নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
উত্তরের যাত্রার ১ম ও ২য় পর্বের লিংক
১ম পর্ব - উত্তরের যাত্রা : মেরো জ্যোতি দর্শন
২য় পর্ব – উত্তরের যাত্রা : এস্কিমো দর্শন
উত্তরের যাত্রার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে উত্তরের বিস্ময় মেরু জ্যোতি ও এস্কিমোদের জীবনাচার নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে । উত্তরাংশে আরো একটি বিস্ময়কর জগত রয়েছে আর সেটা হল উত্তর গোলার্ধের সমগ্র উত্তরাংশ জুরে বিস্তৃত বিশাল বৈচিত্রময় বরিল বনভুমি । গ্রীক মিথ অনুযায়ী উত্তরের বায়ু দেবতা বরিয়াসের সামানুসারে বরিল ফরেস্টের নাম করণ হয়েছে । গ্রীক মিথলজিতে বিশ্বাস করা হয় দেবতা বরিয়াস পৃথিবীতে উত্তর হতে ঠান্ডা বায়ু ও শীত বয়ে আনে ।
বরিল বনাঞ্চল
বরিল ( Boreal ) বনভুমিকে কানাডায় বায়মি বা biome নামেও অভিহিত করা হয় কিন্ত এই বিশাল বনভুমি রাশিয়ান শব্দ তৈইগা(Taiga) নামেও পরিচিত । উত্তর আমেরিকা সহ অনেক লিটারেচারে এই বনাঞ্চলটি বরিল নামে বহুল ব্যবহৃত হয় বিধায় এই পোষ্টে একে বরিল বনাঞ্চল হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে । বরিল পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল। বরিল বনাঞ্চল উত্তর আমেরিকার কানাডা এবং আলাস্কার ভূপৃষ্ঠজুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর অংশেও বরিল বনাঞ্চল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটি নর্থউড নামেও পরিচিত। বরিল বনাঞ্চল সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ের উত্তরাংশ, রাশিয়ার সাইবেরিয়া, কাজাখস্থানের উত্তরাংশ, মঙ্গোলিয়ার উত্তরাংশ এবং জাপানের উত্তরাংশ জুড়েও বিস্তৃত। পৃথিবীর মোট বনাঞ্চলের মধ্যে বরিল বরাঞ্চল এক তৃতিয়াংশ স্থান দখল করে আছে।
ছবি-১ : ম্যাপে উত্তর গোলার্ধে বরিল বনাঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থান ( সবুজ চিহ্নিত অংশ)
বিশ্বের বনাঞ্চল গুলির মধ্যে বরিলের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন। বরিল শীতপ্রধান অঞ্চল। এখানে গ্রীষ্ম এক থেকে তিন মাসের মত অবস্থান করে। সাধারণত তাপমাত্রা - ৫ °C থেকে ৫°C এর মধ্যে থাকে।তবে সাইবেরিয়ার পূর্বে ও আলাস্কার মধ্যাঞ্চলে বরিল বনাঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা - ১০C এ পৌঁছে । বরিল বনাঞ্চলে বৃষ্টি ও তুষারপাত তুলনামূলকভাবে কম। এখানে বার্ষিক গড় বৃস্টিপাতের পরিমান ২০০ মিমি । কোন কোন এলাকায় ৭৫০মিমি হতে ১০০০ মিমি পর্যন্ত হয় । শীতকালে তুষার এবং কুয়াশা পরে । নিম্নাঞ্চলের দিকে কুয়াশার পরিমাণ বেশি। গ্রীষ্মের সময়েও বরিলে সূর্যরশ্মির তীব্রতা খুব বেশী হয় না। বছরের অধিকাংশ সময় বাষ্পীভবনের পরিমাণ খুব কম, ফলে বর্ষণের পরিমাণ বাষ্পীভবনের চেয়েও বেশি হয় একারণে এখানে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ জন্মে ।
বরিলের মাটি তুলনামূলকভাবে কম পুষ্টিসমৃদ্ধ। বিষুবীয় অঞ্চলের বন সমূহ যে রকম উর্বর, বরিলে সেরকম পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটি নেই। এছাড়াও এখানকার শীতপ্রধান জলবায়ু উদ্ভিদের বর্ধনকে বাধাপ্রাপ্ত করে । ঝরা পাতা এবং শৈবাল বরিলের মাটিতে দীর্ঘকাল পড়ে থাকে, ফলে তা মাটিতে শোষিত হতে পারে না এবং জৈবিক অবদান রাখতে পারে না। একারণে মাটি অম্লীয় হয়। তাই মাটিতে শুধু ছত্রাক এবং শৈবাল জন্মে। তবে বনের যেখানে গাছপালার পরিমাণ বেশি সেখানে উদ্ভিদের বৈচিত্র্যতা রয়েছে, তৃণগুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের প্রাপ্যতা সেখানে বেশি।
এই পোষ্টে বরিলের জীব বৈচিত্রকে তিনিটি ভাগে যথা বরিলের উদ্ভিদ জগত , বন্য প্রাণী জগত ও সেখানকার আদিবাসি মানব জগতে ভাগ করে দেখানো হয়েছে ।
বরিলের উদ্ভিদ জগত
বরিল বনভুমিতে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ জন্মে, সেখানে ফার, লার্চ, মাউন্টেইন অ্যাশ ও ফায়ারউডের মতো বার্চ গাছ দেখা যায়। তবে বরিল বনভুমি এলাকায় বার্চ, উইলো, হিথ, লিঙ্গোনেবেরি, বাইবেরি, ব্লুবেরি, , কটনগ্রাস, লিঞ্চেন এবং মসেস নামের ঘাস দেখা যায়। তার মধ্যে কনিফার্স ( সুচালু পাতা )জাতীয় উদ্ভিদই প্রধান । তুষাড়ের মধ্যে এ গাছটি ভাল জন্মে কারন পাতা সুচালু ও পাতার গায়ে মোমের মত একটি প্রলেপ থাকায় এরা তুষাড়পাতের সাথে ভাল করে নীজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে ।পাইন ও ফার বৃক্ষ এই কনিফারদের মধ্যে অন্যতম ।
ছবি -২ : ফার বৃক্ষ ( বায়ে) , পাইন ( ডানে ) ও সর্ব ডানেরটি পাইন গাছের কৌন সদৃশ্য বীজ , এই বীজ ফুটে অংকোরোদগম সে এক কঠীন ব্যপার ।
ছবি-৩ : বায়ের চিত্রটি মসেস , মাঝেরটি ব্রিটিস সোলজার্স নামে পরিচত লিচেন ও ডানেরটিও একটি লিচেন জাতীয় উদ্ভিদ
বরিলে প্রচুর পত্র ঝড়া বৃক্ষ রয়েছে । শীতের প্রকোপ শুরু হতেই এদের পাতা ঝড়ে যায় আবার গ্রীস্মের আগমনে পত্র পল্লিবিত হয়ে উঠে ।
ছবি - ৪: গ্রীস্মের বিদায় লগ্নে শীতের আগমনে বরিল বনভুমির বৃক্ষের পাতার রং পরিবর্দনের দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন হাজার হাজার হলুদ ফুল ফুটে আছে গাছে ।
ছবি –৫: শীতের আগমনে বরিলের পাহাড় চুড়াতেও দেখা যায় রংএর বাহারী মেখলা দৃশ্য
ছবি – ৬ : বরিল বনভুমে রয়েছে কিছু প্রকৃতির অপরূপ লিলা, যুক্তরাষ্টের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক বনভুমে বাহারী রংগের ভুগঠনের দৃশ্য
গেসিয়ারের দেখা মিলে বেশী বরিল বনভুমির জলাধারে কিংবা নদীর কিনারে
গেসিয়ার (Geysers) হল একটি উষ্ণ প্রস্রবণ । এটা সৃস্টি হয় যেখানে জলাধারের পানি অবাদে ভুত্বকে প্রবাহে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় ও তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে ভুঅভ্যন্তরে কিংবা বাইরে । এর ফলে কোন গর্ত মুখ দিয়ে ( সেটা জলাধারের মধ্যে কিংবা তার তীরেও হতে পারে) প্রচুর স্টীম নির্গত হয় এবং একটি অগ্ন্যুত্পাত শুরু হয়ে উষ্ণ প্রস্রবণের সৃস্টি করে । এটা ঘন মেঘের মত কুন্ডলী পাকিয়ে ৩০০ হতে ৪০০ ফুট পর্যন্ত আকাশে উঠে যায় , সৃস্টি করে অপুর্ব এক দৃশ্যের । জলাধারের পানি নিশ্বেসিত কিংবা সিসটেমটা শিতল না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতেই থাকে । সারা দুনিয়া জুরে প্রায় দুই হাজারের মত গেসিয়ার অছে বলে জানা যায় এর মধ্যে আমিরিকার ইয়েলোস্টন ন্যাশনাল পার্কেই প্রায় ১২৮৩ টা গেসিয়ারের জন্ম হয়েছে। ২০১৪ সনে শুরু স্টীমবোট গেসিয়ার নামে বিশ্বের সর্ববৃহত গেসিয়ারটি এখনো একটিভ আছে ।
এখানে CLICK করে ভিডিউটি দেখলে বুঝতে পারবেন , গেসিয়ারের খুব কাছ থেকে ছবি তোলা যায় ও এর উল্টা দিকে গেসিয়ারের জলিয় বাস্পের কারণে দিগন্ত জুরে রং ধনু দেখা যায় ।
ছবি-৭ : আমিরিকার উত্তরে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে কোন-টাইপ গেসিয়ার (Geyser) : এটা একটা রিভার সাইড গেসিয়ার
ছবি-৮ : গেসিয়ারের দৃশ্য দেখে মনে হবে আকাশের মেঘমালা যেন ধরার বুকে নেমে এসেছে ।
নীচে দেশে দেশে বরিল বনভুমির কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হল ।
ছবি- ৯ : রাশিয়ার উত্তরে কলিমাতে বরিল তথা তৈগা বনভুমি
ছবি –১০ : আলাস্কা রেঞ্জের কাছে সপ্রসু গাছ সমৃদ্ধ বরিল বনভুমি
ছবি - ১১ : বরিল বনভুমিতে মাঝে মাঝে স্বচ্ছ পানির লেক একটি কমন ব্যপার : ফিনল্যান্ড এর Helvetinjärvi National Park
ছবি –১২ : নরওয়ের নাভরিক এর কাছে বরিল বনভুমি : সমুদ্রের সাথে একিভুত বরিলের এ অংশটি বরিলের অন্য অংশ হতে অনেক উষ্ণ
ছবি –১৩ : কানাডায় বরিলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীগুলির একটি ইউকন রিভার ( ৩১৯০ কিলোমিটার)
ছবি -১৪ : বৈকাল হৃদের কুলে বরিল ফরেস্ট
ছবি – ১৫ : সুইডেনের বরিল বনভুমিতে বিখ্যাত পাইন ট্রি
ছবি – ১৬ : মার্কিন যুক্তরাষ্টের অহিওর ব্রাউন লেক বগে বরিল বনভুমিতে নর্দার্ন পিচার প্লান্ট ( ডানে)
ছবি – ১৭ : আমিরিকার বুথবে মেইন বরিল ফরেস্টে সারাসিনা পারপুরিয়া (Sarracenia purpurea )
ছবি –১৮ : আমিরিকার বুথবে মেইন বরিল ফরেস্টে Sarracenia purpurea –২
বরিলের বন্যপ্রাণী
বরিলের শীত প্রধান জলবায়ুর কারনে সেখানে বড় ধরনের জীব বৈচিত্র হতে পারেনা । তীব্র শিতের সাথে মানিয়ে নিতে পারা প্রাণীকুলই সেখানে বসবাস করে । বরিল বনভুমিতে বাস করা বন্য প্রানীর সচিত্র বিবরণ নীচে তুলে ধরা হল ।
বরিলের সরিসৃপ
খুব কম প্রজাতীর সরিসৃপ বরিলের বনভুমিতে দেখতে পাওয়া যায়, কারণ শীত ও বরফ তাদের বেচে থাকার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ । উত্তর আমিরিকা ও ইউরোপিয় অংশের বরিল রিজিয়নে রেড –সাইডেড গার্টার স্নেক ও ইউরোপিয়ান এডার স্নেক দেখতে পাওয়া যায় । মরে যাওয়ার ভয়ে সেখানকার সাপগুলি গাছের কোটরে কিংবা গভীর গর্তের ভিতরে শিতকালে ঘুমিয়ে কাটায় যাকে hibernate হিসাবেই অভিহিত করা হয়ে থাকে ।
ছবি – ১৯ : বরিল বনভুমি এলাকার রেড- সাইডেড গার্টার স্নেক
বরিলের উভচর প্রাণী
