নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একমাত্র বিরোধী পক্ষ!!

*কুনোব্যাঙ*

তফাত যাও সব ঝুঁট হ্যাঁয়!

*কুনোব্যাঙ* › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসিফ মহিউদ্দীনের প্রতি খোলা চিঠি

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৮

জনাব,

শুভেচ্ছা জানবেন। কিছুদিন পুর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিস্ট কংগ্রেসে যোগদান কালে আপনার সাথে কবি ও সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের আলাপচারিতার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে আপনার নিকট এই পত্র লেখা।



আপনি জানেন বন্যা খরা উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর্সেনিক সহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আপনার আমার এই বাংলাদেশ। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ১৬ কোটি জনসংখ্যার চাপ নিতে গেলে বিশ্বের যেকোন দেশ ভেঙ্গে পড়তো, কিন্তু আমরা পড়িনি। আপনি জানেন এদেশের অধিকাংশ মানুষের ধর্মীয় উৎসবে (দুই ঈদ) বাড়ী ফেরার যে যাত্রা শুরু হয় আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন সে চাপ সামাল দিতে গেলে বিশ্বের যেকোন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তো, কিন্তু আমাদের দেশে অস্থায়ী জ্যাম তৈরী হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েনা। গ্রাম বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া একটি পরিবারের দৈনন্দিন কাজ যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন কি ভীষণ পরিশ্রমী এদেশের নারী পুরুষ। এদেশে তৃণমূল সমাজে প্রচলিত বিচ্ছেদ বাউল মুর্শিদ শুনে দেখুন, কতটা শক্তিশালী তাদের দর্শন। সাহিত্য সংস্কৃতি গল্প কবিতা নাচ গান দেখুন, সব মিলিয়ে আমাদের বাংলা একটি পরিপূর্ণ ভাষা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দেখুন, প্রয়োজনে কৃষক শ্রমিক জনতা লাঙ্গল ফেলে হাতুড়ি ফেলে কলম ফেলে অস্ত্র হাতে হয়ে যায় একেকজন বীর যোদ্ধা। চলতি পথে বাসে ট্রেনে লঞ্চের ভীড়ে গাদাগাদি করে চলা মানুষদের দেখুন, কি ভীষণ সহনশীল এদেশের মানুষ। প্রায় ৮০০ বছর বয়সী বর্তমান বিশ্বে বিদ্যাশিক্ষার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানের একটি আয়োজনে এমন একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করায় আপনাকে অভিনন্দন।



বিপরীত চিত্রটা বলে আর পাতা ভারী করলাম না। যেহেতু আমরা অভাবী তাই মানিক বাবুর গল্পের চরিত্র পাঁচির মতো ক্ষত দেখিয়ে সাহায্য আনতে বা সহমর্মিতা পেতে বিপরীত চিত্রগুলোর গল্প হর হামেশাই বলতে হয়।



আপনাদের আলাপচারিতায় শ্রদ্ধেয় তসলিমা নাসরিনের একটি কথা মন ভরিয়ে দিয়েছে। এদেশ যেমন ধর্মীয় মৌলবাদী তৈরী করে তেমনই আসিফ মহিউদ্দিনদেরও তৈরী করে। এবং এই অঞ্চলের এই প্রগতিশীলতার ইতিহাস নতুন কিছু নয়। হাজার হাজার বছর আগের নাস্তিক মতবাদের বৌদ্ধ দর্শনের জন্ম ও বিস্তার হিমালয়ের এই পাদদেশ। হাজার হাজার বছর পরেও যেই দর্শনের অনুসারী বিশ্বে শতকোটি। অথবা বর্তমান সময়ের প্রয়াত ডঃ আহমদ শরীফ যিনি তাঁর পারিপার্শিক বিশ্বাসের বিপরীতে স্বীয় বিশ্বাসে অটল থেকে নাস্তিকতা চর্চা গেছেন আপনা মনে। কিন্তু দেখুন সে সময় পর্যন্ত ধর্মীয় মৌলবাদীদের কটুক্তি ব্যতীত একটি ফেরারী জীবন বেছে নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। নাস্তিকতা বা ইসলাম বিরোধী প্রচারের জন্য আপনাকে প্রায় মৃত্যু থেকে বেঁচে আসতে হয়েছে। অন্যদিকে রাজীব হায়দার নামে একজনকে হতে হয়েছে নিহত। আপনি সহ আরো কয়েকজনের কারাবরণ করতে হয়েছে। ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থানের পাশাপাশি হয়তো এখন সবারই ভুলত্রুটি খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। কেননা আদর্শবাদের চাইতে আমাদের বড় বেশী প্রয়োজন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত মানুষদের একটা সার্বিক ঐক্য। আর ছোট্ট স্থানে এত বেশী মানুষের সহাবস্থানের মধ্যে ঐক্য স্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা খুব স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত কঠিন। যার জন্য ধর্মীয় মানুষদের যেমন সহনশীল হতে হবে তেমনি হয়তো সহনশীল হতে হবে প্রগতিশীল মুক্তমনাদের।



কথাগুলো আপনাকেই বললাম কারণ ইসলামিস্টদের অনুভূতির অন্যতম স্থান কোরআনের উপর থেকে কফির মগ সরিয়ে ম্যাটের উপর যেখানে রেখে কফি পানের আরামপ্রদ স্থান সেখানে রেখেছেন এবং যা করেছেন প্রায় আধঘন্টা চলা ভিডিওর শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই। এটাই বাঙ্গালীয়ানা, এটাই একজন প্রকৃত বাংলাভাষীর কাজ। সঠিক স্থানে সঠিক জিনিষ প্রয়োগের শিক্ষাটাই আমাদের শিক্ষা। তাঁর আদর্শ বিশ্বাস অনুভূতি হয়তো ভুল কিন্তু লালনের "মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি" শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাংলাভাষী হিসেবে শিখেছি মানুষকে শ্রদ্ধা করার। শিখেছি "মানুষ গুরু ক্ষ্যাপা হলে পথ হারাবি" তাই মানুষের অনুভূতি বিশ্বাস তা যত ক্ষুদ্রতর নৃগোষ্ঠীরই হোক তারা যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রেখে নিজের আদর্শ প্রচার। রবিঠাকুরের "আনন্দলোকের মঙ্গলালয়কে বিরাজ সত্য সুন্দর" শিক্ষায় আমরা পেয়েছি সত্য সুন্দরের পথে যাত্রার প্রেরণা। "পিরিতি নগরে বসত করিয়া পিরিত বসন লবো" শ্রী চৈতন্যের শিক্ষায় আমরা জেনেছি ভালোবাসা দিয়ে নিজেকে আবৃত করা।



সংস্কৃতে একটি কথা আছে, সত্যম-শিবম-সুন্দরম। যাহা সত্য তাহাই শিব, যাহা শিব তাহাই সুন্দর, যাহা সুন্দর তাহাই সত্য। সনাতনী মতে যেখানে ঈশ্বরের আরেক নাম শিব। ঈশ্বর আছে কি নেই সেটা ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু সত্য বলা সুপথে চলার যে বাণী আমাদের আদি ভাষা, লালনের গান ইত্যাদিতে রয়েছে সেটা সেটা একজন খাঁটি বাংলাভাষী ধারণ করবেই। সত্য সুন্দরের আলোকে ভালোবাসার চাদর জড়িয়ে মানুষগুরুকে ভজন করাই আমাদের বাংলা সাহিত্য কবিতা সঙ্গীত এবং দর্শনের শিক্ষা।



