নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলতে গেলেই চলে আসে অনেক বাধা ও বিপত্তি। তার পরেও সত্যকে প্রচার করা আমার দায়িত্ব।

সুচিন্তিত মতবাদ

আমার বিবেক আমাকে যা শিক্ষা দেয় সেটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করি

সুচিন্তিত মতবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের শ্রাদ্ধ আর মুসলমানদের চল্লিশা কি একই সূত্রে গাঁথা?

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

হিন্দুদের কেউ মারা গেলে তারা মৃতের নামে শ্রাদ্ধ করে থাকে। ছোট্ট একটা ঘটনা বললে বুঝতে সুবিধা হবে। আমার বাড়ির পাশের বাটুল কাকা এবং তার বড় ছেলে বাসক দাদা মারা গেছে বেশ কিছু দিন পূর্বে। তাদের শ্রাদ্ধ করা হয় নাই কারন বাটুল কাকার দুই ছেলে কোলকাতা থাকে। সময়ের অভাবে তারা বাংলাদেশে আসতে পারে নাই তাই কিছু দিন আগে বাবা এবং ভাইয়ের শ্রাদ্ধ সম্পান্ন করার জন্য তারা দুই ভাই একত্রে দেশে আসে। যথারীতি শ্রাদ্ধের দিন রান্না বান্না করে আশ পাশের মানুষ জনকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হল। আশ্চার্যের বিষয় হল, তাদের বিশ্বাস শ্রাদ্ধের দিন মৃতের আত্মা বাড়িতে আসে এবং তারা যা ভাল খেত তাই তাদের খেতে দেওয়া হয়। মৃত মানুষের আত্মা সেই খাবার খেয়ে যায়। সেই মোতাবেক বাগানের একটা বিশেষ জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে কলাপাতা দিয়ে রান্না করা খাবার গুলো ঢেকে রাখার ব্যবস্থা হল। সকাল বেলা দেখা গেল প্রত্যেক খাবার থেকে কিছু কিছু খাবার তারা খেয়ে নিয়েছে এবং চাটনির বাটি একদম ফাঁকা। বাসক দাদার মা আমাদের বাড়িতে এসে গল্প করছেন যে বাসক চাটনি যা ভাল খেত;; তাই সবটুকু সাবাড় করে দিয়েছে আর অন্যান্য খাবার তেমন মুখে দেয় নাই। আত্না না খেয়ে যদি কুকুর বা বিড়ালে খেত তাহলেতো সব খাবারই খেয়ে ফেলত সুতরাং আত্মাই এসেছিল। এখন আমার প্রশ্ন হল আত্মাকি রান্না ঘরে প্রবেশ করতে পারে না? বাগানে না খেয়ে রান্না ঘরে ঢেকে রাখলেইতো হত; বাগানে রাখার দরকার কি? এমন বিশ্বাস অলিক কল্পনা বই কিছু নয়।

দুঃখ লাগে যখন দেখি কোন মুসলমান তার পিতা-মাতা বা ভাই বোন কেউ মারা গেলে একই কায়দায় চল্লিশা করে থাকে। হাদীস বিরোধী এসকল কাজ কোথা থেকে আবির্ভাব হয়েছে তা সহজে বুঝা যায়। একদিন মুসলমানরাও বিশ্বাস করবে যে মৃতের আত্মা তাদের প্রিয় মেজবানের খাবার খেতে হাজির হয়ে যাবে। হয়তো একদিন তাদের জন্য প্লেটে করে বাগানে খাবার রাখার ব্যবস্থা হবে। দিনে দিন এভাবে ইসলামকে বিকৃত করার জন্য একদল হুজুর আটঘাট বেঁধে নামবেন। ডাঃ জাকির নায়েকের মতো কেউ এসে বাঁধা দেবার জন্য চেষ্টা করলে তাকে কাফের বলে ফতোয়া দেওয়া হবে। বিচিত্র সেলুকাস আমাদের জীবন।

মূফতী কাজী ইব্রাহীম কে প্রশ্ন করা হয়েছিল মৃতের নামে চল্লিশা করা যাবে কি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, হ্যা যাবে। এর পর বললেন আপনি যদি চান যে মৃত লোকটা কবরে আরো একটু আযাব ভোগ করুক তাহলে অবশ্যই চল্লিশা বা শ্রাদ্ধ করবেন আর যদি তা না চান তাহলে তার জন্য শুধু দোয়া করবেন। তার নেক সন্তান দোয়া করলে অবশ্যই তা কাজে আসবে। হাজার হাজার হুজুর দিয়ে দোয়া করালেও কোন লাভ নাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