সরিসৃপের মত উভচর প্রাণীরও বরিলে বসবাস বেশ কষ্টকর । শুধুমাত্র কিছু প্রজাতীর ব্যাঙগ (নর্দার্ণ লিউপার্ড ফ্রগ, কানাডিয়ান টড, এবং সালামানডারস এর সাক্ষাত পাওয়া যায় বরিলের বনভুমিতে,তবে শীতের সময় তারাও কোটরে বা গর্তে থেকে দীর্ঘ দিন কাটায় ।
ছবি -২০ : বায়ে একটি ব্লু কোটেড সালামানডার ও ডানে একটি কানাডিয়ান টড
বরিলের মাছ
বরিলের জলাধারের পানিতে মাছেরও বিচরণ খুবই কম । বরিলের পানিতে যে সমস্ত সাধারণ মাছ পাওয়া যায় তার মধ্যে আলাস্কা ব্লেক ফিস , লেক এন্ড রাউন্ড হোয়াইট ফিস , ব্রোক ট্রাউট, সাইবেরিয়ান ট্রাইমেন, ওয়ালী, চুম সালামন , সিসকো , লেক চুব ও লেনক অন্যতম ।
ছবি-২১ : বরিলের জলাসয়ে বিচরণকারী চুম সালামন মাছ
ভোঁদড়
বরিলের আমিরিকান ও ইউরোপিয় অংশে ভোঁদর দেখতে পাওয়া যায় , এদের গায়ের পশম ও চামড়ায় ওয়াটার রিপিলেন্ট কোট রয়েছে যা তাদের ঠান্ডা প্রতিরোধে সক্ষমতা দেয় । এরা মাছ, ব্যাঙগ, পাখী , কাকরা সামুক প্রভৃতি খেয়ে জীবন ধারন করে।
ছবি - ২২ : বরিল বনভুমি এলাকার ভোঁদড়
বরিলের পক্ষিকুল
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী উত্তর আমিরিকার সকল পক্ষীকুলের শতকরা ৬০ ভাগ ররিল বনভুমিতে বিচরণ করে বলে জানা যায় । এর মধ্যে বেশী সংখ্যকই পারিজাত পাখি । শীতকালে এরা দলবেধে দক্ষীন পানে উড়াল দেয় । সাধারন প্রজাতিগুলির মধ্যে কমন গল্ডেনি, কমন লুন, কমন টার্ন, হেরিং গাল , বাফলহেড, স্প্রুস গ্রাউস (spruce grouse) উল্লেখযোগ্য পাখী ।
ছবি - ২৩ : স্প্রুস গ্রাউস (spruce grouse) তথা বন মোরগ (বায়ে) কমন গোল্ডেন ( ডানে)
ছবি – ২৪ : কমন লুন
ছবি- ২৫ : কমন টার্ন ( বায়ে) বাফলহেড ( ডানে)
তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী এবং খরগোশ (Rodents And Rabbits)
বরিলের বনভুমি এলাকায় রয়েছে প্রচুর সংখ্যক তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী এবং খরগোশের বসবাস । বরিল আবাসস্থলে বসবাসকারী তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণীদের কিছু হচ্ছে Beavers, কাঠবিড়ালি, voles, ইঁদুর, এবং মাউস । এই তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণীগুলি বরিলের মাংসাশী প্রাণী যথা weasels, minks, stoats, Lynx, Coyotes ও অন্যদের খাদ্য শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপুর্ণ খাদ্য উৎস হিসাবে কাজ করে । বরিলের খরগোস প্রজাতীর মধ্যে স্নোশু (snowshoe hare ) উল্লেখ যোগ্য । বরিলের আদিবাসী শিকারীদের কাছে খরগোস একটি অতি প্রিয় ভোজন প্রিয় প্রাণী ।
ছবি- ২৬ : বরিলে বসবাসকারী স্নোশু (snowshoe hare ) খরগোস )
ছবি – ২৭ এমেরিকান মারটেন তথা গাছ বিড়ালী , কানাডা ও আলাস্কার বরিল বন ভুমিতেও দেখতে পাওয়া যায়
ছবি-২৮ : ওয়াসেল (Weasel) তথা বেজী, এরা মাঝে মাঝে বরিল আদিবাসিদের মুরগী বা খরগোসের খোয়ারে আক্রমন করে ।ডানের ছবিটি মিংকের (Mink)
রবিল বনাঞ্চলের আলাস্কা এলাকায় Porcupine নামে এক প্রকার সজারুর মত দেখতে তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণীর সাক্ষাত পাওয়া যায় । নীচে ছবি দেখানো হল
ছবি- ২৯ : Porcupine এর ছবি ( বায়ে বেবি Porcupine) গায়ের কাটা শিকাড়ির হাত হতে নীজকে রক্ষা করে )
হরিণ প্রজাতি
মুঝ (Moose) হরিণ
হরিণ প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের হল মুঝ হরিণ । বরিলে এক সময় বহুল পরিমানে বসবাস করলেও এখন শিকারী দের উপদ্রবে এদের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে ।
ছবি – ৩০ : ররিল বনভুমে বিচরণকারীএকটি মুঝ হরিণ
কাবিরু বা বল্গা হরিণ
বিভিন্ন প্রজাতীর কারিবু বলগা হরিন কিংবা রেইন ডিয়ারকে বরিল বনভুমিতে দেখতে পাওয়া যায় । এরা শৈবাল , বার্চের পাত ও ঘাস খায় ।
ছবি- ৩১ : কারিবু ( Caribou ) বা বল্গা হরিণ
এলক (Elk ) হরিন
এলক হরিন (Cervus Canadensis) উত্তর আমিরিকা ও পুর্ব এশিয়ায় বরিল বনভুমে বিচরণকারী অন্যতম বৃহত্তম স্থল প্রাণী । এরা বরিল বনভুমের উত্তরের দিকে আসে গ্রীস্মকালে এবং শীতকালে দক্ষীনে চলে যায় । এই এল্ক হরিণের শিঙকে পূর্ব এশিয়া অংশের দেশগুলিতে ঐতিহ্যগত ঔষধ প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করা হয় । শিকারীদের অত্যাচারে এরা বিলুপ্ত হতে চলেছে ।
ছবি –৩২ : এল্ক হরিণ ( বায়ের টি পুরুষ এবং ডানেরটি মেয়ে হরিণ)
নেকড়ে ও শিয়াল
ধুসর নেকড়ে (Canis lupus), কয়ট (Canis latrans), and লাল শিয়াল ( vulpes) বরিল বনভুতিতে দেখতে পাওয়া যায় ।
ছবি – ৩৩: বরিল বনাঞ্চলে বিচরণকারী লাল শিয়াল : এরা আকারে আমাদের দেশের শেয়াল হতে অনেক ছোট
ভাল্লুক ( খয়েরী/কাল/ মেরু)
খয়েরী ভাল্লুক, আমিরিকান ও এশিয়ান কাল ভাল্লুক এবং মেরু ভাল্লুক এর সবকটিকেই বরিল বনভুমিতে বসবাস করতে দেখা যায় । মেরু ভাল্লুক আর্কটিক জোনের সীমা লঙ্গণ করে মেরু কাছাকাছি এলাকাতেও চলে যায় ।
ছবি -৩৪ : একটি খয়েরী ভাল্লুক
ছবি – ৩৫: কানাডার মানিটুবা ওয়াপুস্ক ন্যাশনাল পার্ক নার্সারিতে মেরু ভাল্লুকের বংশ বিস্তারের একটি দৃশ্য ।
সাইবেরিয়ান টাইগার
বরিল তথা তৈগা বনাঞ্চলের সবচেয়ে প্রতিমাসংক্রান্ত ( Iconic) প্রজাতি তালিকার মধ্যে বিপন্ন সাইবেরিয়ান বাঘ (প্যান্থেরা altaica টাইগ্রিস ) উল্লেখযোগ্য় । একসময় এরা পূর্ব রাশিয়া, উত্তর-পূর্ব চীন, কোরিয়া, এবং পূর্ব মঙ্গোলিয়ায় তৈগা আবাসে বৃহৎ অংশ দখল করে থাকলেও বর্তমানে সাইবেরিয়ান বাঘের একটি ছোট জনসংখ্যা Primorye প্রদেশ এবং সুদূর পূর্ব রাশিয়ার মধ্য Sikhote Alin পর্বত অঞ্চলে অবশেষ রয়েছে বলে জানা যায় । বর্তমানে বরিল বনাঞ্চলে মাত্র ৩৫০-৪০০ মত এই সাইবেরিয়ান টাইগার আছে বলে জানা যায় । এই সাইবেরিয়ান টাইগার দেখতে অনেকটা আমাদের সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত দেখতে ।
ছবি -৩ ৬: বাচ্চা সহ সাইবেরিয়ান টাইগার
বরিল বনাঞ্চলে মানব বসতি
বরিল বনগুলোতে জটিল পরিবেশগত আবাসস্থলের কারণে মানুষ সম্প্রদায় , প্রাণী ও উদ্ভিদ জীবনে রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্রতা । প্রায় এক মিলিয়ন আদিবাসীদের বসবাস উত্তরের বরিল বনে । আদিবাসী অধিবাসীদের মধ্যে কানাডায় ক্রি এবং ডীন সম্প্রদায় , নরওয়ে , সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে সামি বা লেপল্যন্ডার সম্প্রদায় , উত্তর জাপানে আইনু, এবং সাইবেরিয়ায় নিনেট ,, ইয়াকুট, উডেজ , তাসতান প্রভৃতি উপজাতি হাজার হাজার বছর ধরে বনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে বসবাস করে আসছে ।
উল্লেখ্য যে বর্তমানে শুধুমাত্র কানাডার বরিল ফরেস্ট এলাকায় প্রায় ৬০০ বিভন্ন আদিবাসি সম্প্রদায় বসবাস করছে এবং তাদের জীবন ধারণের জন্য গতানুগতিক শিকাড় ও কৃষি কর্ম করছে । তবে কলোনিয়াল যুগ হতে তাদের জীবনে দু:খ দুর্দশা শুরু হতে থাকে । মাটিনাডুর পপলার নদীর তীরে কানাডার আদিবাসিরা প্রথম বসতি স্থাপন করে । পশুর চামড়ায় তৈরী তাবুরমত আবাসে অরোরা জ্যোতি নিত্য দিনই আলোকিত করত বলে জানা যায় ।
ছবি – ৩৭ : মাটিনাডুর পপলার নদীর তীরে কানাডার আদিবাসিদের বসতির উপরে মেরু জ্যোতির নাচানাচি
সভ্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থার করুন হাল , বরিলের বৈচিত্রময় বন্য জীবনের কঠীন সংগ্রাম সকলই তাদের উপর দিয়ে চলে । অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের পরে কলোনিয়াল যুগে হারানো জায়গা জমি ফিরত পাওয়ার জন্য ২০১৩ সনে আদিবাসী ডীন সম্প্রদায় কানাডার ফেডারেল সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে তারা ৭.৫ মিলিয়ন একর জমি তাদের কাছে ফেরত নিয়ে এসে আদিবাসী কৃষ্টি , চাষাবাদ ও জীবনধারনের নিশ্চয়তা বিধান করে ।
ছবি - ৩৮ : হারানো জমি ফিরে পাওয়া উপলক্ষে কানাডার পপলার নদীর তীরে মানিটুবাতে ২০১৪ সনে প্রথম আদিবাসী ইনিশিয়েটিভ ইভেন্ট উদযাপন ।
বরিল বনভুমি এলাকায় আদিবাসিরা ছোট ছোট কাঠের ঘরে বসবাস করে । শীতকালে প্রকৃতি পরিবেশ বাড়ীঘর মোরে যায় বরফে।
ছবি – ৩৯ : বরিল বনের ভিতরে আদিবাসিদের বসবাসের জন্য ছোট ছোট কাঠের ঘর ।
বরিল বনভুমি এলাকা মোটামুটিভাবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অন্তর্ভুক্ত । তাদের ঘর বাড়ীতেও অধুনা এর কিছু ছোয়া লেগেছে, তাদের কাঠের বাড়ী একটু উন্নততর হচ্চে যা নীচের ছবিতে দেখানো হলো । এই বনের পোষ্টে বিচরণকারী পাঠকগন কিছুটা সময় এখানে অবলিলায় বিশ্রাম নিয়ে যেতে পানেন ।
ছবি-৪০ : বনের ভিতরে বসবাসের জন্য একটু উন্নতমানের কাঠের ঘর
ছবি - ৪১ : দোলনা হতেই আদিবাসী শিশুরা কাঠের ঘরে বসবাস করে পরিচিত হতে থাকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে ।
ছবি –৪২ : শীতকালে বরফে ঢাকা পথে যাতায়াত বড়ই কঠিন, বরফ ভেঙ্গে পথ চলার কিছু ব্যবস্থা স্থানীয় কতৃপক্ষ মাঝে মধ্যে করে ।
ছবি -৪৩ : বন হতে শীকাড় করা খরগোশ কাধে ঝুলিয়ে সেখানকার আদিবাসিরা বরফের উপর দিয়ে হেটে ঘরে ফিরে
ছবি -৪৪ : অন্যদিকে সাইবেরিয়ার বরিল বনভুমি এলাকার আদিবাসিরা বল্গা হরিণকে প্রথম পোষ মানিয়ে এমন করে মালামাল টানার কাজে নিয়োগ করে ।
