নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সতর্কমূলক পোষ্ট, পড়ার পর নিজের বুদ্ধি এবং বিবেচনা হয়তো আপনার চোখ খুলে দিবে

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর জীবনীতে রয়েছে বহু অলৌকিক মুখরোচক গল্প। "শোনা যায়" এমন "শোনা যায়" ওমন ইত্যাদি ইত্যাদি। বড় পীরের একজন মূরীদ তোফাজ্জল হোসেন ভৈরবী। যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি (ক্ষতি) সম্পন্ন মোফাচ্ছালে কোরআন । শুনছিলাম তার ওয়াজ। আমি আপনাদের তা-ই জানাব যা তিনি বলেছিলেন উক্ত ওয়াজে। এখানে আমার নিজের থেকে কোন কথা নাই। বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর জীবনীতে যে সকল কথা বর্ণিত হয়েছে ঠিক সেই কথাগুলোই তিনি ওয়াজে সুর করে বক্তৃতা করছিলেন। তাহলে শুনুন সেই লোম হর্ষক কাহিনীঃ
তোফাজ্জল ভৈরবী ওয়াজ করছেন শ্রতার সামনে--
গাউসে পাকের জীবনীতে পাওয়া যায় একদিন গাউসে পাক আল্লাহকে ডাক দিলেন "আল্লাহ গো" আমরাতো শেষ নবীর উম্মত। আল্লাহ কয় ---হ
আমরা ফাইনাল না?
--হ
আপনারে আজ আমি একটা ফাইনাল খেলা দেহামু
আল্লাহ কয়ঃ কি খেলা?
একটা মহিলা একটা বাচ্চা নিয়ে যাইতাছে উনি বাচ্চাটার দিকে আঙ্গুল ইশারা কইরা কইল, ওই ছেলে ওই.. তুই মরে যা, সংগে সংগে
ছেলেডা মইরা গেল।
মা কইল,হুজুর করলেন কি? একটা পোলা আমরা, তারে মাইরাইলেন? মজা দেহামু এবার;
ওই মহিলা গেছে আপনাদের ফটিকছড়ি থানায়--গিয়া ডাকতাছে
-- ওসি সাব?
কি হইছে?
---কেস লেখেন
কিসের কেস?
--পোলা মাইরালাইছে
কেডায় মারছে?
--- বড় পীর সাব
না না না না বড় পীর সাবতো মানুষ মারা লোক না
তোফাজ্জল ভৈরবী ওয়াজ থামিয়ে........আচ্ছা বলুনতো ওলীরাকি মানুষের ক্ষতি করে?
শ্রোতা মন্ডলী সম্মিলিত কন্ঠেঃ না না না না না
তোফাজ্জল ভৈরবীঃ হের পরেওতো আপনার ওলীর বিরূদ্ধে কথা বলেন, কি ঠিক না?
শ্রোতাগণঃ হ.. ঠিকইতো
ওসি সাহেব কয়, মাফ চাই
কেমনে মারছে
--- আঙ্গুল ইশারা কইরা মারছে
হায় হায় কওকি? আঙ্গুল ইশারা করছে তোমার পোলা মরছে আর যদি শোনে আমি কেস লিখছি এমনও হইতারে কইল ওসি সাব আপনিও জাইনজ্ঞা..........(সকলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল)
জোরে বলেন আল্লাহর দেওয়া শক্তিতে আল্লাহর ওলীদের এরকম ক্ষমতা আছে কি না?
শ্রোতাগণঃ উচ্চ স্বরে "আছে" আছে
এটা হইল ওলীদের কেরামত, এইটা কি?
শ্রোতাগণঃ উচ্চস্বরে "ওলীদের কেরামত"
রাসূল বলেছেন, "কেরামাতুল আওলিয়াই হাক্কুন" অর্থাৎ ওলীদের কেরামত সত্য। তোমরা যদি না মান তাহলে তোমরা রাসূলের কথার বিপক্ষে গেলা, আমরা রাসূলের কথার পক্ষে আছি, ওলীদের কেরামত আমরা মানি কি বলেন? মানে নাআআআআ..................
শ্রোতাগণঃ মানিইইইইইই
ফাইনাল খেলা ক্লিয়ার। চ্যাম্পিয়ান হলেন আল্লাহ ওলীরা।
ওসি সাব কয়ঃ মাপ চাই কেস লেখব না
---রাহেন, এসপি সাহেবের কাছে যাইতাছি
কেস লয় নাই ওসি সাব, আমার পোলা মাইরালাইছে
--- কে তোমার পোলারে মারল?
বড়পীর সাব।
---কিভাবে?
আঙ্গুল ইশার করে
---মাপ চাই, মা ভাগেন তাড়াতাড়ি। যদি শুনে এসপি কেস নিসে খালি কইবে এসপি বিদায়........সাথে সাথে আমি বিদায় (শ্রোতার অট্টহাসি)
কিন্তু কেউ কেস নিল না। ঘুরতে ঘুরতে আবার আসছে।
হুজুর আমার পোলাডারে মাইরাইলেন? কেউ কেস নেয় না!! একটা পোলা আমার, মন কান্দে;;;
হুজুর কর ওই পোলা ওঠ তোর মার নাকি মন কান্দে;; ওঠ, ওঠ, ওঠ (তীব্র স্বরে)
সোবহান আল্লাহ কইতেন না?
"সোবহান আল্লাহ!!" কনতো পোলায় উঠছে কিনা, কনতো?
শ্রোতাগণঃ উঠছেএএএএএ.........

