নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকাহিনীঃ বৃষ্টির কবলে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। বাসা থেকে স্কুলটা খুব বেশি দূরে নয়। তাই আম্মু রিকশা ভাড়া দেওয়া সত্ত্বেও হেঁটেই স্কুলে যাওয়া আসা করতাম। আর রিকশা ভাড়ার টাকাটা আমার মাটির ব্যাঙ্কে জমাতাম। মাঝে মাঝে কিছু টাকা নিজের প্রয়োজনেও খরচ করতাম।

তখন শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি। বেশ কয়দিন ধরে বৃষ্টি হয়না। তাই আম্মুর দেওয়া রিকশা ভাড়ার টাকাটা সেদিন স্কুলে আসার আগে ব্যাঙ্কে ঢুকিয়ে এলাম। কিন্তু যখন স্কুল ছুটি হল তখন দেখলাম আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। এই বুঝি বৃষ্টি এলো এমন অবস্থা। আমি দ্রুত বাসার দিকে পা বাড়ালাম। কিন্তু একটু পরই দেখা দিল বিপত্তি। আমি যখন বাসা আর স্কুলের মধ্যবর্তী স্থানে তখনি রিমঝিম বৃষ্টি পড়া শুরু হল। রিকশা ভাড়া নেই তাই আমার দৌড়ে বাসায় যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। কারণ তখন যদি রিক্সায় করে বাসায় ফিরে আম্মু কাছে রিক্সা ভাড়ার টাকা চাই তাহলে অনেক কৈফিয়ত দিতে হবে। তাই ঝামেলায় জড়ালাম না। কিন্তু দৌড়ে বাসায় পৌঁছালে কি হবে, আমি তো ততক্ষনে বৃষ্টির পানিতে নেয়ে সারা। বাসায় পৌঁছাতেই আম্মু জিজ্ঞেস করল, ‘জামা কাপড় ভিজল কিভাবে?’ আমি বললাম, ‘রিক্সা পাইনি, তাই হেঁটে এসেছি।’ আম্মু ধমক দিয়ে বলল, ‘তোমার স্কুলের সামনে সবসময় রিক্সা থাকে, আজ রিক্সা পাওনি মানে?’ আম্মুর ধমকে থতমত খেয়ে আমি সত্যি কথাটা বলেই ফেললাম। এরপর শুরু হল আম্মুর হাতের উত্তম মধ্যম পিটুনি।

তবে সেবার বৃষ্টিতে ভেজার কারণে আমাকে প্রায় এক সপ্তাহ জ্বরে ভুগতে হয়েছিল। আর এই এক সপ্তাহ আমি স্কুল আর প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.