রাশিয়ার বরিল বনাঞ্চলের আদিবাসী তাসতান সম্প্রদায় বল্গা হরিণকে তাদের জীবন জীবিকার সাথে বিবিধ উপায়ে সম্পৃক্ত করেছে । তারা শুধু হরিণ দিয়ে মালা্ই টানেনা তারা এই হরিণের দুধও পান করে। হরিণের এতসব গুণের কারণে তারা একে ধর্মীয় ভাবেও ভক্তি নিবেদন করে ।
ছবি- ৪৫ : রাশিয়ার বরিল বনাঞ্চলের আদিবাসী তাসতান সম্প্রদায় বল্গা হরিণ হতে দুগ্ধ আহরন করছে
বরিল এলাকার আদিবাসীরা মুলত উন্নত বিশ্বের দেশগুলির আদিবাসী নৃতাত্বিক জনগুষ্ঠি । তাই এখন তারা মোটামোটিভাবে আধুনিক বিশ্বের জীবন ধারণের অনেক সুযোগ সুবিধাই তাদের মত মানানসই করে উপভোগ করছে । সে সমস্ত দেশের সরকার ও আর্থ –সামাজিক ব্যবস্থা তাদেরকে যথাসম্ভবভাবে সহায়তা করছে । তাদের জীবন ততটা দৃর্বিসহ নয় যতটা আমাদের দেশের নৃতাত্বিক জনগুষ্ঠী ভোগ করছে ।
হুমকির মুখে বরিল বনভুমি
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বরিল অঞ্চলের মাটির নীচে থাকা গ্যাস ও তেল সম্পদ উত্তোলন কর্মসুচী এই বনভুমির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে । আলাস্কা হতে শুরু করে কানাডা ও রাশিয়া পর্যন্ত বরিল বনভুমি তলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ও তেল । এর উত্তোলন ব্যপকভাবে শুরু হলে বরিলের স্লো- গ্রোইং কনফেরাস বৃক্ষরাজির জন্য হবে তা মারাত্মক হুমকি ।
বৈশ্বিক জলবায়ুর উঞ্চতাও এই বনাঞ্চলের জন্য মারাত্বক হূমকি । বরিল অঞ্চলের উন্নত বিশ্বের কলকারখানা হতে নিশ্বারিত গ্যাসের কারণেও এর অনেক বিরূপ প্রভাব পড়বে বরিল বনভুমির উপরে বিভিন্ন প্রকারে । উদাহরনস্বরূপ বলা যায় বরিল এলাকায় রাশিয়ার রকেট, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মিজাইল উৎক্ষেপন কেন্ত্র হতে নি:সারিত আগুনের ধুয়া বরিল বনভুমির গাছের ক্ষতি করছে ব্যপকভাবে । নীচের ছবিতে কিছুটা দেখা যেতে পারে ।
ছবি- ৪৬ : উৎক্ষেপিত রকেট, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মিজাইল হতে আগুনের ঘুয়া নি:সরনে বনভুমির ক্ষতির দৃশ্য
শুধু কি তাই, বরিল বনভুমি এলাকায় বৃহদাকারের জল বিদ্যুত প্রকল্প গ্রহণের ফলে সে এলাকার বনভুমি ব্যপকভাবে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । যেমনটি নীচে দেখা যাচ্ছে ।
ছবি –৪৭ : কানাডার কুইবেকে জলবিদ্যুত প্রকল্পের ফলে সেখানকার ব্যপক এলাকার বনভুমি জলে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য ।
বরিল বনভুমিতে মাঝে মাঝে দাবানলও ঘটে, পুড়ে যায় বনের ব্যপক এলাকার গাছ । এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সে এলাকার গাছ দাবানলে জলে গিয়ে প্রায় ২২৫ বিলিয়ন টন অতিরিক্ত কবর্ন বায়ুমন্ডলে নি:সরন করছে । এর ফলে বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধিও তরান্বিত হচ্ছে ।
বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আমাদের সুন্দর বনের উপরেও পড়ছে । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের সুন্দরবনের গাছপালা ও জীববৈচিত্রের উপরেও হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নত বিশ্ব কতৃক সৃষ্ট বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর চিত্রা হরিণ সমৃদ্ধ বিশ্ব হেরিটেজ সুন্দরবন যেন বিপন্ন না হয় তার আবেদন জানাই বরিল বনভুমি সংলগ্ন উত্তর পশ্চিমের সভ্য নামদারী মানব সমাজের কাছে । আমাদের নীজেদেরও সচেতনতার প্রয়োজন আছে ।
ছবি –৪৮ : বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে উদ্ভিগ্ন ও চিন্তিত আমাদের সুন্দর বনের বিপন্ন প্রাণীকুল।
এটা অস্বিকার করার উপাই নাই জীব বৈচিত্রের সকল শাখাতেই আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম বন । তাই আমাদের এ বন রক্ষার জন্য বরিল বনভুমির সংরক্ষনও একান্ত প্রয়োজন । উন্নত বিশ্ব নীজেদের স্বার্থে বরিল বনভুমিকে সংরক্ষনের জন্য তাদের ক্ষতিকর কর্মসুচীকে নিয়ন্ত্রন করলে তার সুদুর প্রসারী ফলাফল আমরাও ভোগ করব বিবিধ ভাবে ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থেকে বরিল বনভুমে বিচরণ করার জন্য ।
তথ্য ও ছবিমুত্র : গুগল ইন্টার নেট
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রকৃতি ও বনের প্রাণীবান্ধব আপনাকে প্রথম মন্তব্য দানকারী হিসাবে পেয়ে । আপনার ঝড়া পাতাই যে আমাকে নিয়ে গেল পত্রঝড়া ঐ বনে । ঐ বনে গিয়ে ঝড়া পাতার স্তুপে পড়লে আপনার হাল যে কি হতো আল্লাই তা জানেন । আসলেই আল্লা যে কত অপরুপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে রেখেছেন তাঁর সৃষ্ট ভুবনে তার নেই কোন সীমা পরিসীমা । সেগুলি দেখলে শুধু জগতের সৃষ্টি কর্তার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধাতে মাথা নত হয়ে আসে । পোষ্ট চমৎকার হওয়ায় ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রেড- সাইডেড গার্টার স্নেকের ছবিটি আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। ভয়ঙ্কর সুন্দর মনে হয় একেই বলে। আপনার এই লেখার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল ভাই , কিছু জানাতে পেরছি বলে নীজকে ধন্য মনে করছি।
রেড-সাইডেড কে আমি ভয়েই ছিলাম , আবার একে দেখে আৎকে উঠেন কিনা
যাহোক সে ভয় অআমার ভাঙ্গল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বরাবরের মত নতুনত্বের ছোঁয়ায় অনন্য, অনবদ্য প্রানপ্রাচুর্যে প্রানবন্ত সজীব জ্ঞানের মোহনা! আমাদের গবেষনা ফুটন্ত গোলাপের মতই সুবাসে আলোড়িত করে তুলুক পরিবেশ প্রতিবেশ! আলোকিত প্রভাতের মতই প্রভা-বিভা-আভায় ভরিয়ে দিক দিক-দিগন্ত!!!!
পুনশ্চ:
প্রিয় আলী ভাই,
আপনার সাথে দেয়া কমিটমেন্ট মনে রেখেছি। পর্যাপ্ত রিসোর্স হাতের কাছে না থাকায় সময় সুযোগের অপেক্ষা করছি। দোআ চাই।
ভাল থাকবেন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার সুললিত প্রসংসায় আমি মুগ্ধ ও অনুপ্রাণীত । আল্লার সৃস্টি প্রকৃতির অপরূপ লিলা দেখে শ্রদ্ধায় , ভক্তি ও বিশ্বাসে তাঁর প্রতি সকলেরই মাথা নত হয়ে আসে । আলালাহ যে মাটি ফুরে প্রকৃতিতে বৃষ্টির মত পানির ঝর্ণা বহাতে পারেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন । সে জন্যইতো আল্লাহ বলেন তার পরেও কি তোমরা বিশ্বাস আনবেনা, আর অস্বিকার করবে কোন কোন নিয়ামত ।
কথাটা মনে রেখেছেন শুনে ভাল লাগল । কোন তারাহুরা নেই, যখন সময় সুযোগ পাবেন জানালেই হবে , দোয়া থাকল ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
বিজন রয় বলেছেন: কত জানার আছে রে!, কত দেখার আছে রে।
আপনি সৌভাগ্যবান। অবশ্য মানুষ নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরী করে নেয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা , সকলই বিধাতার দান,
আপনি কবি, চক্ষু মোদিলেই দেখিবেন সকলি মুর্তমান ,
আপনি গহ্বর হতেও বের করে আনতে পারেন হিরক রতন
ভরিয়ে দিতে পারেন তা রংগীন করে কবিতার মতন ।
শুভেচ্ছা রইল
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
আখেনাটেন বলেছেন: কী পরিশ্রমী পোষ্ট!!! কেমতে পারেন অালী ভাই।
উদ্ভাবনী এই পোষ্টগুলো বলতে গেলে ব্লগের প্রাণ। যুগ যুগ জিও ড. অালী ভাইজান।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মত গুণী একজন এসে এটা দেখার জন্য । পরিশ্রমী কিনা সেটা বুঝিনা, তবে লিখার জন্য খাটা খাটি একটু করতে হয় তবে এটা আর তেমন কি, ১০/২০ লাইনের একটি কবিতা তার চেয়ে পরিশ্রম হয় অনেক বেশী, অনেকেই শুনেছি রাতের পর রাত কাভার করে দেন একটি কবিতার তরে, কারণ একটি চরনের গুটি কতেক শব্দের মাঝে ঢুকাতে হয় রাজ্যের ভাবনা তাও আবার ছন্দাকারে তাল ও মাত্রার ভিতরে ।
ব্লগের প্রাণ কিনা জানিনা , আপনার কথায় মুগ্ধ হলাম, আমার সাধারন জ্ঞানে যতটুকু পারি তুলে ধরে সকলের সাথে শেয়ার করে তা উপভোগ করি , এটাই আমার বড় তৃপ্তি । তবে আমার লিখা হতে স্কুল কলেজের ছাত্ররা কিছু উপকার পায় তা জানতে পেরেছি । আমার স্নেহের অনুজেরা যদি কিছু জানতে পারে তাতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ধরে , মনে হয় স্বার্থক হয়েছে পরিশ্রম টুকু ।
আপনার আশির্বাদ নিলাম মাথা পেতে ।
আপনার জন্যও থাকল দীর্ঘায়ুর কামনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
বিজন রয় বলেছেন: আমি জীবনে এখনো কিছু অর্জন করতে পারিনি। আমি জীবনে কিছু পাওয়ার মতো কিছু করতে পারিনি। তাই আপনাদের দেখি, আপনাদের অর্জন, প্রাপ্তি, কর্মতৎপরতা আমাকে বিস্মিত করে দেয়। আমি খুব গর্ববোধ করি যে আপনাদের মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে পারি।
যেমন আপনার পোস্টগুলো।
এটা শুধু জানাশোনা মানুষদের পক্ষেই সম্ভব।
আমার পক্ষে ওভাবে সম্ভব নয়। তাই আমি আপনাদের নিকট থেকে শুথ নিতেই থাকি।
গো এহেড।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদা, ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
জ্ঞানী গুণী জনেরা নীজকে এমনি করে আপনার মত সংগোপনে রাখে,
ভাষায় বিনয় যে তাঁর চরিত্রের গুণ । কবিতার বরপুত্র আপনি ,
ঝড়ে সেথায় শুধু প্রতিভার অগ্নিস্ফুরণ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ ও শ্রমসাধ্য পোস্ট।
তবে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে উদ্ভিগ্ন ও চিন্তিত ’ এটা কি অলরেডি শুরু হয়ে গেছে না কি ...........
