নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একমাত্র বিরোধী পক্ষ!!

*কুনোব্যাঙ*

তফাত যাও সব ঝুঁট হ্যাঁয়!

*কুনোব্যাঙ* › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন আছেন ঢালচরের জেলেরা?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭


বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলার সর্বদক্ষিণের উপজেলার নাম চরফ্যাশন। এই চরফ্যাশন উপজেলার একেবারে প্রান্ত সীমায় মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলের ছোট্ট একটা দ্বীপের নাম ঢালচর। তিনদিক থেকে ভাঙ্গনের মুখে থাকা ছোট্ট এই দ্বীপটির জনবসতি প্রায় সম্পুর্ণই জেলে নির্ভর। নিসর্গ প্রেমিকদের কাছে এই দ্বীপের আরেকটি পরিচয় হলো কেওড়া বন ও তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকতের মতো প্রাকৃতিক সৌন্ধর্য্যের লীলাভূমি এই ঢালচর।

প্রকৃতির এই সৌন্ধর্য্য উপভোগ করতে আমরাও কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম ঢালচর। প্রকৃতির কোলে রাত যাপন করে ফিরতি পথে ট্রলার ঘাটের এক রেস্তোরায় আমাদের কথা হলো ঢালচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আবুল কালাম পাটোয়ারীর সাথে তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম স্থানীয় জেলেদের সমস্যা সম্ভাবনা ও চওয়া নিয়ে।

এবারের মৌসুমে কেমন মাছ পাচ্ছেন?
আলহামদুলিল্লাহ্‌ অন্যান্য বছরের চাইতে এবছর মাছ অনেক বেশি।

শোনা যায় স্থানীয় জেলেরা মাছের ন্যায্য দাম পায় না?
মাছ বিক্রির সাথে জেলেদের পাশাপাশি আরো অনেকে জড়িত। স্থানীয় জেলেদের মাছ যদি শুধু দেশের বাজারের চাহিদা মেটানোর কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে সেটা কারো জন্যই অতটা লাভজনক না।

তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বিদেশে মাছ রপ্তানীর সুযোগ আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন?
জেলেদের ন্যায্য দাম দিতে হলে এর বিকল্প নাই। শুধু দেশের বাজারে আমাদের মাছ বিক্রি করে সেটা দিয়ে জেলেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব না।

বিদেশে মাছ রপ্তানির সুযোগ বেশি করলে দেশের বাজারে মাছ সংকট দেখা দিতে পারে?
না, যে পরিমাণ মাছ আহরিত হয় তাতে বিদেশে মাছ রপ্তানি আরো অনেক বাড়ালেও দেশের বাজারে মাছের কোন সংকট তৈরি হবে না।

এবার হয়তো মাছ বেশি ধরা পড়েছে বলে আপনি এটা বলছেন কিন্তু প্রতি বছর তো পর্যপ্ত মাছ আহরিত নাও হতে পারে?
মাছ ধরা না পড়লে রপ্তানি কতটুকু করা যাবে সেটা নাহয় পরে বিবেচনা করা গেলো কিন্তু যখন মাছ বেশি ধরা পড়ছে তখনও তো রপ্তানির সুযোগ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

আপনি শুধু একটা সমস্যা চিহ্নিত করলেন। স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার পর্যাপ্ত উপকরণের সংকট কি নেই?
সেটা তো আছেই। সরকার থেকে জেলে প্রতি চাল দেয়া হয় ৩০ কেজি, জাল দেয়া হয় ২০ কেজি। তাও অল্প কিছু জেলেকে এটা দেয়া হয়। এটা দিয়ে তো একটা মাছ ধরার ট্রলার নামানো সম্ভব না। যার কারণে জেলেরা স্থানীয় মহাজনদের কাছে দাদনের স্মরণাপন্ন হয়। দেখা যায় একেকজন জেলের দাদন আছে চার লাখ পাঁচ লাখ।

