![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি
এর মাঝে একটা খবর দেখলাম কলম্বিয়ায় সুস্থ সবল একটি কণ্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে ১০ বছরের একটি মেয়ে। এটাই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব নিম্ন বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড। বর্তমানে আমাদের দেশে মনে হয় তারই ধারাবাহিকতার স্বীকার হয়ে ১২ বছরে মা হতে চলেছেন কুড়িগ্রামের এক মেয়ে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে ৫৫ বছরের এক ব্যক্তির অবৈধ মেলামেশায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট বাজার সংলগ্ন পূর্ব ফুলমতি গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর একই এলাকার দুই সন্তানের জনক বালাহাটস্থ জনতা বস্ত্রালয়ের মালিক জোনাব আলী হাজারী (৫৫) পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তার বাড়িতে যাতায়ত করত।
জোনাব আলী বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করত। সম্পর্কের কথা কাউকে না বলার জন্য সে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাত।
মেয়েটি বিষয়টি কাউকে না জানালেও শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটতে শুরু করলে পরিবারের লোকজন লালমনিরহাট শাপলা ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পায় সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা।
মেয়ের বাবা দিনমজুর এনামুল হক জানান, ‘আমি নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি। যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ভিকটিম মেয়েটি জানায়, ‘আমার পেটে যে সন্তান এটি জোনাব আলীর। আমি আমার এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জোনাব আলী হাজারী জানান, ‘সব সাজানো নাটক। বানোয়াট-ভিত্তিহীন। আমি এ ধরনের কোনো সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত নই।’
বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগম বলেন, ‘সে আমার স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বিষয়টি আমি শুনেছি। অপরাধী যেই হোক না কেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মুসাব্বের আলী মুসার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রামে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে।’
কথা পরে হবে ঠিকই; তবে তা ঘুরে অন্যদিকে চলে যাবে।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২১
আজিজুল হাকিম শাওন বলেছেন: সব দোষ ঐ বেটার, মেয়েটার মা-বাবা ও মেয়েটা নির্দোষ!
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
জুবাইদুর আকাশ বলেছেন: ডিএনএ পরীক্ষা করলেই পিতৃপরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং ঐ ব্যাক্তিকেই এই সন্তানের দ্বায়ভার নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ডিএনএ পরীক্ষা করলেই পিতৃপরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং ঐ ব্যাক্তিকেই এই সন্তানের দ্বায়ভার নিতে হবে।