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুসা ভাই । পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় আমি আপ্লুত ।
‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু হুমকির মুখেই নয় , এটা এখন নিপতিত ।
রয়েল বেঙ্গল কমতে কমতে এখন নাকি শতে এসে দাঁড়িয়েছে , কুমিরের ছানার মত
একটিকেই বার বার গুণে সংখ্যা বাড়াচ্ছে !!! প্রকৃতি ও মনুষ্য কারণে এরা সত্যিই
এখন বিপন্ন । এ বিষয়ে সকলের জন সচেতনতা একান্তই প্রয়োজন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মত গুণী একজন এসে এটা দেখার জন্য । পরিশ্রমী কিনা সেটা বুঝিনা, তবে লিখার জন্য খাটা খাটি একটু করতে হয় তবে এটা আর তেমন কি, ১০/২০ লাইনের একটি কবিতা তার চেয়ে পরিশ্রম হয় অনেক বেশী, অনেকেই শুনেছি রাতের পর রাত কাভার করে দেন একটি কবিতার তরে, কারণ একটি চরনের গুটি কতেক শব্দের মাঝে ঢুকাতে হয় রাজ্যের ভাবনা তাও আবার ছন্দাকারে তাল ও মাত্রার ভিতরে ।
ব্লগের প্রাণ কিনা জানিনা , আপনার কথায় মুগ্ধ হলাম, আমার সাধারন জ্ঞানে যতটুকু পারি তুলে ধরে সকলের সাথে শেয়ার করে তা উপভোগ করি , এটাই আমার বড় তৃপ্তি । তবে আমার লিখা হতে স্কুল কলেজের ছাত্ররা কিছু উপকার পায় তা জানতে পেরেছি । আমার স্নেহের অনুজেরা যদি কিছু জানতে পারে তাতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ধরে , মনে হয় স্বার্থক হয়েছে পরিশ্রম টুকু ।
আপনার আশির্বাদ নিলাম মাথা পেতে ।
আপনার জন্যও থাকল দীর্ঘায়ুর কামনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদার দেখা পেলাম না যে এখনো কি বিশ্রামেই ?
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: অসাধারণ ও সুন্দর পোষ্ট। খুবই চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট অসাধারণ ও সুন্দর
অনুভুত হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত বড় বড় পোস্ট পড়ার সময় তো লাগে অনেক
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পড়ার থেকে লিখতে সময় কম লাগে এখন বুঝেন লিখায় কি স্পীড !!!
কবিতা পড়তে আরো বেশী সময় লাগে কারণ এর কোন কোন লাইনের মারেফতি
অর্থ বুঝতে কয়েক ঘন্টা চোখ বুঁজে চিন্ত করতে লাগে । কবিতো লিখেই খালাস,
সেটা বুঝতে পাঠকের জীবন কাটে ।
অনেক ধন্যবাদ , এই মহা ব্যস্ততার মাঝেও এসে দেখার জন্য ।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুবহানআল্লাহ।
অনেক সুন্দর।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, সকল প্রসংসাই আল্লার তরে , প্রকৃতির সকলি তাঁর অপুর্ব কুদরতি নিশানা ।
বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে এর মাঝে নিদর্শন । আর অআল্লাহ বলেন তোমরা অস্বিকার করবে
কোন কোন নিয়ামত । প্রকৃতির বুকে তাঁর কুদরতি নিদর্শনে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে মাথা নত
হয়ে আসে সকলের । চোখ বুজে চিন্তা করলে দেখা যায় আল্লাহ কত সুনিপুন তাঁর
সুন্দরতম সৃষ্টিতে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রথমে ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি,
এখন পড়ছি।
খুব সুন্দর প্রাণবন্ত ছবি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শুণে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ছবি দেখে ও পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । আগে বলুন কেমন আছেন , বেশ কয়েকদিন ধরে কোন খবর নাই । গতকাল ভৃগু ভাই মারফত ভাল আছেন শুনে আশ্বস্থ হয়েছিলাম । পোষ্টের মাধ্যমে কিছু জানাতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি ।
শুভ কামনা রইল ।
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সবিস্তার জানার জন্য আলী ভাইয়ে ঘরে বেড়াতেই হবে যতি কেই জানার আগ্রহ দেখান। কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে। আপনার মাধ্যমেই পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ছবিসহ বিস্তারিত জানতে পারছি। খুব ভালো লাগলো পুরোটা পগতে পেরিছি। যা জীবনে কল্পনাও করা হতো না তাই আজ জেনে গেলাম। এরচেয়ে আর বড় পাওয়া কি হতে পারে আমার মতো সাধারণ বাঙালি ছেলের।
আপনার প্রতি সবসময় শুভকামনা থাকবে ভাই। মহান আল্লাহ আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখুন এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম, প্রিয়তে রেখেই মন্তব্যের ঘরে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার দোয়ার কথা জেনে খুশী হলাম । এইতো সবে মাত্র আপনার জীবনের শুরু , কখন আল্লাহ কাকে কোন সুযোগ দেন তা কেও জানেনা । একদিন এমন সুযোগ হয়ত পেয়ে যাবেন যখন দেখবেন দুনিয়াটা হাতের মুঠোয় , তা্ইতো কবি নজরুল বলেছেন , দেখব আমি জগতটাকে আপন হাতের মুঠোয় পুরে ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ।
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই বলয়ে বিশাল পরিমাণ খনিজ সম্পদও আছে, মানুষের জীবন কস্টকর; মানুষকে প্রয়োজনের বেশী সম্পদ আহরণে বাধা দেয়ার সময় হয়েছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এ বিষয়টাই এখন বরিল বনভুমির জন্য বড় হুমকি । রাশিয়াই এই সম্পদ বেশী উঠায়ে নিচ্ছে । এদের বাধা না দিলে উপাই নাই ।
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এত অসাধারণ ও মূল্যবান একটি লেখা পড়তে এবং ছবিগুলো দেখতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এই সিরিজের লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করা যেতে পারে। আশা করি, আগামীতে চেষ্টা করবেন।
শীত প্রধান এলাকা হলেও বরিল বনাঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্য নেহাত কম নয়। আমার একটা বিষয় জানার ছিল। রেইন ফরেস্ট আমাজনের চেয়েও কী বরিল ফরেস্ট আয়তনে বড়? পৃথিবীর মোট বনাঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ বরিল ফরেস্ট এবং এটি পৃথিবীর বৃহত্তম বনভূমি বলে উল্লেখ করায় আমার মনে এই প্রশ্নটা এসেছে। দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই , আপনি এসে দেখায় নীজেকে ধন্য মনে করছি । এই ছবি গুলি আছে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন লিটারেচারে কিংবা ব্লগে বিচ্ছিন্নভাবে যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী , কিন্তু কোথাও একত্রিতভাবে সিসটেমেটিকেলী আমি দেখতে পাইনি । আমাকে এক্সটিনসিভলী রিটারেচার সার্চ করতে হয়েছে তথ্য উপস্থাপনের জন্য । আমাদের স্কুল কলেজের ভুগুলের ছাত্রদের জন্য এ গুলি কিছুটা কাজে লাগতে পারে । বই প্রকাশের জন্য আপনার পরামর্শটা গুরুত্বের সাথে নিলাম ।
বরিল ও আমাজনের আপটুডেট সঠিক ভুমির পরিসংখ্যান পাওয়া বেশ কঠীন । বরিল ফরেস্ট মুলত উতত্তর গোলার্ধের শিল্পন্নত দেশগুলির আশেপাশে । পক্ষান্তরে রেইন ফরেস্ট বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থিত । বিয়ুবীয় অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের পরিমাণ বেশী হওয়ায় রেইন ফরেস্ট বিপুল ভাবে প্রতি বছর উজার হচ্ছে , এক হিসাবে বলা হচ্ছে বছরে কম করে হলেও ১ লক্ষ বর্গমাইল রেইন ফরেষ্ট উজার হচ্চে । রেইন ফরেষ্ট বিষূবীয় অঞ্জলের দক্ষীন আমিরিকার আমাজন অববাহিকার ব্রাজিল হতে শুরু করে মধ্য পশ্চিম আফ্রিকা , ভারতীয় উপমহাদেশ ো মিয়ানমার থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । তবে আমাজন অববাহিকার রেইন ফরেষ্টই সকল সকল রেন ফরেস্টের মধ্যে বড় । অপর দিকে বরিল ফরেস্ট উত্তর আমিরিকার যুক্তরাষ্টের উত্তরাংশ , কানাডা , রাশিয়া উত্তরাংশ থেকে শুরু করে জাপানের উত্তরাংশ পর্যন্ত বৃস্তিত । তাই বরিল ফরেষ্টের আয়তন রেইন ফরেষ্টের থেকেও অনেক বড় । নীচে একটা তুলনামুলক চিত্র দেখানো হল । অাশা করি এর থেকে কিছুটা আভাস পওয়া যাবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
জীবন সাগর বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাবে জানাব, মুগ্ধতা নিয়ে ফিরছি
লাইক প্রিয়তে রেখে দিলাম ভাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয়তে নেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
উত্তরের বায়ু দেবতা বরিয়াসের মতোই তেজী ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ঋদ্ধ লেখনীর বর্ষা চালিয়ে গেলেন ব্লগ এম্ফিথিয়েটারে একজন গ্লাডিয়েটরের মতোই ।
প্রানীবৈচিত্র দেখতে দেখতে এখানটায় এসে - "ছবি-২৮ : ওয়াসেল (Weasel) তথা বেজী............ ডানের ছবিটি মিংকের (Mink)" মনে পরে গেলো "মিংক কোট" এর কথা । অসম্ভব দামী এক একটি পরিধেয় । অথচ তা তৈরী হয় অমন নিরীহ চেহারার এই ক্ষুদে সুন্দর প্রানীগুলো হত্যা করে । আমেরিকান মিংকগুলো লম্বায় ইওরোপিয়ান মিংকের চেয়ে বড় হলেও তা মাত্র ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা । এবার বুঝুন , একখানা আজানুলম্বিত কোট বানাতে কতোগুলি প্রানী হত্যা করতে হয়েছে !