তাতে তো বলা যায় জেলেরা মহাজনদের কাছে একপ্রকার জিম্মি?
বলা যায় আবার যায়ও না। একটা নৌকার পেছনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭ লাখ টাকা, জাল লাগে ২০ থেকে ৩০ মণ। এখন তারা যদি দাদন না পায় তাহলে এ টাকা তারা সংগ্রহ করবে কোথা থেকে।

ঢালচরের জেলেদের কত শতাংশ সরকারী চাল আর জালের সুবিধা পায়?
এটা খুব বেশি না। এই ঢালচরে জেলে আছে ধরেন পাঁচ হাজারের মতো আর সরকারী চাল জাল এগুলো পাচ্ছে ৫০/১০০ জন।

জেলেদের দাদনের হাত থেকে বের করে আনা সম্ভব কীভাবে বলে মনে করেন?
জেলেদের নিজস্ব তো কোন টাকা পয়সা নাই। এখন সরকারীভাবে জেলেদের যদি মাছ ধরার উপকরণ দেয়া হয় তাহলে হতে পারে। কিন্তু এটাও তো অনেক টাকা সরকারে পক্ষে জেলে পিছু এত টাকা দেয়াও সম্ভব হবে কিনা!

এক কাজ করলে কেমন হয়। ধরেন ২০/৩০ জন জেলে নিয়ে সমবায় ভিত্তিতে জেলেদের মাছ ধরার পর্যাপ্ত জাল ও মাছ ধরার ট্রলার দিলে?
এটা হলে হতে পারে। তবে শুধু ট্রলার আর জাল দিলেই তো হবে না। তারা যে মাছ ধরে আনবে তাদের ন্যায্য দামটাও নিশ্চিত করতে হবে। যতদিন মাছের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা যাবে ততদিন কোনভাবেই জেলেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব না।

ঢালচরবাসী হিসেবে আপনাদের বর্তমান চাওয়া কি?
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ঢালচরটা কীভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে। প্রতি বছর অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে। সরকার যদি কিছু ব্লক ফেলে ভাঙ্গনটা রোধ করার চেষ্টা করতো তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো। আর তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে যারা ভিটেমাটি হারাচ্ছে তাদেরকে নতুন জেগে উঠা চরগুলোতে বৈধভাবে বসবাসের অনুমোদন দিলেও আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে দিন যাপন করতে পারি।



ঢালচরের একটি বাজার


চলছে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা এই ফাঁকে জেলেরা ঠিক করে নিচ্ছে তাদের উপকরণ


ঢালচরের মেঠোপথ


কথা বলছেন সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আবুল কালাম পাটোয়ারী (ছবি- জেরিফ)


নিসর্গ(ছবি- আমিনুর রহমান)


তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত

ভ্রমণ পিপাসুগণ প্রায়ই ছুটে যান দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেখানে অনেক কারণেই মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোর নিয়মিত খবরাখবর নেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। তাই ট্রাভেলারগণ চাইলেই পারেন প্রকৃতির পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা চাওয়া পাওয়ার তথ্য তুলে আনতে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির এই মুক্ত গণমাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে নাগরিক সাংবাদিকতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বিকল্প গণমাধ্যমে উঠে আসবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষে জীবনযাত্রা, চাওয়া-পাওয়া ও সুখ-দুঃখের চিত্র।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অপু তানভীর বলেছেন: আরো ফটু দেন !

