নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্প্রতি পড়া দুটি বইয়ের রিভিউ – ০২

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০১

আগের বই রিভিউ পোস্টগুলো -
বই রিভিউ – চেতন ভগতের ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ এবং ‘রেভুলেশন ২০২০’
সম্প্রতি পড়া দুটি বইয়ের রিভিউ

১) On Etruscan Time



ঔপন্যাসিক ট্রেসি ব্যারেট বরাবরই ইতিহাসনির্ভর উপন্যাস লিখে থাকেন। তবে On Etruscan Time বইটিতে ইতিহাসের ছোঁয়া থাকলেও এতে একাধারে ফ্যান্টাসির ব্যাপারও আছে।

২০০৫ সালে ১৭৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত বইটির কাহিনী আবর্তিত হয় হেক্টর নামের এক কিশোরকে ঘিরে যে কিনা ফ্লোরিডায় বাবা, মা এবং বোনের সাথে থাকে। গ্রীষ্মের ছুটিতে হেক্টর যখন ভাবছিল বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে কোথাও তখনই তার প্রত্নতত্ত্ববিদ মা তলব করে ইটালিতে যাবার জন্য তার খনন কাজে সাহায্যের জন্য। প্রচণ্ড অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ইটালিতে যায় হেক্টর। হেক্টরের মা এবং তার সহকারীরা ইতরুসকান নামের এক সভ্যতার সন্ধান পায় যে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল ইটালি এবং ফ্রান্সে খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ সালের দিকে কিন্তু কোন কিছুর কিনারা করতে পারে না তারা। এদিকে মায়ের সাথে খনন কাজে যাওয়ার পর থেকে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে হেক্টরের সাথে। আরাথ নামের এক বালক দেখা দেয় তাকে যে কিনা নিজেকে ইতরুসকান সভ্যতার মানুষ বলে দাবী করে। প্রথম দিকে এটাকে শুধু স্বপ্ন বলে দাবী করলেও পরে হেক্টরের ভুল ভাঙে যখন দেখে যে সময় পিছিয়ে আরাথ তাকে তাদের সভ্যতায় নিয়ে যায় এবং তার কাছে সাহায্য কামনা করে। কি সেই সাহায্য? আরাথ কি তার বর্তমানে ফিরে আসতে পারে? এ সব কিছু জানা যাবে অসাধরণ উপন্যাস On Etruscan Time বইটিতে।

বইয়ে ইতিহাসের ব্যাপার থাকলেও উপন্যাস পড়তে একদম বিরক্ত লাগবে না। বরং পড়তে পড়তে ইতরুসকান সভ্যতায় চলে যাবে পাঠক। উপন্যাস উপভোগের সাথে সাথে জানা হয়ে যাবে ইতরুসকান সভ্যতার আচার, রীতি, পোশাক ধরণ সহ আরও অনেক কিছু।

২) Darkness Before Dawn



লেখক শারন ড্রাপারের ‘Darkness Before Dawn’ প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে। ২৭৫ পৃষ্ঠার বইটির কাহিনী আবর্তিত হয় কেইশা নামের এক তরুণীকে ঘিরে যার অ্যান্ডি নামের এক ছেলেবন্ধু ছিল। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে অভিমানে অ্যান্ডি আত্মহননের পথ বেছে নেয়। ভালোবাসার মানুষটি দূরে চলে যাবার পর ভালো থাকতে পারে না কেইশা। প্রতি পদে পদে মনে পরে অ্যান্ডিকে। এদিকে স্কুলের ম্যানেজমেন্টে যোগদান করে জনাথন যে কিনা স্কুল প্রধানের ছেলে। জনাথন কেইশার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। কেইশাও এক সময় জনাথনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, যদিও কেইশার বাবা মার জনাথনকে বিশেষ পছন্দ না। এদিকে নীরবে নিভৃতে কেইশাকে ভালোবেসে যায় তারই আরেক বন্ধু লিওন যাকে কেইশার বাবা মায়ের অনেক পছন্দ। কি করবে এখন কেইশা? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।

সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে লেখক লিখেছেন উপন্যাসটি। বর্তমান টিনএজারদের জীবনের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে বইটিতে, সেই সাথে রয়েছে সুন্দর ম্যাসেজও।

বেস্ট সেলারের তকমা লাগা বইটি পপুলার চয়েজ এ্যাওয়ার্ড এবং বুকেই বুক এ্যাওয়ার্ড পায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

রকিব লিখন বলেছেন: ভাল লাগলো।। দুইটি নতুন বই সম্পর্কে জানলাম।। এই বই দুইটির কী বাংলা অনুবাদ হয়েছে।?? জানালে খুশি হবো।।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার জানা মতে দুটি বইয়ের একটিও বাংলা অনুবাদ করা হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.