![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী
প্রেমে প্রতারণা ও তার প্রতিকার
প্রায়ই অভিভাবকদের বলতে শুনি, ইদানিং প্রেমের হার ও ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এদু'টো জিনিস যে বেড়েছে, তা বুঝতে পারি আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যত্রতত্র অসংখ্য জুটিদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে। রাজশাহীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের প্রেম করার সবচেয়ে নিরাপদ, মনোরম, উপযুক্ত ও পছন্দের স্থান আমার মতিহারের সবুজ চত্বর !!!
প্রেমের নামে অবাধ মেলামেশা বেড়েছে কারণ বেঁধে রাখা গরু দড়ি ছিঁড়লে ক্ষেত খায় সবচেয়ে বেশী। এর কারণ ছেলে ও মেয়েদেরকে আলাদা রাখা, মেয়েদেরকে লোভনীয় বস্তু হিসেবে লুকিয়ে রাখার মানসিকতা, ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই 'মানুষ' হিসেবে বিবেচনা না করে মেয়েমানুষ ও পুরুষমানুষ হিসেবে বিবেচনা করা, আলাদা স্কুল- কলেজ, এমনকি একই ক্লাসে ছেলেমেয়েদের আলাদা বসা, আলাদা খেলা... ইত্যাদি।
পশ্চিমা দেশগুলোতে আঠার বছর বয়স হলেই ছেলেমেয়েরা সেক্স করার অবাধ স্বাধীনতা পায়। কেউ তাদের বাধা দেয়না। তার আগে কিছুটা বাধা থাকে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী স্কুল-কলেজ থেকে ফ্রি দেওয়া হয়।
আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ধর্ম ও সমাজের নিষেধের কারণে বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। তাই প্রেমিক-প্রেমিকাদের আপত্তিকর মেলামেশা বা শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমে প্রতারণা এবং শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমের সমাপ্তি - এসব এখন খুব বেশী চোখে পড়ে।
আমাদের নাতিশীতোষ্ণ অন্চলের আবহাওয়ার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা অল্পবয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে যায়। ফলে অবধারিতভাবেই তাদের শারীরিক চাহিদা তৈরী হয় অল্পবয়সে, যার ফলশ্রুতিতে আজকাল স্কুলের ছেলেমেয়েদেরকেও আমরা প্রেমে জড়িয়ে পড়তে দেখি। সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়মনীতি ও সুযোগের অভাবে ছেলেমেয়েরা শারীরিক চাহিদাকে অবদমন করে রাখে। যদিও প্রেমে শারীরিক সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।
পশ্চিমা দেশগুলোতে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়না। তবে তার জন্য তাদের প্রেম ভাঙ্গে না। কারণ তারা জানে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওসব দেশে বিয়ের আগে সেক্স করাকে পাপ মনে করা হয়না। মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। তাই সেক্স, লিভ টুগেদার, কুমারী মাতৃত্ব - এসবকে ওদের ধর্ম ও সমাজ অনৈতিক মনে করেনা।
আমরা করি। আমাদের ধারণা, বিয়ের আগে যত প্রেমই থাকুক, ধর্মীয় বাধার কারণে শারীরিক সম্পর্ক অনুচিত, অবৈধ, অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া মেয়েদের ভার্জিনিটি আমাদের দেশের নারী-পুরুষ তথা সমাজের কাছে খুবই কাংখিত।
বিদেশে ছেলেমেয়ের বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড না থাকলে বাবামা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এই ভেবে যে, নিশ্চয় তাদের ছেলেমেয়েদের কোন সমস্যা আছে। আমাদের দেশে ঘটে উল্টা। আমরা আশা করি আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রেমে না পড়ুক। তাতে বিবাহ পূর্ব প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্ক, ভার্জিনিটি হারানো, অবৈধ সন্তান, লোকনিন্দা ইত্যাদির ঝুঁকি থাকে।
বিদেশে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমকে গাঢ় করে। আমাদের দেশে শারীরিক সম্পর্ক হলে প্রেম উবে যায়। কেন? কেন মানুষ একাধিক প্রেমে জড়ায়? আসুন জানি।
- মানুষ প্রকৃতিগতভাবে বহূগামী। সেজন্যই একাধিক প্রেম, শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকার শরীরের প্রতি আগ্রহের অবসান, অন্য কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার আগ্রহ, বহূবিবাহ, পরকীয়া, পতিতালয়,.. এসবের জন্ম।
- যেসব পুরুষের মধ্যে ডিআরডিফোর জিনের উপস্থিতি বেশী, তারের মধ্যে একাধিক সম্পর্কে, এমন কি বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশী থাকে।
- মানসিক সমস্যার কারণেও মানুষ বাড়তি সম্পর্কে জড়ায়। বাইপোলার মুড ডিজর্ডার রোগে আক্রান্ত রোগীরা কোনকিছুর মধ্যে স্থিরতা খুঁজে পায়না। এসব ছেলেরা সহজেই একাধিক প্রেমে জড়ায়।
- আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে মনের সৌন্দর্যের চেয়ে শারাীরিক সৌন্দর্য বেশী প্রিয়। তাছাড়া মানসিক সৌন্দর্য সহজে দেখা যায়না। কারো সাথে মিশলে জানা যায়। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় ছেলেমেয়ের মেলামেশার সুযোগ কম। ফলে চেহারা বা শরীরটাকে তারা মূল বিবেচ্য বিষয় মনে করে। ফলে অধিকাংশ ছেলে প্রেমিকার মনের সৌন্দর্য না খুঁজে তার সাথে সেক্স করতে বেশী আগ্রহী। ফলে তাদের কাছে প্রেমের সম্পর্ক তেমন কোন গুরুত্ব বহণ করেনা। ফলে তারা একাধিক প্রেমে জড়ায়।
- অনেক মেয়ে, বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েরাও একাধিক প্রেম করে বা কোন ছেলেকেই দৃঢ়ভাবে 'হ্যাঁ' বা 'না' বলেনা, ঝুলিয়ে রাখে। সুন্দরী মেয়েরা একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণ হল পরে সবচেয়ে যোগ্য কোন একজনকে বিয়ে করবে। তবে এক্ষেত্রে ছেলেদের দোষ বেশী। কারণ সুন্দরী মেয়েদের পিছনে ছেলেরা লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অপশন বেশী থাকলে মানুষ সবচেয়ে ভালটা বেছে নেবে, এটাই স্বাভাবিক।
- সুন্দরী মেয়েদের হাজারটা প্রেমিক আছে জেনেও তাকে বিয়ে করতে ছেলেদের আপত্তি হয়না। কারণ তারা জানে সুন্দরী মেয়েদের পিছে ছেলেদের লাইন সবসময়ই লম্বা হয়, তা সে মেয়ে প্রেম করতে রাজী হোক বা না হোক, তাতে প্রস্তাবদাতাদের আগ্রহে ভাটা পড়েনা।হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, "সুন্দরী মেয়েদের দোষ খুঁজতে আমার লজ্জা হয়।"
- অনেক ছেলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্যও একাধিক প্রেম করে। একাধিক প্রেম করতে পারা, রেপ করতে পারা, সুন্দরী মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারা, প্রেমিকার সাথে সেক্স করতে পারাকে অনেক ছেলে 'কৃতিত্ব' মনে করে। তাই এসব করেও।
- আবার কোন কোন পুরুষ একইসাথে একাধিক প্রেম বা একাধিক রেপ করতে পারাকে 'যোগ্যতা' মনে করে। যেদিন ধর্ষণে সেঞ্চুরীর পর মিষ্টি বিতরণের খবর জানতে পারি, লজ্জা-ঘৃণা-অপমান-রাগ-হতাশা- ক্ষোভ- কষ্টে কুঁকড়ে গেছিলাম। কি নিদারুণ মানসিক দৈন্যতা !!! ছিঃ!!! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মানসিকতা যদি এমন হয় তাহলে অশিক্ষিত পুরুষের আর দোষ কি? এ ধরণের বিকৃত মানসিকতার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, প্রকৃত শিক্ষার অভাব, মেয়েদের প্রতি হীন মানসিকতা, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব, অবদমিত শারীরিক চাহিদা... ইত্যাদিকে দায়ী করা যায়।
- কিছু কিছু অপরাধপ্রবণ পুরুষ মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাদেরকে নানা হয়রানি ও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে। একারণে তারা একাধিক প্রেম করে। নানা সাইবার ক্রাইমগুলো এর প্রমাণ। কোন কোন ছেলে প্রমিকার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও নিয়ে রাখে, যাতে বদনামের ভয়ে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যেতে না পারে।
- কৌতুহল মেটাতে বা নিজের স্বক্ষমতা যাচাই করার জন্য ও অনেক ছেলে প্রেমিকার সাথে সেক্স করে।
সেক্স করার পর প্রেমিকাকে বেশীরভাগ প্রেমিকরা আর বিয়ে করতে চায়না। এর কারণ হল, আমাদের দেশের ছেলেরা মনে করে বিয়ের আগে সেক্স সামাজিক ও ধর্মমতে যেহেতু অবৈধ, সেহেতু স্ত্রী হিসেবে সে ভাল হতে পারেনা। কারণ বিয়ের আগেই যেহেতু সে অনৈতিক, নিষিদ্ধ ও পাপ কাজ করে ফেলেছে, সেহেতু বিয়ের পরেও যে সে এমন কাজ করবেনা, তার নিশ্চয়তা কি? তাছাড়া আমাদের পুরুষরা ভার্জিন মেয়ে বিয়ে করতে চায়। যেহেতু সে জানে যে তার প্রেমিকা আর ভার্জিন নয়, তাই তাকে বিয়ে করার আগ্রহ পুরুষরা হারিয়ে ফেলে। তাই তারা জেনে শুনে বিষ পান করার মত গাধামো করেনা। গাধামো করে আমাদের গবেট মাথামোটা মেয়েগুলো। পুরুষের মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলে মহাউদার হয়ে নিজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ উজার করে দিয়ে শেষে অতিপ্রিয় প্রেমিকের ছ্যাঁকা খেয়ে চোখের জলে বুক ভাসায়।
সবসময় মেয়েদেরকেও দোষ দেয়া যায়না। কারণ প্রিয় মানুষকে বিশ্বাস না করে ভালবাসা যায়না। ভালবাসা মানেই বিশ্বাস। তাছাড়া প্রিয় মানুষের স্পর্শ ভাল লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা শারীরিক চাহিদাতো শুধু ছেলেদের একার থাকেনা, মেয়েদেরও থাকে। সুতরাং যা হয়, উভয়ের সম্মতিতে হয়। হয়তো ভূমিকাটা বেশী থাকে ছেলেদের। আর তাছাড়া মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। মেয়েরা জানবে কি করে যে, যে প্রেমিক একবেলা তাকে না দেখে থাকতে পারেনা, "আই লাভ ইউ" বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলে, প্রেমিকার একটু মন খারাপ দেখলে যার পুরো দুনিয়া তছনছ হয়ে যায়, সেই প্রেমিক তার চাহিদা মিটে গেলে একসময় সেই প্রেমিকার প্রতিই তার সব ভালবাসা কর্পুরের মত হাওয়া হয়ে যাবে???
মানুষ প্রেমে না পড়ে থাকতে পারেনা, আবার প্রেমে ব্যর্থতার ঝুঁকিও কম নয়। তাহলে এর থেকে বাঁচা যাবে কিভাবে???
