নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন উত্তরে ইসলামী জ্ঞানঃ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

সংকলনে: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-কাফী

লিসান্স (হাদীস), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

অনুবাদক ও গবেষক, বাংলা বিভাগ, জুবাইল, সৌদিআরব।

=========================

ভূমিকাঃ ইসলামী জ্ঞান সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান। মানুষ দুনিয়াতে যত জ্ঞানই লাভ করুক যদি সে ইসলামী জ্ঞান থেকে দুরে থাকে, তবে সে অজ্ঞই রয়ে যাবে। পরকালের নাজাত পেতে হলে ইসলামী জ্ঞান ও আমল ছাড়া কোন বিকল্প বা উপায় নাই। নবী (সাঃ) বলেছেন, 'জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উপর ফরয।" (সহীহ ইবনে মাজাহ)



১) প্রশ্নঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কারা?

উত্তরঃ যারা আকীদা ও আমলের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে থাকে এবং তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে। আর সাহাবায়ে কেরাম তথা সালাফে সালেহীনের রীতি-নীতিকে অনুসরণ করে।

২) প্রশ্নঃ অবৈধ অসীলার উদাহরণ কি?

উত্তরঃ যেমনঃ নবী-রাসূল, ফেরেশতা, ওলী-আউলিয়া ইত্যাদির অসীলা করা। মৃত ব্যক্তির কাছে দু'আ চাওয়াও নিষিদ্ধ অসীলার অন্তর্ভূক্ত।

৩) প্রশ্নঃ কবরে বা মাজারে বা কোন পীরের উদ্দেশ্যে মানত করার হুকুম কি?

উত্তরঃ শির্ক।

৪) প্রশ্নঃ সর্ব প্রথম আল্লাহ তা'আলা নবী (সাঃ) এর নূর সৃষ্টি করেন, একথাটি কি ঠিক?

উত্তরঃ না, কেননা এ সম্পর্কে সহীহ কোন হাদীস নাই। জাল (বানোয়াট) হাদীসের ভিত্তিতে অনেকে একথাটি বলে থাকে।

৫) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কি নূর থেকে সৃষ্টি?

উত্তরঃ না, আদম সন্তান যে উপাদানে সৃষ্টি, তিনিও সেই উপাদানে সৃষ্টি। (সূরা কাহাফ:১১০)

৬) প্রশ্নঃ বিদ'আত দু'প্রকারঃ ভাল বিদআত ও মন্দ বিদ'আত। এ সম্পর্কে আপনার মত কি?

উত্তরঃ এরূপ ভাগ করার কোন দলীল নাই। কেননা নবী (সাঃ) বলেছেন, "প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।" (মুসলিম)

৭) প্রশ্নঃ সাইকেল, বাস, ট্রেন, প্লেনে চড়া, বিদ্যুৎ, মাইক ব্যবহার ইত্যাদি কি বিদ'আত নয়?

উত্তরঃ না, কেননা একাজগুলো ইবাদত মনে করে সোয়াবের উদ্দেশ্যে করা হয় না। এগুলো দুনিয়াবী কাজ।

৮) প্রশ্নঃ বিদআত কাকে বলে?

উত্তরঃ সোয়াবের নিয়ত করে যে ইবাদত করা হয়; অথচ তার পক্ষে শরীয়তে দলীল পাওয়া যায় না, তাকেই বিদ'আত বলে।

৯) প্রশ্নঃ বর্তমানে প্রচলিত কিছু বিদ'আতের উদাহরণ কি?

উত্তরঃ নামাযে মুখে নিয়ত পাঠ, মীলাদুন্নবী উদযাপন, দলবদ্ধভাবে যিকির, কুলখানি, চল্লিশা, খতমে জালালী, খতমে ইউনুস, ফাতেহাখানি, জন্মবার্ষীকি, মৃত্যুবার্ষীকি, শবে বরাত উদযাপন ইত্যাদি।

১০) প্রশ্নঃ কুরআনের আয়াত লিখে তাবিজ ব্যবহারের হুকুম কি?