আমার কথাঃ আপনার যারা পড়ছেন, তারা বলুন "নাউযুবিল্লাহ!!"
আল্লাহ পাক বলেছেন, "নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। তিনি সব কিছু করতে সক্ষম। (আল কুরআন, ৫৭:২)

তোফাজ্জল ভৈরবী গোফে তা দিতে দিতে এবার বললেন, সময় কম আগেবাড়ি.........
জোরে কন "কাইদা"
শ্রোতাগণ (উচ্চস্বরে) "কাইদা"
যদি কন হুজুর "কাইদা" জোরে কওয়াইলেন ক্যান? আমি কমু অন্য কোন নবীর উম্মত "কাইদা" জানে না একমাত্র আখেরী জামানার নবীর উম্মত "কাইদা" শিখছে, কি শিখছে?
---কাইদা.....
গাউসে পাকের জীবনীতে পাবেন কাইদা জানা ফল কি? একদিন গাউসে পাক ডাকতেছে; "আল্লাহ"
আল্লাহ বলেনঃ কি
-- নাহ! তেমন কিছু না;; এমনি ডাক দিলাম;;
আল্লাহ বললেনঃ না আমিতো বলছি, আমাকে ডাকলে কোন দাবীদাবা থাকলে আমি পরিশোধ করবো। কোন দাবী থাকলে কও;;;
গাউসে পাক কয়ঃ দাবী থাকলে কমু কিন্তু আমি যে দাবীটা করমু তুমি কি তা পরিশোধ করতে পারবা?
আল্লাহ বললেনঃ কেন? আমি না ঘোষনা দিয়েছি "লায়াল্লাকুম ইয়ারসুদুন" আমার কাছে কেউ দাবী করলে তা পরিশোধ করে দিব।
--- কিন্তু আমি যেটা দাবী করমু তুমি মনে হয় সেটা দিতেআরতা না;;
আল্লাহ কয়ঃ এই আব্দুল কাদীর, আমি দিতে পারতাম না মানে?
--- তাইলে আমারে নবী বানায়ে দেহাও;;
আল্লাহ কয়ঃ নবীতো আর আমি বানাইতাম না।
---আমিতো আগেই জানি তুমি পারতা না।
কায়দা হলো তো?
আল্লাহ বললেনঃ ও আব্দুল কাদির নবীর দরজাতো আমি আগেই বন্ধ করে দিয়েছি কোরআন শরীফ দ্বারা। ঘোষনা দিয়েছি, "ওয়ালাতা রাসূলুল্লাহি ওয়া খাতুমুন্নবী" নবী তো আর আমি বানাইতামনা। তুই যে দাবিটা করলি এহন কেমনে কি হইল? কতো দেহি;;;;
---আমি জানতাম তুমি পারতা না।
আল্লাহ বললেনঃ তাইলে এইডা ছাড়া তুই অন্য কিছু দাবি কর?
---কি দাবী, আমি আব্দুল কাদীর আমার কাদেরীয়া তরিকার সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের তুমি মাফ কইরা দাও।
আল্লাহ চিৎকার দিয়ে বললেনঃ এইডা পারি, এইডা পারি। যা আজ থেইক্যা তোমার কাদেরিয়া তরিকার সাথে যারা জড়িত থাকবে আমি আল্লাহ সবাইকে মাফ কইরা দিলাম।
তোফাজ্জল ভৈরবিঃ আল্লাহর ওলীদের সাথে সম্পর্ক রাখলে লাভ হবে নাআআআআ.........
শ্রোতামন্ডলীঃ হবেএএএএএ

