নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক মুঠো জ্যোৎস্না
-নিচু তলার উকিল
সেদিনের রাতটা অতটা দীর্ঘ ছিলনা কেন?
নিজে নিজেকেই প্রশ্ন করি-
লজ্জায় মাথা নত করে বসেছিলে।
চিবুক উঠিয়ে যেই দেখতে যাবো, বিদ্যুৎ চলে গেল।
তুমি ভয়ে গুটিসুটি হয়ে খাটের কোনাচে গিয়ে ঠেস দিলে।
হা হা হা হা হা,,,আমার সব মনে আছে।
তোমার নাকি আবার জ্যোৎস্না ভাল লাগে, আমার কিন্তু একদম না,,,অন্ধকারেই ভাল লাগে
অন্ধকারের শরীরের খুব গভীরে ডুব দিয়ে যদি কিছু জ্যোৎস্না খুঁজে পাওয়া যায় তাতে মন্দ কিসে?আমি তোমায় অন্ধকার খুঁড়ে সেই জ্যোৎস্নাটাই এনে দিব।
আমি অন্ধকারেই ডুব দিব জ্যোৎস্নার আলোয় আমি শরীর ভিজাবো না।
তুমি মন খারাপ করলে;
দখিনের জানালা খুলে দিলাম আকাশে চাঁদের ছিটেফোঁটাও নেই,নেই কোন শুকতারা।
তুমি হয়তবা জানো না আজ আমাবস্যার রাত।
সেই যে ছুটে চলা ধূলোর মাঝে বউ বর খেলায় মিরাকে মুখ ফসকে বলে দিয়েছিলাম-আমাবস্যায় বিয়ে।
তারপর থেকে,
ধীরে ধীরে কণ্ঠস্বরটা কেমন ফেটে গেলো,আমি বুঝতে পারি ঠিক বুঝতে পারি নাকের ভিতর,গোঁফে,বগলে, চুল গজানো,,তারপর একে একে সেগুলো কতটা কালো হয়ে উঠে তার প্রতিযোগিতা দেখতে দেখতে নিজেকে আবিষ্কার করলাম অন্ধকার ঘরে।
ঘুমের মাঝে আলো আঁধারির প্রেম তারপর সব কালো আর কালো।
প্রথম প্রেম,প্রথম স্পর্শ আর অনুভূতি এই অন্ধকারেই হারিয়ে ফেলেছি।
সাতাশের পনেরটি বসন্ত কেটে গেল,আজো খুঁজে ফিরি সেই অনুভূতির কৈশর।
মধ্যরাত পেরিয়ে ভোরের দিকে অন্ধকার কেটে যাবে যাবে ভাব হঠাৎ জাপটে ধরলে আমায়,কপালে ঠোঁটে চিবুকে চুমুর মহোৎসবে আরো গভীর থেকে গভীর অন্ধকারের যাত্রী করে নিয়ে চললে,,,
কী ক্ষিপ্রতা কী তেজ কী হুংকার,নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে----তুমি কানের কাছে বলতে লাগলে আমার এক মুঠো জ্যোৎস্না চাই
আমি বলেছিলাম এই অন্ধকারে আরো ডুব দাও জ্যোৎস্নার দেখা পাবে।
কথা রেখেছি দোলনায় গিয়ে দেখো তোমার একমুঠো জ্যোৎস্না দোলে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
ইমু সাহেব বলেছেন: "দোলনায় গিয়ে দেখো তোমার একমুঠো জ্যোৎস্না দোলে।" ভালো লিখেছেন ।।