পরিশেষে একটা ব্যক্তিগত মতামত জানাই। ধর্মের চাইতেও এদেশে অনেক বেশী জরুরী বোধহয় মোল্লাতন্ত্রের পতন। প্রতিক্রিয়াশীল মোল্লাতন্ত্র, প্রগতিশীল মোল্লাতন্ত্র, রাবীন্দ্রিক মোল্লাতন্ত্র সহ সব ধরনের মোল্লাতন্ত্রের অবসান হোক। অধ্যাপক আবু সায়ীদ স্যারের ভাষায় যারা অদার্শনিক, অমননশীল একমাত্রিক মানুষ। বুদ্ধি ও চিন্তার সামনে হতবুদ্ধি হওয়া তেড়িয়া মানুষ। অকর্ষিত, কঠোর, ত্বকসর্বস্ব, জল্লাদ মানুষ। বোকা, অপ্রস্তুত, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন উপস্থিত মানুষ। অবিকশিত অসহায় করুণাযোগ্য মানুষ।



বিশ্বমানব হওয়ার পথ চলার আবারো শুভেচ্ছা রইলো। সত্য সুন্দরের আলোকিত শিক্ষায় শিক্ষিত যে বাংলাভাষী আপনার মাধ্যমে তার আলো পৌঁছে যাক বিশ্বদরবারে। প্রচারিত হোক বাঙ্গালীর গৌরবগাঁথা।





ইতি,

*কুনোব্যাঙ*



দ্রষ্টব্যঃ চিঠির ভাষাগত দুর্বলতা মার্জনীয়



মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সঠিক স্থানে সঠিক জিনিষ প্রয়োগের শিক্ষাটাই আমাদের শিক্ষা !


চমৎকার চিঠি। দেখি উনাদের বোধের উদয় হয় কিনা !!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই। ফ্রিডম অব স্পিচের সাথে আরেকটি কথা আমাদের প্রিয় সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্যানারে থাকে সেটা হচ্ছে বাক দায়িত্বশীলতা। বাক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে আমরা অবশ্যই এমন কিছু করিনা করতে চাইনা বা করবোনা যেটা শুধুই অস্থিরতা তৈরী করে। আমরা জানি আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর মন কেমন। জানি কোথায় আঘাত করলে তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী হবে। দরকার কি অস্থিরতা তৈরীর! অস্থিতিশীল অবস্থা তো আমাদের উন্নয়ন ঘটাবেনা, তাহলে কি দরকার এমনটা করার! ভিন্ন উপায়ও তো আছে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিও উনাদের বোধ উদয়ের অপেক্ষায় ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাইবেলে একটি চমৎকার উদাহরণ আছে, আপনি যদি কোন বীজকে একটি পাথুরে স্থানে স্থাপন করেন তাহলে সেখান থেকে গাছ গজাবেনা। যতক্ষণনা সে বীজ আপনি উর্বর ভূমিতে বপন করছেন। চৈতন্য ভাবেও ঠিক তেমনই একটি উদাহরণ আছে, রসগোল্লার হাঁড়িতে রসগোল্লা যেমন ডুবে থাকে তেমনি ডুবে থাকে সে রসগোল্লা তোলার চামচ। রসগোল্লা রসে ভরে যায় কিন্তু চামচ আজীবন রসে ডুবে থেকেও থাকে নিরেট।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:০৬

আমার অভিধান বলেছেন: বোধ উদিত হবে না বোধহয়।আর হওয়াটাও উচিত নয়।সাপের এক মাথা,আর বাঙ্গালীর দুই মাথা।সম্পূর্ণ ভাব বুঝে নিতে আগ্গা হয়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মানতে পারলাম না। মোতাহার হোসেন চৌধুরীর একটি কথা পড়েছিলাম, প্রয়োজনে আপত্তি নাই কিন্তু নিস্প্রয়োজনে যত আপত্তি। আমার আপনার একটি করে মাথা বাদ দিয়েই শুরু হোক এক মাথাওয়ালা বাঙ্গালীর যাত্রা।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

সরদার হারুন বলেছেন: আপনার সুন্দর চিঠির জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন কে নাস্তিক বলার চাইতে ইসলাম বিদ্বেষী বলা উত্তম।

আর সে জেগে ঘুমায়,ডাকিয়া লাভ নাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিন্তু আমি বুঝিনা, প্রগতিশীল মুক্তমনাদের দুই একটা ভুলের জন্য ধর্মপ্রাণরা এত ক্ষেপে যায় কেন! এই দেশে ইসলাম ধর্ম উদ্ধারের অনেক জায়গা আছে, সেগুলো কি আমরা ভেবে দেখি। ইসলামে সবচাইতে বড় জিহাদের ব্যাপারে বলা আছে, আত্নজিহাদ হচ্ছে সবচাইতে বড় জিহাদ। নামাজ ২/১ ওয়াক্ত বাদ দিয়ে আমরা আসিফদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি, দুর্নীতি সুদ ঘুষের মতো চরম ইসলাম বিরোধী কাজগুলো দেখে আমরা চুপ করে থাকি আবার কখনও জড়িয়ে যাই কিন্তু যেগুলোর প্রাধান্যই ইসলামে আগে। এসব বাদ দিয়ে কে কি একটু পাগলামো করলো তাতেই আমাদের জিহাদানুভূতি জাগ্রত হয়!

এমন ধর্মানুভূতিওয়ালাদের নিয়া আল্লাহ্‌পাক কি করিবে!

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

রুয়াসা বলেছেন: সুন্দর লেখা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: অসাধারন লিখা সাথে চমৎকার যুক্তি। অনেক অনেক ভালো লাগা।

একটা ব্যাক্তিগত তথ্য শেয়ার করি.... আমি একসময় অল্প কিছুদিন একটি অর্গানিজেশানে চাকরী করতাম সেখানের প্রধান বস ইসলাম ধর্ম বিদ্ধেষী ছিল। আমি তাজ্জব হয়ে খেয়াল করলাম অফিসের সবাই কঠিনভাবে ইসলাম বিদ্ধেষী ... এমন কি যারা আগে নামাজ পড়তো তারা ও সব ছেড়েছুড়ে ইসলাম সমালোচনায় নেমে পড়লো...... কি নির্লজ্জ ধর্ম বিদ্ধেষী প্রতিযোগীতা। যারা অন্য ধর্মের ছিল তারা কিন্তু নিজেদের ধর্ম পালন করতো নির্ভিগ্নে কিন্তু সমালোচনা করত ইসলামকে। হাঁ, আমি বসকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম নির্লজ্জ সে ধর্ম বিদ্ধেষী প্রতিযোগীতা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বিদ্বেষ পোষণ করা কোন কাজের কথা না। আপনি আমাকে ঘৃণা করলে আমার সাথে আপনার দূরত্বই তৈরী হবে শুধু। পৃথিবীর কোন ধর্ম কোন দর্শন কোন জ্ঞান মানুষকে বিদ্বেষী বানানোর উদ্দেশ্যে তৈরী হয়নি। নিজের আদর্শ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক বলে অন্যের মতকে হেয় করার অধিকার কারো নেই। যদি কেউ করে তবে সেটা সম্পুর্ণ অনধিকার চর্চা যা একান্তই নিজের গড়া একটি ভ্রান্ত বা অসৎ উদ্দেশ্যমূলক আদর্শ।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমার এই পোস্টটা সামু পাবলিশ করেনাই, তাই এখানে দিয়া দিলাম - কষ্ট কইরা পইড়েন
মুক্তমনা তরুণদের প্রতি পীরানে পীর দস্তগীর গাউসে আজাজিল বাল্লামা তাসলিমা নাসরীনের যুগান্তকারী উপদেশাবলী