মাথা ব্যথার ভয়ে যেমন মাথা কেটে ফেলা যায়না, তেমন ছ্যাঁকা খাবার ভয়ে লোকে প্রেম করা ছেড়ে দিতে পারেনা। তাই মধ্যপন্থা অবলম্বন করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই মেয়েদের বলছি -
প্রেম করুন। তবে কখনোই বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে সেক্স করবেন না। সে জোড়াজুড়ি করলেও না। কারণ সেক্স করলে আপনি তার কাছে সস্তা হয়ে যাবেন। এমন কি, বিয়ে করলেও সে আপনাকে বাজে মেয়ে বলেই জানবে, কোনদিন শ্রদ্ধা করবেনা। তাই নিজেকে নীচে নামাবেন না। আপনার আত্মসম্মানবোধ কখনও হারাবেন না। আপনার প্রেমিক আপনাকে সত্যি সত্যি ভালবাসলে আপনি তার সাথে সেক্স করতে রাজী না হলেও ভালবাসবে। কারণ ভালবাসা ব্যাপারটা বেশীরভাগ মানসিক।
কখনোই ভুলেও আপনার প্রেমিককে আপনার ন্যুড ছবি, ভিডিও তুলতে দেবেননা বা পাঠাবেননা। আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকুন, যখন আপনার সাথে কোন কারণে তার মনোমালিন্য হবে (হবেই), তখন সে এগুলোর অপব্যবহার করবে। সাইবার ক্রাইমের এমন হাজার হাজার উদাহরণ আপনার চারপাশেই আছে। আমাদের দেশের বেশীরভাগ পুরুষ মেয়েদেরকে শ্রদ্ধা করতে জানেনা। তাই আপনাকে সবার সামনে ভয়ংকরভাবে অপমান করতে তাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা হবেনা।
আমার পরিচিত এক স্যারের মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ের প্রেমিকের একাধিক মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানার পর মেয়েটি সরে আসে। এই কারণে ছেলেটি হুমকি দেয়, মেয়েটি ও তার প্রেমিকের অন্তরঙ্গ ছবিগুলো সে মেডিকেলের হোস্টেলে ছড়িয়ে দেবে। মেয়েটি সাহসের সাথে কথাগুলো তার বাবাকে জানায়। তখন স্যার তাঁর পরিচিত এক পুলিশ অফিসারকে বিষয়টি জানান, অভিযোগ করেন। সাথে সাথে ছেলেটি গ্রেফতার হয়। পুলিশ সব ছবিগুলো উদ্ধার করে। ছেলেটিকে সাইজ করে।
বেশীরভাগ পুরুষরা এরকম অন্যায় করে পার পেয়ে যায়। তার কারণ আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করিনা, সামাজিকভাবে হেয় হবার ভয়ে। কারণ মেয়েদের মান যায়, ছেলেদের কিছুই হয়না।
বিয়ের আগে সেক্স করলে গর্ভবতী হবার ঝুঁকি থাকে। বিয়ে না হলে বদনাম হবার ভয় তো থাকেই। একটি মেয়ের সম্ভ্রম চলে যাওয়া মানে সমাজে সে অপাংতেয়। পচে যাওয়া খাবারের মত, যা কেউ খেতে চায়না। মেয়েটিকেই সবাই অস্পৃশ্য মনে করবে, তার ভাল বিয়ে হবেনা, তার পরিবারের বদনাম হবে। পুরুষ রেপ করলে, পতিতালয়ে গেলে, পরকীয়া করলে, প্রেমিকার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করলেও...তার মান যায়না, তাকে কেউ খারাপ বলেনা। দিব্বি আবার বিয়ে করতে পারে, তার সামাজিক মর্যাদা এতটুকু কমেনা। কিন্তু মেয়েরা সমাজের চোখে একবার ভ্রষ্টা খেতাব পেলে তার বেঁচে থাকা দায় হয়ে যায়।
মেয়েরাও প্রতারণা করে। তবে সবসময় স্বেচ্ছায় করেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের চাকরী পেতে বা প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগে। মেয়ের পরিবার ততদিন অপেক্ষা করতে চায়না। জোর করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
আপনার প্রেমিকের শরীরে কি জীন (ডিএনডিফোর) আছে, আপনি জানেননা। সে কোন মানসিক রোগে (বাইপোলার মুড ডিজর্ডার) আক্রান্ত কিনা আপনি জানেন না। তাছাড়া মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়ে আপনার প্রেমিকের বিশ্বাস-মূল্যবোধ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার গণ্ডী পেরুতে পারবে কিনা, আপনি কিভাবে যাচাই করবেন?
একটা কথা আছে, "মানুষ চিনতে ভুল করলে নিজেকে বোকা ভাববেন না। কারণ অমানুষগুলোও দেখতে অবিকল মানুষেরই মত।"
খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা.....
৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। বিশ্লেষন উপকারী উপাদানে উপাদেয়।
৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
Hafiz Anwar বলেছেন: ইসসস,কেন যে আপনার পশ্চিমা দেশে জন্ম হলোনা!!!!
তাহলে তো আর এমন অসভ্য দেশের নাগরিক হওয়া লাগতো!!!!
আমার ওও আফসোস,কেন যে ওদের মত সভ্য হতে পারলাম না???
৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
আলপনা তালুকদার বলেছেন: প্রতিটা সমাজ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস, আচার, ধর্ম,... নিয়ে চলে। তাদের সেসব আমাদের ভাল লাগুক বা না লাগুক, তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা। তেমনি আমাদের অনেক কিছুই তাদেরও ভাল লাগতে পারে, আবার নাও পারে। তাতে আমরা নিজেদের বদলাই না। আমি দুটো সমাজের মানুষের সম্পর্কের পার্থক্য বোঝানোর জন্য তুলনামুলক আলোচনা করেছিলাম।
আমার কোথায় জন্ম হলোনা, সেটা নিয়ে আপনার আফসোস বেমানান। সেটা আমার কনসার্ন। আপনি নিজের কথা ভাবুন। ইচ্ছে হলে ওসব দেশে চলে যেতে পারেন। ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমরা বুড়িয়ে যাই তাড়াতাড়ি কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা সবচেয়ে বেশি। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিৎ যেন ২০ বছরেই উচ্চশিক্ষা শেষ করে ২৫এর মধ্যে চাকরি নিতে পারে।
৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
অবনীলের ডানা বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন আপু, তবে ভয়ে পাওয়ায় দিসেন
৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। তাই? ভয় পাওয়া ভাল। তাহলে সাবধান হওয়া যায়। ভাল থাকুন।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১২
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: এ যৌবন জল-তরঙ্গ রোধিবী কি দিয়া ,বালির বাঁধ?
৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২
আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিবাহ করিয়া ফেলুন। দরকার মনে করলে গোপনে। ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
জে আর সিকদার বলেছেন: ভালোই লিখেছেন। আজব সমাজিকতা!
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে সম্পর্কে কামভাব থাকে না, সেটিকে প্রেম বলে মনে হই না।
আর কুমারিত্বের বিষয়টা আমার কাছে কখনই গুরুত্বপূর্ণ না।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বি, সম্পর্ক করার সময় কোন ছেলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ না। বিয়ে করার সময় অনেকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কথা শুনে ভাল লাগলো। কারণ কোন মেয়েই কিন্তু ছেলেদের কুমারত্ব নিয়ে ভাবেনা।
৯| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রেম করা বৈধ না অবৈধ ? ভাবছি একটা প্রেম করবো ......... !! এখন দেখি কি করা যায় ।।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
আলপনা তালুকদার বলেছেন: প্রেম করা বৈধ, বিয়ে করা বৈধ, একাধিক বিয়ে করাও বৈধ। কোন সমস্যা নেই। যা খুশী করতে পারেন। শুধু প্রতারণা না করলেই হল। কারণ তাতে অন্যজন কষ্ট পায়। ধন্যবাদ।
১০| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: বিবাহিত-বিবাহিতা হইলেই যদি ইহা রোধ করা যাইত?যাহা গুপ্ত - তাহা সুপ্ত না-থাকিয়া যেভাবে উপ্ত হইয়া উঠিতেছে - জোরপূর্বক,অবৈধ,পরকীয়া শিরোনামে - সেখানে তো ঐ অপ্রতিরোধ্য গোপন অস্ত্রটিই ব্যবহৃত হইতেছে নাকি?ইহার পরও কি বলিবেন বিবাহ করিলেই...গোপনে করিলে তো আরও সুবিধা - গাছের উপরেরওটি খাবো তলারটিও কুড়াবো।আরও একটি সুবিধা দিয়া দিলেন!
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার লেখাটি মূলত অবিবাহিত-অবিবাহিতা প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য লেখা, যেখানে শারীরিক সম্পর্কের সমস্যা ও প্রেমে প্রতারণার বিষয়টি জড়িত। তাই বলেছিলাম, শারীরিক সম্পর্ক জরুরী মনে করলে বিয়ে করা ভাল। দরকার মনে করলে পরিবারকে না জানিয়েও করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের এমন করতে দেখেছি। তাই বলেছিলাম। বিবাহিতরা চাইলে একাধিক বিয়ে করতে পারেন, যেহেতু ধর্মের অনুমতি আছে। পরকীয়া, রেপ, প্রতারণা,... নয়। ধন্যবাদ।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
নতুন বলেছেন: এই বোধ টুকু আমাদের সমাজে হইতে ১০০ বছর লাগবে... +
প্রেম করুন। তবে কখনোই বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে সেক্স করবেন না। সে জোড়াজুড়ি করলেও না। কারণ সেক্স করলে আপনি তার কাছে সস্তা হয়ে যাবেন।
এটা এখন মেয়ে দের মানা দরকার। কিন্তু এরা বোঝে না। নারীদের পটানো সহজ।
আমার মেয়ের বয়স এখন ২ বছর... ওরা যখন বড় হবে তখন সমাজের কি অবস্থা হবে তাই চিন্তা করি মাঝে মাঝে...
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪
আলপনা তালুকদার বলেছেন: কথা সত্যি। তবে
"সবসময় মেয়েদেরকেও দোষ দেয়া যায়না। কারণ প্রিয় মানুষকে বিশ্বাস না করে ভালবাসা যায়না। ভালবাসা মানেই বিশ্বাস। তাছাড়া প্রিয় মানুষের স্পর্শ ভাল লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা শারীরিক চাহিদাতো শুধু ছেলেদের একার থাকেনা, মেয়েদেরও থাকে। সুতরাং যা হয়, উভয়ের সম্মতিতে হয়। হয়তো ভূমিকাটা বেশী থাকে ছেলেদের। আর তাছাড়া মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। মেয়েরা জানবে কি করে যে, যে প্রেমিক একবেলা তাকে না দেখে থাকতে পারেনা, "আই লাভ ইউ" বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলে, প্রেমিকার একটু মন খারাপ দেখলে যার পুরো দুনিয়া তছনছ হয়ে যায়, সেই প্রেমিক তার চাহিদা মিটে গেলে একসময় সেই প্রেমিকার প্রতিই তার সব ভালবাসা কর্পুরের মত হাওয়া হয়ে যাবে???"
১২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: 'বিবাহিতরা চাইলে একাধিক বিয়ে করতে পারেন, ' - ইহা তো আপনি পুংলিঙ্গদের ক্ষেত্রে বলিয়াছেন,স্ত্রীলিঙ্গগণ কী করিবেন?তাহাদের কথা কি একবারও ভাবিলেন না! তাহাদের কি ইচ্ছা-অনিচ্ছা কিছু হইতে পারে না?
৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
আলপনা তালুকদার বলেছেন: তারা দ্রৌপদী, তসলিমা, লিজ টেলরদের অনুসরণ করতে পারেন। খবরে পড়েছি, ভারতে মেয়েশিশু ভ্রুণ হত্যার কারণে মেয়ে কম হয়ে যাওয়ার কারণে চার ভাই একই মেয়েকে বিয়ে করেছেন।
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: কারো জন্যে বিধান দেখাবেন,অারেকজনকে স্বেচ্ছাচারিতা করতে বলবেন,তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ালো?
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৬
আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি স্বেচ্ছাচারিতা করতে বলিনি। ধর্মে আছে (দ্রৌপদী), তাসলিমা পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপক্ষে বলেছেন, লিজ টেলরের সমাজে নারীর বহুবিবাহ স্বাভাবিক, ভারতীয় সমাজ বাধ্য হয়ে একটা অস্বাভাবিক বিষয় মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষ চাইলে যেকোনটা গ্রহণ করবে যদি তেমন অবস্থা হয় (আমি বললে বা না বললে নয়)।
এখন পর্যন্ত আমাদের সমাজে যা যা গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়, আমি শুধু সেগুলোই তুলে ধরেছি মাত্র।
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
খুব ভাল লিখেছেন। সময়োচিত লেখা! তবে এই কথাটি মানতে পারছি না! দুঃখিত!
সুন্দরী মেয়েরা একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণ হল পরে সবচেয়ে যোগ্য কোন একজনকে বিয়ে করবে। তবে এক্ষেত্রে ছেলেদের দোষ বেশী।
ছেলেদের দোষ কেন বেশি? বলুন এসব মেয়েদের দোষ বেশি। তারা লোভী নিজেদের খোলা দোকানের মত বিক্রি করতে যারা পারে তাদের থেকে ছেলেদের দোষ কি করে বেশি হয়! এই সমাজে লোভের অপচ্ছায়া ছড়িয়ে আছে যত টুকু তার ৯৯ ভাগ এই লোভীদের মনে। সামাজিক অবক্ষয়ের অর্ধেক দাবীদার তো এরাই!
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১১
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ছেলেদের দোষ বেশী। কারণ কোন সুন্দরীর একাধিক প্রেমিক আছে জেনেও তারা সেই মেয়ের পিছনেই ছোটে, সব ছেলেদের কাছেই সুন্দরী মেয়েদের কদর বেশী। কিন্তু মনের দিক থেকে শতগুণ ভাল মেয়েকে তারা পছন্দ করেনা। আর সুন্দরী মেয়েরা ছেলেদের পিছনে ছোটেনা, ছেলেরাই আসে। তাই তারা একাধিক ছেলের মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভাল একজনকে বেছে নিতে পারে।
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: ধর্মের দিকটা ঠিক আছে। "তসলিমা,লিজ টেলরদের অনুসরণ করতে পারেন।" আপনিই তো বলছেন।
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, নিশ্চয় বলেছি। পারেন। সেটা ব্যক্তির ইচ্ছা। সমাজেরও ইচ্ছা। করতে পারেন, নাও পারেন। তসলিমা বলেছিলেন, পুরুষদের মত নারীরও একাধিক বিয়ে বা সংগী থাকার স্বাধীনতা থাকা উচিত। আমি শুধু সেগুলো মনে করিয়ে দিয়েছি। কেউ চাইলে নিশ্চয় তেমন করতে পারেন, করেনও কেউ কেউ। তারজন্য কেউ আমার অনুমতি নেবেনা নিশ্চয়।
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কোন সুন্দরীর একাধিক প্রেমিক আছে জেনেও তারা সেই মেয়ের পিছনেই ছোটে, সব ছেলেদের কাছেই সুন্দরী মেয়েদের কদর বেশী। দুঃখিত শ্রদ্ধেয় ব্লগার! আপনার সাথে আবারো একমত হতে পারছি না। সবাই ছোটে এটা ভুল!
আর সুন্দরী কুৎসিত চরিত্রের মেয়ের দোষ কি সেই সব ছেলেদের থেকে কোন অংশে কম?
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
আলপনা তালুকদার বলেছেন: অধিকাংশের অবস্থাই তেমন। আপনার মত সজ্জন খুবই বিরল। ধন্যবাদ।
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪
মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Good post.mom.go ahade. Animal / Dog can be sex everywhere. Men/women can no do this. Sex only for children production. Believe it or not. Mom. We are look like men but not we are animal. Do U have spiritual knowledge? Write about this.mom. Thanks.
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪১
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার পরামর্শ মনে থাকবে।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমি আমার কথা বলিনি শ্রদ্ধেয়! অনেকেই আছেন। সব পুরুষ খারাপ এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঢালাও ভাবে সবাই এক কাতারে পড়ে না। ভাল খারাপ সুন্দর অসুন্দর নারী পুরুষ এসব দিয়ে বিচার হয় কি করে! যে ছেলেটি ক্যাম্পাসে দশটি মেয়ের সাথে ঘুরে আর যে মেয়েটি দশটি ছেলেকে পরখ করে বেছে নেয় অতি উত্তম সুপুরুষ তারা উভয় সমান। এখানে কে কার থেকে কম অপরাধী?
