নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি
আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের প্রিয় নবী ও রাসূলগণ কে কোথায় ঘুমিয়ে আছেন। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, নবী ও রাসূলদের মৃত দেহ মাটিকে খেতে মানা করা হয়েছে। তাঁদের দেহ ঠিক একই রকম আছে যেমনটা ছিল শেষ বার শুধু ধড়ে প্রাণ নাই। কাল কেয়ামতের দিনে আল্লাহ সকলকে জীবিত করবেন ঠিকই তবে নবী ও রাসূলগণ থাকবেন অনন্য মর্যাদার অধিকারী।
হযরত ইয়াকূব (আঃ) সমাধিস্ত হয়েছেন ফিলিস্তিনে। তিনি ছিলেন হযরত ইউসূফ (আঃ) পিতা। পূত্র ইউসূফকে যখন তার ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে কুয়ার ভিতর ফেলে দিয়েছিলেন তখন থেকে কাঁদতে কাঁদতে তিন তাঁর চোখ হারান এবং যখন তার পূত্রকে শেষ বয়সে ফিরে পান তখন তার দৃষ্টি শক্তি ফিরে আসে। এক হৃদয় বিদারক ঘটনা তার জীবনে ঘটে। দেখুন তার কবর।
হযরত ইউসূফ (আঃ) ঘুমিয়ে আছে ফিলিস্তিনে। হযরত ইউসূফ (আঃ) ছিলেন মানব সৃষ্টি জগতের সব থেকে সুদর্শন পুরুষ। তাঁর চেহারার দিকে তাকিাতে গিয়ে বিবি জুলেখা ও তার বান্ধবীগণ আপেল কাটতে গিয়ে তাহের আঙ্গুল কেটে ফেলেছিলেন। তবে তার নামে বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী রচিত হয়েছে যার কোন দালিলিক ভিত্তি নাই। এই পৃথিবীতে আল্লাহ পাক এমন কোন সুদর্শন পুরুষ আর পাঠাননি। দেখুন সেই সুদর্শন পুরুষের সমাধি।
হযরত আইযূব (আঃ) এর কবর রয়েছে ওমানে।
হযরত শোয়ায়েব (আঃ) এর সমাধিস্থল জর্ডানে।
জলিলুল ক্বদর নবী হযরত মূসা (আঃ) এর কবর ইসরাঈলে। আল্লাহর হুকুমে তিনি ফেরাউনকে তাদের সকল দলবল সহ নীল নদের তলদেশে ডুবিয়েছিলেন। ফেরাউনের লাশ এখনো ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আছে তুরষ্কর কারাগারে। মূসা (আঃ) তার হাতের লাঠি মাটিতে নিক্ষেপ করলে আল্লাহর হুকুমে তা অজগর সাপ হয়ে যেত। আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস অবিশ্বাসির মাঝে আনানোর জন্য এসকল মুজেজা হযরত মূসা (আঃ) কে আল্লাহ পাক দিলেও তা ফেরাউন সহ তার কাওমের লোকজন তাকে যাদুকর বলে অভিহিত করেছিলেন। একারনে আল্লাহ পাক তাদের সমূলে ধ্বংস করেছিলেন। আল কোরআনে তার বিস্তারিত বিবরণ আছে।
হযরত হারূন (আঃ) ঘুমিয়ে আছেন জর্ডানে। এই জর্ডানে রয়েছে ডেথ-সী। হযরত মূসা (আঃ) কে সহায়তা করার জন্য আল্লাহ তার ভাই হযরত হারূন (আঃ) কেও নবী করে পাঠিয়েছিলেন। এটাই তার কবর।
হযরত দাউদ (আঃ) ঘুমিয়ে আছেন ইসরাঈলে। তিনি ছিলেন লোহার কামার। আল্লাহ পাক তাকে এক বিশেষ মুজেজা দিয়েছিলেন। তার হাতের ছোঁয়ায় লোহা নরম হয়ে যেত এবং লোহাকে যেমন খুশী তিনি তেমন রূপ দিতে পারতেন। এই জলিলুল ক্বদর নীবর কবরটি দেখে নিন।
