নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একমাত্র বিরোধী পক্ষ!!

*কুনোব্যাঙ*

তফাত যাও সব ঝুঁট হ্যাঁয়!

*কুনোব্যাঙ* › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বঃ প্রশ্নবিদ্ধ ধর্ম ও নৈতিকতা!!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪৬



স্মৃতির অধ্যবসায়- সালভাদর দালি



টিভিতে আমরা সবাই কমবেশী আলিফ লায়লা দেখেছি, সেখানে দেখেছি চাওয়া মাত্রই আলাদিনের দৈত্য চোখের পলকে সবকিছু হাজির করছে। আচ্ছা বাস্তবে এটা কি সম্ভব?

হ্যাঁ সম্ভব!

যে যায়গায় হেঁটে যেতে আমাদের ৫ মিনিট লাগে দৌড়ে গেলে লাগে ২ মিনিট। গতি বাড়িয়ে আমরা সময় কমিয়ে আনছি। এখন ধরুন, ছবির হাটে বসে কোন প্রিয়জনের সাথে বসে থাকতে থাকতে প্রকৃতির রূপটা এমন হলো যে আপনি বুঝলেন প্রিয় মানুষটিকে প্রপোজ করার এখনই আদর্শ সময়। কিন্তু সমস্যা হলো জীবনের একটা গুরুত্বপুর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে একেবারে খালি হাতে প্রপোজ করাটা কেমন দেখায়! তাই ঠিক করলেন চট করে শাহবাগ মোড়ের থেকে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে আসা যাক। যেহেতু প্রিয় মানুষটিকে বেশী সময় একা বসিয়ে রাখা যায়না তাই চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব ফুল নিয়ে ফিরে আসার। দিলেন এক ভোঁ দৌড় এবং ১০ মিনিটের মধ্যেই ফিরে আসলেন। এখন আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল থাকতো তাহলে এই যাতায়াতের সময় আরো কমিয়ে আনা যেতো, মটর সাইকেল থাকলে সময় লাগতো আরো কম। এবার ধরুন, আপনার কাছে এমন একটি অত্যাধুনিক যান আছে যার গতি অস্বাভাবিক রকম বেশী। এত বেশী যে ধরে নিন ছবির হাট থেকে ঘুরে আসতে আপনার সময় লাগে প্রায় শুন্য সেকেন্ড অথবা ধরুন এক সেকেন্ডের দশ হাজার ভাগের এক ভাগ। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি যদি ঘুরে আসতে পারেন তাহলে আপনার প্রিয় মানুষটি শুধু দেখবে ম্যাজিকের মতো আপনার হাতে গোলাপ গুচ্ছ চলে এসেছে। গতি দিয়ে অন্যদের সাপেক্ষে প্রায় স্থির সময়ে আপনি ফুলের দোকান থেকে ঘুরে এসেছেন। এভাবে গতি বাড়াতে বাড়াতে গতির একটা পর্যায় নিয়ে আসলেন যেখানে একেবারে শুন্য সময়ে চলে আসতে পারেন। ধরুন দশ হাজার কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে ছবির হাট থেকে শাহবাগ মোড় ঘুরে গেলে ঘড়ির কাটা সামান্যতমও ঘোরেনা, মানে সময় স্থির। এখন যদি সেই গতি বাড়িয়ে পনেরো হাজার কিলোমিটার/ঘন্টা করেন তাহলে কি হবে? সময় কি পিছিয়ে যাবে? এটাই সময়ের আপেক্ষিকতা! আইনস্টাইন যেখানে তাত্ত্বিক ভাবে দেখিয়েছেন যে আলোর গতির সাপেক্ষে বস্তুর গতি বাড়িয়ে কিভাবে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে অতীত বা ভবিষ্যৎ ভ্রমণ সম্ভব। যেখানে বস্তুর গতি যত বাড়ে সময়ের গতি তত কমে যায় অর্থাৎ আপনার গতি যত বাড়বে আপনার হাতের ঘড়ির ডায়ালটাও তত ধীরে চলতে থাকবে, সময়ের গতি কমে যায়। বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন।







যাইহোক, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের খুঁটিনাটি ব্যাপার পদার্থবিজ্ঞানীদের ভাবার বা আলোচনার বিষয়। আমাদের সাধারণের দেখার বিষয় শুধু এই সময় পরিভ্রমণের তত্ত্ব আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের সাথে কোনভাবে সম্পর্কিত কিনা!



হ্যাঁ, সময় পরিভ্রমণ তত্ত্ব আমাদের সামাজিক গঠন বা গতানুগতিক ধর্মীয় বিশ্বাসকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি কে, আমার অস্তিত্ব কি, আমি কিভাবে আসলাম, কোথায় যাবো, জীবনের মানে কি অর্থাৎ সৃষ্টি ও জ্ঞান বিষয়ক মৌলিক জিজ্ঞাসাগুলো নিয়ে দর্শনের যে শাখা অধিবিদ্যা সেই অধিবিদ্যার উপর ভিত্তি করে দেখার চেষ্টা করি যে সময় পরিভ্রমণ অতীত ভবিষ্যতে যাতায়াতের তত্ত্ব আমাদের জীবনবোধ ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের ভেতর কোন সমস্যা তৈরী করতে পারে কিনা? নাকি আদতে আমাদের জীবনবোধ এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে এটা সম্পর্কিতই নয়!



নিয়তি বা ভাগ্য বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই বলে থাকি। বলি, ভাগ্যে ছিলো হয়েছে। আবার আমরা আমাদের নিজের কর্মের উপরও আস্থা রাখি। সহব্লগারদের সাথে ইন্টারেকশন বাড়ালে ব্লগে নিয়মিত হলে ভালো পোষ্ট দিলে আমার পোষ্টে বেশী ব্লগার আসবে এবং বেশী মন্তব্য হবে বেশী আলোচনা হবে। এখানে আমার কাজের উপর নির্ভর করবে আমার পোষ্টের ভবিষ্যৎ। ধরে নিলাম আইনস্টাইনের তত্ত্ব মতে তৈরী একটা সময় যান আমার রয়েছে। ব্লগে পোষ্ট দিয়েই সেই সময় যানে চড়ে রওনা দিলাম আট ঘন্টা ভবিষ্যতে। গিয়ে দেখলাম আপনার একটি মন্তব্য রয়েছে সেখানে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আপনি এখন মাত্র লেখাটি পড়ছেন। কি মন্তব্য করবেন নাকি কোন মন্তব্যই করবেন না সেটি তো পোষ্ট পড়া শেষ করে অন্যদের মন্তব্য দেখে তারপর সিদ্ধান্তে আসবেন। যে সময় আপনি মন্তব্য করার সিদ্ধান্তেই আসেননি সেই সময়ই আমি ভবিষ্যতে গিয়ে দেখি আপনার মন্তব্য! তার মানে কি তাহলে মন্তব্য করাটা আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করেনা? নিয়তি বা ভাগ্য আগেই ঠিক করে রেখেছিলো আপনার ভবিষ্যৎ? স্টিফেন হকিং এর গায়িকা ম্যাডোনাকে নিয়ে দেয়া উদাহরণটা একটু বদলিয়ে এভাবে বলি, এই যে আমি এখন লিখছি, আপনি এখন পোষ্ট পড়ছেন এগুলোর সবকিছুই কি শুধু প্রকৃতির নিয়ম মেনে হচ্ছে, যা আগের নির্ধারণ করা ছিলো? প্রকৃতি বা মহাবিশ্বের নিয়ম রক্ষা করছি শুধু যন্ত্রের মতো? আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে কিছু নেই? যেমন আমরা বলি অমুক দিন অমুক সময় সুর্যগ্রহন হবে, ঠিক তাই হয় একটি রুটিন মেনে। যেহেতু আপনি মন্তব্য করবেন নাকি না করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই ভবিষ্যৎ ঘুরে এসে আমি জানি আপনি মন্তব্য করবেন তার মানেই দাঁড়ায়, একটি পুর্ব নির্ধারিত ভবিষ্যতের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি গ্রহ নক্ষত্রনিয়ন্ত্রিত নিয়তির মতো, দুর্নিবার, অপরাহত রাইফেল হাতে! যেখানে আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে কিছু নেই! তাছাড়া আট ঘন্টা পর যদি পুর্ব নির্ধারিত ভাবেই আপনার মন্তব্য পেয়ে থাকি তাহলে আমারই বা কি দরকার সহব্লগারদের সাথে ইন্টারেকশন বাড়ানো বা যত্ন নিয়ে পোষ্ট লেখার!



এখন ধরুন নিয়তি বা ভাগ্য নিয়ে আমরা প্রকৃতির নিয়ম রক্ষা করছি মাত্র। তাহলে এইযে আমরা প্রচলিত ধর্মগুলো মানি যেখানে বলা আছে মানুষের ইচ্ছা স্বাধীন এবং তাঁর কৃতকর্মের উপর ভিত্তি করে স্বর্গ বা নরকে নিক্ষেপ করা হবে, এটা তো হওয়ার নয়। যেমন, প্রকৃতির নিয়মই ঠিক করে রেখেছিলো আজ আমি এই পোষ্ট দিবো, অতএব এই পোষ্টের বা এই পোষ্টের লেখার জন্য আমার তো কোন কৃতিত্ব নেই। আবার আপনি পড়বেন বা পড়ে মন্তব্য করবেন সেখানেও তো আপনার কোন ভূমিকা নেই। কারণ আমি আপনি জন্ম নেয়ার আগেই আইনস্টাইন টাইম মেশিনে চড়ে দেখে এসেছেন ৩১ আগস্ট তাঁর তত্ত্বের কিছু সমস্যা আলোচনার চেষ্টা হয়েছে সামহোয়্যারইন ব্লগে! সুতরাং আপেক্ষিক তত্ত্ব মেনে আমরা বলতে পারি, যা কিছু হচ্ছে বা হবে তার সবই আগের থেকেই ঠিক করা! প্রচলিত ধর্মগুলোতে যে স্বাধীন ইচ্ছার কথা বলা আছে সেটা ভুল!