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০১
আলপনা তালুকদার বলেছেন: খারাপ তো বলিনি। বলেছি বেশীরভাগ ছেলেরাই সুন্দরী মেয়েদের পিছনে ছোটে, বেশীরভাগের কাছের মনের চেয়ে শারীরিক সৌন্দর্য বেশী প্রিয়। তাই সুন্দরী মেয়েরা একাধিক প্রেমিক তাদের পিছনে ঘুরঘুর করে বলে নিজেদের দামী ভাবে, ছেলেদেরকে পিছে ঘুরিয়ে মজা পায়। ছেলেরা অত পাত্তা না দিলেই মেয়েরা কিছুই করতে পারবেনা।
১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৮
পরিব্রাজক২০১৫ বলেছেন: পশ্চিমা দেশগুলোতে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়না। তবে তার জন্য তাদের প্রেম ভাঙ্গে না। কারণ তারা জানে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওসব দেশে বিয়ের আগে সেক্স করাকে পাপ মনে করা হয়না। মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। তাই সেক্স, লিভ টুগেদার, কুমারী মাতৃত্ব - এসবকে ওদের ধর্ম ও সমাজ অনৈতিক মনে করেনা।
আমরা করি। আমাদের ধারণা, বিয়ের আগে যত প্রেমই থাকুক, ধর্মীয় বাধার কারণে শারীরিক সম্পর্ক অনুচিত, অবৈধ, অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া মেয়েদের ভার্জিনিটি আমাদের দেশের নারী-পুরুষ তথা সমাজের কাছে খুবই কাংখিত।
পশ্চিমা দেশে প্রায় প্রতিটা মেয়েই স্বাবলম্বি হয়ে থাকে তাছাড়া মেয়েটি যদি স্বাবল্মবী না হয় তখন রাষ্ট্র মেয়েটি ও তার সন্তান্টির সব রকম নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তাই সেই দেশে বিয়ের আগে সেক্স কোন ব্যাপারনা। কিন্তু বাংলাদেশের একটি মেয়ে অনেক বেশিই নিরভরশীল হয়ে থাকে বাবা-মা বা স্বামী বা পরিবারের উপর তাছাড়া বাংলাদেশের সমাজ মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ব্যারথ । এমন একটি ব্যর্থ সমাজে বিয়ের আগে সেক্স মেয়েটিকে আরও বেশী বিপদে ফেলে দেয়। তাই পশ্চিমা দেশ পশ্চিমাই। আমাদের দেশ আমাদের মতই । আমার দেশে আমার নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমারই । তাই প্রতিটা মেয়েকে হিসাব করে চলাই উচিত নিজেদের প্রয়োজনে ।
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। খুবই সত্যি কথা। অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ছেলেরা সুন্দরী মেয়ের পিছু পিছু ঘোরলে সে নিজেকে দামী মনে করে! ছেলেদেরকে পিছে ঘুরিয়ে মজা পায় পয়েন্ট টু বি নোটেট! আপনি এই কথা বলেছেন। আমি নই!
প্রথম কথা ছেলেরা পিছনে ঘুরলেই সে নিজেকে দামী মনে করবে কেন? এর আগে কি তার দাম কম ছিল? মানে যত ছেলে পিছনে তত তার দাম?
দ্বিতীয় কথা, ছেলেদের কে পিছনে ঘুরিয়ে সে মজা পায়। কেন ছেলেরা কি লাটিম? একাধিক ছেলের সাথে প্রেম প্রেম খেলা অত:পর নিজের স্বার্থের অভিলাষ পূর্ণ যাকে দিয়ে হবে তাকে নিয়ে কেটে পড়া! এটাই সেই মেয়ের নিকট যদি মজা হয় তবে আর কি বলা! থাক!
এগুলো কি নারীবাদীদের দৃষ্টিতে যৌক্তিক কিছু? কিছু পুরুষদের দোষ আছে তাই বলে সব মেয়ে ধোয়া তুলসী পাতা নয়। অনেক ভেজা বেড়াল দেখেছি জনাবা! সেই ইতিহাস আজ আর বলছি নে! আপনাকে ধন্যবাদ!
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, আমি বলেছি। নোট করে রাখুন। আমার বেশকিছু নিজে চোখে দেখা ঘটনা আছে। তাই জানি বলেই বলেছি। এটি খুবই স্বাভাবিক। একটি মেয়ে যদি রোজ প্রেমপত্র পায়, তাহলে সে নিজেকে দামীই ভাববে। আর পিছে ঘোরানো মানে সবার সাথে প্রেম করা নয়। তারা সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখে, কিন্তু কারো সাথেই সিরিয়াস সম্পর্কে জড়ায় না। এসব সুন্দরী মেয়েদের খুব ভাল ভাল বিয়ের প্রস্তাবও আসে। তাদের হাতে অনেক অপশন থাকে। তাছাড়া আমাদের সমাজে প্রায় সব মেয়েদের বিয়ে ঠিক হয় পরিবার থেকে। তারা পরিবারের মতে সবচেয়ে যোগ্য ছেলেকে বিয়ে করে। ব্যতিক্রম ও আছে। অনেক সুন্দরী ভাল ঘরের মেয়ে বাজে ছেলের সাথে প্রেম বা বিয়ে করে।
ধন্যবাদ।
২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রোজ রোজ প্রেমপত্র পেলে মেয়েটি নিজেকে দামী ভাববে কেন? সে কি ওই ছেলের প্রেমপত্রের ঝোলাতে নিজের মুল্য গোছিয়ে রেখেছে?তার নিজের মুল্য নিজের কাছে নেই? আমানে আমি বলতে চাচ্ছি যে ছেলেটির/ ছেলেগুলোর প্রেমপত্রই তার সমাজের দাম নাকি!
আর পিছে ঘোরানো মানে সুসম্পর্ক রাখা ( যাতে স্বার্থ আদায় করা যায় আরকি)! এসব সুন্দরী মেয়েদের ভাল প্রস্তাব আসে ভাল বিয়েও হয় তবে চারিত্রিক বিচারে যে প্রশ্ন তার হিসেব রয়েই যায়! ব্যতিক্রম ও আছে। অনেক সুন্দরী মেয়ে (চরিত্রবান) ভাল মনের নৈতিক গুণমমানে স্বামীও পায়!
