নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতি রাকায়াতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছিঃ



আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাত আদায় করল (অথচ) তাতে উম্মুল কুরআন (সূরা আল ফাতিহা) পাঠ করল না সে সালাত হবে অসম্পূর্ণ-অপূর্ণ তিনবার এটা বললেন। আবূ হুরাইরা (রাঃ) কে জিজ্ঞেসা করা হলো, আমরা ইমামের পিছনে থাকি (তখন কি সূরা ফাতিহা পাঠ করব?) তিনি বললেনঃ তখন মনে মনে তা পাঠ কর। কারণ আমি রাসূলূল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তা সে পাবে। বান্দা যখন বলে, (সকল প্রশংসা সৃষ্টিকূলের রব্ব আল্লাহরই জন্য) আল্লাহ তা'আলা তখন বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে, আর যখন সে বলে, (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু) আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণাবলী বর্ণনা করছে। অতঃপর যখন বলে, (বিনিময় দিবসের মালিক) তিনি বলেনঃ আমার বান্দা আমার মহিমা-সম্মানের বর্ণনা করছে। আর অন্য বর্ণনায় তিনি বলেনঃ আমার বান্দা (তার সকল কাজ) আমার উপর সমার্পণ করছে। আর যখন সে বলে, (আমরা শুধু আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি) তিনি বলেনঃ এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যের ব্যাপার। আর আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তা সে পাবে। আর যখন সে বলেঃ (আমাদের সরল-সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, তাদের পথ যাদের প্রতি আপনি নি'য়ামত দান করেছেন; যাদের প্রতি গযব নাযিল হয়েছে ওদের পথ নয় এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ওদের পথও নয়) তখন তিনি বলেনঃ এটা কেবল আমার বান্দার জন্য, আর আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তা সে পাবে। (সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ- প্রতি রাকায়াতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব)



সহীহ তিরমিযী ২/২৯৫৩ অনুঃ সুরা আল-ফাতিহা। হাদীসটি হাসান, সহীহ। সহীহ ইবন মাজা ৮৩৮।



সুতরাং আমাদের মাযাবীয় দোহাই পরিত্যাগ করে সহীহ হাদীস আমল করতেই হবে। কারন চার মাযহাবের ঈমামগণ অত্যন্ত দৃড়তার সংগে বলেছেন সহীহ হাদীসই আমার মাযহাব। যে সহীহ হাদীস পরিত্যাগ করল সে মাযহাব পরিত্যাগ করল। ঈমামগণের আদর্শচ্যুত হয়ে আজ আমরা নিজেদের ফতোয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে সহীহ হাদীস ত্যাগ করতেও কুন্ঠা করি না। আমাদের ইসলামিক আদর্শ যেন বর্তমান রাজনৈতিক দলের মত না হয়। আল্লাহপাক আমাদের সঠিক ভাবে সহীহ হাদীস আমল করার তৌফিক দান করুন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

স্যার ... বলেছেন: I am agree with you.

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: জামাতে নামাজের সময় পড়া লাগবে না।

দেখুন জামাতে নামাজ চলাকলীন সময়ে কেউ যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার আগে জামাতে শরিক হয় তাহলে ঐ রাকাত আর পড়তে হয় না।

বুজলেন কিছু না ঈহুদিরের দালাল ও মুসাদের এজেন্টদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: ইহুদীরা কখনো আল কোরআন এবং সহীহ হাদীস দিয়ে দলিল দেয়? মনে রাখবেন আপনি একজন মুসলমানকে ইহুদীর দালাল বলে গালি দিচ্ছেন। সে যদি সত্যই তা না হয় তাহলে বিষয়টা আপনার দিকে কাল কেয়ামতের দিকে ফিরে আসবে। তাছাড়া চার মাযহাবের দুই মাযহাবই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠের পক্ষে এবং এক মাযহাব শুধু জেহরী সালাতে পড়া লাগবে না বলে মন্তব্য করেছেন তবে যখন তেলাওয়াত শোনা যায় না তখন পড়তে হবে বলেছেন এবং হানাফী মাযহাবেই শুধু কোন ক্ষেত্রেই পড়া লাগবে বলা হয়েছে। মাযহাব মানতে হবে বলে আপনারা প্রচার করলেও অন্য মাযহাবের আমলকে ইহুদীর দালালদের সংগে তুলনা করেন। এবার ভেবে দেখুন আপনাদের অবস্থানটা কোথায়? ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) বলেছেন, সহীহ হাদীসই আমার মাযহাব।

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার স্পষ্ট দলিল মুসলিম শরীফে বিদ্যমান। ইমাম বুখারী (রঃ) এটার গুরুত্ব বোঝাতে একটা সতন্ত্র বই রচনা করেছেন যারা নাম জুজুএ কের'আত। পড়লে বুঝতে পারবেন যে সূরা ফাতিহা পাঠ ছাড়া মুক্তাদির সালাতই হয় না।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

েশাভন আহমেদ বলেছেন: আপনার হাদিস টি ঠিক আছে। এটাই সহিহ হাদিস। বাংলাদেশে শুন্নি মুসলমানদের মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে । একটা আহলে হাদিস আর একটা হলো আহলে হানাফি। আহলে হাদিস সমাজের লোকেরা উপরের হাদিসটি পালন করে। আহলে হানাফি সমাজের মধ্যে এরকম অনেক মন গড়া ব্যাপার চালু আছে যেটা সম্পুর্ণ হাদিস কুরআন বহির্ভুত।
সৈয়দ মোহাম্মদ ঃ আপনার নামটা সুন্দর। কিন্তু আপনি কিছুই জানেন না। সহিহ হাদিস পড়ে কিছু শিখে তারপর মন্তব্য কইরেন। ভাল হবে আশা করি।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: চোখের সামনে সহীহ হাদীস তুলে ধরলাম তার পরেও অন্ধ মাজহাবের অনুসরণ করেই চলেছে। অথচ ঈমাম আবু হানীফা বলেছেন সহীহ হাদীসই আমার মাজহাব। বর্তমানে যারা মাজহাবের কান্ডারী তারা ঈমাম আবু হানীফা (রাঃ) এর নির্দেশ অমান্য করে চলেন।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

বেলা শেষে বলেছেন:
الفاتحة ﴿





بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾


সুচিন্তিত মতবাদBrother Salam & Respect to all of you.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.