নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক মিনিটের রিপুর তাড়নায় চাকরী হরালো ড্রাইভার !!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

তের চৌদ্দ বছরের ছোট্ট মেয়ে মালঞ্চ। আমাদের বাসায় কাজ করে বছর দুই হল। মালঞ্চের ফুফাত বোন হাজের আমাদের বাসায় সুদীর্ঘ পাঁচ বছর কাজ করেছে। যখন প্রথম কাজ শুরু করেছিল তখন মালঞ্চের বয়সিই ছিল। বিবাহের বয়স পুর্ণ করে তার মা বাবা দেশে নিয়ে গেছে মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য। সেই সাথে আমাদের বাসায় হাজেরার মা তার আপন ছোট ভাইয়ের মেয়ে মালঞ্চকে রেখে গেছে। তার ছোট ভাইকে আশ্বস্ত করে বলেছে যে, তোর মেয়ে এখানে নিরাপত্তা সহ স্বসম্মানে বছরের পর বছর থাকতে পারবে। অনেক বাসা থেকে বেশী বেতনে অফার আসলেও মালঞ্চর বাবা তার মেয়েকে আমাদের কাছে রাখতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। মেয়েটা সবে মাত্র বয়সন্ধিকালে পা রেখেছে। একদিকে যেমন গায়ের রংটা কুচকুচে কালো অন্যদিকে মুখের গঠনও তেমন সুবিধা জনক নয়। তার পরেও মাঝে মাঝে দেখা যায় রাস্তায় দাড়িয়ে কোন মিস্ত্রি বা লেবার গোছের কেউ ভুলকি মারছে। একটা মেয়েকে তার বাল্যকাল থেকে মৃত্যু অবধি কত যে নোংরা অভিজ্ঞতার ভিতর পার করতে হয় তা বোধ করি কারো অজানা নয়। রাস্তা ঘাটে, মার্কেটে, স্কুল, কলেজে, ভীড়ের মাঝে, একাকী চলার পথে, দিনের বেলায়, রাতের অন্ধকারে সর্বদা ওৎ পেতে থাকে এক শ্রেণীর মানুষ রূপি জানোয়ার। সুযোগ পেলেই তারা নারীদের খাবলে খেতে শুরু করে। ভাল লাগা, মন্দ লাগা, স্থান বা কালের কোন ভেদা ভেদ না করেই ঝাপিয়ে পড়ে এসকল মানুষ রূপি হায়নার দল। কেহ কেহ মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারে না আর কেহ আছে যারা লাজ লজ্জার তোয়াক্কা না করে জন সম্মুখে এসকল হায়নাদের মুখোশ খুলে দেয়।