আবার ধরুন, সময় যানে চড়ে আইনস্টাইন ২০১৪ সনের ১০ সেপ্টেম্বরে গিয়ে দেখলেন আমি আপনাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছি বলে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত আপনার সাথে আমার সেভাবে হয়তো পরিচয়ই হয়নি। ১০ সেপ্টেম্বরে আপনার নাক ফাটিয়ে দেয়ার অপরাধে আমার যে বিচার হবে সেখানে আমি বলতেই পারি যে, এটা একটা পুর্ব নির্ধারিত ব্যাপার ছিলো, এর জন্য আমি দোষী না। ঘটনাটি আমি জন্ম নেয়ার অনেক আগেই আইনস্টাইন এসে দেখে গেছেন। সুতরাং যেখানে আমি দোষী নই বিচার করার বা আমাকে জেল জরিমানা দেয়ার কোন অধিকারই কারো নেই।



তাহলে এবার কল্পনা করুন এমন একটি সমাজ যেখানে কাউকে কৃতকর্মের সাজা বা পুরষ্কার ভোগ করতে হয়না। যেহেতু তাত্ত্বিক ভাবে বলা যায় আপনার ভবিষ্যৎ পুর্ব নির্ধারিত তাই তত্ত্ব মেনে আপনি বেখেয়ালে রাস্তা হাঁটছেন বা হাঁটছেন রেললাইন ধরে। পুর্ব নির্ধাতি মৃত্যু থাকলে কেউ ঠেকাতে পারবেনা আর পুর্ব নির্ধারিত মৃত্যু না থাকলে রেল আসবেনা এমন একটা বিশ্বাসে। পুর্ব নির্ধারিতি বলে আপনাকে নাক ফাটিয়েও আমি হচ্ছিনা বিচারের মুখোমুখি অথবা আপনি আস্থা রাখতে পারছেন না প্রচলিত ধর্মগুলোর উপর। সবার আস্থা পুর্ব নির্ধারিত ভবিষ্যতের উপর। সেখানে প্রয়োজন হচ্ছেনা কোন আইন প্রণয়নের, সবকিছুর একটাই ব্যাক্ষা ভবিষ্যৎ নির্ধারিত ছিলো তাই হয়েছে। সেখানে নেই কোন ন্যায় অন্যায়ের ব্যাপার। তাহলে কেমন হবে সে সমাজ? বিজ্ঞানের বাস্তবতায় আমরা কি এমন একটি সমাজ মেনে নিবো যেখানে যে যা করবে তাই ঠিক! নাকি স্টিফেন হকিং এর মতো বলবেন, যদি ভবিষ্যৎ পুর্ব নির্ধারিতও থাকে তারপরও আমরা আমাদের সহজাত প্রবণতাতেই রাস্তা পেরুনোর সময় ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে নিশ্চিত হয়েই পার হবো।



কিন্তু কথা হচ্ছে যখন একটা ধারণা সবার মধ্যে গেঁথে যাবে তখন সেটা আনমনেই মানুষের ভেতর প্রভাব ফেলবে। হতে পারে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান, হারাতে পারে কাজের অনুপ্রেরণা, হয়ে উঠতে পারে ধ্বংসাত্বক অথবা হতাশাগ্রস্থ। আমাদের ব্লগ প্রধান শ্রদ্ধেয় জানাপু ব্লগের খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দিতে পারেন, আমরাও বন্ধ করে দিতে পারি ব্লগ লেখা অথবা সম্মানিত মডারেটর অন্যমনস্ক শরৎ মডারেশন ফেলে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে ঢাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত, যা হবার তা তো হবেই! ভবিষ্যৎ পুর্ব নির্ধারিত যে! এত দেখাদেখি লেখালেখি খোঁজ খবর নিলেই কি না নিলেই বা কি। বরং এটাই পুর্ব নির্ধারিত! কি বিচিত্র এক সমস্যা!!



আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে দর্শনের সমস্যার এটি মাত্র দিক নিয়ে সামান্য আলাপ করার চেষ্টা করলাম। যেহেতু আপেক্ষিক তত্ত্ব "অধিবিদ্যার" অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় "স্থান-কাল" এর সাথে সম্পুর্ণ সম্পর্কিত তাই আলোচনা সমালোচনার পরিধিও অনেক বড় এবং প্রচুর শাখা-প্রশাখা যুক্ত। এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত পড়াশোনা অনেক অনেক কম। এরমধ্যে যতটুকু বুঝেছি তাতে ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, দর্শন এবং পদার্থ বিজ্ঞানের এই যে তর্ক বিতর্ক আলোচনা সমালোচনা। বিশেষ করে জীবন বোধ নীতি নৈতিকতার প্রশ্নে আপেক্ষিক তত্ত্বের যে অবস্থান এখানে প্রধান চালকের ভূমিকায় রয়েছে জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট । বিশেষ করে তাঁর বিখ্যাত বই ক্রিটিক অফ পিউর রিজন । খুব সম্ভব "বিশুদ্ধ বুদ্ধির সমীক্ষা" নামে এই বইয়ের একটি বাংলা অনুবাদ বাজারে পাওয়া যায়। বইটির ইংরেজী পিডিএফ সংস্করণ চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন।



তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান ও দর্শনের এই দ্বৈরথ কবে শেষ হবে বা আদৌ শেষ হবে কিনা, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রায়োগিক দিক পাবে কিনা অথবা পেলেও তার ভবিষ্যৎ কি হবে, সমাজ গঠনের নতুন ভূমিকা কি হবে, নাকি বর্তমান সামাজিক নৈতিক কাঠামো জয়ী হয়ে আইনস্টাইনের সময়ের আপেক্ষিকতা তত্ত্বে পরিবর্তন আসবে তা আমরা কেউ জানিনা। আমরা শুধু এতটুকু জানি যে, আমরা এমন একটি সময়ে বসে এসব নিয়ে বিতর্ক করছি জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাসে যা হবে একটি মাইলফলক। ঘটবে এক যুগান্তকারী বিপ্লব। খুলে যাবে জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক অজানা দুয়ার। এবং সেই বিপ্লবের তার্কিক আলোচক কান্ট আইনস্টাইন থেকে শুরু করে আমি আপনি সবাই। অনিশ্চয়তা নিশ্চয়তায় আনতে যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির মতামত সমান গুরুত্বপুর্ণ। আর ভবিষ্যতই বলে দিবে জীবনটা কি শুধুই সিনেমার রীল বা ক্যাসেটের ফিতার মতো রিওউন্ড ফাস্ট ফরোয়ার্ডের খেলা নাকি অন্য কিছু!





** ছবিসুত্রঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়ার পর আমার মনে হলো, টাইম মেশিনের ব্যাপারটা তাত্ত্বিক ভাবে সম্ভব হলেও বাস্তবে হয়তো, আবার বলছি, হয়তো সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের অসাধ্য কিছু নেই-এই কথাটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। বিজ্ঞান অনেক কিছু করতে পারে, আবার অনেক কিছু করতে পারে না। ভবিষ্যতেও বিজ্ঞান অনেক কিছু করতে পারবে, অনেক কিছু করতে পারবে না। সময় ভ্রমন কখনো বাস্তবে সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না।

ধন্যবাদ, কুনোব্যাঙ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আইনস্টাইনের তত্ত্বের ব্যাপারে যতদূর জানি খোদ পদার্থ বিজ্ঞানেই বেশ কিছু বিতর্ক আছে। আপাতঃ দৃষ্টিতে টাইম ট্র্যাভেলের যে ধারণাটা আছে সেটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্যও বিতর্কিত। আর এইসব তর্ক বিতর্কের ভেতর থেকেই বিভিন্ন কিছু পরিবর্তন হয়ে আমরা হয়তো অন্য কোন পথ পেয়ে যাবো। বিভিন্ন তত্ত্বের ব্যাপারে স্টিফেন হকিং একটি চমৎকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি ভালো তত্ত্বের বৈশিষ্ঠই হলো সেই তত্ত্ব নিয়ে অনেকদিন তর্ক বিতর্ক হয়ে তারপর একদিন তত্ত্বটি ভুল প্রমাণ হয়ে তার উপর ভিত্তি করে আরেকটি নতুন তত্ত্ব দাঁড়াবে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০০

বৃতি বলেছেন: যে কোন মতদ্বৈততা থেকেই আলোচনা, এবং সেই আলোচনা থেকে বিশুদ্ধ জ্ঞানের জন্ম। কিছুটা বোঝার ভেতরে, কিছুটা বোঝার বাইরে- তবু ভালো লাগলো আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে আপনার এই পোস্টটি। এরকম পোস্ট আরও আসুক।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যে কোন মতদ্বৈততা থেকেই আলোচনা, এবং সেই আলোচনা থেকে বিশুদ্ধ জ্ঞানের জন্ম।


সম্পুর্ণ সহমত এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

সরদার হারুন বলেছেন: ভাই ,
আপেক্ষিক তত্ব একটি ব্যপক তত্ত্ববহুল সূএ ।আপনি তার মধ্যে সময় ও গতীর কথা উল্লেখ করেছেন মাএ। গতি বাড়লে সময় কমে যায় । গতি
বাড়তে বাড়তে এমন সময় আসে যে সময় শূন্যর কোঠায় এসে যায়.। তার পরেও গতি বাড়লে পেছনের সময় সামনে এসে যায়।

আপেক্ষিক তত্তের সাথে ধর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হবে কেন ?।
(আমি ইসলাম ধর্মের কথা বলছি) আপনি কি বলতে চান তা বোঝা গেলনা ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সরদার হারুন ভাই,
প্রশ্নবিদ্ধ হবে এই কারণে যে আপনি যদি আপেক্ষিক তত্ত্ব বা এর সুত্র যেটাই বলেন সেটাকে যদি সঠিক বলে ধরে নেন তাহলে এটাও কি ধরে নিতে হয়না যে আপনার নিয়তি বা ভবিষ্যতের উপর আপনার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। খাচ্ছেন চলছে হাঁটছে সত্য বলছেন মিথ্যা বলছেন এর সবই পুর্ব নির্ধারিত, কেননা আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে আপনার এইসব ব্যাপার টাইম মেশিনে চড়ে আমি অনেক বছর আগেই দেখে এসেছি যেগুলো আপনি এখনও করেননি বা করার কথা ভাবেননি কিন্তু আপনি ভবিষ্যতে তাই করবেন যা আমি দেখে এসেছি। তার মানে সময় আপনার চলার পথ পুরোটা আগেই ঠিক করে রেখেছে। অতএব, যে ঘটনা আপয়ানার ইচ্ছায় ঘটছেনা সে ঘটনায় আপনার শাস্তি বা পুরষ্কার পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আসেনা ন্যায় অন্যায়ের প্রশ্ন। যেটি ইসলাম সহ সব ধর্মের একটি প্রধান এবং অবিচ্ছেদ্য দিক মানুষের "স্বাধীন ইচ্ছা" সেই স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছু আছে সেটাই তো স্বীকার করা যাচ্ছেনা। আবার এই স্বাধীন ইচ্ছা বাদ দিয়ে শুধু আত্না অমন আর ঈশ্বর আছে এই দুটো দিয়ে কোন ধর্মকেই টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। কারণ এখানে তো নৈতিকতা ন্যায় অন্যায় বলেই কিছু থাকছেনা।



৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি আপনার এই পোষ্টে মন্তব্য করবো এটা পূর্বনির্ধারিত তাই করছি। নতুবা আমি কিন্তু করতে চাই নি। B:-/ B:-/

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেহেতু পূর্বনির্ধারিত ভাবে মন্তব্য করেছেন সেহেতু ধন্যবাদ দিলামনা। আর এইযে ধন্যবাদ দিলামনা এটাও কিন্তু পূর্বনির্ধারিত :D


দুই লাইনের মন্তব্যে পুরো পোষ্টের সারমর্ম তুলে ধরেছেন :)

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

জুন বলেছেন: এটা কিছুতেই কুনোর লেখা হতে পারে না ।
এত জ্ঞ্যানগর্ভ লেখা :-& :-&
এখন একটা প্লাস + দিলাম পরে মন্তব্য করবো #:-S

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি আমার যতটুকু পাওয়ার তার চাইতে অনেক অনেক বেশী সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত করেছে আপু।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় জুনাপুর প্রতি :)

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অত্যন্ত গভীর এবং বিশেষায়িত আলোচনা।

//আমরা এমন একটি সময়ে বসে এসব নিয়ে বিতর্ক করছি জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাসে যা হবে একটি মাইলফলক। ঘটবে এক যুগান্তকারী বিপ্লব।//

-আমাদের সময়েই তা হোক!


