নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখে সারা দেশের ৯২ টি হলে একযোগে মুক্তি পেল ‘ধ্যাততেরিকি’ ছবিটি। কমেডি ধাঁচের এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন শামীম আহমেদ রনি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, রোশান, নবাগতা ফারিন, সুষমা, বিশ্বনাথ বসু, রজতভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, শুভাশিস মুখার্জী প্রমুখ।
ছবির কাহিনী আবর্তিত হয় রাজের (আরেফিন শুভ) বাবার মধ্য বয়সের সময় নিয়ে যেখানে দেখা যায় রাজের দাদা মৃত্যুসজ্জায়। মারা যাবার আগে রাজের বাবাকে বলে যায় দুই হাজার কোটি টাকার হীরা মণি মুক্তার কথা। আর সেই সম্পদ মাটির নিচ থেকে বের করতে হলে এক মন্ত্র বলতে হয় মুখে। মন্ত্র বললেই মাটি থেকে আপনা আপনি বের হয়ে আসে সিন্দুক। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী রাজের দাদা মন্ত্র বলার আগেই পটল তোলে। এদিকে নিজের বাবাকে হারানোর পর রাজের বাবা বুড়ো বয়স পর্যন্ত বাড়ির চারদিকে নানা মন্ত্র পড়তে থাকে আর অপেক্ষায় থাকে কবে বের হয়ে আসবে সিন্দুক। এদিকে রাজ খালাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে প্রেমে পড়ে বোনের বান্ধবী শান্তির (নুসরাত ফারিয়া)। আবার পথে রাজের ফিল্মি বন্ধু সালমান খুঁজে পায় তার ফিল্মি টাইপের ভালোবাসা মাধুরীকে (ফারিন)। কালক্রমে কাহিনী মোড় নেয় অন্যদিকে।
অভিনয়ের কথা আসলে বলবো সকলের অভিনয় ভালো ছিল। বাংলা ছবিতে একটা ব্যাপার দেখা যায় যে, শুধু প্রধান চরিত্রগুলোর অভিনয়ের দিকেই নজর দেওয়া হয়। তবে এই ছবিতে প্রধান চরিত্রগুলো ছাড়াও সকল পার্শ্বচরিত্রগুলোর অভিনয় ছিল অসাধারণ। আরফিন শুভকে আমরা ছবিতে মূলত অ্যাকশন-রোম্যান্টিক ঘরানার ছবিতে দেখে এসেছি। তবে কমেডি ধাঁচের চরিত্রেও তিনি বেশ সাবলীল ছিলেন। নুসরাত ফারিয়া তার আগের ছবির তুলনায় এই ছবিতে ভালো অভিনয় করেছেন। ভালো লেগেছে রোশানের চরিত্রটিও। তার প্রথম ছবি রক্তের ভুলগুলো এবারের ছবিতে চোখে পড়েনি। গানে নেচেছেনও ভালো। বেশ পরিশ্রম করেছেন বোঝা যায়। নবাগতা ফারিনের অভিনয় ছিল মোটামুটি। নিজের ডায়লগ ডেলিভারি এবং কণ্ঠের দিকে নজর দিতে হবে তাকে। বরাবর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করা শুভাশিস মুখার্জী এবার হাজির হয়েছেন ছবিতে ভিলেন হয়ে। তার ট্যারা সাদ্দাম চরিত্রটি বেশ মজার ছিল। সর্বদা ভারতীয় সিরিয়ালে বুদ হয়ে থাকা রাজের মামীর চরিত্রে অভিনয় করা সুষমার চরিত্র এবং অভিনয়ও ছিল বেশ উপভোগ্য। এছাড়াও বিশ্বনাথ বসু, রজতভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত এবং সুব্রতর অভিনয়ও বরাবরের মত ভালো ছিল।
ছবিতে সর্বমোট গান ছিল তিনটি। শওকত আলী ইমনের সঙ্গিতায়জনে তিনটি গানই বেশ ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে শিল্পনির্দেশনা। তবে ছবির গ্রাফিক্স কিছু কিছু জায়গায় বেশ বাজে ছিল, হয়তো বাজেট স্বল্পতার কারণে।
ছবির একটা ব্যাপার বেশ খারাপ লেগেছে, আর তা হল ছবিতে হিন্দি কালচারের প্রভাবটা বেশী ছিল। যেমন ডিজে রাজ যখন ছবির শুরুতে ফাইট করে তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে লুঙ্গি ড্যান্স গানটি বাজানো হয়, যেখানে অন্য কোন বাংলা গান ব্যবহার করা যেত। আবার মাধুরী যখন ফিল্মের অডিশনের জন্য যায় তখন তাকে দেখানো হয় মাই নেম ইজ শিলা গানের সাথে নাচতে, যেখানে জাজ তাদের নিজেদের প্রোডাকশনের জনপ্রিয় ছবির গান ‘ডানা কাটা পরী’ অথবা ‘ম্যাজিক মামনি’ ব্যবহার করতে পারতো। অন্যান্য ক্ষেত্রে সালমানের বলিউড কিংবা ঢালিউডের বিভিন্ন চরিত্রকে নকল করা কিংবা রাজের মামীর ভারতীয় সিরিয়ালের নকল করে কথা বলা মানানসই ছিল। ছবির পোশাক পরিচ্ছদেও বলিউডের প্রভাব লক্ষণীয়, যেটার কোন দরকার ছিলনা।
বাংলাদেশী কমেডি ছবির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে প্রায় সবই জোর করে কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা। তবে হলফ করে বলা যায় যে ‘ধ্যাততেরিকি’ ছবিটি সেই দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছবির প্রতিটি পদে পদে দর্শক মজা পাবে। হেসে উঠবে আপন মনে। অনেকদিন দর্শকের মনে স্থান করে নিবে ছবিটি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০০
আলভী রহমান শোভন বলেছেন:
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেখতে চাইছিলুম কিন্তু দেখা হয় নাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এখনো চলছে হলে। সময় করে দেখে ফেলুন। ভালো লাগবে।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কমেডি মুভি দেখতে আমার সব সময়ই ভালা লাগে!!
সময় পেলে অবশ্যই দেখবো!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আচ্ছা !
কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু, ভাইয়ু।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: হু জানামু!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
আলভী রহমান শোভন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:১০
রিফাত হোসেন বলেছেন: পোস্টারে দুই নায়ককে অতিরিক্ত এডিটিং করে হয়ত হাফ লেডিস করেছে!