![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনিতী ঘৃনা করি। বন্ধু ভালবাসি । দেশকে ভালবাসি......।
জামান সাহেব ভয় পেয়েছেন। তিনি খেয়াল করলেন ভয়ে তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। হাতে পানির গ্লাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কারন খুজছেন। এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন। নাম ডাক ভালই আছে। এক ছেলে ডাক্তার, মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছনে ভাল ঘরে। নিজে স্ত্রীকে নিয়ে ছেলে সহ থাকেন। কোন অভাব তো নেইই এমন কি কোন ঝামেলাও নেই। অথচ তিনি ভয় পাচ্ছেন। তা আবার সামান্য একটা চরের কারনে ভয় পাচ্ছেন।
বয়সের কারনে ঘরের দরজা লাগাতে মাঝে মাঝে ভুলে যান। আজকেও ভুলে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ঘরে চোর ঢুঁকে পরে। কিন্তু কিছু নেয়ার আগেই ধরা পরে যায়। নরম মনের মানুষ জামান সাহেব শুধু একটা চড় দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ততোক্ষণে বাসার সামনে লোক জমে যায়। একটা চড় তাদের মনকে শান্ত করতে পারে না। তারা চোরটাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে বেধে রাখে। তাতেও কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু পাশের বাড়ির বাংলার প্রফেসার যখন বলে উঠেন যে চোরের বাড়িতে গিয়ে ‘অনুসন্ধান’ করা উচিত যে সে আর কি কি চুরি করসে তখন থেকেই ঝামেলা শুরু......।
‘অনুসন্ধান’- শব্দটা কেমন যেন পরিচিত লাগছিল জামান সাহেবের কাছে।
এর মাঝেই চোরটা বলে উঠে “আমার বাইত গিয়া ‘তালাশ’ কইরা দেহেন, কিচ্ছুই পাইতেন না”
‘তালাশ’- শব্দটাও তার কাছে খুব পরিচিত লাগে। শব্দ দুটো শোনার পর থেকেই তিনি ভয় পাচ্ছেন।
জামান সাহেব পানির গ্লাসটা নামিয়ে রাখলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন কেন ভয় পাচ্ছেন। এখন আর ভয় না পেলেও চলবে। তার শুধু একটা কাজ করলেই হবে, চেক করতে হবে যে তার চরের কোন ভিডিও ফুটেজ আছে কিনা? কারন বলা তো যায়না চোরটা আবার কিছু অনুসন্ধান করতে আসেনাই তো?
©somewhere in net ltd.