টাইম মেশিন থাকলে আমি সবার আগে গিয়ে চড়তাম.....
একবার শুনেছি, পৃথিবীতে সংঘটিত সকল ঘটনার অডিও পাওয়া যাবে...
কারণ, আমাদের কথাগুলো নাকি সব আকাশে ওড়ে যায়...
অতএব, সকল সাউন্ড আলাদাভাবে সংগ্রহ করা যাবে
আরও ১৫/২০ বছর আগের প্রত্যাশা এটি।



সুগভীর লেখাটির জন্য গভীরভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি আপনাকে, প্রিয় *কুনোব্যাঙ*....... 8-|

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: একটা ব্যাপার কিন্তু মানতেই হবে। দর্শন তত্ত্ব বিজ্ঞান ব্যবহারিক বিজ্ঞান এখন ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশী গতিশীল। একই সাথে প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এসব আলোচনায় অংশ নিতে পারছে অনেকে অনেক বেশী মানুষ। এদিকে আবার দেখা যাচ্ছে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিলো সেগুলো আবার জ্ঞানের উৎকর্ষতার জন্যই তারা আবার ধীরে ধীরে একত্রিত হচ্ছে। এবং জ্ঞানগুলো কাছাকাছি আসার কারণে একজন গণিতবিদের পদার্থ বিজ্ঞান বা দর্শনের সাথে দূরত্ব কমছে বা একজন পদার্থ বিজ্ঞানীর গণিত বা দর্শনের সাথে। এবং সেটা হচ্ছে আমাদের সময়ই। এটা আমাদের জন্য সময়ের এক সুন্দর উপহার।

প্রশংসাসূচক মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় মইনুল ভাই

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২

সরদার হারুন বলেছেন: আপনার লেখার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই।

আমি যতদূর জানি মানুষের ডি.এন.এর মধ্যে জীবন চক্র
নির্ধাণ করা আছে।

ধর্ম হলো ব্যবহারিক কর্ম যা বাস্তবে মানুষ ব্যবহার করেচলে। অপর দিকে
থিওরি হলো তাত্তিক ।

দুটোর সমন্ময় সম্ভব নয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমিও আসলে সেটাই বলতে চেয়েছি হারুন ভাই যে এই যে আপেক্ষিক তত্ত্ব এটা কি আদৌ মানুষ ব্যবহার করতে পারবে নাকি শুধু তত্ত্ব হিসবেই থেকে যাবে। দর্শন ঠিক কোন কোন দিক দিয়ে এই সন্দেহটিই করে। এবং তার একটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটাই হয়তো ঠিক যে, দুটোর সমন্বয় সম্ভব নয়। নইলে আগের তত্ত্বগুলোর চাইতে বর্তমান তত্ত্বগুলোর ব্যাপারে দর্শনের প্রশ্ন এত বেশী কেন।

পাঠে এবং মন্তব্যে আপনার প্রতিও রইলো অনেক কৃতজ্ঞতা



৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এটা বিজ্ঞানের সাথে নিয়তির একটা প্যারাডক্স মাত্র। যদি ভবিষ্যৎ জানা যেত তবে অবশ্যই ভাগ্য নিজেই বিড়ম্বনার স্বীকার হত। এই ব্যাপারে আমি একমত। তবে আমি ভাগ্য কর্ম আর বিজ্ঞান তিনটাই বিশ্বাস করি তাই আমার এই নিয়ে নিজেস্ব থিউরি আছে।(ভবিষ্যতে তা ব্লগে লিখবার ইচ্ছা আছে)। আর বর্তমান বিজ্ঞানের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে এটা জানা আবশ্যক যে সকলেই স্বীকার করেনিচ্ছেন যে কোন এক কারনে কোন ভাবেই আমরা আলোর গতিকে ছুতে পারছিনা, আর তা অতিক্রম করাতো অনেক দূরের ব্যাপার। আসলে কি, সময় জিনিসটা যে কি বিজ্ঞান মনে হয় নিজেই ঠিক মত বুঝে না, তাই যত সব ভ্রান্তি আর প্যারাডক্সের ৃষ্টি , এই নিয়ে অন্য ভাবে লিখেছিলাম। (সময় নিয়ে বিজ্ঞানের ঘাপলা)


আর টাইম ট্রভল যদি সম্ভব হত। তাহলে ধরনা করা হয় ইতিমধ্য আমরা সেই বিষয়ে জ্ঞাত াতাম । আবার কেউ বলে শুধু অতীত ট্রাভল করা যাবে কিছু পরিবর্তন করা যাবে না, কেউ ঠিক উলটা বলেন, কেউ বলেন ভবিষ্যৎ ট্রাভল করা যাবে আর ভবিষোতের মানুষের সাথে ইন্টারেকশনো করা যাবে, কেউ বলেন ঠিক উলটা !!!!! দেখা যাক কি হয়।


অনেক সুন্দর পোষ্ট কুনো ভাই। ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপাত দৃষ্টিতে বলা যায় সেকেন্ডও বিজ্ঞান কল্পনা মাত্র। এত কিছুর পরও আমাদের ঘড়ি গুলো যে কি ভাবে, ভুল গুলো আমাদের দৃষ্টির বাইরে রাখে তা এক মজার ব্যাপার ???!!!

কেউই নিজের দূর্বলতা নিয়ে বেশি কথা বলে না, বিজ্ঞানও বলে না। আবার কেউ কেউ নিজের দুর্বলতা ডাকতে চায় অন্য কোন চমকপ্রদ ভ্রান্তির সৃষ্টি করে, বিজ্ঞানও কি time machine, time travel এর কথা বলে, আমাদের সাথে, তাই করে ????


বোল্ড করা অংশটুকু আপনার লেখা থেকে তুলে আনলাম। আসলেই তো শুধু গতির ভগ্নাংশকেই আমরা ঘন্টা মিনিট সেকেন্ডে ভাগ করি। এখন পৃথিবীর আহ্নিক বা বার্ষিক গতির ভগ্নাংশই যে সময় সেটারই বা নিশ্চয়তা কি। আবার এই গতির ভগ্নাংশ দিয়ে যদি গতির পরিমাপ করি তাহলে সেটা হতে পারে গতির আপেক্ষিকতা, এখানে সময়ের স্থান কোথায়!

আর কিছু না হোক এটা বলা যায় যে অতীতের দিকে টাইম ট্র্যাভেলটা সম্ভব হয়নি। হলে ভবিষ্যৎ থেকে টাইম ট্র্যাভেলের ইতিহাস পড়ে কেউ না কেউ এসে আইনস্টাইনের সাথে দেখা করে যেতো!

মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই।



৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্যটি বেশ পছন্দ হয়েছে আমার। জ্ঞান আর বিজ্ঞান আলাদা থাকতে পারে না। জ্ঞান ও দর্শন চর্চার শুরুতে কিন্তু তারা সবাই একই সাথে ছিলেন।

যিনি দর্শন জানেন, তিনি গণিতেরও চর্চা করেন - যিনি গণিতের চর্চা করেন, তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ... এরকম দৃষ্টান্তের অভাব নেই।

যেমন: আবিসীনা বা ইবনে সিনা একাধারে ছিলেন দর্শন, বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা, চিকিৎসা, কাব্যচর্চা এবং ধর্মীয় প্রজ্ঞার আধার।



জ্ঞানশাস্ত্রের স্বভাবই এরকম। জ্ঞানের গভীরে পাবেন সকল জ্ঞানের সূত্র....
এটি সার্বজনীন সত্য....

অনেক শুভেচ্ছা, *কুনোব্যাঙ* :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জ্ঞানশাস্ত্রের স্বভাবই এরকম। জ্ঞানের গভীরে পাবেন সকল জ্ঞানের সূত্র....
এটি সার্বজনীন সত্য....


স্টিফেন হকিং একটা কথা বলেছেন, আগে যারা দর্শন চর্চা করতো তাদের পদার্থ বিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিজ্ঞানের উপর সম্যাক ধারণা থাকতো। বর্তমানে যারা দর্শন চর্চা করছে তাদের বিজ্ঞানের উপর ভালো ধারণা নেই।তাই দর্শন এখন মৃত।

হকিং এর এই কথাটি যদিও কিছুটা আক্রমণাত্তক তবুও একেবারে ভিত্তিহীন কথা এটি নয়। বেশ অনেকদিনই জ্ঞানের শাখাগুলো নিয়ে ঐক্যের চাইতে দূরত্বই বাড়ছিলো। যেমন দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকেও হকিং এর এই কথাটি ঘুরিয়ে বলা যায়, যেহেতু আগের পদার্থ বিজ্ঞানীগণ সবাই দর্শন চর্চাও করতো যা বর্তমান বিজ্ঞানীগণ করেননা, তাই তাত্ত্বিক বিজ্ঞান মৃত।

কিন্তু সত্য এক ও অভিন্ন, যা জ্ঞানের প্রতিটি শাখার জন্য সত্য হবে।

আবারো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

যান্ত্রিক বলেছেন: টাইম ট্রাভেল বলতে মূলত দুটি দিক বোঝায়। একটি ভবিষ্যতের দিকে, অপরটি অতীতের দিকে। সেই হেসেবে আমরা কিছুটা টাইম ট্রাভেল তো করিই। যেমন, আমাদের মাঝে কেউ একই দূরত্ব হেঁটে পার হলেন, আর কেউ গাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই যিনি গাড়িতে আছেন তিনি তাড়াতাড়ি পৌছে যাবেন। এবং কোন ঘটনা যা ঐ স্থানে ঘটেছে তা আগে দেখবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে স্থান পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। তাই, সমান পরিমাণ স্থান পরিবর্তনের জন্য ভিন্ন পরিমাণ সময় পরিবর্তনের ঘটনা হিসেব করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আবার আপনি যদি আপেক্ষিকতার বড় ব্যাখ্যায় যান তাহলে দেখবেন, যখনই কোন আপেক্ষিকতার কথা আলোচনা হয়, তখনই প্রসংগ কাঠামোর কথা আসে। এই প্রসংগ কাঠামোই মুলত স্থান-কালের সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
আবার আপনি হয়তো গতি বাড়িয়ে কিছুটা ভবিষ্যতে চলে যেতে পারলেন, কিন্তু অতীতে কি যেতে পারবেন? সমস্যাটা এখানেই, আলোর চেয়ে বেশী গতি কি সম্ভব? এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে, কোন বস্তুকণা যার গতি আলোর চেয়ে কম, তার পক্ষে কখনোই আলোর গতিতে চলা সম্ভব না, এটা থিওর‍্যাটিকালী প্রমাণিত। অতএব আপনি বা আমি বা কোন মানুষ কখনোই অতীতে ফিরে যেতে পারবো না।
আরো অনেক আলোচনা হতে পারে। আপাতত আপনার উত্তরের প্রতীক্ষায় থাকি।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে আপেক্ষিক তত্ত্বের গভীর দিক আলোচনা করা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব হবেনা কেননা ফিজিক্সের ব্যাপারে আমার জানাশোনার অনেক ঘাটছি রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড মূলতঃ দর্শন। আপেক্ষিক তত্ত্বের কোন সিদ্ধান্ত দর্শন বা অধিবিদ্যার সাথে মিলছে কিনা বা মিললেও কিভাবে মিলছে বা কি মিলছেনা বা অধিবিদ্যায় তার বিরুদ্ধ যুক্তি কি আছে সেটা হয়তো কিছুটা বলতে পারবো।

তবে টাইম মেশিনের ব্যবসায়িক ব্যবহার নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের এক সিনেমায় শুনেছিলাম লোহার বিজনেসের কথা সেটা আমার বেশ মনে ধরেছিলো। টাইম মেশিনে চড়ে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের সময় চলে গিয়ে সেখান থেকে সস্তায় লোহা কিনে আবার বর্তমানে ফিরে এসে বর্তমান বাজার দরে বেচে দেয়া।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

এস বাসার বলেছেন: ভাবতে গেলেই বিপত্তি লাগে! সুতরাং চলুক না যেভাবে চলছে!!!