আমাদের পাঁচ তলার জামাল ভাইয়ের ড্রাইভার মনির। বয়স ৪০ এর কোঠায়, ঘরে স্ত্রী এবং একটা বাচ্চা। যে বেতন পায় তা দিয়ে ঢাকা শহরে কোন মতে চলে যায়। টান পোড়নের সংসারে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলেই হাত পাততে হয় বন্ধ বান্ধবের কাছে। এভাবে মাথার উপর বেশ লোনের বোঝা চেপে আছে অনেক দিন ধরে। জামাল ভাইয়ের কাছ থেকে ২৫,০০০/- টাকা অগ্রীম নিয়ে লোনের কিছু টাকা শোধ দিলেও বেতনের সাথে সমন্বয় করার কারনে সংসারে অভাবের তাড়না থেকেই যায়। এমন যার অবস্থা তার ভিতর রিপূর তাড়না আসে কি করে বুঝি না। গতকাল মালঞ্চকে সকাল ৮ টার দিকে আমার স্ত্রী নীচে দাড়ানো তরকারি ওয়ালার কাছে পাঠিয়েছিল কিছু শাকপাতা কেনার জন্য। যথারীতি মালঞ্চ নীচে নেমে শাকের মোটা নিয়ে উপরে উঠছিল। দারোয়ানের রুমের পাশে চেয়ারে বসেছিল ড্রাইবার মনির। মালঞ্চকে একা নামতে দেখেই ওর মনে শয়তান এসে খোঁচা দিল। এইতো সুযোগ !! তুই ওকে টেনে নিয়ে দারোয়ানের রুমের ভিতর যা খুশী তাই করতে পারিস; শয়তান মনিরের দেমাগ খারাপ করে দিল। মালঞ্চর হাত ধরে টেনে নিয়ে জোর করে দুই হাত দিয়ে শরীরের সংগে চেপে ধরল। তোমাকে আমার ভাললাগে, আমি তোমাকে ভালবাসি ইত্যাদি ডায়লগ চলতে লাগল সেই সাথে দুই হাত দিয়ে মালঞ্চর শরীরটাকে দুই হাতে খাবলাতে শুরু করল। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট পার করার পর উপর থেকে আমার স্ত্রীর গলার স্বর টের পেয়ে তাকে ছেড়ে দিল শয়তান রূপি মনির। এদিকে তিন তলায় শাকপাতা নিয়ে উঠতে দেরী দেখে দরজা খুলে আমার স্ত্রী গলা ছেড়ে মালঞ্চকে ডাকতে শুরু করেছে। গুটি গুটি পায়ে ও উপরে এল, তাকে দেরীর কারন জিজ্ঞেসা করার পর সব কথা অকপটে স্বীকার করল অবুঝ শিশু মালঞ্চ। অবশেষে আমার কাছে বিচার; আমি প্রথমে হস্তক্ষেপ না করে জামাল ভাইয়ের স্ত্রীর কানে বিষয়টা দেবার জন্য আমার স্ত্রীকে পরামর্শ দিলাম। যথারীতি ভাবিকে জানানো হল, সে জামাল ভাইয়ের কানে দিতেই যা হবার তাই হল। ড্রাইভারকে নিয়ে আমার বাসায় চলে এল সরে জমিনে তদন্ত করার জন্য। প্রথমে মনির মেয়েটাকে চরম মিথ্যাবাদী বলে সম্বোধন করল এর পর সে সত্যের কাছে হেরে গেল। জামাল ভাই ড্রাইভারের অভাব এবং আর্থিক সহযোগীতার কথাও জানাল। ভাবী কিছুতেই ঐ ড্রাইভারের পিছনে বসে তার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিল। ড্রাইভার হাউমাউ করে কেঁদে এবারের মতো ক্ষমা করে দিতে বলল। তার কান্না দেখে আমার স্ত্রীর খুব খারাপ লাগছিল কারন তার ঘরে ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে হঠাৎ করে চাকরী চলে গেলে ঢাকা শহরে নতুন চাকরী পাওয়া সহজ নয়। যে পুরুষ ঘরে স্ত্রী সন্তান রেখে কাজের মেয়ের শরীরে হাত চালয় তাকে রাখা জামাল ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব নয় তাই তখন তাকে বিদায় করে দেওয়া হল।

একেই বলে রিপুর তাড়না। রিপু মানুষকে অমানুষ করতে বেশী সময় নেয় না।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

লোপা এসহক বলেছেন:
প্রথমে মনির মেয়েটাকে চরম মিথ্যাবাদী বলে সম্বোধন করল.
হ্যা সব শয়তানই এরকম করে থাকে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: যারা এহেন ঘৃণ কাজ করে মিথ্যা কথা তাদের কাছে ডাল ভাত।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

প্রামানিক বলেছেন: এদের সাংসরিক টানাহেঁচড়া থাকে কিন্তু আদিমতার কমতি থাকে না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: কুপ্রবৃত্তি তাদের সর্বদা তাড়া করে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: এদের নপুংসক করে দেওয়াই
উত্তম ও চরম শাস্তি!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: কে দিবে এমন শাস্তি?

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: রিপু মানুষকে অমানুষ করতে বেশী সময় নেয় না।