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: লিংক কাজ করছেনা ঠিকমতো

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

এহসান সাবির বলেছেন: কুকুরের কাজ কুকুর করিবে, কামড় দিবে পায়
তাই বলে কি কুকুরের কাছে চিঠি লেখা আমাদের শোভা পায়?



কুনো যতদূর মনে পড়ে আমাদের ব্যাচের কেউ আর বিবাহ করিতে বাকি নাই এই আমি আর কুনো দুই অধম ছাড়া...... :P
সুতরাং উনাদের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে সময় নষ্ট না করে নিজেদের বিবাহ সংক্রন্ত বিষয়ে সকলের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লেখাই উত্তম।


বি দ্রঃ চিঠিটা ভালো হয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রিয় ব্লগার মহোদয়াগণ,
যথাবিহিত রোম্যান্টিক ভালোবাসা পুর্বক নিবেদন এই যে, আমরা সম্পুর্ণ বিহাহযোগ্য উত্তোরাধুনিক পাত্র হওয়া সত্ত্বেও বিবাহের ফুল ফোটাইতে পারিনাই। এদিকে আমাদের সকল সমবয়সী বন্ধুগণ বিবাহ করিয়া বাচ্চাকাচ্চা নিয়া সুখে শান্তিতে বসবাস করিতেছে। সমবয়সী সকলের বিবাহকরণের মাধ্যমে আমরা সংখ্যালঘু অবিবাহিতগণ বন্ধুমহলে সমাজচ্যুত হইবার পথে। কেননা, তাহাদের বৈবাহিক সাংসারিক শ্বশুরবাড়ী বিষয়ক আলোচনার ভেতর আমাদের অজ্ঞতা ও অনভিজ্ঞতা তাহাদের হইতে আমাদের পৃথক করিয়া সমাজের প্রান্তিক সীমানায় পৌঁছাইয়াছে।

অতএব মহোদয়াগণের সমীপে বিনীত নিবেদন, আমাদের এই সামাজিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করিয়া বউ সংসার শ্বশুর বাড়ী বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে আমরাও যাতে পুর্ণভাবে সমাজে প্রত্যাবর্তন করিতে পারি তাহার জন্য সুহৃদয়া মহোদয়াগণ আমাদের বিবাহ করিয়া সামাজিক প্রত্যাবর্তনের বাঁধা দূর করিয়া বাধিত করিবেন।

নিবেদক,
সমাজচ্যুতির ভয়ে ভীত হতভাগা কুনো এবং সাবির।

বিঃদ্রঃ এই আবেদন যেই পড়িবে তাহারই ১০ জন মহোদয়ার ইনবক্সে ইহা কপিপেস্ট করিতে হইবে। কোন একজন ইহা পড়িয়া মহোদয়াগণের ইনবক্সে কপি পেষ্ট করিয়াছিলো না, তাহার পর হইতে সেই ব্যক্তি তার শ্বশুর বাড়ীর ভালো খাতির যত্ন আর পাইতেছেনা।

******
আপনি আমার চোখ খুলে দিছেন সাবির ভাই। আপনার কমেন্ট দেখে আমার বোধোদয় হইছে তাই একটা আবেদন পত্র লিখেই ফেললাম B-)

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

জেরিফ বলেছেন: আপনি জ্ঞানী বলিয়া আমি অধম হইব কেন !!


প্রতিটি মানুষের নিজস্ব মূল্যবোধ কে আমি সম্মান করি । কিন্তু আপনার নিজস্ব মূল্যবোধ যদি অন্যের মনে কুঠার আঘাত করে তাহলে আমি বলবো আপনি জ্ঞানী হয়েও অধম । যাহা আপনার নৈতিক অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ বলিয়া সমাজে গন্য হইবে । তাহলে আপনার এত জ্ঞান আর পাণ্ডিত্য লাভ সবই যে বৃথা ।

চিঠিতে ভালোলাগা রইলো । শুভেচ্ছা নিবেন ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যে জ্ঞান আমাদের মনকে প্রসারিত করতে পারেনা, আমাদের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে পারেনা যে জ্ঞান সকল প্রাণীকূলের মতো আমাদেরও শুধু ভোগবাদীতা থেকে ফেরাতে পারেনা সে জ্ঞানার্জন সময়ের অপচয় মাত্র!

তোমাকেও ধন্যবাদ প্রিয় জেরিফ

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০১

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: যে শিখতে চায় তাকে শেখানো যায় ! ++++++++++++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপু, ব্যাপারটা আসলে ইচ্ছা শক্তির।

প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

খাটাস বলেছেন: চমৎকার চিঠি তে অদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ।
ভাল লাগা অনেক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খাটাস :)

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: আমার কাছে আসিফ মহিউদ্দিন কে সবসময় নাস্তিকতার সুবিধাভুগী মনে হয়েছে। আর কোরআন বা ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষীরা অনেকের কাছে ....।


যেমনি করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিস্ট কংগ্রেসে যোগদান আসিফ মহিউদ্দিনের সক্ষমতা না কি অক্সফোর্ডের অক্ষমতা তা বোধোদয় হয়নি আমার :) তেমনি আপনার দেয়া খোলা চিঠির মাধ্যমে তার বোধোদয় হওয়ার বোধটা আছে কিনা তাও আমার কাছে রহস্য হয়ে থাকবে। জেগে ঘুমিয়ে থাকা মানুষকে ঘুম থেকে তোলা যায় কি? যদি ব্যাতিক্রম কিছু হয়ে থাকে তাহলে জানাবেন :)

প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রেরককে :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এখানে ব্যক্তি আসিফের কাজের চাইতে বরং তাঁকে যায় কিছু মানুষের ভাবনা ও আচরণের একটা ব্র্যান্ড আইকন হচ্ছে আসিফ মহিউদ্দিন। অক্সফোর্ড সবাইকে স্বাগত জানায় হয়তো। বুদ্ধি ও যুক্তি ভিত্তিক আলোচনার ক্ষেত্র রয়েছে সেখানে। কিন্তু সেখানে বসেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের ক্ষেপিয়ে কি দরকার! আর যেহেতু আপনি জানেন যে এতে করে এদেশে একটা অস্থিরতা তৈরী হতে পারে তাহলে সেটা আপনি করবেন কেন! আপনি কি চাননা যে দেশে অস্থিতিশীলনা তৈরী না হোক। এখানে বলা যেতে পারে এসব দেখে সাধারণ মুসল্লি এত অস্থির হয় কেন? হয়, তারা হয়তো অজ্ঞ মুর্খ। কিন্তু অক্সফোর্ডে পদচারণা যাদের তারাও কি অজ্ঞ মুর্খ?

মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: এত সুন্দর লেখা বাধ্য হলাম লগইন করতে।


শেখার আসলে বয়স লাগেনা। মানুষ ছোট বড় যে কারো কাছ থেকেই শিখতে পারে। তবে হ্যাঁ যে অজ্ঞ থাকতে চায় তাকে কখনোই শেখানো যায় না।


কুনো ভাই কে শুভেচ্ছা।




২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সেটাই। ঐযে স্কুলের পাঠ্য বইয়ে পড়া বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র। যদিনা সে অদার্শনিক, অমননশীল একমাত্রিক মানুষ হয়। বুদ্ধি ও চিন্তার সামনে হতবুদ্ধি হওয়া তেড়িয়া মানুষ হয়। অকর্ষিত, কঠোর, ত্বকসর্বস্ব, জল্লাদ মানুষ হয়। বোকা, অপ্রস্তুত, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন উপস্থিত মানুষ হয়।

শুভেচ্ছায় কৃতজ্ঞতা জানাই :)

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার চিঠি। প্রত্যাশা করি চিঠির কথাগুলো শুধুমাত্র তাদের চোখ আর কান নয় পৌঁছাক বিবেক পর্যন্ত।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক। শুধু জ্ঞানের বীজ বপন নয় সাথে তার থেকে ভালো ফসলের জন্য প্রয়োজন উর্বর ভূমি। যীশু বোধহয় ঠিক উদাহরণটাই দিয়েছেন।

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই। অযথা উস্কানি কোন কাজের কথা না। অধিবিদ্যা বা ধর্মতত্ত্ব যদি আলোচনা করতে হয় তাহলে করতে হবে এইসব বিষয়ে পারদর্শীদের সাথে। দেশের সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা সেটা পুঁজি করে তাদের সাথে এসব নিয়ে হিংসা ছড়ানোর তো কোন মানে নাই। তাতে না হবে বিজ্ঞান উপকৃত, না হবে দর্শন উপকৃত। মধ্যে থেকে যা হবে সেটা হচ্ছে দেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতা।
দুঃখ কি জানেন হামা ভাই। আমাদের সব আছে তবুও আমাদের বিদেশী ঠাকুর পূজার মানসিকতা গেলোনা। একদিকে আমরা বিদেশী ঠাকুর পূজা করি আরেকদিকে নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগি। সেটা আমাদের লুঙ্গী পড়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশী পরিচয় দানে হীনমন্যতা পর্যন্ত। মাথা নোয়াতে নোয়াতে আমরা এমন পর্যায়ে চলে গেছি যে আরো নোয়াতে গেলে মাথা এখন মাটির ভেতরে ঢুকে যায়। এখন কথা হচ্ছে আমরা নিজেরাই যদি নিজের সংস্কৃতিকে সম্মান না করি নিজের ট্র্যাডিশনকে সম্মান না করে অন্যের কাছে শুরু বিপরীত চিত্রে উপস্থাপন করতে চাই তাহলে অন্যদেরই বা কি প্রয়োজন আমাদের সম্মান দেখানোর বা তারা দেখাবেই কেন!

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

আমিনুর রহমান বলেছেন:



টেবিলের উপর দুটো বই সাজানো আর তা হলো প্রতি মুসলমানের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ। তার উপর চা'র কাপ। টেবিলে কিন্তু আরো অনেক জায়গা খালি ছিলো চা'র কাপ রাখার। ক্যামেরা ম্যান সাক্ষাৎকার শুরু করলো। কথাবার্তার মাঝে একজন তার কফি'র মগ নিচেই ছিলো তার সামনে প্রচুর জায়গা রয়েছে মগ রাখার তারপরও হাত বাড়িয়ে একটু দুরেই বইয়ের উপর, একবার চুমুক একবার রাখছে আবার একবার চুমুক দিচ্ছে আবার রাখছে। কেনো??? উদ্দেশ্য কি এদের????

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কারণ তারা জানে কিভাবে এদেশের সাধারণ মানুষ ক্ষেপিয়ে তোলা যায়। কিভাবে এদেশকে একটি জঙ্গী মৌলবাদী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। আর পাবলিকগুলাও এমন যারা এইসব পছন্দ করেনা তারা ইগ্নোর করলেই পারে। কিন্তু তারা তা করবেনা। চারদিকে যতই অধর্ম হোক তাদের দেখতে বা করতে বাঁধা নাই। সুদ ঘুষ দুর্নীতি মিথ্যাচার এর সবই নব্বই শতাংশ মুসলিমের দেশে প্রবল কিন্তু ইসলাম যেখানে সবার আগে এইসব থেকে দূরে থাকতে বলে। এসব দেখে বা করে তাদের ধর্মানুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়না কখনও কিন্তু কোথাকার কোন একজন কি বললো তাতেই তাদের জিহাদি জোশ হাজার গুণ বেড়ে যায়। তেড়িয়া এককেন্দ্রিক মোল্লাদের মতো তারা জনেনা বা জানতে চায়না যে ইসলামে আত্নজিহাদ বা নিজেকে শুদ্ধিকরণে প্রাধান্য সবচাইতে বেশী। কারণ এটা জানতে বা মানতে গেলে তো দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে পড়বে। অন্যকে দোষারূপ করার যে উল্লাস সেটা তাহলে মাটি হবে যে!

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: এদেশ যেমন ধর্মীয় মৌলবাদী তৈরী করে তেমনই আসিফ মহিউদ্দিনদেরও তৈরী করে।

ঐ একই কথা, সেও আরেক মোল্লা । যুক্তি আর মননের চেয়ে স্পষ্টতই ফরেন এইড প্রভাবিত অন্ধ সেলেব্রিটি ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যুক্তি আর মননের চেয়ে স্পষ্টতই ফরেন এইড প্রভাবিত অন্ধ সেলেব্রিটি। কথাটা মনে ধরেছে মামুন ভাই। বাণিজ্যে ধর্ম বিনিয়োগ সম্ভবতঃ অনেক লাভজনক।

১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: লাভ নাই , এদেশের প্রগতিশীলরা তসলিমা নাসরিন কিংবা আসিফ মহিউদ্দিনদের ধর্ম অবমাননাকে শ্রান্ত চোখে দেখে গোলাম আযমের ধর্ম অবমাননার সাথে মিল রেখে !
উগ্র অন্ধত্বই এদেশে বেশী স্বাগত হয় !