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এই নেন আরো দুইটা দিলাম। কারো থেকে আলাদা একটা ফটোব্লগ আসতে পারে।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। কিছুটা ব্যতিক্রমীও বটে। বাংলাদেশের চরাঞ্চলগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার এবং অবহেলিত। ভোলা, মনপুরা, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ইত্যাদি চরগুলো প্রায় একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এই স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে যদি দীর্ঘ মেয়াদী সুপরিকল্পিত কোন পর্যটন ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতো তাহলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক পরিবর্তন খুব সহজেই ঘটত। পাশাপাশি দেশ বিদেশের ভ্রমন পিপাসু মানুষের কাছে পেত ভিন্ন মাত্রা। আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে, যে দেশগুলোকে প্রকৃতি তেমনভাবে আর্শিবাদ করে নি, সেই দেশগুলো প্রকৃতির সাথে লড়াই করে, কৃত্তিমতার সাহায্য নিয়ে পর্যটক আকর্ষন করছে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেশের উপর প্রাকৃতিক আর্শিবাদ থাকা স্বত্তেও আমরা অন্তত পর্যটন খাতে লজ্জাজনকভাবে পিছিয়ে আছি। সরকার এই ব্যাপারে আগ্রহী হলে, একটা বড় অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে পারে।

মাছ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব যে কথাটা বললেন, সেটা আমার মনে হয়েছে বর্তমানের প্রেক্ষিতে কিছুটা উচ্চভিলাসী। এখানে যে পরিমান মাছ ধরা পরে, তার সঠিক কোন ড্রেস্টিবিউশন চ্যানেল প্রায় নেই বললেই চলে। প্রতি পদে পদে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব, কোল্ড স্টোরেজের অভাব ইত্যাদি কারনে তৃনমূল পর্যায়ে জেলেরা লাভবান হচ্ছে না। জেলেদের সাথে আমিও সময় কাটিয়েছিলাম। পরে সুযোগ করে আবার মন্তব্য করব।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চেয়ারম্যান সাহেবের কথা আমার নিজের কাছেও অনেকটা উচ্চাভিলাসী মনে হয়েছে। এর একটা কারণ হতে পারে উনি জেলেদের অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং একই সাথে একজন মাছ ব্যবসায়ী। তাই তাঁর কথায় ব্যবসায়িক লাভের দৃষ্টিভঙ্গিটা তুলনামূলক বেশি। লেখাটি আরেকটু তথ্যবহুল বা স্থানীয় আরো দুই চারজনের বক্তব্য নিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সময়ের অভাবে সেটি করতে পারিনি।

যারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেড়ায় তাদের মাধ্যমে সেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ মানুষের জীবনযাত্রা চাওয়া পাওয়া সুখ দুঃখ সমস্যা সম্ভাবনার কথা উঠে আসতে পারে অতি সহজেই। যেখানে মূল ধারার গণমাধ্যম সেভাবে নিয়মিত যেতে পারে না। একই সাথে সেখানকার চিত্র নিয়ে অন্যান্যদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে উঠে আসতে পারে সেখানকার মানুষের সঠিক একটি চিত্র। নাগরিক সাংবাদিকতার এমন একটি সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেই পোষ্টটি দেয়া।

চরাঞ্চলের জেলেদের নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা ও মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ডাল চরের জেলেদের বিষয়ে অনেক তথ্য জানা গেল । মাছ ধরা মোটামোটি একটি লাভজনক পেশা , বিশেষ করে উপকুলীয় এলাকায় যেহেতু সেখানে ইলিশ সহ অনেক বৈচিত্রময় মাছ ধরার সুযোগ রয়েছে এই সুয়োগকে অআরো বাড়াতে হবে , তাদেরকে তাদের ধৃত মাছের জন্য সংরক্ষন ও বিপনন ব্যবস্থার উন্নয়ন আবশ্যক। তবে বানের জলে ভেসে যাওয়া রাস্তা ঘাট এলাকাবাসীর নিত্যদিনের সমস্যা । মানুষদেরকে নরবরে সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয় বছরের অনেকটা সময় যেমনটি নীচের চিত্রে দেখা যেতে পারে । লেখক তুলে ধরেছেন যে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ঢালচরটা কীভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে। প্রতি বছর অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে। সরকার যদি কিছু ব্লক ফেলে ভাঙ্গনটা রোধ করার চেষ্টা করতো তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো । মানুষের এই দু:খ কস্ট দুর করার জন্য কতৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি।