বোঝার জন্যে ছবি ও এর মূল্য তুলে দিলুম -----
ব্যাগী শিয়ার্ড মিংকের সাথে রাশিয়ান স্যাবলের মিশ্রন । মূল্য - ১৮,০০০ ( আঠারো হাযার ) ডলার ।
আলাস্কান মিংকে তৈরী এই ছোটখাটো জ্যাকেটটির মূল্য মাত্র ৯,০০০ ( নয় হাযার ) ডলার ।
প্রানীহত্যা করে ফ্যাসনের এই বিলাসিতাকে বন্ধ করার জন্যে একসময় পাশ্চাত্যে মিংক হত্যা বন্ধের আন্দোলনও হয়েছিলো । এখন কি অবস্থায় আছে তা জানিনে ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জি এস ভাই ।
কি আর করা বরিসের তেজী ঘেড়ায় না চড়ে উত্তরে সফরে গেলে বড়ই বিপদ ।
যে দুই কোট দেখালেন মাথা ঘুরে গেছে , দেখতে বড়ই সুন্দর । মনে করেছিলাম কিছু কম দামে পাওয়া যায় কিনা , গিয়ে দেখি বাজার আরো চড়া ।
এর বাজার দামটা মনে হয় দিলেন আরো বাড়িয়ে
এরা তো ভাই মনে হয় মিংক রে মাইরা কাইটা শেষ করে দিবে ।
এদের থামানো দরকার যে কোন প্রকারে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অপরিসীম ভাললাগার মতো পোষ্ট। আপনি আমাদেরকে আল্লাহর দুনিয়া দেখাচ্ছেন। আল্লাহ আপনাকে এর যোগ্য পুনস্কার প্রদান করুন। আপনাকে নিয়ে অনেক ভাবি কি ভাবে পারেন এসব? আল্লাহ আপনাকে অফুরন্ত মানসিক ক্ষমতা প্রদান করেছেন, সে জন্য তাঁর শুকরিয়া। তবে কৌতুহল থেকে জানতে চাচ্ছি , আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে আপনার মনভাব জানতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি আপনি তা’জানাতে চান।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ফরিদ ভাই , কামনা করি আল্লাহ আপনার দোয়া করুল করুন । জনাব অাারজ আলী মাতুব্বরের বিষয়ে কিছুটা জানা শুনা আছে, সে অনেক কথা । আমি আবার এসে এই মন্তব্যের ঘরেই বলব । এই ফাকে অন্যদের সাথে একটু মোলাকাত করে আসি ।
ধন্যবাদ ততক্ষন সাথে থাকুন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: চমৎকার সংকলন। আপনার ফিউচার বইয়ের এক চ্যাপ্টার হয়ে গেল। মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের প্রাকৃতিক বিবর্তন এর দ্বারা ই এত প্রজাতি তৈরী সম্ভব। ডিএনএর একটা বেইস পেয়ার চেন্জ এর জন্য ও সেইম প্রজাতি এর মধ্যেও ভেরিয়েশন হচ্ছে আর যখন হাজার হাজার বছরের ডিএনএ রেপ্লিকেশন এরর আর এনভায়োরমেন্টাল স্ট্রেস এর ফলে যখন একই প্রজাতির ডিএনএ এর হাজার হাজার বেইস পেয়ার মিউটেট হয়ে যায়, তখনই নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়..। যেটা এখনও চলছে এবং হাজার বছর পরের আরেক ড: এম আলী যখন সামুতে এই লিখা লিখবে তখন হয়ত আপনার দেওয়া অর্ধেক প্রানী/উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিন্তু নতুন ড: এম আলীর লিখায় অনেক প্রজাতি আসবে যেটা আমাদের জীবন দশায় আমরা দেখতে পারব না।
আমেরিকান ইংরেজীতে কিছু কিছু উচ্চারন আছে যা শুনতে শুনতে অভ্যস্হ হয়ে পড়েছি তাই লিচেন (Lichen) না বলে বলি লাইকেন, geyser কে বলি গাইজার..
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রাণী বিবর্তন সম্পর্কে মুল্যবান ইন্টারপ্রিটেশন দেয়ার জন্য । আপনি ঠি্কই বলেছেন বিবর্তনের ধারা বাহিকতায় কার রূপ বা আকৃতি কি ধরবে তা বলা খুবই কঠিন । তবে সব কিছু প্রোগ্রামড করা জিণের মধ্যে তাহলে একটার পার একটা স্টেজ অতিক্রম করে ঠিক পুর্ব নির্ধারিত আকারেই তার বিবর্তীত রুপ ধারণ করবে বলেই মনে হয় । আর যারা এনভারনমেন্টাল ইফেক্টের সাথে এডজাস্ট করতে পারবে তাদের হয়তবা আরো অনেক লম্বা সময় প্রয়োজন হবে । ঠিকই বলেছেন ততদিন এই বিবর্তীত রূপ দেখে যাওয়ার সুযোগ আমরা পাবনা ।
মামিরিকান উচ্চারণ এখানকান জন্য ইয়ুজ করলে হয়তবা অনেকে উচ্চারণ নিয়ে করফিউসড হয়ে যেতে পারেন । তবে জেনে ভাল লাগল , খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদার ভাল লাগা হৃদয়ে ধারণ করে নিলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
উত্তরের বায়ু দেবতা বরিয়াসের মতোই তেজী ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ঋদ্ধ লেখনীর বর্ষা চালিয়ে গেলেন ব্লগ এম্ফিথিয়েটারে একজন গ্লাডিয়েটরের মতোই ।
পোস্ট পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানলাম, দেখলাম এর চেয়ে ভাল মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লিটন ভাই , পোষ্ট দেখে আমাকে নিয়ে সুন্দর অনুভুতি প্রকাশের জন্য আমি প্রিত।
আহমেদ জী এস ভাই আমাদের Icon , উনাকে অনুসরন সে যে আমাদের সৌভাগ্য ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: যথারীতি তথ্যবহুল পোস্ট।ছবিগুলো স্ক্রল করে দেখছিলাম।স্নোশু খরগোস এবং মাটিনাডুর পপলার নদীর তীরে কানাডার আদিবাসিদের বসতির উপরে মেরু জ্যোতির নাচানাচি মুগ্ধকর।ধীরে সুস্থে পড়ার জন্য প্রিয়তে রেখে দিলাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , পোষ্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
কানাডার পপলার নদীর তীর ও তার অববাহিকায় আদিবাসীদেরকে
যেভাবে তাদের নিকট থেকে কলোনিয়াল যুগে কেড়ে নেয়া জমি ফেরত
দিয়ে তাদেরকে তাদের অধিকারে পুণর্বাসিত করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে
এটা সেখানকার আদিবাসীদের জন্য একটা বিরাট কমোনিটি ড্রাইভ ।
এটা আমাদের দেশের পার্বত্য চট্রগ্রামের নৃতাত্বিক জনগুষ্ঠির জন্য
প্রয়োগ করা যেতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪১
আমিই মিসির আলী বলেছেন: দেখে দেখে যেমন খুশি লাগে তেমনই দুঃখ লাগে।
কবে যে পারুম এমন সব জায়গায় ভ্রমন করিতে।
+++
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল লাগায় আনন্দ পেলাম, আর দু:খের বিষয়ে বলতে পারি দেখার সুযোগ যে কেন সময় এসে যেতে পারে ।
আর তা ছাড়া মন পবনের নাওতো আছেই
শুভেচ্ছা রইল ।
২৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯
টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়লাম । অনেক সুন্দর দৃশ্য-সহ অনেক কিছু জানতে পারলাম।অনেক খেটেছেন ,এবার বিশ্রাম নিন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , কিছু জানাতে পেরেছি বলে খুশি হলাম ।
বিশ্রামের কি আর উপায় অাছে সেই যে কবিতায় বলে
মৌমাছি, মৌমাছি,কোথা যাও নাচি’ নাচি’
দাঁড়াও না একবার ভাই।”“ওই ফুল ফোটে বনে,
যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই।”
তাই বিশ্রামের সময় নাই
এখনই যাব ফল কুড়াতে তব বাগানে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৫
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: মুগ্ধতা রেখে গেলাম ভাই
++++++++++
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , কামনা করি অাল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করু্ ।
আপনার মুগ্ধতায় আমি আপ্লুত ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট , ছবিও তথ্য দানে জানার মতো এই দর্শণে প্রাণ জুরায়ে গেল জনাব। সত্যি অপূর্ব পোষ্ট। পোষ্ট দাতাকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুণ আমাদের এমন সেবাদানে কৃতার্থ রাখার সুযোগ করে দিন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কামনা করি আল্লাহ অআপনার দোয়া কবুল করুন ।
পোষ্ট অসাধারণ হয়েছে শুনে আনেক খুশী ও অনুপ্রাণীত হয়েছি ।
প্রাণডালা শুভেচ্ছা রইল ।
২৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৩
অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো প্রতিটি ছবিই। জানতে পারলাম নতুন জায়গা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । ছবি ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
নতুন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখুন যত পারুন
অতৃপ্ত নয়ন তৃপ্ত হয়ে যাবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অজানা বৈচিত্র উঠে এসেছে আপনার লেখায়।।
বাকিটুকু শুধু লিখলাম আর কাটলাম।।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য।
শুধু লিখলেন আর কাটলেন আজানা আশংকায় বুক কাপে
মনে পড়ে যায় আপন জনেরে আপন করিয়া বাঁধিতে
পারিনা, তাই আসে আর যায় কত চৈতালি বেলা
এ জীবনে শুধু মালা গেঁথে ছিঁড়ে ফেলা
কোন সে বিরহী কাঁদে মোর
বুকে শুনিতে কি পান
শুভেচ্ছা রইল ।
৩০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য।
শুধু লিখলেন আর কাটলেন আজানা আশংকায় বুক কাপে
মনে পড়ে যায় আপন জনেরে আপন করিয়া বাঁধিতে
পারিনা, তাই আসে আর যায় কত চৈতালি বেলা
এ জীবনে শুধু মালা গেঁথে ছিঁড়ে ফেলা
কোন সে বিরহী কাঁদে মোর
বুকে শুনিতে কি পান
শুভেচ্ছা রইল ।
৩১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
শূন্যনীড় বলেছেন: মুগ্ধতা নিয়ে ফিরছি ভাই। ছবি আর বিস্তারিত জেনে আমার শূন্যনীড় ভরে গেলাম।
শুভকামনা থাকবে ভাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , অআপনার মুগ্ধতায় অআমি আপ্লুত ।
আপনার শুন্যনীড় ভরে যাওয়ায় নীজকে ধন্য মনে করছি ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
৩২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৮
জুন বলেছেন: গ্রীক মিথ অনুযায়ী উত্তরের বায়ু দেবতা বরিয়াসের নামানুসারে বরিল বনভুমি নাম হলেও তাইগাতেই আমি বেশী সাচ্ছন্দ্য অনুভব করি ডঃ এম আলী ।অবশ্য তাইগা নামটি তো একটি নির্দিষ্ট জায়গার নাম । কত রাশান গল্পেই যে এই বার্চ ফার আর পাইনের নাম অসংখ্যবার উঠে এসেছে তা বলার নয় । প্রেইরীতে এই গার্টার স্নেক নির্বিষ বলে জানি । আর এলক অর্থাৎ বলগা হরিনে চেপে বড়দিনে সান্তাক্লজ শীত এলাকার কচিকাচাদের জন্য উপহার নিয়ে আসবে তার জন্য অধীর প্রতীক্ষা । একটি টিভি ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম বরফের রাজ্যে সব প্রানী বরফ সাদা । শেয়াল থেকে কাক পর্যন্ত । হয়তো সৃষ্টিই হয়েছে প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে ।
সেদিন চিয়াং মাই থেকে চিয়াং রাই গোল্ডেন ট্রায়ানংগল যেতে দেখা পেলাম ছোট একটা গেইজারের । তার মাঝে ডিম সেদ্ধ করে মেয়েরা বিক্রী করছে । মজাই লাগলো ।
আপনার অসাধারন বর্ননায় বরিলকে এক বসাতেই দেখে নিলাম । এ আপনার লেখার গুন এটা স্বীকার করতেই হবে । ফোন থেকে টাইপ । তাই যতটুকু পারলাম লিখতে । শুভকামনা রইলো আর অফেক্ষায় আপনার বৈচিত্রময় লেখার ।
+
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শ্রদ্ধেয় আপুমনি এখনো কৃতজ্ঞতটা স্বীকার করা হয়নি বলে । তাইগার বিষয়টি নিয়ে পৃথক পোষ্ট দেয়ার চিন্তা ভাবনা প্রথম মাথায় ছিলনা । গত পর্বে আপনার মন্তব্য হতে মনে হল তাইগার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে । সে ভাবনা থেকেই এই পোষ্টের বিস্তারণ, সে জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম আপনার পরে ।
তাইগা নামটিই আমার কাছে বেশী ভাল লেগেছিল , কিন্তু পরে একে বরিল হিসাবেই উল্লেখ করেছি একটি বিশেষ কারণে । এই পোষ্টটিকে ইংলিস ভারসনে রুপান্তর করা হবে ফর রেস্ট অফ দি ওয়ালর্ডের জন্য । সে রকমই একটি চাহিদা পত্র আছে ।
রাশান গল্পটি আমার মনে ভীষন দাগ কেটেছে । এটার আদ্যোপান্ত পাঠের বিষয়ে আমি সচেষ্ট আছি ।
প্রেইরীতে গার্টার স্নেক নির্বিষ জানতে পেরে ভাল লেগেছে, এই বনের ভিতরে সামারে এখন নিশ্চিন্তেই বিচরণ করা করা যাবে ।
নরউইচে থাকা কালীন সময়ে ঘরে যাওয়ার পথ সংক্ষেপ করার জন্য এ রকম বনের ভিতর দিয়ে খানিকটা হেটে যেতে হতো । অবশ্য সাপ খোপ চোখে পড়েনি তখন ।
টিভি ডকুমেন্টারীর মুল্যবান তথ্যগুলির কথা জেনে অনেক উপকার হলো ।
চিয়াং রাই গোল্ডেন ট্রায়ানংগলে দেখা গেইজারের মধ্যে ডিম ফুটানোর ছবি দিয়ে পোষ্ট দিলে সেটা ভাইরাল হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই । আসলেই ছোট বড় অনেক গেইজার আছে সেখানে ডিম ফুটানোই যেতে পারে । এমন একটি ছোট গেইজার এর ছবি নীচে দেখা যেতে পারে ।
ধন্যবাদ আপনার সুললিত প্রসংসার জন্য ।
৩৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই ৫ ও ৬ নং ছবির পর্বতের ছবিতে গোলাকার গর্ত মতো জায়গাটা কিভাবে হতে পারে বুঝিনি।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।
বিষয়টা বেশ জটিল , আপনার নীচের
মন্তব্যের ঘরে এ বিষয়েএকটু
আলোকপাত করা হবে ।
৩৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ছবি দুটির গর্ত দুটি কেমনে হতে পারে যদি জানতাম, আমার মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরছে, মিলছে না
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বিষয়গুলি আমারো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । আপনার মাথার ভাবনাগুলি নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা লিখে ফেলুন একটা ছবিকে প্রচ্ছদে দিতে পারেন , আমার কোন আপত্তি নেই ।
এ ল্যান্ডস্কেপ গুলি গঠিত হয় জিউথারমাল পদ্ধতিতে , যা বুঝাতে গেলে ভুতাত্বিক অনেক কথা বলার প্রয়োজন হবে। তবে এগুলির গঠনে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন পড়ে, এটা গড়ে উঠে ধিরে ধিরে । হট স্প্রীং হতে এটার কার্যক্রম শুরু । নীচের চিত্রে এর গঠন শুরুর প্রক্রিয়া দেখা যেতে পারে :
অবশেষে এটা নীচের মত আকার ধারণ করে করে : দর্শনার্থীরা বেশী কাছে যেতে পারেনা , ছবিতে দেখানো কাঠের বেরিয়ার পর্যন্ত যেতে পারে ।
Most of the thermal hot springs are boiling hot. While they're too hot for humans, they're worth a visit nonetheless. Most are colorfully populated by organisms called "thermophiles," which thrive in temperatures over 140 degrees Fahrenheit and pop up in all sorts of hot environments . In Yellowstone, the thermophiles that surround the hottest of the hot springs paint the banks with day-glo patches of red, orange, yellow and green.