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেহেতু আমরা জানি উগ্র অন্ধত্ব এদেশে স্বাগত হয় হয়তো অশিক্ষা বা স্বল্প শিক্ষার প্রভাবে সেহেতু সত্যিকারের যারা সচেতন এবং দেশপ্রেমিক তাদের কর্তব্য হবে উগ্র অন্ধত্ব যাতে এদেশে মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে সেটা দেখা, উল্টা উগ্র অন্ধত্ব বা উগ্রবাদের প্রচার নয়, এবং সেটা যেমন প্রতিক্রিয়াশীলদের থেকে নয় তেমনি নয় প্রগতিশীলদের থেকে।

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

"অধ্যাপক আবু সায়ীদ স্যারের ভাষায় যারা অদার্শনিক, অমননশীল একমাত্রিক মানুষ। বুদ্ধি ও চিন্তার সামনে হতবুদ্ধি হওয়া তেড়িয়া মানুষ। অকর্ষিত, কঠোর, ত্বকসর্বস্ব, জল্লাদ মানুষ। বোকা, অপ্রস্তুত, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন উপস্থিত মানুষ। অবিকশিত অসহায় করুণাযোগ্য মানুষ। "

এই দেশে আসলে একজনই মানুষ আছেন!!! যিনি আসলেই মানুষ !!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এই দেশে আসলে একজনই মানুষ আছেন!!! যিনি আসলেই মানুষ !!

তাহলে স্যারের মুখ থেকেই শুনুন মোল্লাতন্ত্রের ব্যাপারে উনার বক্তব্য

২১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৫

যেড ফ্রম এ বলেছেন: এই ছাগলটারে খোলা চিঠি, বন্ধ চিঠি কিছু দিয়া লাভ নাই। নাস্তিকতা আর নির্দিষ্ট কোন ধর্মের প্রতি এলার্জি এক জিনিস না। আ ম স্পষ্টতই একটা এটেনশন খোর হোর। এ এটেনশন চায় আর আমি আপনে সবাই মিলা তা দেই। আর বলদটা মনে করে "আমি কি হনুরে"।

যাইহোকগা, সে তার লাইনে ঠিকই আগায়া যাইতেছে- বিরাট হিউম্যানিটারিয়ান হইতেছে! যার ভিতরে সাধারণ ভদ্রতাবোধ নাই সে নাকি হিউম্যানিটারিয়ান।

যাই ল্যাভেটরি থেইকা হিসু কইরা আসি /:)

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বড় প্রবলেমটা এইখানেই যে আমরা এটেনশন দেই। সব বাদ্দিয়া এই ঠুনকা জিনিষে আমাদের জিহাদি জোসের প্রাবল্য বাড়ে।




২২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Apnar ar kaj nai.

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আছে। সম্প্রতি চিত্রকলায় মনোনিবেশ করেছি :P

২৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫০

মামুন হতভাগা বলেছেন: চিঠি মারাত্নক সুন্দর কিন্তু প্রাপক যে খুব মারত্তক মনীষী,ভাষা বুঝলেই হয়

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অপ্রয়োজনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করাটা তো কোন কাজের কথা না। আমার জাতি আমার সমাজ সে যেমনই হোক দেশপ্রেমের শিক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরীর চেষ্টা শেখায়না।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। পরিবর্তন আসবে এমনটাই আশা রাখলাম

২৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: যাহারা জাগিয়া থাকিয়া ঘুমাইবার ভান করে মাত্র তাহাদের ঘুম ভাঙ্গানো অসম্ভব । আপনাকে সাধুবাদ !

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দেখাযাক, শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেম বলে তো একটা কথা থাকে। স্বদেশ কি তার ভালোবাসা কি সেটা বোধহয় ভীনদেশে থাকলে আরো বেশী করে উপলব্ধি করা যায়। ফ্রিওয়েতে গাড়ি চালাতে চালাতে দেশের মেঠোপথের জন্য মন কাঁদে। সুসজ্জিত আধুনিক কফিশপে কফি খেতে খেতে মন কাঁদে পাড়ার মোড়ের সেই টং দোকানের চায়ের জন্য।

২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

সাপিয়েন্স বলেছেন: হুমায়ূন একবার তাঁর ভাই আহসান হাবীবের 'উম্মাদ' কার্টুন পত্রিকায় নিয়মিত একটা হাসির কলাম লিখতেন। এক গল্প ছিল এক বন্ধুর শিশু পুত্র সম্পর্কে। বন্ধুর সাথে যখন তাঁরা খোশগল্পরত, শিশুটি বার বার বাবার মনোযোগ কাড়ার জন্য এসে বলছিল - বাবা, হাগু। বাবা বিব্রত হয়ে তাকে বার বার খেদিয়ে দিচ্ছিলেন, কিন্তু সে ফিরে আসছিল। সবশেষে দেখা গেল হাতে করে কি নিয়ে এসেছে। কাছে এসে হাত খুলে দেখিয়ে বলল - বাবা, হাগু।

আসিফ সাহেব এবং সমমানের বুদ্ধিজীবীরা যে মহাসত্য পরিনত বয়সে আবিষ্কার করে সবাইকে সেই আলোকদান করে খ্যাত হতে উদ্গ্রীব, তা আমার মত সাধারণ মেধার বালকও সাত বছর বয়সেই সাধারণত টের পেয়ে যায়, কিন্তু সেটা নিয়ে মহাক্যাচাল শুরু করে ধর্মবিশ্বাসীদের আহত করে না। তাঁরা যদি তাতে শান্তি পায়, আমার কি ক্ষতি! আমি জীবনে স্বদেশে বিদেশে যে কজন সজ্জন দেখেছি, তাদের ৯০% ধর্মবিশ্বাসী। ধর্মের ভ্রান্ত ধারণা যদি তাঁদেরকে ভালো মানুষত্বে বন্দী করে রাখে, আমার কোন আপত্তি নেই।

ইন্টারনেটে ক্যাচাল সৃষ্টি করে খ্যাতিপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন শব্দ তৈরী হয়ে গেছে - internet troll.

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন:

ছবিটি দেখুন, উনাকে বলা হয় সাইবেরিয়ার যীশু ভিসারিয়ন। কেননা যীশুর পুনরাগমনের যে কথা খ্রিষ্টধর্মে রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে তিনি নিজেকে যীশু বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি সাইবেরিয়া অঞ্চলে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা নেহায়েত কম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে তাঁর এ দাবী বিতর্কিত জেনেও রুশ সরকার তাঁকে সার্বিক সহযোগীতা করছে এবং তাঁর দাবী প্রচারের ব্যাপারে বিভিন্ন ধর্মীয় বা অন্যান্য খ্রিস্টান সংগঠনের প্রতিবন্ধকতা থেকে তাঁকে রক্ষা করছে। কেন জানেন? সাইবেরিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন গোত্রে গোত্রে সংঘাত হানাহানি লুঠতরাজে একটি সার্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে রুশ সরকারের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার অবস্থা সে সময় এই ভিসারিয়নের অনুসারী গোত্রগুলোতে বিরাজ করছে একটা শান্তিপুর্ণ অবস্থা। তাই রুশ সরকার ধর্মের গ্রহযোগ্যতার চাইতে শান্তি ঐক্যকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে ভিসারিয়নকে সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে।

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৩

সাপিয়েন্স বলেছেন: এত কপি হয়ে গেছে। অনুগরহ করে মুছে দিলে খুশী হবো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মুছে দিয়েছি