একমাত্র আল্লাহর ভয় অন্তরে পয়দা করতে পারলে মানে তাক্বওয়া বৃদ্ধি করতে পারলে শয়তানের ধোকা থেকে বেচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীন মেনে চলার তৌফিক দান করুন, আমিন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: শয়তান যখন ভর করে আল্লাহর ভয় তখন দুরে সরে যায়।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইন্দোনেশিয়ায় শিশু যৌন নির্যাতনকারীকে শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক পদ্ধতিতে নপুংসক করে দেওয়া হবে। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধে এ পদ্ধতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ প্রাসেতিও বলেন, এ জাতীয় শাস্তি দেওয়া হলে এমন অপরাধ করার আগে যে কেউ হাজারবার চিন্তা-ভাবনা করবে। প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ শাস্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট শিগগিরই এ সংক্রান্ত ফরমান জারি করবেন বলে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এর ফলে সংসদের ভোটাভুটি ছাড়াই এটি আইনে পরিণত হবে। এ আইনে শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্ত্রী হরমোন প্রবেশ করিয়ে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনকারীকে নপুংসক করে দেওয়া হবে
পোল্যান্ড এবং আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে যৌন নির্যাতনকারীদের এ জাতীয় শাস্তি দেয়ার প্রচলন রয়েছে। এশিয় দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ২০১১ সালে এ শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করেছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
সুতরাং সরকার চাইলেই পারে আমাদের দেশেও এই বিধান দিতে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আমি মনে করি আল্লাহর আইনই সর্বোচ্চ। অবিবাহিত যুবক যুবতী ব্যভীচারে লিপ্ত হলে ১০০ দোররা এবং বিবাহিতরা জেনা ব্যাভীচার করলে মাটির নীচে অর্ধেক পুতে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড। তবে যারা তওবা করে তাদের বিষয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম বা আরো কঠিন শাস্তি দেয়া উচিৎ ঐসব হারামী যৌননির্যাতনকারীকে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: শাস্তি তার হয়ে গেছে। অপমান আর অপদস্ত তাকে কম করা হয় নাই।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: চাকরি গেলে আবার পাবে। এদের আরো কঠিন শাস্তি দেওয়া দরকার।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ;)অনেক কিছুই হাড়ানোর কথাছিল:D

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হয়।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: যদি ড্রাইভারকে এইবারের মতন মাফ করে দেওয়া হত, তবে সে আবারো এই কাজ করতো, অন্তত অশিক্ষিত/কুশিক্ষিত বাঙালী এইরকমই।

তবে প্রার্থনা করি ড্রাইভার ভালো হয়ে যাক, আর নতুন চাকরী পাক। এইরকম চরম শিক্ষা জীবনে দরকার বৈকি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: সেই কামনা আমারও

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

আরজু পনি বলেছেন:
ঘরে স্ত্রী, সন্তান থাকুক বা না থাকুক যে নিজের যৌন চাহিদা সামলাতে না পেরে অন্যকে বিব্রত করে, নিপীড়ন করে তার শাস্তিই হওয়া উচিত ।
ওদের উচিত ছিল ড্রাইভারকে কান ধরে উঠবস করানো । তারপর কিক মারা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: কান ধরে উঠ বস করানোর থেকেও লজ্জা তাকে দেওয়া হয়েছে।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

আপেক্ষিক বলেছেন: শুধু চাকরী কেন,এঁদের কে সমাজের সমস্ত কিছু থেকে একঘরে করে রাখা উচিৎ। সমস্যা হল এই লোক যদি সমাজের উপরের দিকের কেউ হত তাহলে তার গায়ে বাতাসও কেউ লাগাতে পারত না। সব স্তরেই এরা আছে এবং এদের সবাইকেই শাস্তি দেওয়া উচিৎ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: মেয়েদের যৌন নিপীড়নের স্বীকার হতে হয় সেই ছোট্ট বেলা থেকে। এমন কোন মেয়ে নাই যারা এই ধরনের বাজে অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েন নাই। সরকার যদি এর বিরূদ্ধে কঠোর আইন প্রনয়ন করত তাহলে এটা হয়তো একসময় থেমে যেত।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

মানবী বলেছেন: একজন মালঞ্চকে আপনার স্ত্রী রক্ষা করতে পেরেছেন, তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রতিদিন এমন শট শত মালঞ্চ এসব হায়নার ছোবলে জর্জরিত হচ্ছে ওদের রক্ষা করার কেউ নেই, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনি নিজেই অনেক ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়।

আপনার প্রতিবেশীকে সাধুবাদ জানাই ড্রাইভারকে তাৎক্ষণিক ভাবে চাকরচ্যুত করায়।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: নুর মোহাম্মদ নুরু র সাথে আমি একমত। আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। প্রতিটা বাচ্চা মেয়েকে সতর্ক থাকার জন্য শিক্ষা দিতে হবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: আমাদের দেশে অবহেলিত মেয়েদের বেলায় ঘটে বেশী দুর্ঘটনা এর ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই অল্প বয়সে অন্তসত্ত্বা বা বাচ্চা জন্ম দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া অবুঝ শিশুর করুন চিৎকার। কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়েদের হার মানতে হয় অসহায়ত্বর কাছে। তবে উচিত শাস্তির বিধান থাকলে এমন সাহস কেউ কখনো পাবে না।