আপনার পরের দৃশ্যের মত ভুগঠনটি অনেক সময় গ্রান্ড কেনিয়ন হতে সৃষ্ট হতে পারে। একটি কেনিয়ন হতে পারে ১২০০ ফুটের চেয়েও বেশী গভীর , উচা নিচা ও গ্রাইজারের কারনে সুর্যের আলোকে এর রংএর বৈচিত্রতা দেখা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই
আপনার উত্তরে যাত্রার প্রতি পর্বেই মনোযোগী পাঠক ছিলাম। আজ ৩য় পর্বে এস বলতে বাধ্য হয়েছি যে আপনি আগের পর্বগুলোতে যে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন এই পর্বেও তার এতটুকুন কমতি নেই।
কি নেই এতে; বরিল বনাঞ্চল সম্পর্কে সুন্দর ভূমিকা, উদ্ভিদ রাজি ও প্রাণীকূলের বিবরন, মনোমুগ্ধকর সচিত্র বর্ণন, আদিবাসিদের প্রিমেটিভ টেকনোলজি ব্যাবহার করে জীবন ধারনের নমুনা ইত্যাদি ইত্যাদি যা এই পোস্টটিকে অসাধারন করে তুলেছে।
তবে শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল যখন জানলাম বরিল বনভুমি এখন হুমকির মুখে !
পোস্টে
লাইক!
প্লাস!
প্রিয়তে!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় রহমান ভাই , আপনার সুললিত প্রসংসায় আমি মুগ্ধ ।
লাইক ও প্রিয়তে নেয়ার জন্য রইল কৃতজ্ঞত।
নীজের বলছিনা, বরিলের এই সচিত্র বিবরণটা আমাদের স্কূল ও কলেজের
ভুগোলের ছাত্রদের জন্য অনেক সহায়ক হবে বলে ধারণা । তাদের ভুগোলের
পাঠ্য বই এ বরিল তথা তৈগা কিংবা তুন্দ্রা বনভুমির যতকিঞ্চিত বিবরণ আছে ।
অনলাইনে সামুতে এটা তারা দেখতে পারে ।
বরিল হুমকীর মুখে শুনে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক । এটা মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয় । এর কুপ্রভাব শুধু যে বরিলের উপরেই পড়বে তাতো নয় এর প্রভাব আমাদের সুন্দর বনের উপরেও পড়বে , এর সাথে খোদা না করুন রামপালের প্রভাব যদি পড়ে তাহলে কি যে দশা হবে সে বিষয়টি ভাবলেও মন আৎকে উঠে । বনের পশুরা মুখে কিছু বলতে না পারলেও তারা বিপন্ন হওয়ার সম্ভবনার কথা টের পাচ্ছে । সেটাই এ পোষ্টে সর্ব নীচের ছবিতে দেখানো হয়েছে, আমাদের সুন্দরবনের হরিন গুলু কি ভাবে বিসন্ন বদনে তাকিয়ে আছে , আর রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি শুয়ে শুয়ে বিষন্ন মনে অনাগত দিনের দুর্ভাবনা করছে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার ভাবনাগুলিতে এ সাথে একাত্বতা করার জন্য । এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা কামনা করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
মাঝিবাড়ি বলেছেন: সময় স্বল্পতার জন্য এই পোষ্টটা আমি ২ দিন সময় নিয়ে দেখলাম! বহু কিছু জেনে নিলাম যা আগে জানা ছিল না! বেশ সমৃদ্ধ লেখা এবং পুরো পৃথিবীর কিছু ধারনা পেলাম!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার একটি অতি সাধারণ পোস্টে দুইদিন সময় দেয়ার জন্য ।
কিছু জানাতে পেরেছি বলে নীজকে ধন্য মনে করছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: এটাই কি শেষ পর্ব ? আপনার কষ্টসাধ্য পোষ্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন আলী ভাই ।
পান্ডাগুলোকে আমার বেশ ভালো লেগেছে
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ ভাই , না এটাই শেষ পর্ব নয় ,
আর একটি পর্ব বাকী আছে , যা শীর্ঘই আসবে ।
আমন্ত্রন রইল যথা সময়ে সেটা দেখার জন্য ।
ছবিগুলি ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
বিজন রয় বলেছেন: উত্তরের পথে একটু যাত্রা বিরতি করে গেলাম।
কেমন আছেন?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালই করছেন, অআপনার জন্যতো পোষ্টে রেখে এসেছি এমন একটি বিশ্রামাগার ।
ভাল আছি ।
শুভেচ্ছা রইল
৩৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
নীলপরি বলেছেন: এই পর্বটাও অনবদ্য । খুব ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা রইলো ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট অনবদ্য ও খুব ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
শুভ কামনা রইল ।
৪০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: চমৎকার গবেষণামূলক একটি পোস্ট। উত্তরের বৈচিত্রময়ী প্রকৃতির ছবিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা ,
পোষ্ট চমৎকার লাগার কথা শুনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল
৪১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলে একটু কৌতূহল ছিল গর্তগুলো দেখে। সুন্দর করে বুঝিয়েছেন উত্তরে। দেখে ভালো লাগলো ভাই।
কবিতা তো বরিল নিয়ে লেখতে পারবোনা ভাই। স্রষ্টা আর সৃষ্টি নিয়ে একটা কবিতা লেখার সখ অনেক দিনের, কিন্তু পারছিনা। তবে ইচ্ছে আছে যেমনই পারি একবার লেখবই। দোআ করবেন। যেনো পারি কোনোদিন।
প্রতিউত্তরে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, কবিতাটি দেখে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩০
জেনুইন শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
আলীভাই দেখেন দেখেন কে জানি আমার আসল নিক শাহাদাৎ হোসেইন (সত্যের ছায়া) হ্যাক করে উল্টাপাল্টা পোস্ট/,মন্তব্য করছে। এরউপর নতুন কারা জানি শাহাদাৎ হোসেইন (বেকুবের ছায়া), শাহাদাৎ হোসেইন (সত্যের ছায়.) নামে বদনামি নিক করে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে পোস্টে পোস্টে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এটাতো দেখা যায় একটি বড় সমস্যা । অআশা করি সামু কতৃপক্ষের সহায়তায় এটা কাটিয়ে উঠবেন ।
৪৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এটাতো দেখা যায় একটি বড় সমস্যা । অআশা করি সামু কতৃপক্ষের সহায়তায় এটা কাটিয়ে উঠবেন ।
৪৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫১
বিলুনী বলেছেন: পোষ্টের ছবি ও বিবরণ খুব সুন্দর হয়েছে । দেখে খুবই ভাল লাগল , অনেক বিষয় জানা হল । গেইজার কি ভাবে হয় জানালে খুশি হব ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৪৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: অসাধারণ ও শ্রমসাধ্য পোস্ট।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার এই সাধারণ পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার কথা শুনে খুবই খুশী হলাম ।
অনেক শুভ কামনা রইল ।
৪৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
জুন বলেছেন: বাব্বাহ আমার সাধারন একটি মন্তব্যতেও এত মনযোগ দিয়ে উত্তর করেছেন দেখে আমি মুগ্ধ ডঃ এম আলী । বার্চের ছালে বোনা চাষী আর মজুরদের জুতো লাপ্তি পরে আমার শৈশবের পড়া পুরো তাইগাটি যে এক চক্কর দিয়ে আসলাম এটা কিন্ত সামান্য ব্যপার নয়
আর হট স্প্রিং এ ডিম সেদ্ধর কথা বলেছি আমি , ফুটানো নয় , এত গরম পানিতে কি কোয়েল মুরগী আর হাসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে এখন বলেন এ ছবি কি আর ভাইরাল হবে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর সচিত্র মন্তব্যের জন্য । আমার ভুল হয়েছে আসলে শব্দটা হত ডিম সিদ্ধ , ভূলক্রমে ফুটানো লিখা হয়ে গেছে । যাহোক , ডিম সিদ্ধের ছবি আরো বেশী ভাইরাল হবে বলে আমার বিশ্বাস । আমি এই ছবিটা পেলে এতক্ষনে মহকাব্য লিখে ফেলতাম । আসলে ছোট ছোট গেইজারে পানি যে ভাবে ফুটে তাতে ডিম সিদ্ধ, মুরগী রোষ্ট সবই করা যাবে । তবে যেখানে একটিভ গেজিয়ার আছে সেখানে পর্যটকদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি থাকায় ( অনেক ক্ষেত্রে কাঠের বেরিয়ার থাকায় ) এটা সব জায়গায় করা সম্ভব হবেনা । ভাল লাগল আপনি বিষয়টির অনেক গভীরে গিয়েছেন বলে ।
বার্চের ছালে বোনা চাষী আর মজুরদের জুতো লাপ্তির বিষয়টাতে আপনার কমেন্টটিতে কিছু কথা বলা হবে ।
শুভেচ্ছা রইল
৪৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
জুন বলেছেন:
এককালে রাশিয়ার জমিদারদের ভাষায় তাদের চাষাভুশোদের জুতো লাপ্তি যা বার্চের ছাল থেকে তৈরী। বাবুদের মত চামড়ার জুতো পা এ দেয়া তাদের কল্পনার ও বাইলে ছিল ।
তবে বর্তমানে নেটে ছবি দেখে মনে হলো এককালের অপাংতেয় এই পাদুকা এখন জাতে উঠেছে । অর্থাৎ শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে । যাই হোক বিষয়বস্তুর বাইরের বিষয় টেনে আনার জন্য দুঃখিত ডঃ এম আলী
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বার্চ গাছের ছাল দিয়ে তৈরী পাদুকার বিষয়ে আপনার প্রদত্ত মুল্যবান তথ্য জেনে খুব খুশী হলাম । এটা অনেকের কাছেই একটি নতুন চমকপ্রদ মুল্যবান তথ্য হিসাবে গন্য হবে । আপনার সংক্ষেপিত ইতিহাস হতে অনেকের কাছেই হয়ত বিষয়টা সহজে বোধগম্য হবেনা । তাই এ পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে আসার পথে উৎসাহী কোন পাঠকের নজরে এটা এলে তাদের জন্য আরো কিছ তথ্য সংযোজন করে দিলাম।
আপনার ছবিতে দেখানো বার্চ গাছের ছাল হতে তৈরী পাদুকাটি মুলত বাস্ট শু নামে পরিচিত ছিল এবং প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতেই এটা পরিধান করা হত । প্রায় ৪৯০০ বছর আগে neolithic পুরাকির্তী খনন কাজের সময় এরকম পাদুকা পওয়া যায় । বিংশ শতাব্দির শুরু হতে এরকম পাদুকা রাশিয়ার প্রত্যন্ত তৈগা অঞ্চলে ব্যবহার শুরু হয় এবং এখনো তা চালু আছে । এই বাস্ট শু গুলি শুভেনির হিসাবে বিক্রয় হয় এবং আদিবাসী জনগুষ্ঠির লোকজন তাদের নাচের সময় কসটিউম হিসাবে তা ব্যবহার করে ।
এই বাস্ট শু গুলি ১৩০৬ খৃষ্টাদ্ধ পর্যন্ত বোহেমিয়া ও মোরাভিয়া এলাকায় Přemyslid dynasty এর রাজত্বকাল পর্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করেছে । জানা যায় Přemyslid dynasty এর রাজা Přemysl the Ploughman ছিলেন একজন কৃষক বান্ধব নৃপতি ,তিনি এই পাদুকা ব্যবহার করতেন । নীচে এই নৃপতির ছবি দেয়া হল :