পোস্ট প্রিয়তে। থ্যাংকস।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না। বিপত্তিগুলো সব তোলা থাকুক হেমন্তের অবসরে ভাববার জন্য।


আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: কঠিন পোস্ট । ভালোলাগা++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং পোষ্ট! টপিকটা আমার খুবই পছন্দ হইছে। আপাতত পোষ্টটা বুকমার্কড করলাম, ফিরে এসে আবার পড়ব। ধন্যবাদ কুনোভাই!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাংকস কাল্পনিক ভাই, আপনার পড়ার অপেক্ষায় রইলাম

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

ইমিনা বলেছেন: ছবির হাট থেেক শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকান হতে না হয় টাইম মেশিনের সাহায্যে এক সেকেন্ডের দশ হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে গোলাপ ফুল নিয়ে আসতে পারবো। কিন্তু ফুল কিনতে গিয়ে ফুলের দোকানদারের সাথে দরকষাকষি করতে সময়ের অপচয় হইবে তা থেকে মুক্তির উপায় কি? B:-)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এত গতিতে গেলে দোকানদার তো আপনাকে দেখতেই পারবেনা তাই আর দামাদামির দরকার কি :P দোকানদার শুধু দেখবে ম্যাজিকের মতো একগুচ্ছ গোলাপ হাওয়া হয়ে গেছে B-)

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আপনার কথার সাথে একটু এড করতে চাই।

আমাদের নবীজী যখন মেরাজে গমন করেছিলেন তখন কিন্তু টাইম ট্রাভেলের বিষয়টা ছিল।কারন বলা হয়েছে নবীজী যখন আল্লাহর সাথে দেখা করে নিজ স্থানে ফিরে আসেন তখনো তার ওযুর পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল।অথচ ওপারে সুদীর্ঘ একটা সময় উনি ছিলেন।

যদি সেই সময়ে উহা সম্ভব হয় কেন ভবিষ্যতে নয়। আমরা কেবল নিয়মটা জানি না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিন্তু মেরাজের ব্যাপারটা সময়ের অতীত বা বর্তমানে যাওয়ার মতো ছিলোনা। ধরুন আমি যে কাজ ১ ঘন্টায় করতে পারি আপনি পারেন সেটা ১০ মিনিটে। তারমানে ধরে নিতে পারি আপনার ১০ মিনিট আমার ১ ঘন্টার সমান। আবার পৃথিবীর নিয়মে যেটা জন্য সময় লাগে ৩০ বছর সেটাই নবীজির মেরাজ গমনের গতি দিয়ে লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড!

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আরেক টা বিষয় টাইম ট্রাভেলের ক্ষেত্রে সময় জিনিশটা খুব দামী। একবার ভাবুন তো সময় জিনিষ্টাকে আমরা যেভাবে বর্ননা করি আসলে সময় বলতে কিছুই নাই।

আমাদের জানার ব্যার্থতা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সময় বলে আদৌ কিছু আছে কিনা বা থাকলে তা কেমন সেটা কি আমরা আদৌ জানি নাকি ভবিষ্যতে আবিষ্কার হবে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্য পৃথিবীর গতির যে ভগ্নাংশ করি মানে ঘন্টা মিনিট সেকেন্ডে সেটাই কি প্রকৃত সময় কিনা সেটার নিশ্চয়তা আদৌ কি আছে!


অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: উরে খাইসে আমারে। :O

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: :| :|

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পৃথিবীর টাইম ডাইমেনশন নির্ভর করে চাঁদ আর সূর্যের নিজ কক্ষপথে প্রদক্ষিণের উপর ভিত্তি করে। আরবী ক্যালেন্ডার গড়ে উঠেছে চাঁদের উপর ভিত্তি করে আর ইংরেজীটা সূর্যের উপর। ঘুরে ফিরে সেই সকাল হয় সূর্য উঠলে আর রাত হয় সূর্য অস্ত গিয়ে চাঁদ উঠলে। পূর্ণ হয় সম্পূর্ণ একটি দিনের। শুধু একবার ভাবুন আপনাকে যদি এই চাঁদ সূর্যের বিপরীত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সেখানে আপনি দিন রাতের পার্থক্য করবেন কিভাবে ?

এটাই হলো টাইম ডাইমেনশন। পৃথিবীর টাইম ডাইমেনশন আর ঈশ্বরের দরবারের টাইম ডাইমেনশন এক নয়। তাইত পৃথিবীর সব কিছু নশ্বর হলেও ঈশ্বরের দরবারে সবই অনন্ত কালের জন্য নির্ধারিত।

অনেকেই আলোর গতির কথা বলে কিংবা মেরাজে প্রিয় নবীর গমনের সাথে গুলিয়ে ফেলে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে হল এই টাইম ডাইমেনশনের অবস্থানের পরিবর্তন।

যাই হোক এর সাথে ভাগ্যের যে সম্পর্ক আপনি টেনে আনলেন সেটা বোধগম্য হলোনা।

এই বিষয়টা অনেক বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে। অল্প কথায় বোঝাতে গেলে;

ধরুন আপনি জানেন আগুনে হাত লাগলে হাত পুড়ে যাবে তাই আপনার সন্তানকে সাবধান করে দিলেন কিন্তু আপনি তাকে আগুনের সামনে ছেড়ে দিলেন যে সে কি করে দেখবেন বলে। এখন ভাগ্য হল আপনার সন্তান আগুনে হাত দেবেই কারন সে অবুঝ কিন্তু ঈশ্বরের মহিমা হলো আপনি যে আগুনে হাত দেবার আগেই আপনি আপনার সন্তানকে ফিরিয়ে নেবেন। তবে আপনার সন্তান যদি অতি মাত্রায় দুষ্ট হয়ে তাহলে আপনি তার হাত একবার আগুনে পোড়ার জন্য হলেও ছেড়ে দিবেন যেন তার শিক্ষা হয়। ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ আর না করে।

আমাদের সমস্যা হলো আমরা ঈশ্বর আছে জানি কিন্তু ঈশ্বরকে সঠিক ভাবে ধারণ করতে শিখি নাই।

আপনার পোস্ট ভাল লাগল অনেক। +++
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
ভাল থাকবেন ভাই সবসময়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: টাইম ডাইমেনশনের তাত্ত্বিক দিকগুলো যদি অল্প ভাষায় ব্যাক্ষা করতেন তাহলে ভালো হতো। যেমন, সময়ের মাত্রা কিভাবে পরিবর্তিত হয় বা এই পরিবর্তন মেনে নেয়ার যৌক্তিক ভিত্তি কি? ব্যাপারটা যদি হয় এমন যে, পরকালে ঘড়ির কাঁটা প্রায় ঘুরেনা বললেই চলে কিন্তু পৃথিবীতে এক মিনিটেই একবার ঘুরে আসে। অথবা পরকালের সময় হয়তো এক্স মাত্র আবার পৃথিবীতে তার মাত্রা হচ্ছে ওয়াই। কিন্তু এই দুটি মাত্রা যে আছে সেটি আমরা কিভাবে জানবো।

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সাদরিল বলেছেন: অনুরোধ রইলো আপনি যদি বিতর্কগুলোর ব্যাপারে আরো কিছু জেনে থাকেন তাহলে প্লিজ অন্য কোন পোস্টে সেগুলো নিয়ে লিখবেন। আমার কাছে এটা খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। স্টিফেন হকিং কি বলেছিলেন সেটা নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখতে পারতেন। আমি বিজ্ঞান ও দর্শনের সম্পর্ক ও দ্বন্দ্বের ব্যাপারে নতুন পাঠক। টুকটাক কিছু পড়েছি। ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে এগুলো নিয়ে লেখার।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইচ্ছা আছে পরবর্তীতে কান্টের দর্শন এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সে দর্শনের বিরোধ বা ঐক্য নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার। দেখাযাক কি হয়


আগ্রহের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে :)

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সময়ের সাপেক্ষে গতি বাড়িয়ে ভবিষ্যৎ এমনকি অতীত থেকেও ঘুরে আসা সম্ভব ! যন্ত্রের গতি যদি এত বেশী হয় যে লেভেল ক্রস করে মাইনাসে চলে আসা যায় সেখানে যৌক্তিকভাবেই অংক কষে অতীত ও সম্ভব !

ধর্মের সাথে আপেক্ষিক তত্বের যে দন্ধ দেখিয়েছেন সেটা খুবই গৌণ !
আপেক্ষিক তত্বের মতই ধর্মেও বলা আছে যা কিছু হবে সবই নির্ধারিত এবং আল্লাহ পাকের ইচ্ছাতেই নির্ধারিত , এখানেই প্রশ্ন আসে আমি যদি আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় খুন করি , সেই খুনের দায়ভার আমি কেন নিবো !
তখনই আসে কর্মফলের ব্যাপারটা , আপনি আপনার কর্ম দিয়ে আপনার নিয়তি বদলে দিতে পারেন সেটা যেমন আপেক্ষিক তত্বের ক্ষেত্রে সম্ভব আমাদের ধর্ম মতেও সম্ভব ! আধুনিক ধর্ম বলে কথা !!!

আপাত দৃষ্টিতে আপেক্ষিক তত্ব দিয়ে আমরা গ্রহ উপগ্রহ ঘুরে আসছি , অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ ভ্রমণ ই হতে পারে এই তত্বের প্রয়োগ ক্ষেত্র !

এই পোষ্টে আমার মন্তব্য পূর্ব নির্ধারিত ছিল , কিন্তু পোষ্টের কন্টেন্টের কারণে মাঝের একটা প্যারা যোগ করতে হয়েছে এটা হয়তোবা পূর্ব নির্ধারিত , হয়তো বা আমার কর্মফল !