পোস্টের উপসংহারের কথাটি ইন্টারনেট প্রযুক্তির এই মুক্ত গণমাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে নাগরিক সাংবাদিকতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বিকল্প গণমাধ্যমে উঠে আসবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষে জীবনযাত্রা, চাওয়া-পাওয়া ও সুখ-দুঃখের চিত্র। খুবই গুরুত্বপুর্ণ এই ধারাটিকে যথাযথভাবে স্বিকৃতি দেয়ার জন্য সামুর প্রতিও রইল সাধুবাদ ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিছুদিন আগে কবি হেলাল হাফিজের একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় উনি বলেছিলেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য যে এদেশে এখন পর্যন্ত কৃষি বান্ধব কোন সরকার পাওয়া গেলো না।'
কবির সাথে হয়তো আমাদের সকলের অনেকটাই একমত হতে হবে। কারণ সাধারণ চোখেও এদেশের কৃষক ও জেলে সমাজ সারা জীবন অবহেলিতই থেকে গেলো। সুজলা সুফলা এদেশের মাটিতে ও পানিতে যে পরিমাণ সোনা ফলে এটাকে একটু যত্ন করতে পারলে হয়তো আমাদের অন্য কিছুর প্রয়োজন ছিলো না। সারা বিশ্ব যে সময় তাদের খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ঠিক সে সময় আমরা আমার থাকা সম্পদগুলো এবং তাদের চাষীদের রীতিমতো অবজ্ঞা ভরে ঠেলে দিচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা স্থানীয় সম্পদ থেকে কতটুকু সম্ভব হবে নাকি আদৌ সম্ভব হবে না সেটি আমরা জানিনা।

অনেক ধন্যবাদ তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: যেখানে যান, সেখান থেকে কিছু তুলে আনার চেষ্টা করেন । এটা খুব ভাল দিক ।
বাংলাদেশের চরাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ।প্রকৃতিপ্রেমীরা অবহেলিত চরাঞ্চলে গিয়েও ভ্রমন আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে সেটা আপনাদের দেখেই বোঝলাম ।
মূল প্রসজ্ঞে আসি -
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সেই পদ্মা নদীর মাঝি থেকে আজ অবধি মামুন ভাই পর্যন্ত জেলেদের এমন অবস্থা কেন ?????
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাছ অনেক লাভ ।জেলেরা যতটা গতর খাটেন, মাছ ঠিক মত জালে ধরা পড়লে সেই গতর নস্যি ।
মাছের চাহিদা এবং বাজার দর আশা করি মামুন ভাই জানেন । মাছের দালালদের কাঁচা ঘর পাকা হয়ে যায় আর জেলেদের সেই ছনের বেড়ার ঘরই থাকে ।
আড়ৎদারদের কথা নাইবা বল্লাম ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কারণ আমাদের জীবনের প্রধান মৌলিক চাহিদার উৎপাদকদের আমরা বরাবরই অবমূল্যায়ন করে এসেছি। জাতিগতভাবে আমাদের ধারণা জন্মেছে যে অফিসার হলেই বা ব্যবসায়ী হলেই বা শিল্পপতি হলেই সেটাই পূজনীয়। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে প্রকৃতির ভান্ডার থেকে যারা আমাদের জন্য বেঁচে থাকার খাদ্য সঞ্চয় করছে তারাই যে প্রকৃত সম্মানের অধিকারী এবং তাঁদের ভালো থাকার মাঝেই যে আমাদের বেঁচে থাকার নিয়তি সেটা আমরা বেমালুম ভুলে বসে আছি। আমরা অফিসার হচ্ছি, আমরা শিল্প গড়ছি আমরা শহর গড়ছি। সব ঠিক আছে কিন্তু একই সাথে আমরা এই কৃষক জেলেদের কামলা বা জামলা বলে যে অবমূল্যায়ন করছি এটার একটা বড় খেসারত আমাদের একদিন দিতেই হবে। এখন থেকে সজাগ না হলে তখন আর চাইলেও করার কিছু থাকবে না শুধু আফসোস ছাড়া।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পোষ্টে আমিনুর ভাই আর জেরিফ এখনো অনুপস্থিত :P :P :P
অভিদা সহ !

