নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বইমেলা>আত্মস্বীকৃতি>উন্নয়ন
__________________
বিদ্যা কি জোর করে গেলানো যায়?অনেকদিন ধরেই গবেষণা করছি সত্যিই যায় কিনা?এর উৎস অবশ্য বড় বড় সাহিত্যিকদের লেখা থেকেই নিয়েছি।ওরাও বলার চেষ্টা করেছে যে বিদ্যা জোর করে গেলানো যাবেনা তবে আজকাল আর ঐ কথার মাঝে আর তেমন সীমাবদ্ধতা খুব একটা খুঁজে পাইনা।মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী হোক আর না হোক তাকে জোর করে হলেও শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে দরকার হলে অনুনয় বিনয়াবনতা করতেও পিছপা হওয়া চলবেনা। আজকাল কার কিছু লেখককে এটাই করতে দেখি,, দেখছি সামনের দিন গুলোতেও দেখবো বিশেষ করে ফেসবুক কেন্দ্রিক যারা লেখক আছে(সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এদের পদার্পণ আনাগোনাটা একটু বেশীই।পাঠক সব সময় স্বাধীন ও মুক্তচিন্তার অধিকারী তার কোনটা ভাল লাগবে কিংবা লাগবেনা এটা একান্তই তার ভাবনার বিষয় সেখানে যদি পাঠককে অনুরোধে ঢেঁকি গেলানো হয় তাতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেয়া যায়না।আজ অবধি অনেক গুণীজনের(লেখক সম্প্রদায়) সাথে চলেছি উঠছি বসছি খেয়েছি।গতকালও অনেকটা সময় ওনাদের সঙ্গে কাটিয়েছি ওনাদের বই নিয়ে একে অন্যের মতামত পাঠক প্রিয়তা নিয়ে কথা বলেছি।যারা অনেক আগে থেকেই লেখক কবি তকমা পেয়ে এসেছেন।ওনাদের কাছ থেকে সব সময়ই শেখার চেষ্টা করেছি ওনাদের প্রতিটি কথা খুবই মনযোগের সহিত শুনেছি তাদেরকেও বলতে শুনেছি ভাল লেখার কদর আজো বিদ্যমান আছে।আর এই লেখা পড়ানোর জন্য মানুষকে আহবান জানাতে কিংবা অনুরোধ করতে হয়না পাঠক নিজে থেকেই সংগ্রহ করে নেয়।এমন ও দেখলাম সেই ধামরাই থেকে পাঠক বই কিনতে বই মেলায় এসে লেখিকার জন্য স্টলে দাঁড়িয়ে থেকেছেন বহুক্ষণ বেচারা ১৫ টি বই নিবেন লেখকের অটোগ্রাফ সহ কিন্তু বিধিবাম সেইদিন লেখকের একটি কপি ছাড়া সমস্ত কপি বিক্রি হয়ে যায়।কি আর করার একটি কপি নিয়েই পাঠক চলে গেল পরের দিন এসে সংগ্রহ করবে বলে।
::
আমি এমন অনেক লেখককেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনি ও জানি যারা নিজে নিজেদের লেখাকে ভাঙে সমালোচনা করে সেটিকে আরো কতটা যুগোপযোগী করা যায় তা নিয়ে ভাবে।নিজের লেখাকে বিভিন্ন ছাঁচে ফেলে তারপর ইচ্ছে প্রকাশ করে একটা বই বের করার।বই প্রকাশ করলেই কি কবি কিংবা লেখক তকমা পাওয়া যায়?আমি বলি কি নিজ কেন্দ্রিক যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যায়না।যদি তাই হত তাহলে প্রতি বছর শত শত লেখকের পয়দা হত বাংলার জমিনে।অনেক আগে থেকেই সাহিত্যের অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত লেখককে দেখেছি এখনো একটা বই বের করার সাহস পায়না।কারণ এনারা চিন্তা করে নিজের সম্মানকে নিয়ে।যেনতেন বই প্রকাশ করে সাহিত্যকে জঞ্জালে পরিণত করার মাঝে কোন স্বার্থকতা থাকেনা।অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে আজ যারা বই প্রকাশ করেছে তারা সত্যিকারেই আজ সাফল্য পাচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে মানুষরা এসে খুঁজে নিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রিয় বই গুলোকে।তাতে পাঠক পাচ্ছে ভাল বই লেখক পাচ্ছে তার পরিশ্রমের মূল্য।ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। এই কথাটা যে কোন যুক্তির উপর লেখক দাঁড় করিয়েছেন আজো এর কোন হদীস খুঁজে পাইনি।আসলেই কি ঢেঁকি স্বর্গে যাবে নাকি এটা নিছকই কথার কথা কিংবা প্রবাদ প্রবচন
