নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুতোষ ছোট গল্প: নিরানন্দ বর্ষা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮


রাফি আর জেরিন। ওরা দুই ভাই বোন। রাফি পড়ে ক্লাস ফোরে আর জেরিন থ্রিতে। শহরের একঘেয়ে জীবন থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে ওরা দাদাবাড়ীতে বেড়াতে এসেছে। এমনিতেই বাবার অফিস আর ওদের লেখাপড়ার কারণে কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়না। এবার প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর স্কুলে ওদের লম্বা ছুটি দিয়েছে। তাই ওদের বায়না দাদাবাড়ীতে বেড়াতে যাবে। কি আর করা ! বাবা অফিস থেকে কয়দিনের ছুটি নিয়ে সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এলেন।
কিন্তু এখানে এসে আরেক বিপত্তি। এখন বর্ষাকাল। তাই সারাদিন মুষলধারে নয়তো টুপটাপ বৃষ্টি পরছে। তাছাড়া দাদাবাড়ীর রাস্তাঘাট কাঁচা। তাই মায়ের কড়া নিষেধ বাইরে বের হওয়া যাবে না। কি আর করবে ওরা। জানালার ধারে বসে তাই গল্পের বই পড়ে আর জানালা দিয়ে বৃষ্টির রূপ উপভোগ করে।
একদিন জেরিন রাফিকে গিয়ে বলল,‘ভাইয়া, বৃষ্টিতে ভিজবি?’ রাফি তখন একটা বই পড়ছিল। জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে মুষলধারে বৃষ্টি পরছে। রাফি বলল, ‘চল,তবে আব্বু আম্মু যেন না দেখে।’ তারপর ওরা বাবা মার চোখ ফাঁকি দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে বের হয়। বৃষ্টিতে ভিজে দৌড়াতে দৌড়াতে দুজন অনেক দূর চলে যায়। হঠাৎ ওরা একটা পুকুর দেখতে পায়। এগিয়ে যায় সেদিকে, দেখে পুকুরে অনেক শাপলা ফুল ফুটে আছে। জেরিন রাফির কাছে বায়না ধরে,‘ভাইয়া, কয়টা শাপলা তুলে দিবি?’ বোনের বায়না রক্ষা করতে পুকুরে নামে রাফি, কয়েকটা শাপলা তোলে। কিন্তু হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায় সে। পুকুরে বেশি পানি হওয়ায় অপরে উঠতে পারে না, হাবুডুবু খায়। এ অবস্থা দেখে জেরিন বুঝতে পারেনা কি করবে। তাড়াতাড়ি সে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে সেওব কিছু খুলে বলে। জেরিনের কথা শুনে বাবা মা ছুটে যান পুকুরের দিকে। কিন্তু হায়! অনেক দেরী হয়ে গেছে ততক্ষনে। সবাই গিয়ে দেখে রাফির নিথর দেহটা পুকুরে ভাসছে। জেরিন সেদিকে আর তাকাতে পারছে না। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
এখনও বৃষ্টি পড়ে। কিন্তু এই বৃষ্টি জেরিনকে আর আনন্দ দেয়না বরং মনে বিষণ্ণতার দুঃখ বইয়ে দেয় মনে। নিজের দোষেই আজ ওর রাফি ভাইয়া পাশে নেই। জেরিন ভাবে, ও নিজেকে এ কারণে কখনই ক্ষমা করতে পারবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল লাগা রইলো। শিশুদের খেলার জন্য ছেড়ে দিলেও বাবা-মাদের উচিৎ সতর্ক থাকা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.