আসুন আগে বাড়ি, সংক্ষেপ আলোচনা। বলুন আল্লাহর ওলীদের ক্ষমাত দিয়েছে কেএএএএ......
শ্রোতাঃ আল্লাহ
আরো জোরে কন...
---আল্লাহ
আমরা হলাম কয়দা ওয়ালা। কায়দা জানি, শুধু এখানে নাতো। গাউসে পাক যেদিন কবরে শুইছিল। কাশফওয়ালা ওলীরা বলেন, আমরা চারদিকে দাড়াইয়া অন্তরের চক্ষু দিয়া দেখতেছি যে গাউসে পাকের কাছে মুনকীর-নকীর আইসা জিগায়..
তোমার রব কে?
এমনি দুয়োডারে থাবা দিয়া ধরছে (চোরের কলার ধরা মতো)। ধইরাই কইল, রব কে জিগাইলি। সালাম কই?
আমরা যে নবীর উম্মত আগে সালাম পরে কালাম। সালাম কই?
-- হুজুর আমরাতো ফেরেশতা;; (ভয়ে বিগলিত কন্ঠে) আমরা আজ পর্যন্ত কারো কবরে সালাম দেই নাই।
গাউসে পাক ওদের আরো চাপাইয়া ধরতেছে (ঠিক দুই হাতের দুই বগলে ছিনতাইকারী পিষে ধরার মতো), তোরা ফেরেশা? আমিতো তোগরই খুজতাছি;;;(হঠাৎ করে কোন দাগী আসামী হাতের কাছে পেলে আমরা যেমন বলে, "হালা তোরেইতো আমি খুজি")
(চারিদিকে শ্রোতাদের অট্টহাসি)
ফেরেতারা কইলঃ কন কি?
--হ;;
কেন?
-- তোরা নাকি আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) রে বানানের সময় নিষেধ দিছিলি? আজকে সাইজ কইরালামু
(দাঁত বের করে তোফাজ্জল ভৈরবী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলল: জোরে জোরে কন সুবহান আল্লাহ")
কাইদা জানে তো!! ঐ যে কাইদা জানে;; শুধু এখানে না তো। এই নবীর উম্মত কায়দা ওয়ালাতো;;; হাশরে পর্যন্ত লাগায়ে দিবে বিরিঙ্গিনি। যদি নবীর ভালোবাসার ওলী হইতে পারেন তাহলে কবরে সাপে দংশন করা তো দুরের কথা দেখবেন সাপ তখন কম্বল হইয়া গায়ে চইড়া থাইবো। কিভাবে হইবো? সামনে আসতেছি............................