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তাদের সবার ঘোরাঘুরির নেশায় পেয়েছে। সবাই মিলে হয়তো পরিকল্পনা করছে আবার কোথায় ছোটা যায়।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মা.হাসান বলেছেন: পোড়ে খুব ভালো লাগলো। বিলেত-আমেরিকার খবর মাউসের এক ক্‌লিকে পেয়ে যাই, বড়োবড়ো শহরের কথা ও শুনতে পাই, এই পোস্‌ট না পোড়লে এরকম জায়গা আছে তাই জানতে পারতাম না। অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এইতো শহর নির্ভর সভ্যতা এ মরিচিকাময় ধারণার বাইরে গিয়ে আমরা সবাই মিলে বিকল্প গণমাধ্যম যেখানে আমাদের লেখার বলার স্বাধীনতা রয়েছে সেখানে এসব তুলে আনবো। যে যেখানে যাবেন সেখান থেকে আমাদের বলবেন স্থানীয় মানুষ ও প্রকৃতির চিত্র। আর আমরা হবো সমৃদ্ধ।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* ,



শীতকালে নাকি কুনোব্যাঙরা "হাইবারনেশানে" যায়, শুনেছি । আর এ যে দেখি শীতের শুরুতেই অনেকদিনের ঘুম থেকে তার গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা । ভালো লাগলো দেখে ।

এবারে আসি আসল কথায় -
কাল্পনিক_ভালোবাসার মন্তব্যের সাথে একমত । তার বক্তব্যের ভেতরে এটাই জেলেদের সমস্যার মূল কারনগুলির একটি - আহরিত মৎস সম্পদের জন্যে সঠিক কোন ড্রেস্টিবিউশন চ্যানেল নেই ।
এর ফলে আহরিত মাছ প্রক্রিয়াজাত করনের অভাবে পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে । আর এখানেই মধ্যস্বত্বভোগীরা জেলেদেরকে ফাঁদে ফেলে পানির দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করে । ফলে জেলেদের লগ্নিকৃত অর্থ ( জাল , নৌকা , সাগরে থাকার খাই-খরচা ইত্যাদিতে ) ফেরত আসার সম্ভাবনা থাকেনা । মজার ব্যাপার হলো এই মধ্যস্বত্বভোগীরা প্রায়ই হয় - তাদেরই দাদনদাতা ।

ডঃ এম এ আলী ও ভালো বলেছেন - ধৃত মাছের জন্য সংরক্ষন ও বিপনন ব্যবস্থার উন্নয়ন আবশ্যক। অবশ্যই ।

মৎসজীবীদের সমবায় আছে জানি । কিন্তু তা কোনও কাজের নয় শুধু আপদে বিপদে টাকা কর্জ দেয়া ছাড়া । কাজের কাজ হবে, এই সমবায় সকল জেলেদের মৎস সংগ্রহ করবে , সংরক্ষনের ব্যবস্থা করবে । বিপণনের সামগ্রিক হাতিয়ার যেমন নিজস্ব পরিবহন, মৎস সুরক্ষা, পথে পথে চাঁদাবাজীর হাত থেকে বাঁচানো, নির্ভরযোগ্য বাজার খোঁজা ইত্যাদির সর্ব ক্ষমতা নিজেদের আয়ত্বে আনতে পারবে । অর্থাৎ আহরন থেকে শুরু করে বিক্রয়লব্দ অর্থ মৎসজীবীদের হাতে পৌছানোর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার ভার তাদেরকে নিতে হবে । যেমন ভারতে দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের সমবায় সংগঠন " আমুল" করে থাকে ।
এমনটা হওয়া সম্ভব কিনা এটাও ভেবে দেখার দরকার ।