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৩

আবু শাকিল বলেছেন: তাহাদের বোধের উদয় হইলেই আমরা খুশী।
ডাক্তার আইজূ র ফেবু স্ট্যাটাস টা আমার ভাল লেগেছে---


""আমাদের বাড়ীতে ছিল অনেক বই-একবার বাপের অফিস ঘরে ঢুকে কফি খেয়েছিলাম তার সাথে-সে সময় কফির কাপ টেবিলের ওপরে না রেখে-রেখেছিলাম তার আইনের বইয়ের উপরে-তাতে বাবা নাখোশ হয়ে বলেছিলেন- বইটিকে অসম্মান না করলেই কি নয়? এভরি থিং ইউ আর টু ডে-এভরি থিং ইউ আর গোয়িং টু বি টুমোর বিকজ অব দিস টেক্সট-জীবনের গুরত্বপুর্ন জিনিষ গুলোক সম্মান করতে শেখো-দেট ইজ হাফ দ্যা বেটল টু বি আ বেটার হিউম্যান। এই মধ্য বয়সে আমি সে শিক্ষা রেখেছি-চেষ্টা করেছি নিজের ছেলে মেয়ের মধ্যে সে শিক্ষা পৌছে দিতে// তাই আসিফ মহিউদ্দিন এবং তসলিমা নাসরিনের কোরান কিংবা বাইবেলের প্রতি কফি কাপের অসম্মানে আমি কষ্ট পেলাম-ধর্মগ্রন্হ হিসাবে নয়-সামান্য একটি পুস্তক হিসাবে কোরান কিংবা বাইবেলের যে সম্মান সেটা দিতে ব্যর্থ্য হলেন আসিফ মহিউদ্দিন এবং তসলিমা নাসরিন-একটি বই যার হাতে কোন অস্ত্র নেই-যার কোন প্রতিবাদের ক্ষমতা নেই তাকে অসম্মান করে কি ধরনের বিপ্লব হলো তা বোধগম্য নয়-বহু আগে বলেছিলাম নাস্তিকতা মানে ধর্মের অসম্মান করা নয়-তার অসারতা প্রমান নয়-কিন্তু কোন না কোন ভাবে সেই ভাবেই নাস্তিকতার চর্চা হয়- একজন মৌলবাদী অন্য ধর্মকে অসম্মান করে নিজের শ্রেষ্টতা যাচাই করে আর তসলিমা এবং আসিফ মহিউদ্দিনের মত নাস্তিক ঠিক একভাবে নিজের বিদেশী হালুয়া রুটির জন্য কোটি মানুষকে অসম্মান করে// ইটস সেড ইটস প্যাথেটিক ইটস রং-আমি নাদান মানুষ-আমি বুজতে অক্ষম ঠিক কিভাবে এ দিয়ে যুক্তির শ্রেষ্টত্ব প্রমান হবে-আমি আশা করিনা তসলিমা কিংবা আসিফ কোরান কিংবা বাইবেলকে সম্মান করবে তবে অসম্মান করে ঠিক কি লাভ হবে তাও বুঝিনা-একমাত্র তাদের একাউনটে আরো কিছু রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া!"'

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এভরি থিং ইউ আর টু ডে-এভরি থিং ইউ আর গোয়িং টু বি টুমোর বিকজ অব দিস টেক্সট-জীবনের গুরত্বপুর্ন জিনিষ গুলোক সম্মান করতে শেখো-দেট ইজ হাফ দ্যা বেটল টু বি আ বেটার হিউম্যান।

খুব ভালো লাগলো আপনার বাবার কথাটা। মনে পড়লো স্কুলে পড়ার সময় একটা রেওয়াজ ছিলো। যেকোন বই বা লেখা কাগজে বা নিজের লেখার খাতার মধ্যে পা লাগলে সেটাকে পরে হাত ছুঁয়ে সালাম করার। হয়তো ব্যাপারটা কিছুই না, সামান্য পা লাগলে আবার তাতে আয়োজন করে হাত ছুঁয়ে সালাম করার কি দরকার! কিন্তু রেওয়াজটা যাই হোক সে রেওয়াজ রীতি আসলে সবাইকে শেখাতো বিদ্যা শিক্ষা বাহনের যে অন্যতম মাধ্যম ছাপা অক্ষর ছাপা বই লেখার খাতা তাদের সম্মান প্রদানের। আমি জানিনা সবখানেই এই রেওয়াজ আছে বা ছিলো কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে বলতে হয় যে প্রাথমিক শিক্ষাই আমরা নিজেদের ভেতর ধারণ করতে পারিনি সেখানে উচ্চতর শিক্ষা বা জ্ঞানের কি দরকার!

২৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে তসলিমা নর্তকী আর আসিফ মহিষ কত জনের বীর্যে পয়দা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইনোসেন্স অব মুসলিম নিয়ে যখন তোলপাড় হলো তখন উইলিয়াম সেইলটন চমৎকার একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। একটি ব্লগ সাইটে তার অনুবাদও বের হয়েছিলো। সেখানে লেখা ছিলো,

প্রিয় ধর্মে বিশ্বাসীরা,
এখন ইন্টারনেটের যুগ। এখানে তোমাদের ধর্মকে নিয়ে বিদ্রুপ করা হবে; এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াটাই উত্তম। যদি তোমরা এসবের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হও, তাহলে এখন যা হচ্ছে, তার পুরাবৃত্তি হতে থাকবে।
কিছু উগ্রবাদী ভিডিও ক্যামেরা ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তোমাদের অন্ধ আবেগকে পুঁজি করে সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত লাগিয়ে দিল। ফলশ্রুতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হোচ্ছ তোমরাই। ওদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ক্ষতি করো না।
অনলাইনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ধর্মকে বিদ্রুপ করা ভিডিও, কার্টুন, ব্ক্তব্যগুলো ধর্মীয় কারণে বিশ্বজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখছে। ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপাত্মক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা বাস্তবিক অর্থে সম্ভব না। বর্তমানে যেকোন ধর্মকে ব্যাঙ্গ করে বানানো ভিডিও ইন্টারনেটের কল্যাণে মুহুর্তকালের মধ্যে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভিডিওগুলোকে উসকানির কাজে খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ধর্মবিশ্বাসীরা সচেতন হলে এসব উসকানিমূলক কাজগুলো হালে পানি পাবে না।
তোমরা ধর্মবিশ্বাসীরা যতদিন এভাবে উগ্রবাদীদের ফাঁদে পা দিবে, ততদিন সহিংস ঘটনা আর রক্তপাত হতেই থাকবে।
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তোমাদের নবীকে বিদ্রুপের মাধ্যমে উসকানীদাতা উগ্রবাদীদের তোমাদের ইচ্ছার প্রভু হতে দিও না। ঠিক তেমনি, সায় দিও না ধর্মান্ধ কাঠমোল্লাদের কথাকে, যারা তোমাদের সহিংস কাজ করতে উৎসাহিত করে।
বুদ্ধি খাটাও, বিবেককে ব্যবহার কর, সহিংসতা কোন কিছু সমাধান হতে পারে না।
তোমরাই বল, তোমাদের ইশ্বরের বা, ধর্মের ধারণা কি এতটাই ঠুনকো যে কিছু উগ্রবাদীদের কথায়, ভিডিওতে, কার্টুনে তা ভেঙে পড়বে?

