![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সাধারন মানুষ তাই সবকিছু সাধারন ভাবে বুঝি
আসসালামু আলায়কুম(আপনাদের সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তা কেবল মাত্র একজন। বলা হয়েছেঃ
ছান্দগ্য উপানিষদ , প্রাপাথাকা(অধ্যায়) ৬, স্লকা ২, "এক্কাম এবাদিতিয়াম" অর্থাৎঃ ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় ।
ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।"
হিন্দু ব্রম্মাসুত্র হলঃ “Ekam Brahm, dvitiya naste nen na naste kinchan”(এক্কাম ব্রাহাম দিভিতিয়া নাস্তে নেইনা নাস্তে কিঞ্চান) অর্থাৎঃ ঈশ্বর একজনই দ্বিতীয় কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই, আর কখনো ছিল না।
পবিত্র কোরআনেও একই কথা বলা হয়েছেঃ
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ [١١٢:١]
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, (Al-Ikhlaas: 1)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তাকে কেউ জন্ম দেয়নি, এবং তিনিও কাওকে দেন নি। বলা হয়েছেঃ
শ্বেতাপত্র উপানিষদ, অধ্যায় ৬, স্লকা ৯ 'Na casya kascij janita na cadhipah'(না চাস ইয়া কাসচিজ জানিতা না কাধিপাহ) অর্থাৎঃ ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই, তার কোন প্রভু নেই।
পবিত্র কোরআনেও একই কথা বলা হয়েছেঃ
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ [١١٢:٣]
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি (Al-Ikhlaas: 3)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তার কোন প্রতিমা নেই।
শ্বেতাপত্র উপানিষদ, অধ্যায় ৪, স্লকা ১৯ ও যজুর্বেদ অধ্যায় ৩২, স্লকা ৩ "nainam urdhvam na tiryancam na madhye na parijagrabhat na tasya pratima asti yasya nama mahad yasah"(না তাস্তি প্রাতিমা আস্তি)
অর্থাৎঃ ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, মূর্তি নেই, ছবি নেই।
পবিত্র কোরআনেও একই কথা বলা হয়েছেঃ
فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا ۖ يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ ۖ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ [٤٢:١١]
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন। (Ash-Shura: 11)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তাকে কেউ দেখতে পাই না।
শ্বেতাপত্র উপানিষদ, অধ্যায় ৪, স্লকা ২০ “nasamdrse tishati rupam asya, na caksusa pasyati kas canainam. Hrda hrdistham manasa ya enam, evam vidur amrtas te bhavanti”(না সামুদ্রা দৃষ্টি রূপম আসইয়া, না চাকুসা পাসইয়াতি কাস কানাইনাম) অর্থাৎঃ সৃষ্টিকর্তাকে কেউ দেখতে পাই না।
পবিত্র কোরআনেও একই কথা বলা হয়েছেঃ
لَّا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ ۖ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ [٦:١٠٣]
দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ। (Al-An'aam: 103)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তা হল নিরাকার।
যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, স্লকা ৮ সৃষ্টিকর্তা হল নিরাকার ও পবিত্র।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির উপাসনা(পূজা) করা যাবে না।
যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, স্লকা ৯ “Andhatma pravishanti ye asambhuti mupaste”(আন্ধাস্মা প্রাভিসান্তি ইয়ে আসাম্ভুতি মুপাস্তে) আন্ধাস্মা মানে অন্ধকার, প্রাভিসান্তি মানে প্রবেশ করা, আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু( পানি, আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদি) মুপাস্তে মানে উপাসনা করা।