পোস্টের বিষয়বস্তুর জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শীত তো এখন এসে সারেনি জি এস ভাই :P তাছাড়া ব্লগের কিছু ছন্নছাড়া মানুষের জন্য ইচ্ছা থাকলেও হাইবারনেশনে যেতে পারি না :(

একটা দেশের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যদি থাকে শুধু মধ্যসত্ত্বভোগী এবং উৎকোচ গ্রহীতা তাহলে কীভাবে চলে বলেন। এই যে দেখেন আমুলের মতো বাংলাদেশেও মিল্কভিটা নামে একটা দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের সমবায় রয়েছে। কিন্তু আসলে হচ্ছেটা কি সেখানে !
নদীপথে মাছ আসবে সেখানে জেলে থেকে ভোক্তা এমন একটি ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল করা বোধহয় খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা না। এরজন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা। কিন্তু যেখানেই যাবেন যাকেই বলবেন সেই এতগুলো সমস্যার গল্প শুনিয়ে আপনাকে বুঝিয়ে দিবে যে এটা কত কঠিন একটা কাজ। আর আমরা সবাই জানি সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে সেটি দিয়ে ভূত তাড়ানোর চিন্তা অনেকটাই অমূলক।
জেলে পাড়ার যারা যারা মহাজন রয়েছে তাদের সরাসরি কথাতে আপনি শুনতে পারবেন জেলেরা তো শুধু গায়ে খাটা কামলা। তারা মাছ ধরে আনবে আর মহাজনদের দিবে এটাই হয়তো হয়ে গেছে জেলে পাড়ার একটা অঘোষিত নিয়ম। এত বছর ধরে দাদন নামক এক শেকলে বন্দি এদেশের জেলেরা সেটা কি প্রশাসন বা দায়িত্বশীল মহল অবগত নয়, অবশ্যই অবগত। কিন্তু এত বছরেও এর কোন পরিবর্তন আসেনি।

গঠনমূলক বক্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় জি এস ভাই

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩

ভুলই শুদ্ধ আবার শুদ্ধই ভুল বলেছেন: এখানে অনেকেই বিশাল বিশাল বক্তব্য দিয়েছেন, আমি নিশ্চিত এখানে যারা মন্তব্য দিয়েছেন তারা কেউই এসব এলাকায় দশ দিনও থাকেননি। আবার এখানে যারা আছেন তাদের কেউই হয়ত Production-Supply Chain-Demand - Price নামক বিষয় গুলো সম্পর্কে তেমন জানেন না।আবার যেসব দেশের উদাহরন দেন বা সাবকিছু পারফেক্ট বলে সার্টিফাই করেন আর বলেন, " ইস! আমাদের দেশ কবে এসব দেশের মত সব পারফেক্ট হবে "। তাদের নিয়ে এখন আর ককিছু বলতে চাই ননা ।একটি জিনিস জানেন, এমন কোন দেশ নাই যেখানে মধ্যোস্বত্ব ভোগি নেই। এবং দেশ যত উন্নত হবে তাদের তত বেশি মধ্যস্বত্ব ভোগী। এপেল, মাইক্রোসফট, ইন্টেল, টয়োটা, এডিডাস, কোকাকোলা,এমাজন বা ম্যাকডোনাল্ড এরা সবাই কিন্তু মধ্যস্বত্ব ভোগী। এদের সকল ব্যাবসাই মাঝখানে শুধু ব্রান্ড ভ্যালু ব্যাবহার করে প্রোফিট নেয়া।
শুধু দুদিন এমেচার ট্রিপ করে এসেই, এটা করা উচিত ওটা করা উচিত বলা, সত্যি উচিত না। ভোলার এসব জায়গায় আমি অনেক দিন ছিলাম, শুধু মাত্র মাইক্রো ইকোমিক্স ইন ফিশার লাইফ নিয়ে একটা রিচার্স করার জন্য। তাও প্রায় দের বছরের মত সেখানে আমি কাজ করেছি, রিচার্সের ডাটাবেজ ডেপ্লপ করার জন্য।
ভোল সহ সকল চর বেষ্টিত জেলা গুলোতে সাধারন মানুষের জীবন ব্যাবস্থা খুবই অমানবিক। আমাদের দেশ গুলোর মত অর্থনীতির দেশ গুলোর সকল চর এলাকার মানুষের জীবন মান প্রায় একই।এসব এলাকাজুড়ে শুধু জেলেদের কথা বাদ দিয়ে সেসব এলাকার সাধারন মানুষের জীবন মান দেখলে বুঝতে পারবেন, সেখানেও কত হাহাকার।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রথমতঃ মন্তব্যের ঘরে আমরা বিভিন্ন মতামত দিলেও মূল পোষ্টের বক্তব্যগুলো কিন্তু সেখানকার স্থানীয় একজন সাবেক জনপ্রতিনিধির থেকে তুলে আনা। এবং আশা করা যায় সে অঞ্চলে এই জনপ্রতিনিধির অবস্থান দেড় বছরের চাইতে বেশি এবং সেখানকার মানুষের সাথে যোগাযোগের মাত্রাও বেশি। অতএব চেয়ারম্যান সাহেবের কথাগুলোকে এমেচার ট্রিপ বলে খাটো করে দেখা সম্ভবত উচিত না, সত্যি উচিত না।

