নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে জাপানে হইচই ফেলে দেয় ছবিটি। একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প এটি। যারা রোমান্টিক মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য এটা দেখা ফরজ। ছবি দেখতে দেখতেই অনুভব করবেন এতটা ভালো কিভাবে বাসা সম্ভব? একটা কথা না বললেই নয়, ছবিটি দেখার সময় অবশ্যই টিস্যু পেপার সাথে রাখবেন কারণ ছবি দেখতে দেখতেই কখনও কখনও চোখ ভিজে যাবে।
ছবির কাহিনী শুরু হয় প্রধান পাত্র-পাত্রী তাকুমা এবং মায়ুর আট বছরের শৈশবকাল থেকে। তাকুমার জন্ম হয় হার্টের সমস্যা নিয়ে। তার ডাক্তার যে কিনা মায়ুর বাবা জানায় এই সমস্যার কোন সমাধান নেই। তাকুমা বড় জোর বিশ বছর পর্যন্ত বাঁচবে। কিন্তু মায়ু তা বিশ্বাস করে না। সে তাকুমাকে মন দিয়ে ভালবাসে। তাকুমার সাথেই সারাটা জীবন কাটাতে চায়। এভাবেই প্রায় দশ বছর কেটে যায়। তাদের ভালবাসাও চলতে থাকে। কিন্তু তাকুমা বুঝতে পারে তার দিন হয়তো শেষ হয়ে আসছে। আর তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় মায়ুর কাছ থেকে দূরে থাকবে। তাকুমার অবহেলা সহ্য করতে না পেড়ে মায়ু তেরু নামের একজনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাকুমাকে ঈর্ষান্বিত করার জন্য। আর তা দেখেই তাকুমা অনুভব করে চাইলেই মায়ুর কাছ থেকে দূরে থাকা সম্ভব না। কিন্তু জীবনের সব স্বপ্নই তো আর পূরণ হয় না। তাকুমার স্বপ্নও পূরণ হয় না। তবে একটা সময় মায়ু নিজেই পূর্ণ করে সেই স্বপ্ন যে স্বপ্ন তারা সেই শৈশবে দেখেছিল।
জাপানের ঔপন্যাসিক কেঞ্জি ব্যান্ডর কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাখেইকু সিঞ্জু। পরিচালকের দ্বিতীয় ছবি এটি। ছবিটির তাকুমা চরিত্রে অভিনয় করা মাসাকি অকাদা পূর্বে বিভিন্ন অ্যানিমেটেড ছবিতে ভয়েস ডাবিং এবং টিভি সিরিজে অভিনয় করলেও আই গিভ মাই ফার্স্ট লাভ টু ইউ তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। প্রথম ছবিতেই বাজিমাৎ করে সে। সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে জিতে নেয় জাপানিজ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড- ২০১০ এবং ২২তম নিক্কান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। মায়ু চরিত্রে অভিনয় করা মাও ইনউ একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। তার অনবদ্য অভিনয়ও মন কেড়ে নেয় দর্শকদের।
IDMb রেটিং-এ ৭.৪ পাওয়া ছবিটি ২০০৯ সালে সর্বাধিক আয় করে জাপানে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ভাবে ২০তম স্থান দখল করে। ছবিটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হওয়ায় পর্যায়ক্রমে এটি চীন , সাউথ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে মুক্তি দেওয়া হয়।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ডিপারচারস ছাড়া অন্য কোন জাপানিজ মুভি দেখা হয় নাই মনে হয়। দেখতে হবে মুভিটা।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