মুহাম্মাদ আরিফ হুসাঈন বলেছেন: হাজার হাজার হুজুর দিয়ে দোয়া করালেও কোন লাভ নাই

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

আহলান বলেছেন: ভাই, শুরুতেই বলি, হিন্দু আর ইসলাম ধর্ম সম্পূর্ণই আলাদা। আপনি কোরবানী আর পাঠা বলিকে এক করে দেখলে আমার কিছু বলার বলার নাই।
এবার আসি আপনার মুফতী কাজি ইব্রাহিমের ফতোয় (ফতোয়া না বলে ফতুয়া বল্লে ভালো হতো) নিয়ে। হুজুরদের (অর্থাৎ যাঁরা আল কোরআন , হাদিস , ফিকহ এবং ধর্মীয় অনুশাসনগুলো অপেক্ষাকৃত বেশী ও সহিহ ভাবে পালন করেন) দিয়ে দোয়া করালে যদি কোন কাজই না হতো, তবে নবিজী (সাঃ ) এঁর আমলে ওনার জীবদ্দশায় সকল দোয়া তাঁকে দিয়েই কেনো করানো হতো? আর হুজুররা কারণ যে আল্লাহর রাস্তায় যত বেশী অগ্রগামী, আল্লাহ তাঁর কথা বা আবেদন নিবেদন তত বেশী গুরুত্ব দিবেন। দুনিয়াতেও তাই হয়। মন্ত্রীর পিএসের কাছে সবাই ধরণা দেয় কেন? কারণ মন্ত্রী সাহেব তার পিএসকেই বেশী গুরুত্ব দেয়, অন্যকে নয়। একজন মুসলামনের জন্য অপর মুসলমানের দোআ সব সময়ই কাজে দেয়। বহু হাদিস আছে এই ব্যাপারে। সুতরাং উক্ত মুফতি সাহেবের একটু আকেলের অভাব আছে বলে মনে হয়। আপনি চল্লিশার নামে দোই করেন বা না করেন, মৃত ব্যাক্তির জন্য দোআর ব্যবস্থা করেন, সেটা যে নামেই হোক ...মৃত ব্যাক্তি অবশ্যই ফায়দা পাবে .... ( ঐ মুফতি সাব কি নিজের বাপ মা ছাড়া আর কারোর জন্য দোআ করে না নাকি ? যদি তাই হয়, তবে তা কোন হাদিসের আলোকে একটু জিজ্ঞেস কইরেন তো? ;) )

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “When a man dies all his good deeds come to an end except three: ongoing charity (sadaqah jaariyah), beneficial knowledge and a righteous son who will pray for him.”

Narrated by Muslim, 1631, from the hadeeth of Abu Hurayrah (may Allaah be pleased with him)

নবী (ছা) বলেন, যখন কোন ব্যাক্তি মারা যায় তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, শুধুমাত্র ৩টি ছাড়া, ১) সাদাকায় জারিয়া, ২) পরোপকারী বিদ্যা (যা সে অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে), ৩) নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।
(মুসলিম, হা/১৬৩১)
তাই এই ৩টি ব্যাতিত কোন কিছুই ঐ ব্যাক্তির কোন আসবে না।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনার সবটুকু লেখার সাথে সহমত থাকা সত্বেও "হাজার হাজার হুজুর দিয়ে দোয়া করালেও কোন লাভ নাই" কথাটার সাথে সহমত হতে পারলাম না।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

সাধারন বাঙালী বলেছেন: সবচাইতে উত্তম চল্লিশা নেক সন্তান। আমরা কি দুনিয়াতে নেক সন্তান রেখে যাচ্ছি????????

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

খান সাহেব। বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব আপনার লেখা পড়েছি, ভালো লাগলো। তবে এইসকল রীতিবিবর্জিত কাজগুলির বিপরীতে আপনার বক্তব্য সমর্থন করে এমন কিছু সন্তোশজনক রেফারেন্স দিলে জাতি বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পেতো। ধন্যবাদ আবারো।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ ভালো জানেন

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: এখানে মৃতব্যক্তির নামে এতিমখানা বা কিছু
গরীব দুঃখি আত্ব্যিয় সজন খাওয়া দোয়া
মাহফিল করা সেতো খারাপ কিছুনা। এখানে
চারদিন সাতদিন বা চল্লিশ দিন। দিনতো
দিন। ইসলাম সব সময় ভাল কিছু সামরথন
করে। এখানে হিন্দুদের সাথে একাত্বতা করা
এটা হিংসাত্ব্যক দৃষ্টিভঙ্গি। মৃত ব্যক্তির নামে
গরীব দুঃখি পেট পুরে খাবে হাফেজ মৌলভী
দোয়া দরুদ পরবে আত্ব্যার শান্তি জন্য।
এখানে নানান মতবাদ মঙ্গল জনক নয়।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি বলেছেন: যখন কোন ব্যাক্তি মারা যায় তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, শুধুমাত্র ৩টি ছাড়া, ১) সাদাকায় জারিয়া, ২) পরোপকারী বিদ্যা (যা সে অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে), ৩) নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।
(মুসলিম, হা/১৬৩১)

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিজন রয় বলেছেন: হিন্দু পিতামাতা দৈহিক মিলনে সন্তান উৎপাদন করে মুসলিম পিতামাতাও দৈহিক মিলনে সন্তান উৎপাদন করে, এটা তি এক সূত্রে গাঁথা?

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

গোধুলী রঙ বলেছেন: "তবে নবিজী (সাঃ ) এঁর আমলে ওনার জীবদ্দশায় সকল দোয়া তাঁকে দিয়েই কেনো করানো হতো?"

আহলান ভায়া, এই কথাটার কোন সুত্র যদি দিতেন, আপনার পুরো কমেন্টে এই কথাটাই খালি নোটেবল, নবীজী(সঃ) সম্পর্কে মিথ্যা বলার অপরাধিক মাত্রা সম্পর্কে ধারনা আছে নিশ্চই, এটা মাথায় রেখে আপনার কথার পিছনের সুত্রগুলো একটু প্লিজ।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রািন্ত বলেছেন: ভাই হিন্দু ধর্মের সাথে তুলনা না করে নিজের ধর্ম নিয়ে আলোচনা করুন। কোন সমস্যা থাকলে নিজেরাই সমাধান করুন। কিন্তু দয়া করে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কোন অবাঞ্চিত আলোচনা করবেন না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আশাকরি আপনারা বিষয়টি বুঝবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.