রাজা নীজে যে বাস্ট শু ব্যবহার করতেন তা খুব মর্যাদার সহিত স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে চেক রাজা Vyšehrad এর আমল পর্যন্ত অতি সযন্তে রক্ষিত ছিল । কিন্তু ১৪২০ সালে Vyšehrad এর পতনের পর এই জুতা গুলি ধংসপ্রাপ্ত হয় ।
আপনি ঠিকই বলেছেন , রাশিয়ার তৈগা অঞ্চলে বার্চ গাছের ছালের এই জুতা গুলিকে লেপ্তি (lapti) হিসাবেই অভিহিত করা হয় এবং এই lapti শব্দটা আসলে্ই মুলত দারিদ্রতা ও অশিক্ষিত লোকদেরকে বুঝানোর জন্য একটি সমার্থক শব্দ , যারা দামী চামড়ার জুতা কিনতে পারতনা, তারা বার্ক গাছের ছালের তৈরী এই lapti ব্যবহার করত । এই বিংশ শতাব্দিতে গরীব এবং অশিক্ষতা এই জুতা পরিধান করলেও এটা এক সময় জমিদার রাজারাও পরিধান করতেন বলে এর একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস রয়েছে । আমাদের দেশের গরীব পাহাড়ী উপজাতীয় বিশেষ করে মধূপুর গড়ের গারু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সত্তরের দশকে প্রায় এ রকম চটি জুতা পরিধান করতে দেখেছি আমি । আমাদের অভিজাত সমাজেও সুভেনির হিসাবে প্রাপ্ত এরকম পাদুকাকে সখের বসে অনেকই পড়ত, আপনি ছোটকালে এটা পড়েছেন জেনে ভাল লাগল ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এমন ঐতিহাসিক মুল্য সমৃদ্ধ পাদুকাকে এখানে এই বরিল তথা তৈগা বনভুমির আলোচনায় টেনে আনার জন্য । এটা আপনার মত একজন ইতিহাসের ছাত্র বলেই হয়ত বা সম্ভব হয়েছে, তা না হলে এমন গুরুত্ব পুর্ণ একটি তথ্য জানার কৌতুহলটা এতটা হতোনা । তাই এটা কোন মতেই বিষয়বস্তুর বাইরে হয়নি বরং আমার এই অতি সাধারণ পোষ্টটিকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
তথ্য সুত্র : Schwäbische Zeitung: Forscher finden Steinzeit-Sandale am Bodensee. 10. March 2009.
৪৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১
জেনুইন শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
ধন্যবাদ আলী ভাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিউ ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছাও রইল ।
৪৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ঝরা পাতার ঐ বনে গেলে আমি আনন্দে মরেই যেতাম ।
কতদিন স্বপ্নে দেখেছি এমনই কোন পত্রঝরা পথে আমি একা একা হেটে যাচ্ছি। ইস এই গাছগুলো যদি আমাদের দেশে থাকত
তাতে কি, আমাদের রয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু,পলাশ,শিউলি তাইনা?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন কৃষ্ণচূড়া, সোনালু,পলাশ,শিউলি খুব সুন্দর । পলাশ আর শিমুলতো পত্র ঝড়া গাছ ।
তার পরেও দিলাম মধুপুরের পত্র ঝড়া শাল বন । ভিতরে গেলে দেখা পাবেন বানর আর পাহাড়ী গারুদের জীবন গাথা ,
সেখানে গারু বধুরা নীজের বাচ্চাকে কাছে রেখে ধান ক্ষেতে বীজ করে রোপন ।
শুভেচ্ছা রইল
৫০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১০
রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব ছোটবেলায় যখন ভূগোল বইতে তৈগা অঞ্চল, প্রেইরি অঞ্চল, বরিল অঞ্চলের কথা পড়তাম তখন থেকে পৃথিবীর বৈচিত্র মনে আঁকা হয়েছিল। এসব অঞ্চলের অনেকটা পথ হেঁটেছি বাস্তবে এবং বৈচিত্র এতই বৈচিত্রময় যা দেখে মুগ্ধ হয়ে বারবার পেয়েছি বর্ণনা কঠিন। একের ভিতর আরেক এমন ভাবে জড়িয়ে যায়। কত বলবেন। তারপরও আপনি অসাধারন কাজ করেছেন। ছবি দেয়ায় জায়গাগুলোর প্রাণঞ্জল অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু একটা জায়গা বিভিন্ন ঋতু ছাড়াও দিনরাতের বিভিন্ন সময়ে যে অপরূপ রূপ ধারন করে তা অসাধারন।
অনেক কঠিন শ্রম করেছেন। সুন্দর লেখা হয়েছে। আপনার বর্ণনার অনেক কয়টা প্রাণীর সাথে অামার সরাসরি সাক্ষাত হয়েছে। সে অভিজ্ঞতাগুলোও অন্যরকম।
হলুদ পাতার সাথে লাল কমলা খয়েরি অদ্ভুত এক রঙের মেলা বসায় বনভূমি। শরৎকালে এখানে ইংরেজী অটাম হয়ে গেছে "ফল"। ঝরে যাওয়ার বিষয়টাকে ধরন করে সময়টা ফল ।
আপনর তিন পর্ব শেষ হলো কিন্তু আপনি কতদূর যেতে যেতে আর গেলেন না বা যাওয়া হলো না সে বিষয়ে জানার আগ্রহটা রয়ে গেল।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ রোকসানা লেইস, আপনিতো অআছেনই ররিল এলাকাতেই, সেখানে বরিল বনে হাটাটাই স্বাভাবিক । শরতের ফল টাই আসলে কিছুটা জ্বল মল, বাকিটা কিছু সবুজ, কিছুটা হরিৎ আর কিছুটা বরফ জল । ভাল লাগল আপনার ছোট বর্ণনা ।
ররিলের কিছু প্রাণীদের সাথে সাক্ষাত হয়েছে শুনে ভাল লাগল, আপনার কোন পোষ্টে ছবি দেখাবেন কয়েক খানা , খুব সুন্দর ও দেখতে ভাল লাগবে সেগুলি নিশ্চয়ই । মিংকের চামড়া দিয়ে তৈরী দামী জ্যকেট গায়ে দিয়ে মিংকের সাথে ছবি কেমন লাগে জানাবেন , ফেশন দুরস্ত এর এক খানের দাম এখন সেখানকার বাজারে মনে হয় ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলারের মতন হবে ।
উত্তরের যাত্রা শেষ হয়নি আরো কিছু বাকী আছে, পরের পর্বে কোথায় যাব তা জানাব দিন কয়েক পরে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
৪৯ নং কমেন্টের বিপরিতে আপনি ছবি দিয়েছেন, মেয়েরা ধান রোপন করছেন; এটা সিনেমা থাকে, নাকি বাস্তব?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য । মধুপুরের গাড়ো মেয়েরা সত্যিই চাষাবাদর অংশ গ্রহণ করে থাকে । ১৯৭১ সনে মুক্তি যুদ্ধের সময় সেখানে বনের ভিতরে আমি নীজ চোখে দেখেছি গারো উপজাতি মেয়রা কৃষি কাজ করে । মধুপুর বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত করেই বলি ।
মধুপুর গড় (Madhupur Tract) বাংলাদেশের কেন্দ্রভাগে অবস্থিত একটি বৃহৎ বনভুমি এলাকা। এই গড়ের দক্ষিণাংশ ভাওয়াল গড় এবং উত্তরাংশ মধুপুর গড় নামে পরিচিত।টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের কাছে এবং আরও উত্তরে মধুপুরে অবস্থিত বনাঞ্চলটি এখন মধুপুর গড় নামেই পরিচিত । এটা এখন দেশের একটি উদ্যান নামেও পরিচিত । কোচ এবং মান্ডা (গারো) নামক দুটি উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বাস এই মধুপুর গড়ে, যারা মধুপুরের শালবনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। কোচ উপজাতী বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। সুবিস্তৃত শালবনের প্রান্তীয় এলাকায় বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে বন পরিষ্কার করে ব্যাপক সংখ্যায় বনের অভ্যন্তরে বসতি গড়ে তুলছে।। খাবার সংকট হলেই গারো নারীরা (যাদের বাচ্চা আছে তারা) পিঠে বাচ্চা বেঁধে হাতে শাবল অথবা খন্তা, জুংগা ব্যাগ নিয়ে মনের আনন্দে মান্দি গান গাইতে গাইতে ঢুকে পড়তেন শালবনে। খুঁজে খুঁজে সন্ধান করতেন সেখানে বিশেষ ধরনের একটি আলু , এটা মাটির নীচে বেশ লম্বা হয় এবং খেতে খুব খুব সুসাদু । মুক্তি যুদ্ধের সময় কেম্পে থাকা কালে আমরা এটা খুব খেতাম , আনেক দিন সারা বেলা শুধু এ অালো খেয়েই কাটাতে হতো সারা বেলা , যাহোক সে অনেক কথা । দেখতাম গাড়ো মেয়েরা অধাবেলা এক পুটলা আলো সংগ্রহ করলেই পরিবারের অন্নের জোগান হয়ে যেত কয়েকদিনের।
প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে তাদের দেহমন থাকত সতেজ ও সুন্দর। খাদ্যের জন্যে তাদের ভাবতে হতো না। আলু শেষ হলেই আবার ছুটতেন বনে। এভাবে চলত তাদের খাবার জোগানের জন্য নিত্যদিনের পথচলা। বনের নিচু জায়গাকে স্থানীয়ভাবে বাইদ বলে অভিহিত করে থাকেন গারোরা। এইসব বাইদে ছিল প্রচুর ঝরণাধারা। তারা সেখানে ধান আবাদ ও ঝরণা হতে খাবার পানি সংগ্রহ করতেন তারা । হতো না তাদের খাবার ও পানিও জলের সংকট। তাদের উৎপাদিত ধানে চলে যেত সংসার। বনের সবজি ও লতাপাতায় হতো সবজি তরকারি। কিনতে হতো না শাক-সবজি। ছিল না বিষ কিংবা হরমোনের কারবার। ব্যবহার হতো না কীটনাশক। অভাবের ভিতরো সুন্দর জীবন কাঠতো তাদের । এখনকার সময়ে তাদের অবন্থা কেমন চলছে তা তেমন বিশেষ জানিনা । তবে মনে হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে করতে হবে একটু গবেষনা । ধানের চারা রোপনের ছবিটি নেট থেকে নেয়া , শুধু আমাদের নতুন প্রজন্মের শহুরে মেয়েদেকে প্রকারান্তরে জানাতে চেয়েছিলাম আমাদের দেশের মেয়েদের সংগ্রামী জীবনের কিছু পথ চলার কথা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে আপনার ১ বছর পুর্ণ হলো, অভিনন্দন; আমরা আপনার ব্লগিং উপভোগ করছি, বিশাল অবদান রেখেছেন আপনি!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বুঝতেই পারিনি , দেখতে দেখতে কেটে গেল একটি বছর । খুশী হলাম আপনার অভিনন্দন পেয়ে । আপনাদের মত মহিরুহ ও গুণী ব্লগারের তুলনায় অামার সামান্য এ লিখালিখি এ ব্লগের সাগরে বিন্দুসম, এটা আমার মনে সবসময় বাজে ।
শুভেচ্ছা
৫৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩১
কালীদাস বলেছেন: বরিল নিয়ে ডিটেইলস জানতাম না, থ্যাংকস। গেসিয়ার নিয়ে জানতাম কিছুটা, যতদূর জানি আইসল্যান্ডের অনেক এলাকাতে রাস্তা জিনিষটা বানানোই যায়না গেসিয়ারের জন্য। এই জংগলের প্রাণীকুল নিয়েও তেমন জানতাম না। আমি ঠিক শিওর না, সম্ভবত তুন্দ্রা অঞ্চলের কোন একটা ভিডিও দেখেছিলাম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে (অনেক বছর আগে), প্রচন্ড ঠান্ডায় হাজার হাজার সাপ সম্পূর্ণ রুপে জমে বরফ হয়ে যায়। বরফ গলার পর একসাথে সাপগুলো দেখতে প্রায় নুডুলসের মত কিলবিল শুরু করেছিল (প্লিজ ছবি দেবেন না আবার যেন ঐ জিনিষের)।
ওখানকার লোকজন তো খুব ডেভেলপড মনে হল না, ট্রাইবাল মনে হল। রাশিয়া ছাড়া ঐ সার্কেলের সব কয়টা দেশই ধনী, ঠিকই বলেছেন।
চমৎকার ছিল লেখাটা
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক মুল্যবান তথ্য পাওয়া গেল ।
ভয় নেই ঐ সর্পিল নুডলসের ছবি দিবনা
তবে বাজারের স্পাগাটিকে না ভেঙ্গে চুরে
পাকালে সেটা ঐ রকমেই দেখাবে !!!!