অর্থাৎঃ তারা অন্ধকারে যাচ্ছে যারা আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু(পানি,আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদির) উপাসনা করে।
তারপর বলা হয়েছে 'তারা আরও অন্ধকারে যাচ্ছে যারা সাম্ভুতি মানে মানব সৃষ্টি বস্তু(চেয়ার,টেবিল,মূর্তি ইত্যাদির) উপাসনা করে।
ভাগবাত গিতা অধ্যায় ৭ অনুচ্ছেদ ২০ ''সেসব লোক যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা, তারাই মূর্তি পূজা করে।''
অতএব আমরা মুসলিমরা যে এক ঈশ্বর কে বিশ্বাস করি, যার কোন প্রতিমা নেই, তিনি হলেন নিরাকার ও পবিত্র,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি সেই ঈশ্বরের কথা হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে বলা হয়েছে।
অথচ অধিকাংশ হিন্দু এই বিশ্বাস স্থাপন করে না। হিন্দু ভাই বোনেরা আপনারা আপনাদের ধর্ম গ্রন্থসমূহ পড়ুন সত্য ঈশ্বরকে বিশ্বাস করুন। আবার অনেকে দেখেও দেখে না শুনেও শুনে না।
পবিত্র কোরআনে তাই বলা হয়েছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (Al-Baqara: 6-7)
সূত্রঃ পবিত্র কুরআন ও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থসমূহ। এবং
ডা জাকির নায়েকের এর বই ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০১
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: বর্তমানে কয়জন হিন্দু বা সনাতন ধর্মী একজন ঈশ্বর কে বিশ্বাস করে।
আপনি জিজ্ঞাস করুন কোন হিন্দু ভাই কে তারা কজন ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে? কতজন ঈশ্বরের উপাসনা করে? আর ধর্ম গ্রন্থ আনুসারে কজন ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা উচিত?
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
কাব্য কথা বলেছেন: আচ্ছা, হিন্দুদের যে কেউ কেউ মালাউন বলে , এমন কি মালাউনের বাচ্চা বলে গালি দেয়, এই মালাউন শব্দের মানে কি ?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: আমি কখনও কোন হিন্দু কে গালি দেয়নি তাই অর্থও জানি না।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০১
নষ্ট কবি বলেছেন: ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।"
আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনার থেকেই নিলাম
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৮
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: নষ্ট কবি বলেছেনঃ আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনার থেকেই নিলাম।
ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।"
এ কথা ঋগবেদ এ বলা হয়েছে আমি বলিনি। হ্যাঁ জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে। কিন্তু নানা প্রতিমা দিয়ে নানা ছবি দিয়ে সৃষ্টি
করা ঈশ্বরের উপাসনা করার কথা বলা হই নি।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
আহলান বলেছেন: আল্লাহর সৃষ্টি সব মানুষের মধ্যেই সামঞ্জস্য আছে .... তাই বলে কি সবাই সমান হয়? হয় না। অন্য ধর্ম গ্রন্থের সাথে মিল থাকুক আর নাই থাকুক আল্লাহ রাসুল কে না মানলে সবই বৃথা .............
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৩
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: আপনার সাথে ১০০% একমত। কিন্তু প্রথমে ঈশ্বর কেবল মাত্র একজন তা বুঝাতে চেয়েছি।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
েশখসাদী বলেছেন:
