নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন আমার কিছু সহপাঠীদের দেখতাম তারা মেয়ে বন্ধু বানিয়েছে। তাদের নিয়ে কত্ত ঢং করতো। তাদের আবার বউ বউ করেও ডাকা হয়। আমার এইসব একদম ভাল লাগতো না। এইসব রিলেশন টিলেশন করে খারাপ ছেলেরা। আর এটা কোন রিলেশন করার বয়স নাকি? সেই কৈশোর থেকেই বুঝতে শিখেছিলাম কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম কোন দিনও রিলেশন করবো না। এমনিতেও আমি আমার আত্মীয়-স্বজনদের দেখেছি যারা রিলেশন করে বিয়ে করেছে জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে ঝামেলায় পড়েছে। আর সেই ঝামেলা উত্তরণ করতে তাদের কাছের মানুষ তাদের সঙ্গ দেয়নি। তো আমি কেন খাল কেটে কুমির আনতে যাব?
কিন্তু একটা সময় আমি আর নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারলাম না। যখন ভার্সিটি লাইফ শুরু হল, তখন কিভাবে যেন একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যাই। সে আমার সহপাঠিনী। এটা শুধু নিছক অর্থে ক্রাশ খাওয়া ছিলনা। সত্যি সত্যি মন থেকেই ভালবাসতাম তাকে। একটা সময় তাকে জানালাম ভালবাসার কথা। সে প্রত্যাহার করল। কিন্তু অনেকটা সময় পর সে কিভাবে যেন উপলব্ধি করল যে এটা ছেলেখেলা নয়, আমি তাকে আসলেই ভালবাসি। অতঃপর সে আমার জীবনে এল আলো হয়ে। এভাবেই কেটে যায় ভালবাসার দিনগুলো।
আমি আমার পরিবারের সবার সাথে খুব ক্লোজ। আর তাই একটা সময় পরিবারকে জানিয়ে দেই আমার সম্পর্কের কথা। ভেবেছিলাম পরিবার থেকে সাপোর্ট পাব। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তেমন কিছু আর জুটল না। পদে পদে কথা শুনতে হত। পরিবার থেকে বলা হল, সমবয়সী হলে কখনও সম্পর্ক করতে হয় না। বিয়ের পর একটা সময় নাকি পারস্পারিক বোঝাপড়ায় নাকি সমস্যা হয়। আরেকটা ঝামেলা হল পড়াশুনার সুবাদে আমরা ঢাকা থাকলেও আমাদের দুইজনের বাড়ি বাংলাদেশের দুই প্রান্তে। পরিবার থেকে জানানো হল বিয়ে তো ছেলে খেলা নয়, এটা সারা জীবনের একটা ব্যাপার। বিয়ে হওয়ার আগে নাকি দুইজনের পরিবার-আত্মীয়-স্বজনদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সেই জেলাগুলোতে খোঁজ খবর নেওয়ার মত পরিচিত কেউ নেই।
তবুও পরিবার থেকে আমাকে বলা হল বন্ধু হয়ে থাকো তোমরা। বিয়েশাদির ব্যাপার পরে দেখা যাবে। কিন্তু আমি জানি একটা সময় এই সম্পর্ককে মেনে নিবে না আমার পরিবার। আর তাই হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া ব্রেকআপ করতে হল আমাকে। জানি আমার সেই প্রিয় মানুষটি কষ্ট পেয়েছে। ভেবেছিল পরিবার না মানলে কি হবে? আমরা দুজন পরিবার ছেড়ে সুখে থাকতে পারব। কিন্তু আমার সেই সাহস নেই। কারণ আমি যে আমার বাবা মায়ের একান্ত অনুগত সন্তান।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
আহলান বলেছেন: মন মন কি যে চায় ....!
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
খুব সিম্পল লিখা। কিন্তু ভাল লাগলো।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: বহু খসখসে জীবনের বাস্তবটা-তাই আবেগের ফাঁদে পড়লেনতো মরলেন,বাস্তব থেকে বলছি সহপাঠীকে বিয়ে করলে,সেখানে নিরন্তর ইগো'র দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে,জীবন হয়ে উঠে খটরমটর! তাছাড়া পরিবারকেউ আপনি উপেক্ষা করতে পারেন না।জীবন আপনার,তাই সিদ্ধান্তটাও আপনার।ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলে,পরে পস্তানোর ঝুঁকিটা কম থাকে।ভালো থাকবেন সতত ...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। যাই হোক, ঘটনাটা আমার নয়। আমার এক সহপাঠীর জীবনের। আমি তো একজন লেখক মাত্র।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০
বিপরীত বাক বলেছেন: মেরুদন্ডহীন
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: পরিবার মেনে না নিলে কি আর করা যায়