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

ভোরের সূর্য বলেছেন: উপরের মন্তব্যকারীরা সবাই যা বলার বলে দিয়েছে কিন্ত আরো একটি ব্যাপার মনে হয় খেয়াল করেনি অনেক।
যাই হোক ব্যাপারটা আমি উল্লেখ করছি।
তের চৌদ্দ বছরের ছোট্ট মেয়ে মালঞ্চ। আমাদের বাসায় কাজ করে বছর দুই হল।
তার মানে ২বছর আগে মেয়েটির বয়স ছিল এগার কিংবা বারো। ভাই কি জানেন বাংলাদেশে শিশুশ্রম একটি অপরাধ? এগারো/ বারো বছরের বাচ্চা কে কিভাবে আপনারা আপনাদের কাজের লোক হিসেবে রাখলেন? একটু চিন্তা করুনতো আপনার কিংবা আমার সমবয়সি বাচ্চাটা কাজের লোক হিসেবে আপনাকে রান্না করে দিচ্ছে, আপনাকে এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে,কাপড় কেচে দিচ্ছে? এটাও কি ঠিক? আপনি যেমন সংবেদনশীল হয়ে এই লেখাটি লিখেছেন এবং উচিৎ কাজটি করেছেন তেমনি আশা করবো নিজের বাসায় কাজের লোক রাখার ব্যাপারাও ছোট বাচ্চাদের কাজের লোক হিসেবে রাখবেন না। শুধু আপনার বাসায় না বরং দেশের অনেক মানুষের বাসায়,দোকানে,কারখানায় শিশুশ্রম হচ্ছে। এইতো কিছুদিন আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং তার স্ত্রী কে শিশু শ্রম এবং নির্যাতনের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে তার স্ত্রী এবং আজকে ক্রিকেটার শাহাদত জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আশা করবো আমরা সবাই যেন এই বিষয়ে সচেতন হই এবং মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখি।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: দেখুন ভাই, একজন গরীব অভাবী বাবা তার সন্তানের মুখে দু'বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে পারেন না। এই ছোট্ট মেয়েছি আমার ছোট্ট ছেলেটাকে কোলে নিতে পারে এবং আমার স্ত্রীর রান্না ঘরের টুক টাক কাজ করে যা উভয়ের উপকার হয়। একদিকে মেয়েটা তিনবেলা পেট ভরে খেতে পাচ্ছে এবং পাচ্ছে নিরাপত্তা সেই সাথে অভাবি বাবা মাস শেষে কিছু টাকা। এসকল মেয়েকে যদি কাজ না দেই হয়তো ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে রাস্তায় নামবে। তখন অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি মুখ সিটকে বলবে "কাজ করে খেতে পারিস না?" আসলে আমাদের সমাজে জ্ঞানী লোকের অভাব নাই আছে শুধু সহানুভূতির। আমরা কি কেউ মালঞ্চর মত গরীব পিতা মাতার সন্তানদের তিনবেলা খাবার গ্যারান্টি দিতে পারি? আমরা কি কখনো রেল লাইনের পাশে দাড়িয়ে থাকা কোন টোকাই বাচ্চাকে ডেকে নিয়ে একবেলা হোটেলে খাওয়াই? উত্তর হচ্ছে "না" সকল ধনী শ্রেণীর মানুষ যদি পর্যাপ্ত পরিমানে যাকাত দিত তাহলে এই শ্রেণীর মানুষকে কখনো কারো বাসায় কাজ করে খেতে হত না। অথবা সরকার যদি এদের তিন বেলা খাবার ব্যবস্থা করত তাহলে এদের শ্রম দিতে হত না। আমরা অনেকেই গলা ফাটিয়ে শিশু শ্রমের বিরূদ্ধে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াই অথচ যারা পেটের দায়ে কাজ করে তাদের তিন বেলা আহারের সুব্যবস্থা করতে পারি না। আমরা কি মালঞ্চর বয়সি কোন অভাবী পিতা মাতার মেয়েকে তুলে এনে ঘরে তিন বেলা খাওয়াই? উত্তর হচ্ছে "না" এমন হাজারো মালঞ্চ পেটের দায়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাজ করে খাওয়া ভিক্ষা করে খাওয়ার থেকে অনেক উত্তম এবং সম্মানের। সব শ্রেণীর মানুষ বাচ্চাদের উপর নির্যাতন করে না। জাতীয় ক্রিকেটার ছিল অমানুষ। এছাড়া ঢাকা শহরে ১৮ বছর বয়সী কোন কাজের মেয়ে কখনো কারো বাসায় বান্দা ভাবে কাজ করে না। তারা একটু বড় হলেই গার্মেন্টসে চলে যায় অথবা ছুটা কাজ করে বেশী পয়সা কামায়। যাদের ঘরে সর্বত্র একজন লোক দরকার তাদের জন্য আল্লাহ পাক "মালঞ্চ"র মতো কাউকে সৃষ্টি করে রেখেছেন যেন একজন আরেকজন কর্তৃক উপকৃত হতে পারে।