[বিস্তারিত|http://www.sachalayatan.com/kingofgreenhill/46486|View this link]


২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: View this link

২৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

ড. জেকিল বলেছেন: কুনোব্যাঙ ভাই ভালো আছেন আশা করি।

কিন্তু চিঠির দ্বারা কোন কাজ হবে বলে মনে হয়না ! :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জী আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? :)


ব্লগ একান্তই ব্যক্তিগত লেখার জায়গা। কাজ হোক বা না হোক বলেছিলাম এটাই মুখ্য। প্রিয় মানুষদের সাথে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিটা তো শেয়ার করা হলো :)

৩০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , উক্ত কুখ্যাত দিকপালদের নিয়া আপনার সময় নষ্ট করা মূল্যহীন ও সময়ের অপচয় বলিয়া মনে করি ।
যাই হোক , কেমন ছিলেন ? :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনাকে কালেভদ্রেও কোথাও পাওয়া যায়না এটা কিন্তু ঠিক না ভ্রাতা। একেবার প্রায় হারিয়ে যাওয়া অবস্থা। কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে চায় আর যাদের নিয়ে তৈরী করতে চায় তারা খুব সহজেই পা দেয়। তার জন্য আমরা দেখেছি সরকারকে পর্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাদের পর্যাপ্ত শিক্ষা চিকিৎসা সুবিধা নেই সারাদিন খেটেখুটে যতটুকু না হলেই না ততটুকু নিয়ে দিন কাটাতেও তারা হিমশিম খায়। সেমিনার বক্তৃতায় ২/৪ জনে হাততালি আর কিছু স্পনসরের আশায় এতগুলো মানুষকে অস্থিতিশীল অবস্থায় ফেলে দিয়ে কি লাভ! আমরা আমরাই তো।

৩১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭

ধূর্ত উঁই বলেছেন: বিয়ের পর ডিভোর্সে কি সব শেষ হয়ে যায়? ডিভোর্সের পর বিয়ের বিধান আছে ইসলামে। লিভটুগেদারের পর সেপারেশন হলে মেয়ে কি বিশেষ কোন সুবিধা পায়? #:-S
নাকি লিভটুগেদারের পরে মেয়ের ভবিষ্যৎ তসলিমার মত উজ্জ্বলতর হয় । ;)
নাকী স্বাভাবিক সমাজে সে ঘৃণিত হয় । !:#P

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপ্নেও দেখি সেলিম ভাইয়ের মতো লিভ টুগেদারের পিছে লাইগ্যা আছেন! লিভ টুগেদার বাড়লেই তো ভালো, একটা বিয়া করার যে খরচ। টেনশনে যদি থাকে তাইলে দেশের সব কম্যুনিটি সেন্টারের মালিকরা আর কাজী অফিসের কাজিগো টেনশন এইটা।

৩২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো লিখসেন কুনো দা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাজিদ :)

৩৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার ভাষায় এবং বাস্তবতার নিরীখে পশ্চিমা দেশগুলিতে ঠাই নেয়ার একমাত্র মাধ্যম দেশের প্রচলিত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে "উল্টো-পাল্টা" কিছু বলা। যা শুধু আমাদের দেশেই নয়,পশ্চিমা দেশগুলিতেও দেখা যাচ্ছে। কারন "রাজনৈতিক আশ্রয়"।।
আর কিছু কি বলার আছে?? যতই পাপ করি না কেন,গো-চনা খেলেই যে সব থেকে মুক্তি!!
ধন্যবাদ।।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তবে রাজনৈতিক আশ্রয় সুবিধা কিন্তু বাংলাদেশের রেমিটেন্সে ভালো ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন কারণে দিনে দিনে পশ্চিম দেশের ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা বাড়ায় এবং শুরুতেই বাসস্থান সহ কিছু ভাতা পেতে রাজনৈক আশ্রয় সুবিধা বেশ কাজের। আমার সাথে স্কুলে পড়তো এক বন্ধু পলিটিক্যাল শেল্টারে একদেশে কয়েক বছর ছিলো। পরে রাজনৈতিক আশ্রয় সুবিধা বাতিল হওয়ায় সময় শেষ হওয়ার আগেই টারজান ভিসা নিয়ে পুলিশের দৃষ্টি সীমার বাইরে।

৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: এইযে ব্রো X( X( X( আমার ব্লগে প্রায় দেখি এসে শুধু ঘুরে যান। কিন্তু লাইক, কমেন্ট কিছুই করেন না। ঘটনা টা কি ? আমি কি এতই অচ্ছুৎ শুদ্র জাতীয় ব্লগার নাকি ?
:( :( :(

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হায় হায় লগিন কইরা ঢুকছিলাম নাকি, মিস্টেক হইছে :P বয়স বাড়তেছে দেখতে দেখতে ২ বছর ৮ মাস হইয়া গেছে বয়স, তাই অনেক সময়ই বেখেয়াল হইয়া যায় :( এরপর লগিন কইরা ঢুকলে মন্তব্য কইরা আসুমনে।

৩৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৯

রিফাত ২০১০ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।



হিট সাইকো ছাগুসিফ ছাগুউদ্দীন কে খোলা চিঠি দিলে খোলা চিঠি নামক শব্দটির অপমান হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সবাইকেই সহনশীল হতে হবে। কোন রকম অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টার ফাঁদে আমরা যা পা না দেই। সাপিয়েন্স বলেছেন: ইন্টারনেটে ক্যাচাল সৃষ্টি করে খ্যাতিপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন শব্দ তৈরী হয়ে গেছে - internet troll.

৩৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

মগা চীফ রে এমন ভদ্র ভাষায় বলার কিছু নাই। ওরে থাপ্পড়ান দরকার। ভিডিওটা লক্ষ্য করলে দেখবেন, বার বার ইচ্ছা করে কফির মগ নামাচ্ছিলো আর উঠাছিল্লো। নিশ্চিত হইতে চাইছিলো যে সবাই ব্যাপারটা যাতে লক্ষ্য করে।

কারন সে বুঝতে পারছিলো, সে তার দর্শন দিয়ে কাউকে টানতে পারবে না। আলোচনায় আসতে পারবে না। তাই সে সবাইকে উসকে দেয়ার ট্রাই করছে।

নাস্তিকদের মধ্যে যেমন আহমদ শরীফ আছেন, তেমননি এইসব মগারাও আছে।

আবার ইসলামিস্টদের মধ্যে আয়মান আল জাওয়াহিরি আছেন আবার আমাদের আমাদের শাহ পরান (র) এর মত লোক আছেন।

এখন যেমন কুকুর তেমন মুগুর থিরোরতে যদি কোন ইসলামিস্ট মফা চীফের দুইটা লাগিয়ে দেয় তখন সব প্রগতিশীলরা হৈ রৈ করে উঠবে।

এইজন্য আমার প্রগতিশীলদের দুইচোক্ষে দেখতে ইচ্ছা করে না। এক চোখা নীতি সবগুলার। যেন ইসলাম কোন খ্যাত ব্যাপার।


আর মগাদের দর্শন যে কতটা দুর্বল তা, তাদের গ্রেফতার করার পর থেকেই বোঝা গেছে। সবগুলা তখন মুচলেকা দিছিলো, আমরা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলি নাই। আমরা নিজেরাই সাচ্চা মুমিন।

আর ভাই, দর্শন এমন একটা ব্যাপার যার জন্য মানুষ জীবনও উতসর্গ করে।

গুয়ানতানামোবে নির্যাতন করা কোন বন্দিটা বলেছে ইসলাম ভুল??