শুভেচ্ছা কুনো !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমমম, আমাদের ধর্মে এভাবেই আছে। সাধারণ দৃষ্টিতেও কিন্তু ব্যাপারটি এমনই। আপনি রাস্তায় গাড়ী চালাচ্ছেন এখানে দুই কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক, আপনি ভালোভাবে গাড়ী চালানো না শিখেই হাইওয়েতে উঠেছেন অতবা অন্য একজন ভালোভাবে গাড়ী চালাতে না শিখেই হাইওয়েতে উঠেছে যার ভুলের কারণে আপনার গাড়ীর সাথে সে একসিডেন্ট করেছে। এখানে আপনি যে ভালো গাড়ী চালাচ্ছেন এবং সেজন্য একসিডেন্ট হচ্ছেনা সেটা আপনার কর্মফল আবার অন্য একজন ভালো গাড়ী চালানো না শিখে আপনার গাড়ীর সাথে লাগিয়ে দিয়েছে। এটা আপনার নিয়তি।

এখন ধর্মের সাপেক্ষে যদি এমন কোন তত্ত্ব বিচার করতে যান তাহলে সেই তত্ত্বে এমন গুণ থাকতে হবে যেখানে নিয়তিও আছে আবার কর্মফলও আছে। তাতে দর্শনেরও সুবিধা, সে স্বাধীন ইচ্ছা পরাধীন ইচ্ছা দুটোর ব্যাপারেই যুক্তি পাবে। বিপত্তি তখনই যখন পুরো তত্ত্বে শুধু স্বাধীন অথবা পরাধীন যেকোন একটি ইচ্ছার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এটা দর্শনেরও বিপত্তি।

আপনাকেও শুভেচ্ছা

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সময়যানে ভ্রমণ করে সামনে যাওয়া যায় না, অতীতেও যাওয়া যায় না। এটা শুধু মুভিতেই সম্ভব।

আমাদের সময় পৃথিবীর নিজ অক্ষ ও কক্ষপথে ঘুর্ণনকাল দ্বারা নির্ণিত। পৃথিবী নিজ অক্ষে একবার ঘুর্ণন শেষ করলে ২৪ ঘণ্টা (প্লাস কয়েক মিনিট) সমাপ্ত হয়। সময়যানে সামনে ভ্রমণ করতে যেয়ে এক রকেটচালক ৩১ আগস্ট ২০১৪ তারিখ সকাল ৮টায় পশ্চিম দিকে উড়াল দিল। ১ ঘণ্টায় পুরো পৃথিবীকে একবার চক্কর দিয়ে আগের জায়গায় আসলো, এবং ভাবলো সে ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে পৃথিবীতে অবতরণ করলো। এবং ১২বার ভ্রমণ শেষ করে ১২দিন ভবিষ্যতে এগিয়ে গেলো। এভাবে যদি গোনা হয়, তাহলে সে ভবিষ্যতে গিয়ে নামছে। কিন্তু বাস্তবে পৃথিবী ১২ ঘণ্টায় কেবল অর্ধপাক খেয়েছে। সময় মাত্র ১২ ঘণ্টাই অতিবাহিত হয়েছে। কেউ যদি উলটোদিকে, অর্থাৎ পূর্বদিকে যায়, তাহলে ১ ঘণ্টা পরে সে ৩০ আগস্ট, ২ ঘণ্টা পরে ২৯ আগস্টে গিয়ে পৌঁছবে। সে কি অতীতের দিকে ধাবিত হচ্ছে? না। তার সময়টা হলো আপেক্ষিক। তার সময় গণনা শুরু হবে যেখান থেকে সে ভ্রমণ আরম্ভ করেছে সেখানে, এবং ভ্রমণ শেষ হবে ঐ একই বিন্দুতে ফিরে আসবার পর। উলটো দিকে ঘুরলেও সে অতীতে যায় নি, সে মাত্র ২ ঘণ্টা ভ্রমণ করেছে, সূর্য তার নিজের জায়গাতেই স্থির, পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘুরতে ঘুরতে সামনে এগিয়েছে মাত্র।
ওটা তো গেলো রকেটযানে চড়ে পৃথিবীর সাপেক্ষে ভ্রমণ করে ভবিষ্যতে বা অতীতে যাওয়ার নিয়ম। আপনি ব্লগিং করছেন। ১০ দিন ভবিষ্যতে যাবেন। কীভাবে? এটা আদৌ সম্ভব নয়। নিজ জায়গায় স্থির থেকে সময়ের সামনে বা অতীতে যাওয়ার কোনো থিওরি আছে কিনা আমি জানি না।

সময়ের গতিবেগ আলোর গতিবেগের সাথে সম্পর্কযুক্ত করে দেখা যাক। প্রতিটা বস্তু থেকেই আলো নির্গত হয়। ফলে আমরা বস্তুকে দেখতে পাই। যে বস্তুটি ১০০ আলোকবর্ষ দূরে আছে, সেটিকে দেখতে হলে আলোর গতির চেয়ে ৫ গুণ, ৭ গুণ, ১০০ গুণ অধিক গতিতে বস্তুটির দিকে যাত্রা শুরু করুন। বস্তুটিকে যে-অবস্থায় পেলেন, সেটি হয়তো বস্তুটির বর্তমান অবস্থা নয়, ওটি তার অতীতের অবস্থা। অর্থাৎ, আলোর চেয়ে অধিক গতিতে ভ্রমণ করে আপনি কোনো বস্তুর অতীত দেখতে পেলেন। কিন্তু এটাও অবাস্তব। ধরুন, ঠিক এই মুহূর্তে একটি বস্তু ধ্বংস হয়ে গেলো। সেটা যত হাজার আলোকবর্ষ দূরেই থাকুক না কেন, সেই বস্তুর আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে যত সময়ই লাগুক না কেন, আর আপনার সময়যানের গতিবেগ আলোর চেয়ে হাজারগুণ বেশি হলেও যেটি সত্য তা হলো যে-মুহূর্তে বস্তুটি ধ্বংস হয়ে গেছে, আপনি সেই মুহূর্তে পৌঁছতে পারবেন না কিছুতেই। কাজেই অতীত ভ্রমণও আপনার সম্ভব হচ্ছে না।

বলা হয়ে থাকে, আলোর কোনো ধ্বংস নেই। একটা স্থানে দুটো বাতি জ্বালান, একটি ৪০ ওয়াটের, একটি ২৬০ ওয়াটের। এরপর সরলপথে দূরে যেতে থাকুন। একটা স্থানে যাওয়ার পর ৪০ ওয়াটের বাতিটি আর দেখা যাবে না, যদিও ২৬০ ওয়াটের বাতিটা তখনো দেখা যাবে। আরো দূরে যাওয়ার পর ওটাও আর দেখা যাবে না। রাত্রিবেলা বিমান থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠের সব আলো দেখা যায় না। আলো না দেখতে পারার কারণ হলো মূলত দুটিঃ ১) আলো দূরে যেতে যেতে দুর্বল হয়ে একসময় নিঃশেষিত হয়ে যায়। ২) আলোর গতিপথে ধূলাবালি, কুয়াশা, ইত্যাদি থাকায় আলো ধূসর হতে হতে সম্পূর্ণ নিভে যেতে থাকে (অর্থাৎ আর দেখা যায় না)। অনেক দূরের একটা গ্রহ থেকে আলো এসে পড়লো ঠিক এই মুহূর্তে। ধরুন, গ্রহটা এতদূরে অবস্থিত যে তার আলো পৃথিবীতে আসবার আগেই ওটা ধ্বংস হয়ে গেছে। এবার আপনি যত গতিতেই যান না কেন, যে মুহূর্তে ঐ গ্রহটি ধ্বংস হয়ে গেছে, সেই টাইমলাইনে গিয়ে হাজির হওয়া সম্ভব না। কারণ, যে নির্দিষ্ট মুহূর্তে ওটা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেটা অতীত হয়ে গেছে।

কমেন্ট এতো বড় হয়ে গেলো যে, রিভাইস করার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি। কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা ভাবে বুঝে নিবেন আশা করি।


৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: স্থির অবস্থায় যাবোনাতো সোনাবীজ ভাই, ব্লগ লেখা শেষ করে পার্কিং লটে যাবো মানে যেখানে সময় যানটি রাখা আছে, সেটি স্টার্ট করবো তারপর ১০ দিন ভবিষ্যতে গিয়ে ঘুরে আসবো :P

আবার আলোব ব্যাপারটাও ইন্টারেস্টিং এবং আপেক্ষিক। একটি আলো কতদূর যেতে পারবে সেটা যেমন নির্ভর করে আলোর ঔজ্জ্বল্যের উপর ঠিক তেমনি নির্ভর করে আমাদের চোখের ক্ষমতায় উপর। তাছাড়া আপনি যেহেতু বলছেন আলো তার শক্তির উপর নির্ভর করে একটা নিদ্রিষ্ট দূর পর্যন্ত গিয়ে নিজের শক্তি হারায় তাহলে বলতে পারি আলোর গতি কোনভাবেই অসীম হতে পারেনা। তবে এদিকে এই শক্তি হারানোর ব্যাপারটা নিয়ে একটু বলা যায় যে আসলে আলো কি শক্তি হারায় নাকি ধীরে ধীরে নিজেকে অল্প স্থান থেকে বেশী ছড়িয়ে দেয় বলে তার কেন্দ্রীভূত শক্তি কমে যায়। একমুঠো ধুলো যেমন মুঠো করে বাতাসে ছড়িয়ে দিলে একটু পর বাতাসের এত বেশী জায়গায় ছড়িয়ে যায় যে আমরা দেখতেই পারিনা। যে কারণে লেজারের আলো অনেক বেশী দূর যায়, প্রযুক্তি তাকে ছড়াতে দেয়না বলে!

টাইম মেশিনে চড়ে ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে কি যাবেনা সেটার নিশ্চয়তা না থাকলেও অতীতে যে যাওয়া যাবেনা সেটা মোটামুটি নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। কেননা যাওয়া গেলে ভবিষ্যতে যে সভ্যতা টাইম মেশিন বানিয়েছে তাদের কেউ না কেউ আমার আপনার বা আইনস্টাইনের সাথে দেখা করতে আসতো অবশ্যই :P

পাঠে ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই :)

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভিত নাড়িয়ে দিতে নিউট্রিনো কতদূর যেতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। আর স্টিফেন হকিংও কিন্তু Chronology protection conjecture নীতিটি মেইনস্ট্রিম ধারণায় আনতে চেয়েছিলেন। বুঝলেন তো প্রাকৃতিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন নিয়ে সবাই শঙ্কিত ;)

হাহ হাহ। গুড পোস্ট !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধরুন ভিঞ্চির মোনালিসা ছবিটি নিয়ে আমি চলে গেলাম ভিঞ্চির সময়ে ভিঞ্চি যখন সবেমাত্র মোনালিসা ছবিটি আঁকায় হাত দিয়েছে সে সময়। গিয়ে মোনালিসা ছবিটি দেখালাম এবং সেটি দেখে ভিঞ্চি তার আসল চিত্রকর্মটি এঁকে ফেললো। এবার বলুন তো এই দুইটি ছবির মধ্যে কোনটি আসল আর কোনটি তার কপি?