উত্তরঃ নাজায়েয। কেননা জায়েয হওয়ার পক্ষে নবী (সাঃ) বা সাহাবা-তাবেঈনের কারো থেকে কোন দলীল নাই। তাছাড়া কুরআনকে এভাবে ব্যবহার করলে, কুআনের অবমাননা হয়।

১১) প্রশ্নঃ অসুখ-বিসুখ হলে ঝাড়-ফুঁক করার হুকুম কি?

উত্তরঃ কুরআনের আয়াত ও হাদীসের দু'আ পড়ে ঝাড়-ফুঁক করা জায়েয।

১২) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কি গায়েব জানতেন?

উত্তরঃ না, তিনি কোন গায়েব জানতেন না। (সূরা-আনআমঃ৫০)

১৩) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কি জীবিত?

উত্তরঃ না, তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। (সূরা যমারঃ৩০)

১৪) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কি হাযের-নাযের (অর্থাৎ সবখানে তিনি উপস্থিত হতে পারেন, এরূপ বিশ্বাস করা কি?)

উত্তরঃ না, তিনি হাযের-নাযের নন। এরূপ বিশ্বাস করা কুফরী।

১৫) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কি কারো উপকার-অপকারের ক্ষমতা রাখে?

উত্তরঃ না। (সূরাঃ জিনঃ২১)

১৬) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) এর জন্ম দিবস উপলক্ষে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন করার হুকুম কি?

উত্তরঃ নাজায়েয, বিদ'আত।

১৭) প্রশ্নঃ কোন মুসলমানকে কাফের বলার পরিণতি কি?

উত্তরঃ ঐ ব্যক্তি কাফের না হলে, কথাটি যে বলেছে তার উপার পতিত হবে।





উপকৃত হলে শেয়ার করতে ভুল করবেন না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

মো কবির বলেছেন: আপনার সব কথা বুঝালাম এবং মানলাম , সব গুলোই সত্যিকার অর্থে ঠিক আছে।

কিন্তু একটা বিষয়ে আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
আপনি বললেন " আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কারা?"

তারপর উত্তর দিলেন, "যারা আকীদা ও আমলের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে থাকে এবং তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে। আর সাহাবায়ে কেরাম তথা সালাফে সালেহীনের রীতি-নীতিকে অনুসরণ করে।"

কিন্তু এর দলিল দেননি, যে এটা কোথায় থেকে পেয়েছেন,
তাই এই ব্যাপারে কুরআন এবং সহি হাদিসের দলিল চাচ্ছি।

যদি কোন দলিল না দেখাতে পারেন তাহলে, দয়া করে আর অন্যদের এই ভাবে বিভক্ত করবেন না।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: ভাই সালাম নিবেন । আপনার সাথে মত চিন্তা বিনিময় করতে চাই । ইনশাল্লা সামনে টাইম দিবেন ।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আল্লাহ নবী (সাঃ) শেষ ভাষনে বলে গেছেন আমি তোমাদের মাঝে দুই বস্তু রেখে যাচ্ছি, এই দুটি বস্তু যারা শক্ত করে আকড়ে ধরতে পারবে তারাই সফলকাম। আর এই দুটি বস্তু হচ্ছে আল কোরআন এবং আমার রেখে যাওয়া সুন্নাহ/বা সহীহ হাদীস।

এর বাইরে অন্য তরিকার সন্ধান করলেই আহলে সুন্নাতের মূল সূত্র থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবেন। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে ও তাঁর সাহাবীগণকে অনুসরণ করব না তাহলে কাদের করব? ১৬৪ তরীকা ? যেমনঃ আটরশি, চরমোনাই, কাদেরীয়া, চীশতিয়া, মুজাদ্দেদীয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.