বরিল সার্কেলের আদিবাসীরা সে রকমই
খাকতে পছন্দ করে , কারণ তারা সেরকম
থাকার কারণেই প্রচুর পরিমান সরকারী
বেনিফিট পাচ্ছে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৫৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
রানা আমান বলেছেন: গ্রীষ্মে উত্তর গোলার্ধের ওই বনভুমি সত্যিই অপুর্ব সু্ন্দর ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
উত্তর গোলার্ধের বরিল বনভুমি সম্পর্কে আপনার জানাশুনা আছে জেনে খুব খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫
মধ্য রাতের আগন্তক বলেছেন: তৈগা বনভূমির আরেক নাম যে বরিল, তা জানা ছিলনা। বর্ণনা এবং সব ছবি মিলে অসাধারণ একটা পোস্ট ছিল।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি বলবো আপনার পোস্ট পড়ে চিন্তা করছিলাম , চমৎকার পরিপূর্ণ একটা লেখা !!!
মনে হচ্ছে খুব ভালো প্রকাশ হলো না তাই , রয় এর সাথে সহমত ।
বিজন রয় বলেছেন: আমি জীবনে এখনো কিছু অর্জন করতে পারিনি। আমি জীবনে কিছু পাওয়ার মতো কিছু করতে পারিনি। তাই আপনাদের দেখি, আপনাদের অর্জন, প্রাপ্তি, কর্মতৎপরতা আমাকে বিস্মিত করে দেয়। আমি খুব গর্ববোধ করি যে আপনাদের মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে পারি।
যেমন আপনার পোস্টগুলো।
এটা শুধু জানাশোনা মানুষদের পক্ষেই সম্ভব।
আমার পক্ষে ওভাবে সম্ভব নয়। তাই আমি আপনাদের নিকট থেকে শুধু নিতেই থাকি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার পক্ষে ওভাবে সম্ভব নয়। ঠিকই বলেছেন আপু আমার মত এত সাধরণ মানের লিখা আপনাদের মত গুণীদের পক্ষে লিখা আসলেই সম্ভব নয়, তাই যতদিন পারি অনুসরিব আপনাদের মুল্যবান লিখাগুলিই ।
তাই আমি আপনাদের নিকট থেকে শুধু নিতেই থাকি। এ প্রসঙ্গে কবি গুরুর ভাষায় বলতে চাই
মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
শুন্যেরে করিব পূর্ণো, এই ব্রত বহিব সদাই।
উ'কন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
সে ধন্য করিবে আমাকে।
সেমত যদি কিছু দিতে পারি ধন্য মনে করব আমায়
আর যারা নিবেন কিছু তাঁদেরকে কবি গুরুর ভাষায় আবারো বলব
হে ঐশ্বর্যবান
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
তবে বলব না হে বন্ধু বিদায়, বলব শুধু আস বারে নিয়ে যাও যত পার তত , ধন্য হব আমি যে তাতেই ।
শুভেচ্ছা রইল
৫৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আপনার মতো গুনী, সৃষ্টিশীল ব্লগারের সানিধ্য পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।সবসময়ই আপনার লেখা পড়ি, তবে আপনার লেখার বিষয় নিয়ে মন্তব্য যে করব মস্তিক হাতরিয়ে সেরকম ধারালো শব্দই খুঝে পাচ্ছিলাম না । তারপরও ভাল লাগা জানিয়ে যাই।
পত্রিকায় পড়েছি বরিল বনাঞ্চলেই পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশী দৃষ্টিগোচর হয়। এবং বরিল প্রানী জগৎতের ইকো -সিষ্টেম এর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খুবই লক্ষ্যনীয়। আপনার লেখা পড়ে কিছুটা ধারনা পেলাম । পরবর্তী লেখায় আরও বিস্তারিত জানার ইচ্ছা রইল ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । সবসময় আমার লিখা পড়েন শুনে খুব ভাল লাগল । কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনি ঠিকই বলেছেন বরিল প্রানী জগৎতের ইকো -সিষ্টেম এর উপর জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাব খুবই লক্ষ্যনীয়।
পরবর্তী পর্বে আগ্রহের কথা জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৫৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
পথে-ঘাটে বলেছেন: অজানাকে জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সময় করে আগের পর্ব গুলো পড়তে হবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অন্য পর্বগুলি দেখার আগ্রহের কথা শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৬০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: মিংয়ের ফ্যাশন ফারের জ্যাকেট গায়ে দিলে তো আমার ভক্ত সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। মডেল না ভাবার কোন কারণ থাকবে না। তবে প্রাণীর চামড়া গায়ে রাখা আমার অসহ্য। খুব খারাপ লাগে। এই প্রাণী হত্যা দেখে। এসব চামড়া কি ভাবে বিক্রি হচ্ছে অবাধে তার কিছু ছবি আছে আমার নিজের তোলা। লেখার ইচ্ছা আছে।
বিপর্যস্ত পৃথিবীর লেখাটা পেলাম সামুতে পোষ্ট করেছিলাম দিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা থাকল
http://www.somewhereinblog.net/blog/Somudrojol/29055799
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য কোন নোটিশ দেখতে পাইনি বলে জবাব দিতে বিলম্ব হওয়ার জন্য দু:খিত । খুব সুন্দর কথা বলেছেন । প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরী পোশাকের পোষ্টটি দেখার অপেক্ষায় আছি । আশা করি খুব সুন্দর একটি পোষ্ট হবে । তবে শুধু কি পশুই? কত হাজার হাজার জীবন্ত প্রাণের বিনিময়ে আমরা প্রতিনিয়তই পরিধান করে চলেছি বাহারী কত সব বস্র সম্ভার । নীচের লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন আমার একটি পোষ্টে লিখা আছে
হাজার প্রাণের বিনিময়ে সুন্দরী ললনাদের জন্য একটি রেশমী শাড়ি
http://www.somewhereinblog.net/blog/ali2016/30139498
আপনার লিংকের লেখাটি দেখে এসেছি , খুবই ভাল লেগেছে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৬১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্লগে আপনার এক বছর পুর্তিতে অভিনন্দন!
পোস্টটা ভাল ছিল।
৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটি ভাল মনে হল বলে ।
বছর পুর্তিতে অভিনন্দন জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৬২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব আকর্ষণীয় একটি শিরোনাম-ছবি দিয়ে উত্তরের যাত্রার তৃতীয় পর্ব শুরু হলো। বরিল বনভূমি নামটাও খুব সুন্দর! আপনার পোস্ট পড়ে উত্তরাঞ্চলের এই বন এবং ভূমি, দুটো বিষয়েই একটা সম্যক ধারণা পেলাম। বরিল বনভূমির বিভিন্ন জাতের পর্ণমোচী বৃক্ষের সম্বন্ধেও অনেক কিছু জানা হলো।
বর্ণাঢ্য সব ছবির সমাহারে সমৃদ্ধ আপনার এই পোস্ট। তার মধ্যে কয়েকটি থেকে তো চোখ ফিরানোই যায় না। যেমন, ছবি নং ৪,৫,৬, ১১, ১৩, ১৪। ছবি নং ৭,৮, এর মত উষ্ণ প্রস্রবণ আমি নিউযীল্যান্ড সফরকালে দেখেছিলাম। আপাততঃ এইটুকু বলেই সাময়িক বিদায় নিচ্ছি। পরে আবার আসবো ইন শা আল্লাহ!
চমৎকার এই পোস্টে ২৩তম প্লাস। + +
৬৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমি চরম মুগ্ধতা নিয়ে ২৪তম প্লাস দিয়ে গেলাম! সবাই এত চমৎকার সব মন্তব্য করেছেন যে, আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।
#ধন্যবাদ সহব্লগার শ্রদ্ধেয় খায়রুল ভাই-আপনি মন্তব্য না করলে এই পোস্টটা হয়তো কোনদিন চোখেই পড়ত না।
৬৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরিল বনভূমির সরীসৃপ, উভচর প্রাণীকূল, বিভিন্ন প্রজাতির পক্ষীদল, বিরল মৎস্য সম্পদ, হরিণ, ভোঁদর, মেরু ভল্লুক ইত্যাদির ছবি দেখে মু্গ্ধ হলাম। হরিণের দুধ দোয়ানোর ছবি এই প্রথম দেখলাম। পাখিদের মধ্যে কমন লুন পাখির ছবিটা খুব সুন্দর! কাঠের ঘরে দোলনায় শায়িত মিষ্টি হাসিমুখ আদিবাসি শিশুটির ছবি দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেল!
৬৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অরুনি মায়া অনু, নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন(মরহুম) , আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম (মরহুম), আহমেদ জী এস, কলাবাগান১, জুন প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। +
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বরিলের সবকিছুই বর্ণাঢ্য। গাছপালা,মাটি,প্রাণী সবকিছুতেই হাজারো রঙের ছোঁয়া। যেন রঙিন একটি ভূবন। এক কথায় অপূর্ব। এইসব দেখলে মহান আল্লাহ্র দরবারে মাথা নত হয়ে আসে শ্রদ্ধায়।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কষ্টের ফল সবসময়ই মিঠা হয়। শুভকামনা রইল।