নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা গ্যানটিং মাউনটেইন। পর্ব-৩

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

গ্যানটিং এর অন্যতম সেরা আকর্ষন হচ্ছে ৩.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল ওয়ে। টিকিটের হার মাত্র ৬ রিংগিত।



এখানে দুইটি ক্যাবল ওয়ে রয়েছে, আপনি সবগুলোর স্বাধ নিতে পারেন। ক্যাবল কারের মধ্যে বসে ইচ্ছামত ছবি তুলুন।



মেঘের মধ্যে সব কিছু কেমন যেন মায়াবী লাগে!!











মাঝে মাঝে ভাবে আমাদের দেশের সরকার বা কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কি পারে না আমাদের গর্ব বান্দারবানের কেওয়াকাড়াডাং কে সুন্দর কারে সাজাতে? সেখানে একটা ক্যাবল ওয়ে তৈরী করে পর্যাটনের আওতায় মানুষকে বিনোদনের একটা সুযোগ করে দিতে? অবশ্যই পারে, এটা আহামরি কোন প্রজেক্ট নয়। এর জন্য চাই দেশপ্রেম আর সদইচ্ছা। আমরা শুধু রাজনীতি নিয়ে লেবুর মতো কচলাতে পছন্দ করি অথচ দেশের সৌন্ধর্যের কথা একবারও ভাবি না।



যাই হোক আমাদের দুঃখের কথা এখানে আলোচনা করতে চাই না। ক্যাবল ওয়ের যে প্রান্তে আপনি নামবেন সেখানে দেখতে পাবেন বানরের ঝাঁক। তারা পারলে আপনার ঘাড়ে চড়ে বসে।









ফার্ষ্ট ওয়াল্ড এ ভিতর রয়েছে ইনডোর থিম পার্ক, স্নো ওয়ার্ল্ড, স্কাই ভেনচার, গ্যানটিং বউল, ভিশন সিটি এবং ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড ভিডিও গেম পার্ক। এছাড়াও পৃথিবীর অন্যতম বৈধ ক্যাসিনো। এখানে আফগানস্থানের প্রেসিডিন্ট থেকে বাংলাদেশের অনেক নামী দামী শিল্পপতি জুয়া খেলে পকেট শূণ্য করে চলে আসেন।















ঘুরতে ঘুরতে কখন যে আপনার সময় চলে যাবে টেরও পাবেন না। তবে মনে রাখবেন সুখের স্বর্গে বাস করে যেন আল্লাহকে ভুলে না যান। ফার্ষ্ট ওয়াল্ড হোটেলের দোতালায় নামাজের জন্য সুন্দর কায়দা আছে, টাইম মত কসর নামাজটুকু পড়তে ভুল করবেন না।



আমাদের মনে রাখতে হবে যার কৃপায় গ্যানটিং দর্শনের সুযোগ হয়েছে তাঁকে যেন ক্ষণিকের মোহে পড়ে ভুলে না যাই। তাঁর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে যত পারেন ঘুরে বেড়ান। একদিনে দেখা শেষ না হলে রাতে আশে পাশে কোথাও থেকে যান অথবা ফিরে আসুন কুয়ালালামপুর যেন পরের দিন ভোরে আবার রওনা হতে পারেন। এখানে আসতে হলে আপনাকে যা করতে হবে। ১) ক্যামেরার চার্জার সহ এক্সট্রা ব্যাটারী অবশ্যই সংগে আনতে হবে ২) কিছু শুকনা খাবার ৩) ভিডিও ক্যামেরা হলে আরো বেশী মজা করতে পারবেন এবং ৪) শীতের কাপড়

মালয়েশিয়া ভ্রমনের খরচ খুবই কম। ১৫/২০ দিন আগে টিকিট কাটতে পারলে আপনি ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে আপ-ডাউন টিকিট পেয়ে যাবেন। কুয়ালালামপুরে রয়েছে বাংলা মার্কেট, সেখানে গেলে আপনার কানে রহিম রূপবানের গানও কানে ভেসে আসবে। আপনার মনেই হবে না যে ভিনদেশে এসেছেন। তবে ভুলেও খাসীর মাংস খাবেন না, কারন ওখানে খাসী নাই, সব পাঠা। চেষ্টা করুন দেশী ভাই বেহালার কাছে থাকতে তাহলে ভাল গাইড পাবেন। ট্যাক্সি এভোয়েড করে মেট্রো/এলআরটি-তে চলাচল করুন। অধিকাংশ ট্যাক্সি ড্রাইভার ইন্ডিয়ান বা শ্রীলংকান, আপনাকে নির্জনে পেয়ে ল্যাংটা করে সব রেখে দিতে পারে। মালয়েশিয়ায় রয়েছে আমাদের দেশের মত চোরের খনি, ওখানেও ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হয়ে যায়। পুলিশ ভয়ংকার রকমের ঘুষখোর, নগদ ঘুষ না খেতে পারলে বাকিতে খায়। মালয়েশিয়ান খাবার হালাল হলেও পাকের স্টাইল ভিন্নতার কারনে হয়তো আপনার ভাল না-ও লাগতে পারে। মসজিদ জামেক এর অপজিটে পাকিস্তানী কিছু খাবার হোটেল আছে ওখানে আপনি পেট ভরে নান রুটি খেতে পারেন। এছাড়াও বাঙ্গালী রেষ্টুরেন্টে গিয়ে পেট ভরে বিরানী খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সস্তায় এবং অধিক টকটাইমের সুযোগ সহ মোবাইল সীম কিনতে হলে সোজা চলে যান বাংলা মার্কেটের মাইডিনের সামনে জুকিবক্স নামক দোকানে। সেখানে পাবেন বাঙ্গালী ভাইদের দেখা এবং আন্তরিক কো-অপারেশন।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমার জানামতে সব ক্যাসিনোই বৈধ.....অবৈধ কোন ক্যাসিনো কি চলতে পারে (বাংলাদেশে ছাড়া)

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: দারুন রক মুডে দারুন সময় কাটানোর জন্য আপনাকে অভিনন্দন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.