ভালো লেখা । তবে এ লাইনটি ঠিক করে দিনঃ 'হিন্দু ধর্মগ্রন্থানুসারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা(পূজা) করা যাবে না।' এটা হবে সৃষ্টির পূজা করা যাবেনা ।
আর বিভিন্ন নামে স্রষ্টাকে ডাকা আর ভিন্ন আকার তৈরী করা বা তার ক্ষমতার অংশ অন্যদের মনে করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় । কেহই আল্লাহর মত নয় । তিনি একমাত্র স্রষ্টা ও বাকী সব উনার সৃষ্টি । কোনভাবেই উনার সাথে অন্য কিছুর তুলনা বা মিল বা অংশ করাই শিরক । যা কুরআন অনুসারে অমার্জনীয় পাপ ।
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, তোমরা আমার সুন্দর নামসমূহ দিয়ে আমাকে ডাক , আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব ।
ধন্যবাদ ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: ধন্যবাদ ভুলটি দেখানোর জন্য। আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
আমিই আজাদ বলেছেন:
@নষ্টকবি
আল্লাহর সর্বমোট ৯৯টি নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে তাই আমরা আল্লাহর এই সুন্দর ও অর্থবহ ৯৯টি নামে তাকে ডাকতে পারি। তাই বলে আল্লাহ ৯৯জন বলতে পারি না।
@কাব্যকথা
আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে হোস্টেলে থাকতাম। আমাদের হোস্টেলের পাশেই একটা গোপীনাথ জিউর আখড়া ছিল। সেখানে বিভিন্ন সময় আমাদের যেমন ওয়াজ মাহফিল হয় সেরকম হিন্দুদের ওয়াজ/মাহফিল হতো (জানি না এটাকে কি বলে)। সেখানে একজন বক্তা বলেছিলেন যে হিন্দু ব্রাহ্মণরা তাদের গলায় পুতি বা কাঠের পুতির মালা পড়ে থাকে বিধায় কিছু কিছু মুসলমানরা তাদের মালাউন বলে ভৎর্সনা করত। অর্থাৎ মালাউন শব্দটা তাদের বিশেষ ধরনের মালা ব্যবহারের জন্যই ব্যবহার করত।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪
আশীষ কুমার বলেছেন: আপনার পুরু পোস্টটিই দারুন শুধু যেখানে বললেন " হিন্দুরা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী নয়" সেটা বাদে।
আপনার ধারণা ভুল। এই ভুলটুকু কি ইচ্ছাকৃত?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২০
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: আমি " হিন্দুরা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী নয়" এটা বলিনি আমি বলছি যে অধিকাংশ হিন্দুরা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী নয় একজন সাধারন হিন্দু যে
ধর্ম মতে বিশ্বাস করে সেটা হল 'প্যানথিজম' অর্থাৎ সব কিছুই স্রষ্টা।
আর যে হিন্দুরা ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তারা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী।
৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২১
সত্যযুগের মানুষ বলেছেন: অতএব আমরা মুসলিমরা যে এক ঈশ্বর কে বিশ্বাস করি, যার কোন প্রতিমা নেই, তিনি হলেন নিরাকার ও পবিত্র,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি সেই ঈশ্বরের কথা হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে বলা হয়েছে।
ভালো কথা, আল্লাহর প্রতিমা নেই। কিন্তু কাবার মাঝখানে ঐ পাথরখান কি যেইডারে আমরা দিনরাত ঢিপাই?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: শ্রী শ্রী রাভিসাঙ্কার বলেছিলেন মুসলমানেরা আকারের মাধ্যমে নাকি নিরাকারের উপাসনা করে। অর্থাৎ কাবার উপাসনা করে।
সত্যযুগের মানুষ বলেছেন:ভালো কথা, আল্লাহর প্রতিমা নেই। কিন্তু কাবার মাঝখানে ঐ পাথরখান কি যেইডারে আমরা দিনরাত ঢিপাই?
মুসলিমরা কাবার উপসনা করে না এটা হল কিবলা আমরা নামায এর সময় কাবার দিকে মুখ করি। কাবার উপাসনা করি না।
জ্যোতীর্ময় কুরআনে বলা হয়েছেঃ
قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤]
