নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের ভালোবাসা এবং বুকের দুধের কোন তুলনাই হয় না !

১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

তাইওয়ানের ডাক্তারদের কাছে অন্যতম এক বিস্ময়ের নাম তাইওয়ানে জন্ম নেয়া এই শিশু বাচ্চা "লুই পিউং"!! বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার সময় তার দুটো কিডনি কোনো এক কারণে কাজ করছিলো না।। এতো ছোট বাচ্চা, তাই ডাক্তাররা কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চান নি।। কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তারা।। এভাবে প্রায় ১০দিন তাকে রাখার পর ডাক্তাররা এক রাতে ঘোষণা দেন এভাবে তাকে আর রাখা সম্ভব না।। এবং তারা বাচ্চার

বাবা মাকেও জানিয়ে দেন এই ব্যপারে।। বাচ্চার মা কাঁদতে কাঁদতে এক

পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।। সকাল ৭টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে নেবার কথা ছিলো।। ভোর ৫টার দিকে বাচ্চাটির মা তাকে শেষবারের মতো দেখতে চান।। জন্মের পর থেকে বাবুটিকে মায়ের কাছে রাখা হয় নি একবারও।।এমনকি খেতে দেয়া হয় নি মায়ের বুকের দুধ।। কাঁপা কাঁপা হাতে প্রাণের

টুকরাটিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি কাছে পেয়েই।। বাচ্চাটিও

হয়তো মায়ের ছোঁয়া পেয়ে ঢুকরে কেঁদে উঠে।। নিজেকে ধরে রাখতে পারেন নি মা।। আদরের সোনামণিকে পরম মমতায় জড়িয়ে রেখে বুকের দুধ খেতে দেন।। পরদিন সকালে ডাক্তার এসে দেখে এক আশ্চর্য

ঘটনা।। বাচ্চাটিকে সাপোর্ট খুলে নেয়ার আগে শেষবারের মতো তাকে একটা পূর্ণাঙ টেস্ট করা হয়।। এবার দেখা যায় বাচ্চার কিডনি আস্তে আস্তে দেহের তরল ফিল্টার করা শুরু করেছে।। ডাক্তার সকালে বাবুটিকে তার মা দুধ খাওয়ানোর কথা জানতে পান।। এরপর থেকে পুরো এক সপ্তাহ বাচ্চাটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।। এসময় তাকে মায়ের দুধ ছাড়া আর কোনো ঔষধ বা কিছুই বাড়তি দেয়া হয়নি।। ধীরে ধীরে সবাইকে অবাক

করে দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে সে।। মা এবং সৃষ্টিকর্তার

দয়া।। এই দুটোই যখন কারো সাথে থাকেন তখন পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে কি??





শুনেছি মায়ের কাছে, জন্মের পর আমি এতই ছোট রোগা এবং পাতলা ছিলাম যে পাড়া পতিবেশী দেখতে এসে বলত " ওমা; এ আবার কেমন ছেলে!! এত রোগা পাতলা ছেলেতো কোন দি ন দেখিনি; এই ছেলে বাঁচবে নাকি? ইত্যাদি ইত্যাদি" আমার মা এসব আশফোড় মার্কা কথা শুনে আমাকে বেড়িয়ে ধরে শুধু চোখের পানি ফেলতেন। মাঝে মাঝে হাফানির যন্ত্রনায় কাশতে কাশতে চোখ বড়বড় করে দম বন্ধ করে ফেলতাম। মা আমার হাউ মাউ করে কেঁদে উঠত; ভাবত তার কলিজার টুকরা বুঝি আর নাই। সেই থেকে আমার মা হার্টের রুগী। সন্তানের প্রতি ভলোবাসার বিন্দু মাত্র কমতি নাই। বাঁচিয়ে রেখেছে সৃষ্টিকর্তা, শুকরিয়া তাঁর দরবারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.