অক্সফোর্ডের কোন এক দর্শনের শিক্ষকের এটা ছিলো জিজ্ঞাসা। এবং জিজ্ঞাসাটা খুব সম্ভব স্টিফেন হকিং এর কাছেই ছিলো। এই ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্যই বোধহয় Chronology protection conjecture নীতিটি হকিং সাহেব মেইনস্ট্রিম ধারণায় আনতে চেয়েছিলেন

মজার এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অন্ধবিন্দু

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: পুরোনো বিষয়ে সুন্দর লেখা। ভাল লাগল।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পাঠে ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

যুবায়ের বলেছেন: অসাধরন একটি পোষ্ট
প্লাস+

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যুবায়ের ভাই

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

আবু শাকিল বলেছেন: প্রিয় তে রাখালাম।সময় করে পড়তে হবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:০৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ব্রো ইহাই কি সেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান গর্ভ পোস্ট? ,না প্রিভিউ পোস্ট , আসল তত্ত্ব জ্ঞ্যান প্রকাশের আগে পাঠকগন কে একটু প্রস্তুত করা? ;)
সময়কে ছুয়ে দেয়া বা ধরে রাখা সম্ভব কিন্তু পেছনে ফেলা কতটুকু সম্ভব জানিনা ,কুরআন এ বেহেস্ত দোজখর কিছু বর্ননা থেকে আবার এই তত্ত্ব মিলে যায়! ! ।দর্শন এর সাথে ধর্মের ক্যচাল বহুদিন এর কিন্তু দার্শনিক গন বিজ্ঞান কে এরিয়েই চলতেন কিন্তু এই সময়ে এসে কেউ আর কাউকে ছেড়ে কথা কয় না ,ক্যাচালের উপর ক্যাচাল লেগেই আছে , মাথা নস্ট! ! /:)
এনিওয়ে , ইহা মন্তব্য নহে প্রিভিউ । ভিডিও টা দেখে মন্তব্য করিব আশা রাখি যদিনা সেটা কোন তত্ত্ব দারানিয়ন্ত্রিত হয়! ! :|

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইহা আসলে কুনোব্যাঙের "লজিকলেস রিয়েলিটি" তত্ত্ব প্রকাশের আগে পাঠকগণকে প্রস্তুত করা :P

কি আর বলবো আপু, দর্শন নিজেকে যে কি মনে করে বুঝিনা। নিজে তো কিছু করবেই না আবার অন্যে কিছু করলে কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে সেখানে ভুল ধরা শুরু করে /:) হকিং বাবু কি আর কম দুঃখে বলেছে যে, দর্শনের তো খেয়েদেয়ে কাজ নেই, বুদ্ধিবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, ভাববাদ, সজ্ঞাবাদ, বস্তুবাদ, সংশয়বাদ, জড়বাদ, অজ্ঞেয়বাদ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে বসে আছে আর আপনি একটি তত্ত্ব দিবেন সাথে সাথে সে যে কোন একটা বাদে ফেলে দিয়ে আপনাকে বরবাদ বরে দিবে। একটা মতবাদে ফেলে দিলেই হয়ে গেলো, সেই মতবাদের সমালোচনাগুলো তো আগে থেকেই রেডি আছে /:)

প্রিভিউ প্রদানে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় সায়েদা সোহেলী আপু প্রতি :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন:

*কোন একটা বাদে ফেলে দিয়ে আপনাকে বরবাদ করে দিবে

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০০

সরদার হারুন বলেছেন: আমার শেষ আলোচনায় লেখক একমত হওয়ায় আমি তাকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার প্রতিও অনেক অনেক ধন্যবাদ সরদার হারুন ভাই

২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ভিডিওটা দেখেই নাহয় আরেকটু বুঝার চেষ্টা করবো, আমার আবার দর্শনে একটু এ্যলার্জি আছে,

এক সেকেন্ডের কম সময়ে শাহাবাগ থেকে ফুল নিয়ে আসবেন সে ভালো কথা কিন্তু দেখা মাত্রই এই অল্প সময়ে ভালোবাসি কথাটা বলতে যাবেননা তাহলে অতীত বর্তমনা ভবিস্যত সময় সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে।:)

কোরাণের একটা আয়াত এমন আছে যে- আমি তোমাদের ভাগ্যকে তোমাদের গলায় হারের মত ঝুলিয়ে রেখেছি,এটা আমার পক্ষে সম্ভব-

আমি এখন নিশ্চিন্তে আছি,এবং তাই আপনার তত্ত্ব কথার অর্থা খোজার ইচ্ছে নেই :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অন্যান্য ব্যাপারে দর্শনের প্রতি এলার্জি থাকলেও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে দর্শনের এই তর্কে কিন্তু তুলনামূলক দর্শনই ধর্মের পক্ষে। আপেক্ষিক তত্ত্ব যেভাবে নীতি নৈতিকতা ইচ্ছার স্বাধীনতা, বেহেশত দোজখ এগুলোর দিকে নজর দিচ্ছিলোনা দর্শনই কিন্তু তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানকে তার দিকে নজর ঘুরিয়েছে।

সত্যি বলতে কি, আমারো মনেহয় বিজ্ঞানের এই তত্ত্বগুলো মাছবিহীন পুকুড়ে বড়শি ফেলে মাছের অপেক্ষায় বসে থাকা।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কুনো ভাই আপনার হাতের ঘড়িটা নিয়ে যদি আমেরিকায় চলে যান তাহলে সেখানে গিয়ে মনে হবে আপনার ঘড়িটা ভুল সময় দেখাচ্ছে। কিন্তু সেখানকার সময়ের সাথে মিলিয়ে নিলে আবারও আপনার ঘড়ি চলবে তার আপন নিয়মে। কিন্তু কথা হলো ব্রাজিলে যখন দুপুর বেলা বিশ্বকাপ খেলা হলো আমি আপনি খেলা দেখলাম টিভিতে বসে রাতে। কিন্তু আমি আপনি কি সময়কে এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে নিয়ে খেলা দেখেছি নাকি বর্তমান সময়েই দেখেছি বলেন দেখি ?

পৃথিবীতে খুব সহজেই মাটিতে দাঁড়াতে পারেন কিন্তু স্পেশ শিপে কেন দাঁড়াতে পারেন না ? পৃথিবীতে অক্সিজেন আছে কিন্তু মঙ্গলে নেই কেন ?

আসলে আমি আপনি পৃথিবীর সময়ের সাথে চলছি যা পরিমাপ করা হয় চাঁদ ও সূর্যের পরিমণ্ডলকে ঘিরে কিন্তু যেখানে চাঁদ আর সূর্য নেই সেখানে সময়ের পরিমাপক কি হবে আমি আপনি ধারনা করতে পারব না।

কিন্তু এখানে মূল বিষয় হচ্ছে টাইম ট্র্যাভেল। যেটা আপনি যতই আপেক্ষিক তত্ত্ব দিয়ে আলোর গতিকে নিজের কন্ট্রোলে আনুন না কেন অতীতে যাবেন কি করে ? আপনি সময়ের পেছনের দিকে ছুটেছেন আর আপনার বয়স কমছেনা সেটা কি করে হয় ? রিউইন্ড করলেত আপনার মাতৃগর্ভে ফিরে যাওয়ার কথা।

আমি সব সময় একটা কথাই বলি মানুষের জ্ঞান তার দৃশ্যত জ্ঞানের সমানুপাতিক। আপনার পক্ষে এমন কিছুই ভাবা সম্ভব নয় যা আপনি দেখেন নি। মানুষ দেব দেবীর স্থানে মানুষকে কল্পনা করে মূর্তির আকৃতি দান করে কিংবা খুব বেশি হলে মাথা কিংবা শরীর হিসেবে চিন্তা করে কোন পশুকে। কিন্তু দেব দেবীর আকৃতি কি আসলেই এমন ?

যেখানে আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন তার কোন আকার নেই। এখন আপনাকে বললে আপনি হাজার বার চেষ্টা করলেও আল্লাহর ছবি আঁকতে পারবেন না। কারন আপনি আল্লাহকে দেখেন নাই। কিন্তু যদি আদমের ছবি আঁকতে বলি আপনি হয়ত কোন মানুষের ছবি এঁকে বলবেন এটাই আদম কারন আপনি মানুষ দেখেছেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমি সব সময় একটা কথাই বলি মানুষের জ্ঞান তার দৃশ্যত জ্ঞানের সমানুপাতিক।

জ্ঞান আর দৃশ্যত জ্ঞান এই দুইয়ের পার্থক্য বোধগম্য হলোনা। যদি বলে থাকেন আমরা দৃশ্যত যা কিছু দেখি সেটাই আমাদের জ্ঞানের উৎস তাহলে সেটা বোধহয় ঠিক হবেনা। জ্বীন ভূত, এঞ্জেল, গড এমন কিছু আমরা জানি যা আমাদের দৃশ্যত জ্ঞানের বাইরে। দৃশ্যত জ্ঞানই সব মানলে তাহলে এগুলোর অস্তিত্ব অস্বীকার করতে হবে। ব্যাপারটি শুধু ছবি আঁকার বা দৈহিক ব্যাপার নয় তার সাথে অস্থিত্তের প্রশ্নও রয়েছে।

আর সময় মাপার যে টাইম জোন বা আহ্নিক গতির কথা বললেন সেভাবে আমি সময় মাপিনা। সময় মাপতে আমি আমার হার্টবিট ফলো করি আবার যখন হার্টবিট খুব বেশী উঠানামা করে তখন হার্টবিটের বদলে সঙ্গীত শিল্পীরা যেমন পায়ার পাতা চাপড়ে বা হাত নাড়িয়ে একটা ছন্দ রাখে ঐভাবে টাইম কাউন্ট করি। ১০০ তালে একটি গান শেষ হলো তাহলে সেটার দৈর্ঘ্য ১০০ তাল, নট সাড়ে চার বা পাঁচ মিনিট।

৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৪

উপপাদ্য বলেছেন: ছবির হাট থেকে একবার ঠিকই দৌড়াইয়া গেছিলাম নিমিষেই। কিন্তু হালার দোকানদার তো দেড়ি করে ফেললো!!!!!