হযরত সোলায়মান (আঃ) ও ঘুমিয়ে আছেন ইসরাঈলে। তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট মুজেজার অধিকারী। তানি সকল প্রাণীকূল ও গাছ পালার ভাষা বুঝতেন এবং শুনতে পেতেন। অসংখ্য জীন তার কৃতদাস ছিল। একদা সোলায়মান (আঃ) তাঁর জনবল নিয়ে যাচ্ছিলেন এমতাবস্থায় একটা পিপড়াকে তিনি ভাষন দিতে শুনলেন। তিনি ভাষন শুনে হাসছিলেন এবং পিপড়াটাকে হাতের তালুতে নিয়ে জিজ্ঞেসা করলেন এমন চিৎকার চেচামেচি করে তুমি কি বলছ তোমার কাওমদের উদ্দেশ্যে? উত্তরে পিপড়া যা বলল তা শুনে সুলায়মান (আঃ) এর শরীর শীতল হয়ে গিয়েছিল কারন আল্লাহ পাক একটা ছোট্ট পিপড়াকে দিয়ে এতবড় জলিলুল ক্বদর নবীকে শিক্ষা দিলেন যে দায়িত্বশীলতা কাকে বলে। পিপড়াটি সোলায়মান (আঃ) কে বলল যে, সে ভাষন দিয়ে বলছিল যে সোলায়মান ও তার দলবল এই পথ দিয়ে আসছে সুতরাং তোমরা দ্রুত গর্তে ঢুকে পড়। সোলায়মান ও তার দলবলের পায়ের নীচে পিষ্ঠ হয়ে যদি একটা পিপড়াও মারা যায় তাহলে কাল কেয়ামতের মাঠে আমাকে গোত্র প্রধান হিসাবে তার হিসাব দিতে হবে। সুবহান আল্লাহ !! পিপড়াদের মাঝেও কি ইউনিটি;;
এছাড়াও সোলায়মান (আঃ) এর আর একটি ঘটানা শিক্ষাবাহ। তিনি লাঠি ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জিনদের দ্বারা মসিজিদ নির্মানের কাজ করাচ্ছিলেন এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হল কিন্তু আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় তার দেহ মাটিতে না পড়ে গিয়ে ওখানেই দাড়িয়ে রইল। জিনেরা সোলায়মান (আঃ) কে দেখে তাদের কাজ করতেই থাকল। অনেকদিন পর যখন উঁই পোকা তার লাঠিটি খেয়ে ফেলল তখন তিনি পড়ে গেলেন এবং তখনই জিনেরা বুঝতে পারলেন যে হযরত সোলায়মান (আঃ) অনেক আগেই মারা গেছেন। তারা আফসোস করে বলেছিলেন যে হায় ! আমরা যদি বুঝতাম যে হযরত সোলায়মান (আঃ) মারা গেছেন তাহলে কি এত কাজ করতাম? এই ঘটনা দ্বারা আল্লাহ পাক বুঝালেন যে জিনেরাও গায়েব জানতেন না মানুষতো দুরের কথা। আজকাল পীর সাহেবগণ গায়েব জানেন। যাই হোক বাদ দিলাম সেই প্রসংগ। দেখুন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর কবর।
হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) শান্তির ঘুম পড়ে আছেন দামস্কে। এটাই তার কবর।
হযরত যাকারিয়া (আঃ) এর সমাধি রয়েছে সিরিয়ায়। নীচে তার কবরের ছবি দেওয়া হল।
এটাই আমার কালেকশন। যারা পার্ট-০১ দেখেন নাই তারা এই লিংক থেকে হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর কবর দেখে নিতে পারেন।
[link||http://www.somewhereinblog.net/blog/alukdia/30092865]
আমার পোষ্ট পড়ার জন্য সবাইকে অগ্রিম আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
মানবী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!
অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহূল পোস্টটির জন্য।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক মুল্যবান একটা পোস্ট।ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কালেকশন। অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
নতুন বলেছেন: হযরত আইযূব (আঃ) এর কবর রয়েছে ওমানে।
আরো দুই জায়গাতেও তার কবর আছে বলে দাবি করে।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ভালো শেয়ার। ++
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪
তিথীডোর বলেছেন: +++++++++
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৫
সজিব্90 বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: একটা valuable পোষ্ট
পোষ্টে অনেক ভাললাগা
+++