আমার মত উকিলের মস্তিষ্কে এইরূপ ভাবনা অমূলকই বটে।
::
আজ অবধি এই ১৮ দিনে বইমেলায় প্রায় তিনহাজার বই প্রকাশিত হয়েছে।যার বেশীর ভাগেরই ক্রেতা আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব চক্ষুলজ্জা হেতু কিনতে হয় বলে কিনছে।যার মাঝে প্রায় ছয়শতাধিক কাব্যগ্রন্থ। আশার কথা এই যে দেশে লেখকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এতে করে সাহিত্যের ক্ষতি হচ্ছে নাকি লাভ হচ্ছে তা সময় গেলেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে।লাভ যে হচ্ছেনা তা বলছিনা লাভও হচ্ছে প্রচুর এই সুযোগে দেশের অর্থনীতিতে বেশ একটা মোটা অংকের টাকা জিডিপিতেও যোগ হবে।এতে অবশ্য সরকার সহ আপামরজনসাধারণ এর জন্য মঙ্গলই বটে এর পিছনে কিন্তু প্রকাশকদের ভূমিকা অপরিসীম তবে এনাদের লাভের পরিমাণও কিন্তু কম নয়।আশাকরি দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধশালী ও আরো ফুলেফেঁপে উঠে তাড়াতাড়ি পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবার প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান সম্পন্ন হবে।অর্থনীতিতে অবশ্য এটাকে সুযোগ ব্যয় বলে,,,একটি বিকল্প ভাল কিছুর আউটপুট পেতে হলে বিকল্প কিছু ভাল জিনিষের যে কিছু অংশ বিসর্জন দিতেই হবে।এটা আমার মতো অর্থনীতির টপিক শেষ করে আসা গোবেচারা টাইপের মানুষরা ভালই জানে।
'
'
'
পুনশ্চ:-অল্প কথায় কাজ হইলে বেশী কথার প্রয়োজন কি?
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮
নাগরিক কবি বলেছেন: এখনকার নবীন লেখদের একটাই উদ্দেশ্য। বই বের করবো, সেটা হবে প্রেমের গল্প। আর এভাবে প্রেমের গল্প লিখে যাব রাতভর। জীবন শুধুই প্রেমময়।
আর এই সব গল্পগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা গ্রুপ ভিত্তিক শেয়ারের উপর শেয়ার করে যাবে। কাজের কাজতো কিচ্ছু না। সব হচ্ছে আকাজ।
যদি কিছু লিখতে হয়, তার আগে শিখতে হয়। আর শিখার জন্য গুনীজনদের বই পড়তে হয়। এভাবেই নিজের যোগ্যতাকে বাড়াতে হবে।
তার পর যদি কিছু লিখা যায়, তা মানুষ না পরলেও নিজের কাছে শান্তি পাওয়া যায় যে, আমার কলমেও ধার আসছে.....
সেটা দিয়ে একদিন না একদিন কিছু মানুষের মনে ভালবাসার দাগ কাটা যাবে..
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: মন্তব্যে ধন্য হলাম দাদা,,,,যদিও ওদের এটা বোধোদয় হতে আরো দেরী আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩
নিশা বিবি বলেছেন: দুনিয়াতে প্রেম ভালবাসা বাইরা গেছে তাই বই বেশি বেশি বাহির হইতেসে ...।। লেখা বাহির হইতেসে না ...। একধম না বললে ভুল ...।। কয়েকজন ভাল লেখে ...।। তবে কবিতাগুলা বেশি কুখাদ্য হইয়া জাইতেসে ...। হজম করা কঠিন ...।