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৩
আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি একই কথা বার বার প্যাঁচাচ্ছেন। জ্বি, এটাই সত্যি। কেউ বেশী গুরুত্ব পেলেই নিজেকে দামীই ভাববে, ফালতু ভাববেনা। এটাই স্বাভাবিক। কেন ভাববেনা? আমি এসব মেয়েদের কোন দোষ দেখিনা। এরা কোন ছেলেকে বলেনা আমার প্রেমে পড়। আমার এক সুন্দরী বান্ধবী ছিল। সে ছেলেদের প্রেমের প্রস্তাবে অতিষ্ট হয়ে মাকে সাথে নিয়ে কলেজ থেকে ফিরতো। কারো সাথেই খারাপ ব্যবহার করতোনা ভয়ে। কেউ যদি জোর করে?
আপনার আর কোন মন্তব্যের জবাব দিতে চাচ্ছিনা। ধন্যবাদ।
২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ! এসব প্রশ্ন আসত না যদি না আপনি আমার ১৪ ও ১৬ নং মন্তব্যের তাৎপর্যটি বোঝতেন। একভাবে বারবার প্রতিউত্তরে পুরুষের উপর দোষ চাপাতেন। আপনার লেখাটি ভাল লেগেছিল বলেই প্রথম ও একমাত্র লাইকটি আমিইই দিয়েছিলাম। পুরো লেখাটি চচমৎকার শুধু আপত্তি দুটো লাইনে ছিল! যাইহোক এই দু লাইনে ঢালাও ভাবে পুরুষের উপর দোষ চাপানো মেনে নিতে পারছি না দুঃখিত! এই পুরুষ শাসিত সমাজে মানছি কিছু খারাপ পুরুষ নারীদের দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ! একই সাথে সুন্দরী নারী ( চারিত্রিক নৈতিকতা থাকুক বা না থাকুক)দেখিবা মাত্র তার পিছে ঘুরঘুর করাও পুরুষ সমাজের দুর্দশার প্রধান কারণ! কারো দোষ কম বা বেশি নয়! তবে ক্ষেত্র বিশেষে নারী বা পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই কিছু কুলাঙ্গার রয়েছে!
আপনার লেখায় আর কোন মন্তব্য করছি না। আপনার মঙ্গল কামনা করছি! ধন্যবাদ!
০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার মনে হয় আমিই আপনাকে বোঝাতে পারিনি। সম্পর্ক রাখা মানে একাধিক ছেলের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, প্রেম চালিয়ে যাওয়া না। যাইহোক, ধন্যবাদ।
২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিন্ত একটি ব্য্যাপার প্রেম।।। এটাা যুগের সাথেই ছিল,আছে এবং থাকবেও।। এবং এর সাথে দৈহিক সম্পর্ক কিন্তু না!!
ব্যক্তিগতভাবে আমি কিন্তু ভালবাসার সাথে ওটাকে মিলাতে ঘোর বিরোধী।। সত্যিকাারের ভালবাসায় "সেক্স" বাহুল্য।। মনেই আসে না।।
যদি আসে তবে তা হবে "দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার" পার্থক্যে।।
তবে বর্তমানের দৃষ্টিতে লেখাটি সময়োপযোগী। এটা মানতে দ্বিধা নেই বলেই লাইক দিলাম।।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: সাইকোলজির শিক্ষিকা হিসেবে আপনার লেখা ঠিক আছে ! তবে পশ্চিমা বিশ্বের ফী সেক্স আমাদের দেশে আমদানি হইয়া সমাজের কি উপকার হইবে বুঝিলাম না ! তাহাদের সংস্কৃতির ধজ্বাধারীদের পরিণতি খুব সুখকর তো দেখি না ! বরং আমাদের দেশীয়, ধর্মীয় সংস্কৃতির ফলাফলই ভালো দেখা যায় !
প্রেমে প্রতারণা ও তার প্রতিকার হইতে পারে বয়োসন্ধি পার হওয়ার পরই বিবাহ করা এবং বিয়ের পরে প্রেম করা ! আর কোনো বিকল্প নাই ! ইঁদুরকে যতই মোমবাতি ধরার ট্রেনিং দেওয়া হোক , বিড়াল তাড়া করিলে তাহা দৌড়াইবেই ! নষ্ট সংস্কৃতির অনুসরণ করিলে যতই উপদেশ দেওয়া হোক, মূল্যবোধ কখনোই গড়িয়া উঠিবে না ! প্রতারণা হইবেই !