দীর্ঘ ওয়াজ তাই সব শুনে শুনে লেখা আমার জন্য খুবই কষ্টের। উক্ত ওয়াস শুনে পিস টিভির বিশিষ্ট আলোচক শাইখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী বলেছেনঃ লালুও মোফাচ্ছেরে কোরআন আবার ভুলুও মোফাচ্ছেরে কোরআন। আরে পেটের উপর বোম মারলে তাফসীর লিখতে কয়টা অক্ষর লাগে জানে না। তারপর হইছে আন্তর্জাতি ক্ষতি সম্পন্ন মোফাচ্ছেরে কোরআন। যেদিন থেকে তোফাজ্জল ভৈরবী যেদিন মোফাচ্ছেরে কোরআন এবং তাফসীরে কোরআন হয়েছে সেইদিন থেকে বাংলার তাফসীর এবং ওয়াজের হাড়িতে কুত্তায় মুখ দিছে। কুত্তা খানায় মুখ দিলে যেমন খানা নষ্ট হয় ঠিক তেমনি তোফাজ্জল ভৈরবী তেমন ওয়াজ মাহফিলের জাতমান সব ডুবিয়ে দিয়েছে। একজন নাদান জাহেল, গন্ড মুর্খ, শিরক বিদ'আতের ঠিকাদার যেদিন থেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাচ্ছেরে কোরআন নাম দিয়েছে সেই দিন থেকে বাংলার ওয়াজ ও তফসীরের হাড়িতে কুত্তায় মুখ দিয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: if you want to know about him Click This Link

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: ভাই চমৎকার তথ্য পেলাম। ভাল লাগল পড়ে

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আহ! সহজ সরল মানুষগুলো কীভাবে প্রতারিত হচ্ছে এভাবে মিথ্যা ওয়াজ শুনে শুনে। আর নাস্তিক/প্রগতিশীলরা এসব শুনে ইসলামকে হাস্যকর বিষয় হিসেবে আনছে। আল্লাহ আমাদের সঠিক ইসলাম পালন করার তওফিক দান করুক।
এখন আপনার কাছে আমার সাধারণ জিজ্ঞাসা। ওয়াজ মাহফিলে বেশীর ভাগ এসব কাহিনী, রং মিশিয়ে বলা হয়। মানুষও আবার তা পছন্দ করে। মানুষ আবার এসব পীরের অনুসারী হয়ে নামাজ-কালামও পড়ে। এখন, সত্যি ইসলাম রাখতে হলে তো এসব ওয়াজ মাহফিল আর পীরদের থামাতে হবে। তখন তো আবার মানুষ ইসলাম বিমূখ হয়ে যাবে। কারণ, অনেকে এই ওয়াজ, পীরদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সঠিক ইসলামের দিকে কীভাবে আনা যায়?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: মানুষকে সঠিক ইসলাম বুঝাতে হলে তাদের পিস টিভি বাংলা দেখার জন্য অনুরোধ করবেন। সেখানে একটা সরিষার দানাও মিথ্যা কথা প্রচার করা হয় না। সহীহ আক্বীদাহ না থাকলে মানুষ ভুল পথে চলতে বাধ্য।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

আলম৪৩৪ বলেছেন: ভাই আপনি সে ওয়াজে থেকে সব শুনলেন, আল্লাহ দিতে পারে না বা করতে পারেনা এমন কথা শুনে শালারে কিছু বলতে পারলেন না, এ ধরনের ওয়াজ থেকে সাধারনত জঙ্গি সৃষ্টি হয়

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: এ ধরনের ওয়াজ থেকে জঙ্গি নয় বরং বিদ'আতী ও শিরকী আমল শুরু হয়। তার ক্ষমতা নবী রাসূলদের থেকেও বেশী বলে তার বইয়ে উল্লেখ করা আছে। অবাক কান্ড !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.