আহমদ শরীফ, শামসুর রহমান, ওয়াহিদুল হকদের প্রতি সব সময়ই শ্রদ্ধা কাজ করত। কিন্তু তসলিমা, মগাদের প্রতি ঘৃণায় কাজ করে।

ওদের পেলে আমি নিজেই থাপড়াইতাম।

কেউ আমার বাবাকে গালিগালাজ করবে, আর আমি তাকে রামায়ন পড়ে শোনাবো, এতটা ভালো মানুষ আমি নই।

এইজন্য আমাকে যে যাই বলুক না কেন, আমি সেই গালি দানকারীকে নিজের শেষ সামর্থ্যটুকু দিয়ে হলেও একটা মরন কামড় দিতে চাইবো।

মগা চীফদের ওষূধ হলো, থাপড় থেরাপি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সক্রেটিসকে নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে, এথেন্সের আদালতে যখন সক্রেটিসের বিচার হচ্ছিলো তখন সক্রেটিসকে নানা ধরনের ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ সহ্য করা লাগতো। এটা নিয়ে একদিন একজন সক্রেটিসকে জিজ্ঞাসা করে, এসব ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ শুনে তাঁর কেমন লাগে। উত্তরে সক্রেটিস বলেন, ধরো তুমি আমাকে দশ মুদ্রা দিলে কিন্তু সেই দশ মুদ্রা আমি নিলাম না তাহলে মুদ্রাগুলো কার কাছে থাকবে? লোকটি উত্তর করে, আমার কাছে। সক্রেটিস বলেন, আমিও ঠিক তেমনই তাদের বিদ্রুপগুলো নেইনা কখনও।

যারা আপনাকে পরিকল্পিত ভাবে রাগাতে চাচ্ছে তাদের কথায় না রাগলেই তাদের পরিকল্পনা হালে পানি পাবেনা। বরং রেগে গেলেই পানি পাবে।

৩৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হওয়া উচিত। কোনদিকেরই চরমপন্থা সব অশান্তির কারণ। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মধ্যপন্থার ধর্ম। জোরাজুরি নিষিদ্ধ। তবে যারা কোন ধর্মাবলাম্বী নন, তাদেরও উসকানী মূলক কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কোনদিকেরই চরমপন্থা সব অশান্তির কারণ। রা কোন ধর্মাবলাম্বী নন, তাদেরও উসকানী মূলক কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে।

সম্পুর্ণ একমত।

অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা

৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৯

জানা বলেছেন:

অসাধারণ একটি লেখা @প্রিয় কুনোব্যাঙ। আমি আমাদের জীবন-যাপনে প্রায়ই 'পরিমিতিবোধ' এবং পরিশীলন' শব্দ দু'টোর প্রয়োগ খুঁজে ছটফট করি। ভাল লাগলো এখানে ওদের যথার্থ উপস্থিতি দেখে।

বাংলা ভাষায় একটি প্রচলিত এবং যথার্থ বাক্য " উলুবনে মুক্ত ছড়ানো" মনে পড়ে গিয়ে খানিকটা আহত বোধ করছি। আবার তোমার কথাতেই ফিরে যাই;

সঠিক স্থানে সঠিক জিনিষ প্রয়োগের শিক্ষাটাই আমাদের শিক্ষা !

অশেষ শুভ কামনা। ভাল থেকো, 'ভাল'তেই থেকো সবসময়।


০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জানাপুর মন্তব্য দেখে অনেক ভালো লাগছে।


হয়তো আমরা পারবোনা দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে বদলাতে, পারবোনা বিশ্বকে বদলাতে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলে হয়তো নিজেকে বদলানো যাবে। সেই নিজে বদলানোর চেষ্টা থেকেই নিজের ভাবনাগুলো নিজের ব্লগ ডায়েরীতে লিখে রাখা, হয়ত শুধুই নিজের জন্য।

জ্ঞান বিজ্ঞান দর্শন বা যেকোন মতাদর্শের চাইতে হয়তো অনেক বেশী জরুরী সকলের স্থিতিশীল জীবন নিশ্চিত করা। মনেপড়ছে বেনথামের সেই বিখ্যাত বাণী, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ সুখ।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করিনা যে এই দেশের মানুষ ভিন্ন মতের প্রতি অসহনশীল। কোনভাবেই না। কিন্তু এই দেশের মানুষের আরেকটি বৈশিষ্ঠ রয়েছে, মাত্রারিক্ত বাড়াবাড়িও এরা সহ্য করেনা। বাঙ্গালীর ইতিহাস নতুন মতাদর্শ গ্রহনের ইতিহাস বর্জনের ইতিহাস নয়। পুর্ব ভারতের মানুষ যেমন বুদ্ধকে সম্মান দিয়েছে তেমনি দিয়েছে তেমনি দিয়েছে মুসলিম সুফিদের এমনকি শ্রী চৈতন্যর দর্শকেও এই দেশের মানুষ তাড়িয়ে দেয়নি বরং গ্রহন করেছে, গ্রহন করেছে বাউল দর্শন। সুফি দর্শনের সাথে মিলে গ্রাম বাংলায় যা আজ বিচ্ছেদ নামে পরিচিত। এখনও বাউল মুর্শিদি বিচ্ছেদ নামে শহর থেকে গ্রামে মতাদর্শগত বিতর্ক একটি সাধারণ বিষয়।

মতাদর্শগত ভাবে এতটা উদারপ্রাণ যে দেশের মানুষ তাদের ব্যাঙ্গ করে বিদ্রুপ করে বাড়াবাড়ি করে ঘা দিয়ে রাগানোটা কোনভাবেই কাজের কথা হতে পারেনা।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো আপু

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৩

নিয়েল হিমু বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন কি এই ব্লগে এখনো ব্লগিং করে ? মানে আপনার চিঠিটি তিনি দেখবেন এর শিওরিটি কত পার্সেন্ট ?
ভাল লেগেছে বাংলার বাউল সম্পর্কে আপনার অভিমতটা দেখে :)

৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৩

উপপাদ্য বলেছেন: আসিফে আমার বিশেষ কোন আ্যালার্জি নেই তঔও বলছি আপনার চিঠিটা তাকে সম্বোধন করে না লিখলেও চলতো।

কারন এতো অসাধারন, যৌক্তিক ও থটফুল ভাষা বোঝার ক্ষমতা এই ধর্মবিদ্বেষীকে সৃষ্টিকর্তা দেন নি।

৪১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের ক্ষেপিয়ে কি দরকার! আর যেহেতু আপনি জানেন যে এতে করে এদেশে একটা অস্থিরতা তৈরী হতে পারে তাহলে সেটা আপনি করবেন কেন!
ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ লেখক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.