবই স্নেহাশ্পদ একজন
ব্লগার ছিল । তাঁর এই আকাল প্রয়ান আমাকে কাঁদিয়েছে ।
তাঁর লেখাতে আমি অনুপ্রেরণামুলক অনেক মন্তব্য করেছি।
আল্লাহ তাকে সেখানে খুব ভাল রাখুন এ দোয়াই করি ।
আমার পোষ্টে অরুনি মায়া অনু এর মন্তব্যগুলি ছিল
খুবই প্রাণবন্ত ও আমার জন্য প্রেরণাদায়ক । এই গুণী
ব্লগার যে কোখায় হারিয়ে গেল তা জানতেই পারলামনা
আমরা । দোয়া করি যেখানেই থাকুন তিনি যেন ভাল
থাকেন ।
৫৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: বিশাল তথ্যবহুল লেখা। আপনার লেখা পড়ে আমার লজ্জা লাগছে এদের জীবনাচরণ নিয়ে অমন অতি সাধারন একটা লেখা শেয়ার করার জন্য।
৫৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইনুইটদের নিয়ে শেরজা তপন এর সাম্প্রতিক একটা পোস্টে দেয়া লিঙ্ক ধরে পুনরায় আপনার এ পোস্টটা পড়ে গেলাম, তবে ছবিগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না। তবে আপনার এ পোস্ট ইনুইটদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্ট। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে ইচ্ছুক গবেষকদের অনেক কাজে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
৬০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের মন্তব্যটিতে বলেছিলাম, "ছবিগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না"। কিন্তু রিফ্রেশ দেয়ার পর সবগুলো ছবিই আবার পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। আগের মন্তব্যটিতে আপনি আশাহত হতে পারেন, এই ভেবে পুনরায় পোস্টে আসলাম, এ কথাটি জানিয়ে যেতে।
ইনুইট রমণীদের পিঠে নিশ্চিন্তে ঘুমন্ত শিশুদুটির নিষ্পাপ মুখচ্ছবি মনে গেঁথে র‘লো।
আশাকরি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আপনি এখন ভালোই আছেন। অনেক শুভকামনা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পুণরায় এসে বলে গিয়ে ভাল করেছেন ।
ভাবছিলাম সবগুলি ছবি ছোট করে মন্তব্যের ঘরে
দিয়ে দেব , তাহলে হয়তবা দেখতে পাবেন ।
ইদানিং অনেকেই বলছেন তারা ছবি
দেখতে পারছেন না ।
মনে হয় অনেকেই তাদের লেখালেখির
ডিভাইসে Adobe Acrobat Reader software
ইনন্সটল করেন নি কিংবা করে থাকলেও তা
আপডেট করেন নি । যাহোক আপনি ছবি গুলি
যে দেখতে পারছেন তাতেই আমি খুশী ।
এ পোষ্টে থাকা এস্কিমোদেরকে নিয়ে থাকা
ম্যাটেরিয়েল নিয়ে আমি একটি বই প্রকাশ
করেছি । আমার সর্বশেষ পোষ্টে ব্লগার
সোহানীর মন্তবের প্রেক্ষিতে বইটির ছবি
দিয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আলী ভাই,
আপনার পোষ্ট মানে বাংলা পিডিয়া। নিশ্চিত পড়ে কেউ ঠকবেনা্, নতুন কিছু জানতে জানতে পারবে। যেমন, আজ এস্কিমোদের জীবন চারণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।