"তোমার (নির্দেশনার জন্য) বার বার আকাশের দিকে করে তাকানো আমরা দেখেছি। এখন আমরা কি তোমাকে ঘুরিয়ে দেব সেই কেবলার দিকে যা তোমাকে সন্তুষ্ট করবে? তাহলে ঘুরিয়ে নাও তোমরা থাকনা কেন (নামাযে) তার দিকেই মুখ ফিরিয়ে নেবে।"
[Al-Qur’an 2:144]
কা’বা মুসলমানদের ‘কেবলা’। মুসলমানরা তাদের প্রার্থনায় দিক নির্দেশক হিসেবে গণ্য করে। এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, মুসলমানরা তাদের প্রার্থনায় কা’বার দিকে মুখ করে বটে তবে তারা কাবা ঘরের উপাসনা করে না। উপাসনা করে সেই ঘরের মালিক অদৃশ্য আল্লাহ তা‘আলার।
ক. ইসলাম চূড়ান্ত ঐক্যকে উৎসাহিত করে
যেমন, মুসলমানরা যদি নামায আদায় করতে চায় তাহলে এমনটা হতেই পারে যে, কারো ইচ্ছা হবে উত্তর দিকে ফিরে নামায পড়তে, কারো ইচ্ছা হবে দক্ষিণ দিকে দিকে ফিরতে। তাই উপাসনার ক্ষেত্রেও মুসলমানদের চূড়ান্তভাবে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যেখানেই তারা থাকনা কেন এক আল্লাহর প্রতি এক মুখী হয়ে তাদের নামায আদায় করতে বলা হয়েছে। ‘কাবা’ সেই একটি দিকের দিক-নির্দেশক, অন্য কিছুই নয়। কাবার পশ্চিমাঞ্চলে যে মুসলমানরা বাস করে তারা মুখ করবে পূর্ব দিকে আর তার পূর্বাঞ্চলে যারা বাস করে তারা মুখ করবে পশ্চিম দিকে। একইভাবে উত্তরাঞ্চলের লোকেরা দক্ষিণ দিকে আর দক্ষিণাঞ্চলের লোকেরা উত্তর দিকে।
খ. পৃথিবী গোলকের কেন্দ্রবিন্দু কা‘বা
মুসলমানরাই প্রথম পৃথিবীর মানচিত্র এঁকেছিল। তাদের চিত্রে দক্ষিণ ছিল ওপর দিকে আর উত্তর ছিল নিচের দিকে। তখন কা‘বা ছিল কেন্দ্র বিন্দুতে। পরবর্তিকালে পশ্চিমা মানচিত্রকররা পৃথিবীর যে মানচিত্র আঁকলো তাতে ওপর দিকটা নিচে আর নিচের দিকটা ওপরে অর্থাৎ উত্তর হলো ওপরের দিকে আর দক্ষিণ হলো নিচের দিকে। আলহামদুলিল্লাহ এ ক্ষেত্রেও “কাবাই মানচিত্রের কেন্দ্র বিন্দু থেকে গেল”।
গ. কা‘বাকে ঘিরে তওয়াফ করা আল্লাহর একত্বের নির্দেশক
মুসলমানরা কা’বা যেয়ারতে মক্কায় গেলে ‘তাওয়াফ’ করে। অর্থাৎ কা’বা ঘরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। কাজটি এক আল্লাহ বিশ্বাস ও উপাসনার নিদর্শন। প্রতিটি বৃত্ত গোলাকার এবং তার একটিই কেন্দ্র বিন্দু থাকে। কাজেই উপাসনার যোগ্য আল্লাহ-মাত্র একজনই, এটা তারই অন্যতম নিদর্শণ।
ঘ. হযরত উমর (রা) এর হাদীস
হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর সম্পর্কিত হযরত উমর (রা) এর একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে। হাদীসে শাস্ত্র অনুযায়ী যাকে ‘আছার’ বা ঐতিহ্য বলা যায়। বুখারী শরীফের হজ্জ সম্পর্কিত ৩৫৬ অধ্যায়ে ৬৭৫ নং হাদীসে, উমর (রা) বলেছেন, “আমি জানি তুমি একটি পাথরখন্ড মাত্র এবং না কোনো উপকার করতে সক্ষম না কোনো ক্ষতি। আমি যদি না দেখতাম খোদ আল্লাহর রাসূল (স) তোমাকে স্পর্শ করেছেন তা হলে কস্মিন কালেও আমি তোমাকে স্পর্শ করতাম না।”
ঙ. মানুষ কা’বা ঘরের ওপরে উঠে আযান দিয়েছিল
রাসূলুল্লাহ (স) এর সময়ে লোকেরা কা’বা ঘরের ওপরে উঠে আযান দিত। মুসলমানরা কা’বা ঘরের উপাসনা করে বলে যারা মনে করেন তাদেরকে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, কোন মুর্তী-পূজারী, যে মুর্তী সে পূজা করে, তার মাথার ওপরে উঠে দাঁড়ায়?
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১
ইলি বিডি বলেছেন: ভালো লেখা
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
নষ্ট কবি বলেছেন: অধিকাংশ হিন্দু এই বিশ্বাস স্থাপন করে না। হিন্দু ভাই বোনেরা আপনারা আপনাদের ধর্ম গ্রন্থসমূহ পড়ুন সত্য ঈশ্বরকে বিশ্বাস করুন। আবার অনেকে দেখেও দেখে না শুনেও শুনে না।
কে শোনেনাই?
কে বিশ্বাস স্থাপন করেনাই?