কুনোব্যাঙ দারুন পোস্ট দিয়েছেন। চিন্তার খোরাক আছে। কিন্তু আদৌকি সম্ভব সময়ের পূর্বে কিংবা পরে যাওয়া। আলোর বেগ কে পরাজিত করা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তাত্ত্বিক ভাবে সম্ভব হয়তো। যেমন সম্ভব জ্যামিতির বিন্দুর সংজ্ঞা। যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ভেদ উচ্চতা কিছুই নেই শুধু অবস্থান আছে তাকে বিন্দু বলে। আরে ভাই, যার কোন ডাইমেনশনই নাই তার আবার অবস্থান থাকে কিভাবে! কেউ জানেনা! আবার বিন্দুর এই সংজ্ঞাটা অস্বীকার করলে বিরাট বিপদ। কারণ এর উপর ভিত্তি করে আমরা অনেক কিছু করেছি যেগুলোর প্রায়োগিক দিকও যথেষ্ট ভালো।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ উপপাদ্য ভাই

৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৬

নিমচাঁদ বলেছেন: এখানে যে যা বলছে , যারা কুনোর মতের স্বপক্ষে বলছে কিংবা যারা বিপক্ষে বলছে , আমি সবার সাথেই সহমত।এমনকি কুনোব্যাং ও যা বলেছে , আমি তার সাথেই ঘাড় নাড়ছি ।


কিন্ত কথা হলো এই পোষ্টটা দেখলাম ঘুমুতে যাওয়ার আগে , ভাবছিলাম হালকা পাতলা কিছু লেখাপড়া কইরা মস্ত একটা হাই তুলে, তুড়ি বাজাতে বাজাতে ঘুমুতে যাবো ।

সে আশায় এখন গুড়ে বালি!!

ঘুমানের আগে আমার জন্য এতো কঠিন পোষ্ট
কেনু , কেনু ,কেনু ???


( ভবিষ্যতবানী দিয়া গেলাম , ব্যাচেলর বইলা , কুনো থাইকা এই রকম একটা দৃষ্টান্তমূলক রবীন্দ্র পরবর্তী নান্দনিক বিজ্ঞান আমরা উপহার পাইলাম, আমি চ্যালেঞ্জ করতাছি বিয়ার পরে স্বয়ং কুনোব্যাংও নিজের এই সব লেখা চিনবার পারবো না , বরং আইনষ্টাইন কার পোলা জিগাইলে , হেতে রবীন্দ্র বাবুর ছবির দিকে হাত তুইলা দিব ------------- এই ব্যাপারে কেউ লাগবা বাজি ?????? ) /:)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সেইজন্যেই তো বিবাহ পরবর্তী জীবনের কথা চিন্তা কইরা যা লেখার আগেই লেইখা শেষ কইরা ফেলতেছি। বিবাহ পরবর্তী ভাবতেছি নকুল কুমারের মতো গান লেখা শুরু করুম, বিয়ার পরে আমার বাড়ীর আমি মেম্বার আর বৌ হইলো চেয়ারম্যান। বিয়া করলাম ক্যান!

কথায় আছে, বুদ্ধিমান মাত্রই বড়ভাইদের দূরবস্থা দেখিয়া শিক্ষা লাভ করিয়া থাকে।

নিশ্চই আমি বোকাদের কাতারে নাম লেখাইতে চাইনা B-)

৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

সরদার হারুন বলেছেন: আমার এ ব্যপারে ইতি পূর্বে কুনো ভাইর সাথে সমবোঝতা হয়েছে।

কিন্তু অন্যভাইদের মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয় অনেকেই আপেক্ষিক তত্ত্বের,
মানুষের জ্ঞানের এবং এর ব্যবহারিক দিক সম্মন্দে যে মতামত দিয়েছে
তাতে কম বেশী সবাই মানুষের জ্ঞানকেই মূল একক ধরে করেছে। এতদভিন্ন
বিজ্ঞান ও দর্শনের একটা সমন্ময় করতে চেয়েছেন।

বিজ্ঞানের যেমন তাত্তিক ও ব্যবহারিক দিক আছে দর্শনেরও তেমনি দুটি দিক আছে । আর এর সবই এসেছে মানুষের অবিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে তাইতো
বিতর্ক চলে আসছে আদিকাল থেকে। আর এ বিতর্কই সৃষ্টি করেছে নিত্য নতুন
সূএ যা আমাদের অমূল্য সম্পদ।

এমন কি আজও আমরা যা অলোচনা করেছি
তাও নতুন কিছু দিয়েছে আমাদের অজান্তে ।

সবাইকে ধন্যবাদ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তর্ক বিতর্ক আলোচনা সমালোচনা মত দ্বিমত এর সব মিলিয়েই জ্ঞান বিজ্ঞান এগিয়ে যাবে আমাদের অজান্তে। তাছাড়া সার্বিক সমন্বয় ব্যতীত জ্ঞানের কোন একক শাখা খুব বেশীদূর এগুতে পারবেনা কখনও। একক ভাবে নিজের অর্জিত জ্ঞানই পুর্ণাঙ্গ সমাধান নয়, তার সাথে সমন্বয় থাকতে হবে অন্যান্য জ্ঞানের শাখাগুলোর।


আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সরদার হারুন ভাই :)

৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

এ্যামালগাম বলেছেন: সময় নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা ধর্মের প্রয়োজনীয়তা বিলুপ্ত করে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হয়তোবা! দেখাযাক ভবিষ্যৎ কি হয়।

৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

ম্যাভেরিক বলেছেন: "যেখানে গতি বাড়লে সময় শুধু স্থিরই থাকেনা, গতি যত বাড়ে আপনার হাতের ঘড়ির ডায়ালটাও তত ধীরে চলতে থাকে, সময়ের গতি কমে যায়।"
--ঘড়ির ডায়াল ধীরে চলার সঙ্গে সময়ের গতি কীভাবে কমে যায়! ঘড়ির ডায়াল ধীরে চলার মানে তো ঘড়িটি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে। বিকল্প থাকলে এরকম ঘড়ি ব্যবহার না করাই উত্তম। :)

আপেক্ষিক তত্ত্বের সঙ্গে ধর্ম ও নৈতিকতার প্রশ্নবিদ্ধ হবার অবকাশ নেই। আপেক্ষিক তত্ত্ব নিছক একটি গাণিতিক মডেল যা পদার্থবিদ্যার কিছু হিসেবনিকেশে প্রয়োগ করা যায়, কিন্তু বিপরীতে নানা অসংলগ্নতা এবং পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যাও প্রদান করে, ফলে সামগ্রিকভাবে কার্যকরী মডেল নয় এটি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ম্যাভেরিক ভাইকে অনেকদিন পর পেলাম। আপনার উপস্থিতি দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। আগের ডোগনদের নিয়ে আর সাউদার্ন ক্রস নিয়ে দুটো পোষ্টে অপেক্ষায় ছিলাম আপনার মতামতের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আপনাকে পাওয়া যায়নি।

স্যরি ভাই, বলতে একটু উলটাপালটা হয়ে গেছে। আসলে বলতে চাইছিলাম ফিজিক্স বলে বস্তুর গতি বাড়লে সময়ের গতি কমে যায় :P

নাহ ভাই, আমার একটা মাত্র সাধের ঘড়ি, গতি বাড়িয়ে আমার ডায়াল কমিয়ে সেটিকে আর নষ্ট করতে চাইনা। যেহেতু সামগ্রিক ভাবে কার্যকরী মডেল নয় এই আপেক্ষিক তত্ত্ব সেহেতু দরকার নেই টাইম ট্র্যাভেল করে আমার সাধের ঘড়িটা নষ্ট করার :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার উল্লেখিত অংশটুকু এডিট করে দিলাম :)

৩৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার করে লিখেছেন, সহজেই সবাই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে পারছে, অসম্ভব জটিল এই বিষয়টা নিয়ে লেখায় এইটা একটা বিরাট সাফল্য! সব কিছুই পূর্বনির্ধারিত কিনা এইটা নিয়ে অনেক দিক দিয়ে বিতর্ক হয়, সময় পরিভ্রমন নিয়ে এই সংযোগটা পড়ে মজা লাগলো। খুব সম্ভবত লাপ্লাস এরকম একটা দাবি তুলেছিলেন যে এমন এক গুচ্ছ বৈজ্ঞানিক বিধি থাকতে পারে, যেটা আমরা জানতে পারি বা না পারি, তাহলেও তো সব কিছুই আগে থেকেই নির্ধারিত হবে! অনিশ্চয়তাবাদ অবশ্য মজাটা এখনও ধরে রেখেছে।

সময় পরিভ্রমন বিষয়টা আমাদের কমন্সেন্স বা সাধারণ বোধগম্যতায় একটা মারাত্মক আঘাত হানে, আমাদের মাথা ঘুরতে থাকে, আমরা কিছু বুঝি আবার বুঝি না, কিছুটা মানতে চাই, আবার মেনেও নিতে পারি না! ভবিষ্যৎ এ যেতে পারলে স্বাধীন ইচ্ছে বলে আর কিছু থাকে না, আবার যদি বলেন অতীতে, তাহলে তো বর্তমানটাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়(আমি যদি অতীতে গিয়ে আমার বাবাকে মেরে ফেলি!)।
এখানে একটা মজার পয়েন্ট আছে- মাল্টি ইউনিভার্স তত্ত্ব। আমরা আসলে অসীম সংখ্যক এক মহাবিশ্বে অসীম সংখ্যক আমি দিয়ে অসীম সম্ভাবনার মধ্যে বাস করি! (মাথা ঘুরতাসে!) - যদি আপনার ইচ্ছে হয় এইটা নিয়েও লিখতে পারেন, খুব ইন্টেরেস্টিং একটা টপিক!

* ইয়ে, খুব কঠিন একটা বিষয়ে মন্তব্য করে ফেললাম, আসলে যে কী, কে যে বোঝে আর কে যে বোঝে না, আদৌ যে কী, কেউ কী তা জানে বা জানবে, তাও বুঝি না!

৩৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: কঠিন একটা বিষয়ের উপস্থাপন বেশ ভালো হয়েছে , পোস্টের আলোচনাও ভালো লেগেছে ।

তবে দর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম বা নৈতিকতার ব্যাপারে যেভাবে বলছেন , ব্যাপারটা হয়ত অ্যাবস্যুলেটলি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সেরকম না । কিংবা , হয়ত বিজ্ঞান , দর্শন , দুই ব্যাখ্যাতেই কিছু , হয়ত , যদি , আছে । যেগুলো অতিক্রম করা সম্ভব না ।

গতি দিয়ে সময়কে পরাস্ত করা সম্ভব , কিন্তু অতিক্রম করা কি সম্ভব ? একই ডাইমেনশনে , স্থান অপরিবর্তন রেখে, শুধু গতি বাড়িয়ে কিভাবে আমি আমার অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ দেখব? তাহলে কি বলতে হবে একই সাথে আমার অতীত বা ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব রয়েছে ? তাহলে তো প্যারালাল ইউনিভার্স এর কথা বলতে হয় । যেখানে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ এ আছি !! কে জানে সেখানের নিয়তি আর পৃথিবীর নিয়তি এক কিনা !!

আমি নিজেও অবস্য খুব বেশি কিছু বুঝতে পারিনি , তবে শেষমেশ যেটা বলতে পারি , গতি বাড়িয়ে সময়কে প্রায় স্থির করে আমরা হয়ত অন্য ইউনিভার্স থেকে ঘুরে আসতে পারব , কিন্তু আমাদের অতীত কিংবা ভবিষ্যতে যাওয়াটা অসম্ভব !!!