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমি জানি আপনি এই উত্তটি দিবেন আমাকে। ইচ্ছা করলে তখনই আপনাকে এটারও উত্তর দিতে পারতাম কিন্তু আমি কমেন্ট বড় করতে চাইনি।
ভাই আপনি মেয়েটিকে ৩বেলা খাবার দিচ্ছেন কেন? মেয়েটির বাবা কে কিছু টাকা দিচ্ছেন কেন? ফ্রী? অবশ্যই না। মেয়েটিকে কাজ করাচ্ছেন। আর শুধু যে মেয়েটি আপনার ছেলেটিকে কোলে নেয় তা কিন্তু নয়। বাসার নীচ থেকে টুকিটাকি বাজারও করে দেয়। আর ভিক্ষা করার কথা বলছেন? ভাল কথা তাহলে মেয়েটির দায়িত্ব নিন। পড়াশুনা করান কোন কাজের বিনিময়ে খাদ্য টাকা না দিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সাহায্য করুন। কাজ করে খাওয়া ভিক্ষা করার থেকে উত্তম তাহলে আপনার সাথে অন্যদের কি আর পার্থক্য থাকলো? এমনি এমনি কি আপনি কি মেয়েটিকে খাওয়াচ্ছেন নাকি? নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করেইতো তাকে খাওয়াচ্ছেন। যেটা অপরাধ সেটা অপরাধই।
যে অপরাধ করেছেন সেটা কোনভাবেই কোন উত্তর দিয়েই আপনি হালাল করতে পারেন না। কাজ করে খাওয়া ভিক্ষা করে খাওয়ার থেকে অনেক উত্তম এবং সম্মানের। এই যুক্তি ১৮ বছরের উপরের ক্ষেত্রে খাটে কিন্তু ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাটে না। ভাই উন্নত দেশগুলোতে সবাই নিজে নিজে কাজ করে। ব্যাপারটা এমন না যে ওখানে কাজের লোক পাওয়া যায় না বা ইত্যাদি ইত্যাদি। ওরা নিজের কাজ নিজেরাই করতে পছন্দ করে। ওদের দেশেও ছোট বাচ্চা আছে।
যাদের ঘরে সর্বত্র একজন লোক দরকার তাদের জন্য আল্লাহ পাক "মালঞ্চ"র মতো কাউকে সৃষ্টি করে রেখেছেন যেন একজন আরেকজন কর্তৃক উপকৃত হতে পারে।
ভাই ধর্মেও এই বিষয়ে বলা আছে দয়া করে অপরাধ করে আবার আল্লাহ কে ডাকবেন না। আপনি শেষে যে লাইনটি বলেছেন বুক ফুলিয়ে আপনার তো লজ্জা হওয়া উচিৎ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: তো ভাই আপনার মতো মহৎ লোককে সালাম দিতে হয়। আপনার দাতব্য শালায় ওকে একটু ঠাই দিবেন? আমার বাচ্চাকে বিদেশী সিস্টেমে বেবি কেয়ারে রাখতে চাই না। নবী (সাঃ) এর যুগে এমন মেয়েরা মেষ চড়াত। আপনার ১৮ বছরের আইন কোথায় পেলেন? কার তৈরী? আমি মানুষের তৈরী আইনে বিশ্বাসী নই। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এমন কথা বলেন নাই যে ১৮ বছরের পূর্বে কাউকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। আল্লাহর দৃষ্টিতে আমি অপরাধী নই শুধু মাত্র জাগতিক চিন্তায় যারা বিশ্বাসী তারা এমন খই ফুটিয়ে থাকেন।

১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

সুমন কর বলেছেন: শয়তানটাকে বের করে দেয়াটাই ঠিক হয়েছে। এদের জন্যই সমাজের আজ এই অবস্থা !!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: জ্বি ভাই, রিজিকের মালিক আল্লাহ। ওর চাকরী ঠিকই হবে তবে অপমানের জন্য সারা জীবন অনুশোচনা করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.