দ্বিতীয়তঃ মধ্যস্বত্বভোগী কথাটির শাব্দিক বা প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ যাই থাকুক এটি কিন্তু আমাদের এদেশে অনেকটা নিন্দাজনক শব্দ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। কেন ব্যবহৃত হয় সেটি আপানার মতো প্রান্তিক পর্যায়ের মাইক্রো ইকোনোমিক্স গবেষকগণের ভালোই জানা থাকার কথা। সুতরাং ম্যাকডোনাল্ড, কোকাকোলা, বাংলাদেশ ব্যাংক আর জেলে পাড়ার মধ্যস্বত্বভোগীর পার্থক্য নিয়ে আপনাকে বিশেষ কিছু বলার নেই।

তৃতীয়তঃ ধরুন আপনি সেখানে গিয়েছেন মাইক্রো ইকোনোমিক্স নিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ধরে নিতে পারি আপনার মতো হাজার হাজার গবেষক, সার্ভেয়ার সেখানে গিয়েছেন গবেষণা করেছেন। কিন্তু আপনি নিজেই বললেন সেখানকার সকলের অবস্থা অমানবিক। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আপনারা স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর ধরে সেখানে গিয়ে গিয়ে আসলে করেছেনটা কি? প্রায়োগিক দিক দেখাতে না পারলে তো সাধারণ মানুষ তত্ত্বীয় ব্যাপারে পেট ভরাবে না।

এবার আসুন কেন হয়নি? সমস্যা কি জানেন? মানুষ যখন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের থেকে কিছুই পায়না তখন ধরে নেয় দায়িত্ব সব সাধারণ জনতার হাতেই তুলে নিতে হবে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এক ধরণের পাবলিক ভয়েস। আমরা বিশ্বাস করি আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমেই সাধারণের হাত ধরে মূল সমস্যা উঠে আসবে। অনুগ্রহ করে এটিকে সমর্থন করুন।

এই ব্লগের বা এই ব্লগের বাইরে অনেকেই প্রায় নিয়মিত শুধু চরাঞ্চল নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় (হাহাকার শুধু চরে নয় অনেক স্থানেই), তাদের পক্ষে সম্ভব প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের চাওয়া পাওয়ার কথা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। দয়া করে এটিকে এটিকে নিরুৎসাহিত করবেন না, করা উচিতও না, সত্যি উচিত না।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: নট আ টিপিক্যাল ব্লগ পোস্ট। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের এই দুর্দশায় ব্লগ জার্নালিজম দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। শুভকামনা রইলো।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যাবাদ হামা ভাই।

ব্লগে লগিন করা হয়নি অনেকদিন তাই রিপ্লাই দিতে দেরি করে ফেললাম।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



হাসান ভাইয়ের কথাটাই বলতে চাইছিলাম ...
প্রতিটি ট্রাভেলারকে এই ম্যাসেজটা পৌঁছে দিতে হবে ...