৩৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জটিল সরল তাত্ত্বিক পোস্ট 8-|

৩৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: বিষয়টা বেশ জটিল।

কান্ডারি অথর্ব ভাইয়ের টাও পড়লাম।

বেশ জটিল আমার কাছে।

৩৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* ,



খুব জটিল একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন । এসব নিয়ে খোদ বিজ্ঞানীদের ভেতরই যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক আছে । আজ যেটা সঠিক বলে মনে হয় তা হয়তো কদিন পরেই আধাসত্য বা ভুল বলে মেনে নিতে হয় ।
সময় নিয়ে বলতে গিয়ে গতির (স্পীড) কথাও বলেছেন । শেষমেশ ধর্ম নিয়ে কিছু বললেও নৈতিকতার উল্লেখ তেমন একটা নেই । যাই-ই হোক , অনেক সহব্লগার অনেক অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা সহ মন্তব্য করেছেন । আমার মনে হয় সকল ব্যাখ্যাই হয়তো সঠিক, হয়তো নয় । কারন সৃষ্টিতে "চরম" বা "পরম" ( এ্যাবসোলিয়্যুট) বলতে কিছু নেই । এমতে কোনও ব্যাখ্যাই এ্যাবসোলিয়্যুট নয় ।

বিজ্ঞান একদিন চরম ও পরম সময় ও দুরত্বের (এ্যাবসোলিয়্যুট টাইম এ্যান্ড স্পেস )অনড় ও দুর্ভেদ্য দেয়াল গড়েছিলো । আইনষ্টাইন সাহেব এসে আপেক্ষিকতা দিয়ে বুঝিয়ে গেলেন, স্থান– কাল- পাত্র ( স্পেস – টাইম – ম্যাটার ) এরা কেউই "চরম" বা "পরম" নয় । এ আপেক্ষিকতা থেকেই কিন্তু বিস্ময়কর সূত্র E = mc² টির জন্ম । এ সূত্র ধরেই আলোর গতিতে চলমান পদার্থের জন্যে সময় অনড় দাঁড়িয়ে পড়ে । তাই আমাদের দৃশ্যমান জগতের দুর-দুরান্তে এবং বাইরে আইনষ্টাইন সাহেবের অনেক তত্ত্বই নড়বড়ে হয়ে যায় বা যেতে পারে টাইম এ্যান্ড স্পেস এর ঘোর চক্করে পড়ে ।

দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মতো সময় ও একটি মাত্রা ( ডিমেনশন) । সময়কে আবার প্রলম্বিত ( টাইম ডাইল্যুশন ) করাও যায় । আর তা করতে হলে কৃষ্ণগহ্বর (ব্লাকহোল) কেও টেনে আনতে হবে । এ সব ধরেই অতীত কিম্বা ভবিষ্যতে চলে যে যাওয়া যায় , তার আভাস বিজ্ঞান দেয় । যদিও আমাদের আজকের জ্ঞানে বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝে উঠতে পারছিনে আমরা ।

আমরা শুধু জানি , কসমোলজিকাল মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশানের প্রেক্ষাপটে আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি মহাবিশ্বে ছুটছে ঘন্টায় ৯ লক্ষ মাইল বেগে কাছাকাছি কন্সটিলেশান হাইড্রা আর সেন্টা্য়্যুরীর দিকে, একটি কলিশন কোর্সে । ভয় নেই, সেটা ঘটে উঠতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর লেগে যাবে । এভাবেই গ্যালাক্সিগুলো সরে যাচ্ছে একে অপরের থেকে ৪০০ কিলোমিটার / সেকেন্ড বেগে । এক্সপ্যান্ডিং য়্যুনিভার্স এর আলোকে বিজ্ঞান ধারনা করে, এভাবে যদি তাদের গতি বাড়তে বাড়তে আলোর গতিতে ছুটতে থাকে তবে একসময় তারা হারিয়ে যাবে আমাদের দৃষ্টি থেকে । আমাদের কাছে তারা অতীত হয়ে যাবে তখোন । এখোন যদি আপনি আলোর গতির কয়েকগুন বেশী গতির কোনও একস্ট্রাটেরিস্ট্রিয়াল বা ইন্টার-গ্যালাক্টিক শীপ এ চড়ে রওয়ানা দেন তবে হয়তো তাদের ধরে ফেলতে পারবেন । তার মানে পৃথিবীর কাছে যা অতীত সেই অতীতে চলে গেলেন আপনি ।
এখানে মনে হবে যে , আইনষ্টাইন সাহেবের থিয়রী খাটছেনা । কিন্তু সমস্ত কসমিক বস্তুর গতি যদি হিসেব করেন তবে দেখবেন বিশ্বব্রম্মান্ড বা স্পেস ও তো একই সাথে গতিশীল এবং তা গ্যালাক্সিদের গতির চেয়েও দ্রুত । তার অর্থ স্পেস প্রসারিত হচ্ছে তার সাথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গ্যালাক্সিদেরও । তবে ভয়ের কথা হলো, ৩ ট্রিলিয়ন বছর পরে যখোন কিছু কিছু গ্যালাক্সিদের গতি আলোর গতিকে ছাড়িয়ে যাবে তখোন ভবিষ্যতের কসমোলজিস্টরা জানবেন না, স্পেস আসলে কতো বিশাল যে ছিলো ।

যে ভিডিও ক্লিপটি পোষ্টের সাথে দিলেন তা কোনও একজনের থিয়রী । হয়তো এর সাথে অনেকেরই মত মিলবেনা । কারন এসব বুঝতে হলে কসমোলজী, এ্যাস্ট্রোনমী, পার্টিক্যল ফিজিক্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক অনেক জটিল এবং মাথা ঘুড়িয়ে দেয়ার মতো ব্যাপারকে বুঝতে হবে আগে । আর সত্যিকার ভাবে নিত্য নতুন গ্যালাক্টিক আবিষ্কারে তথ্য ও তত্ত্ব প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে, বদলেও যাচ্ছে । তাই সে কারনেই সমস্ত রকম পরিস্থিতিতে কোনও পর্য্যবেক্ষনকে ব্যাখ্যা করতে কোনও একটি থিয়রীই যথেষ্ট নয় ।

জানার কোনও শেষ নেই, জানার ইচ্ছে বৃথা তাই । হীরক রাজার দেশের এই তত্ত্বটা ধরে ঐদিকের ব্যাখ্যায় না গিয়ে আপনার ধর্মীয় প্রসঙ্গটি সম্পর্কে একটু বলি ।
বলেছেন , ………নিয়তি বা ভাগ্য নিয়ে আমরা প্রকৃতির নিয়ম রক্ষা করছি মাত্র - অতএব এই পোষ্টের বা এই পোষ্টের লেখার জন্য আমার তো কোন কৃতিত্ব নেই ।
এই পোষ্ট আর উল্লিখিত বাক্যগুলি আপনি যে লিখলেন, তাও হয়তো আপনার জানতে চাওয়া নিয়তির কথা মতো নিয়তি নির্দ্ধারিত বলেই পোষ্টটি দিয়েছেন আর তাতে ঐ কথাগুলো লিখেছেন । আবার তা না ও হতে পারে কারন এই নিয়তির বিষয়টি এখোন ও প্রমানিত নয় এবং তেমোন জ্ঞানবুদ্ধি আমাদের হয়তো অর্জিত হয়নি এ পর্য্যন্ত ।
আপনার শেষ প্যারাটির সূত্র ধরে বলি – আসলেই জীবনটা সিনেমার রীল বা ক্যাসেটের ফিতার মতো শুধু ফরোয়ার্ডের খেলা । এটা হয়তো সম্ভব ।
কোনও কিছু সংরক্ষনের একটি উদ্ধৃতি পবিত্র কোরআন এ আছে । সুরা আল-বুরুজ এর ২১ আয়াতে বলা হয়েছে - "উহা মহাসম্মানিত কোরআন " আর ২২ আয়াতে বলা হয়েছে –" লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত"।
মহান সৃষ্টিকর্তা আবার এও বলেছেন , তোমাদের সব কিছু "লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত" মানে যদি ধরি, আপনার কম্পিয়্যুটারের সি ড্রাইভের প্রোগ্রাম ফাইলের মতো কোনও বিশেষ স্থান যা পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা তেমনি একটি জায়গায় ঐ ফাইলটি রাখা আছে অর্থাৎ পবিত্র কোরআন রাখা আছে । তা খুলে সেটা থেকে কেউ কোনও তথ্য বিকৃতি বা তার পরিবর্ধন বা পরিবর্তন করতে পারবেনা কোন্ও মতেই , তাইনা ? আর যেহেতু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্য্যন্ত আমাদের প্রতিটি কর্মই মহান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয় বা তাঁর নির্দেশিত তাই ধরে নেয়া যায় , আমাদের সব কর্মই পূর্ব নির্দ্ধারিত । অর্থাৎ এই কর্মও প্রোগ্রামড । আর তা হয়তো সংরক্ষিত আছে সেই লওহে মাহফুজে । যা আর কারো পক্ষে পরিবর্ধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় ।

তাহলে আমাদের এই জীবনটা কি ? আপনার কথামতো এটা ঐ প্রোগ্রামড ডিস্ক এর সিম্যুলেটেড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি । যা চলছে সিনেমার রীল বা ক্যাসেটের ফিতার মতো । আসলটি রক্ষিত আছে লওহে মাহফুজে। এইরকম অল্টারনেটিভ রিয়েলিটির একটি চলচ্চিত্র আপনি দেখেছেন "Matrix" নামের সায়েন্স ফিকশানটিতে যা একটি অতিবুদ্ধিমান কম্পিয়্যুটারের সৃষ্টি ।

এব্যাপারে বিজ্ঞান বলে , বিশ্বব্রম্মান্ডের সব বস্তুরই " প্রতিবস্তু " রয়েছে । ম্যাটার আর এ্যান্টি-ম্যাটার । তার মানেই কুনোব্যাঙ এর একটি "প্রতি-কুনোব্যাঙ" আছে । অর্থাৎ কুনোব্যাঙ এর সিম্যুলেশান । আমাদেরটাও আছে । এখোন হয়তো আমাদের কপি কৃত (সিম্যুলেটেড) সিডি টি চলছে বলেই আমি এই মন্তব্যটি লিখছি আর আপনি এবং পাঠকেরা তা পড়ছেন । অরিজিনাল সিডিতে যা আগে থাকতেই রেকর্ড বা প্রোগ্রামড করা আছে ।

আমি অনেকবার "হয়তো" শব্দটি ব্যবহার করেছি । কারন আসল সত্যটি আমাদের কারোই জানা নেই ।
সত্যটি জানতে আপনার মতোই বলি - ভবিষ্যতই বলে দেবে । তবে সে ভবিষ্যত কতো দুরে ?

মহান সৃষ্টিকর্তা কোরআনে বলেছেন , "আমি যা জানি, তোমরা তা জানোনা"। সুতরাং অপেক্ষা করতেই হবে ......





৪০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঈদ মুবারক ভ্রাতা !:#P

৪১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২২

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: পোস্টের চেয়ে মন্তব্যগুলা আকর্ষনীয়। ক্রেদিট পোস্টেরিই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.