০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
আলপনা তালুকদার বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্বের ফী সেক্স আমাদের দেশে আমদানি করতে আমি বলিনি। প্রতিটা সমাজ তাদের নিজস্ব বিশ্বাস, আচার, ধর্ম,... নিয়ে চলে। তাদের সেসব আমাদের ভাল লাগুক বা না লাগুক, তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা। তেমনি আমাদের অনেক কিছুই তাদেরও ভাল লাগতে পারে, আবার নাও পারে। তাতে আমরা নিজেদের বদলাই না। আমি দুটো সমাজের মানুষের সম্পর্কের পার্থক্য বোঝানোর জন্য তুলনামুলক আলোচনা করেছিলাম। ধন্যবাদ।
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিয়ে করার সময় কুমারিত্ব বিষয়টি আমার কাছে এখনো গুরুত্বপূর্ণ নয়।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভাল। জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ।
২৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
কানিজ রিনা বলেছেন: আবদুর রব শরীফ, ধর্যন নিয়ে যে লেখাটা
দিয়েছে লেখাটা একটু পড়ার জন্য অনুরোধ
রইল। পশ্চিমা দেশ গুলতে এত অবাধ মেলা
মেশা থাকতেও কেন ধর্ষন হয়।
আমাদের দেশেও অবাধ মেলা মেশায় কমতি
কিশে। যা তুমি প্রথম প্যারায় লিখেছ।
ঢাকাতে পার্ক রিসোর্ট গুলতে গেলেই বুঝা
যায়।
আমি আমার অনেক পরিচিত আমেরিকা
লন্ডন প্রবাসী আত্ব্যিয় পরিচিতদের সাথে
আলাপ করে জানতে পারি ওসব দেশে
যারা এমন স্বাধীনতায় চলে তাদের কেউ
কিছু বলেনা ঠিকই কিন্তু সম্মানও করেনা।
একভাই বলল রাস্তা ঘাটে এসব নোংরা
লোকের দিকে কেউ তাকায় না।
এক কথায় প্যাশ্চাত্য স্বাধীনতা আমাদের
দেশে ঝড়ো হাওয়ার গতিতে বয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে নেট দুনিয়া অনুকরনে।
যা আমাদের ৯০% মুসলিম অধ্যুশীত দেশ
সামাজীকতায় বিশেষ ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত।
তারপর বলেছ ইসলামে আছে বহু বিবাহ
তা করতেই পারে। না এবিষয়ে এহাদীসের
অনেক নিয়ম নীতি আছে। তা নাজেনেই
যত সব লম্পট লুচ্চারা হাদীসটি ব্যবহার
করে হাদীসের অমর্জাদা করে।
তুমি যদি বহু বিবাহ্ করার পক্ষে বলো
তাহলে একবার লেখক হুমায়ুনের দিকে
তাকালেই বুঝতে পারবা কিভাবে তার প্রথম
পরিবার তার দ্বারা নিগৃহীত হয়েছে।
সন্তানেরা তার স্নেহ্ লালন থেকে বঞ্চিত
হয়েছে। তার একার জীবনের সুখের জন্য
পাঁচটা জীবন অবহেলিত লজ্জিত মর্মাহত
জীবন অতিবাহীত করেছে।
আসলে ইসলামে যে সুচ্ছৃংখল জীবন
পদ্ধতি আছে তা যদি সুন্দর ভাবে প্রয়োগ
হোত তাহলে বিচ্ছৃংখলা কখনও থাকতনা।
আমি আবারও বলছি বহু বিবাহের হাদীসটি
যত লুচ্চা লম্পটরাই ব্যবহার করে তারা
হাদীসটি জীবনে একবার পড়ে দেখে কিনা
বলা বাহুল্য। তারা ইসলামের নিয়ম নীতি
কিছুই জানেনা। অথচ বহু বিবাহের বেলায়
হাদীসটি ঠিকই মানে।
তাই আমাদের সমাজে মেয়েদের বেলায়
যত ন্যায় নীতি প্রয়োগ হয় ছেলেদের বেলায়
তার কিছুই না।
পুরুষের পাশাপাশী নারীরাও অবনতির
শিখরে উঠেছে।
তুমি যদি মনে কর হোটেলে ভাতমাংস সব
পাওয়া যায় ঘরে খেয়ে লাভ কি ঠিক
তেমনি শহুরে সমাজের কিছু মানুষ রুপি
জীবজন্তুর চলা ফেরা লক্ষমাত্রা বেড়েগেছে।
এখানে সমাজের ভদ্রমানুষ গা বাঁচায়ে চলে।
সম্প্রতি আপন জুয়েলারীর মালিক ছেলের
ঘটনা, এমন আরও ঘটনা সমাজের আনাচে
কানাচে ঘটছে ওপেন হচ্ছে কয়টা।
আর দায় ভার বহন করে মেয়েরা। ধন্যবাদ।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
আলপনা তালুকদার বলেছেন: পশ্চিমাদের অবাধ, প্রকাশ্য মেলামেশা আমাদের ভাল না লাগারই কথা।
যেকোন বাবা বা মা দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার আগের পরিবার কষ্ট পাবে, এটাই স্বাভাবিক। তবু এটা হয়। গোটা বিশ্ব জুড়েই, সব দেশে, সব ধর্মেই।
আমার একটা লেখার কিছুটা অংশ তুলে দিলাম আপনার কথার প্রেক্ষিতে।
"আমার মনে হয় পৃথিবীতে মেয়েদের প্রতি যত বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, তারমধ্যে মানসিক দিক থেকে সবচেয়ে নির্মম হল স্বামীর বহুস্ত্রীর একসাথে বসবাস। শান্তির ধর্ম ইসলাম কেন এটাকে সমর্থন দিয়েছে, আমি ভেবে পাইনা। একটা মেয়ের জন্য চোখের সামনে তার স্বামীর অন্য স্ত্রীর ঘরে শুতে যেতে দেখাটা যে কতটা অমানবিক, একটু কল্পনা করলেই বোঝা যায়। মেয়েরা এমন করলে পুরুষদের কেমন লাগবে? মাঝরাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোন বেজে উঠলে যেখানে পুরুষদের গায়ের সব লোম খাড়া হয়ে যায়, সেখানে...। পুরুষরা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বহুবিবাহের মত অনেক আইন বানিয়ে নিয়েছে, এখনও নিচ্ছে। ইরানের পার্লামেন্ট আইন পাস করেছে যে বয়স ১৩ বছর হলেই পিতা তার পালক কন্যাকে বিয়ে করতে পারবে। ভাবা যায়?
ইসলাম ধর্মে মেয়েদের যে সম্মান ও অধিকার দেয়া হয়েছে, নানা অজুহাতে তা লংঘণ করা হয়। একটা উদাহরণ দেই। দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইসলাম প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিতে বলেছে। কোন মেয়ে কি মন থেকে বা স্বেচ্ছায় সেটা দেয়? কোন পুরুষ কি তা নেয়? তাহলে দ্বিতীয়, তৃতীয়..... বিয়ে কি বৈধ? যদি না হয়, তাহলে বিয়ের পরে শারীরিক সম্পর্ক, বাচ্চা..... এসব কি বৈধ???
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮
অদ্ভুত মুগ্ধতা বলেছেন: খুব ভালো লিখছেন।।।