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ট্রাভেলাররা চাইলেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সুখ দুঃখ চাওয়া পাওয়ার কথা নিয়মিত তুলে আনতে পারে। সিটিজেন জার্নালিজমের যুগে এটা প্রয়োজন।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। +++

২০১৩ সালে গিয়েছিলাম ঢালচর আর তারুয়া সৈকত। আমি একটা বিষয়ে একটু কনফিউজড, আমার জানামতে এবং ভ্রমণের স্মৃতি অনুযায়ী; ঢালচর আর তারুয়া দুটি আলাদা চর, তবে কাছাকাছি, ঢালচরের আরও কিছু নাম আছে, কালীর চর, কি একটা বাগান এরকম। ঢালচর থেকে তারুয়া যেতে ট্রলারে মিনিট চল্লিশেকের মত লেগেছিল তখন। আমার বুঝতে বা জানায় ঘাটতি থাকতে পারে, আশা করি ভুল বুঝবেন না।

ভাল থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে। আর হ্যা, হাসান ভাইয়ের কথাটা ভাল লেগেছে, "ট আ টিপিক্যাল ব্লগ পোস্ট। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের এই দুর্দশায় ব্লগ জার্নালিজম দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।"

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার ঢালচর তাড়ুয়া ভ্রমণের পোষ্ট পড়েছিলাম। ঢালচর হলো বসতি আর তাড়ুয়া হলো কেওড়া গাছের কৃত্তিম বন। তবে বছর দুই ধরে ঢালচর এতটা ভেঙ্গেছে যে ঢালচরকে আলাদা করার আর তেমন সুযোগ এখন নেই। কিছুদিন আগে সোনার চর থেকে ফেরার পথে একজনকে ঢালচরের কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, জানালো এ বর্ষায়ও আরেকটা বাজার ভেঙ্গে যাওয়ার পথে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ বোকা মানুষ

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চমৎকার! কোন একদিন যাওয়ার ইচ্ছেটা মাথায় চাপল

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: একদিন ঘুরে আসুন ভাই

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪

একজন আরমান বলেছেন:
দারুন পোস্ট।
হামা ভাইয়ের সাথে একমত।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এইবার আশা করেছিলাম পটুয়াখালিতে আপনার সাথে দেখা হবে।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



দ্বীপের আনুমানিক আয়তন কত?

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ৭/৮ বর্গ কিলোমিটারের মতো টিকে আছে মনেহয়।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

ধুতরার ফুল বলেছেন: আর পোস্ট করছেন না কেনো?

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেকগুলো কারণ আছে। এরমধ্যে প্রধান দুইটি হলো আলসেমি আর মাথার স্টক :(

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

শায়মা বলেছেন: কুনোব্যাঙ ভাইয়া!!!!!!! :)

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জ্বী আপু , অনেকদিক পর এ এলাকায় আসলাম

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিভাবে ওখানে যেতে হয়? লন্চে কোথায় নামতে হয়, তারপর যাওয়ার ব্যবস্হা কি?

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সদরঘাট থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়া অথবা ঘোষের হাঁট লঞ্চঘাট। সেখান থেকে সড়কপথে চর কচ্ছপিয়া, চর কচ্ছপিয়া থেকে ট্রলারে ঢালছর। ঢালচরের শেষ বাজারটা সম্ভবত এবছর ভেঙ্গে গেছে

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এর জেলেদের কথা এবং আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জেলেদের ভাগ্যোন্নয়নে সমবায়ভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়ন একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। কী কএ সেটা করা যায়, তার কিছু কথা আহমেদ জী এস বলে দিয়েছেন। ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

পোস্টে সপ্তম ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.