নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্বটি ছিল ষাট গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, এক গম্বুজ মসজিদ এবং খানজাহান আলীর মাজার নিয়ে। আজ থাকছে চন্দ্রমহল ইকো পার্ক নিয়ে।
ফকিরহাট উপজেলার রঞ্জিতপুর গ্রামে চন্দ্রমহল ইকো পার্কের অবস্থান। অনেকটা তাজমহলের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই চন্দ্রমহল। ২০০২ সালে চন্দ্রমহলের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম হুদা তার স্ত্রী নাসিমা হুদা চন্দ্রার নামানুসারে প্রায় ৩০ একর জমির উপরে এই ইকোপার্কটি তৈরী করেন। মহলটি পানি দ্বারা বেষ্টিত। মহলে পৌছানোর জন্য পানির নিচ থেকেই নেয়া হয়েছে পাকা রাস্তা। রাস্তার মাঝপথে গেলেই দর্শণার্থীদের চোখে পরবে পুরু কাঁচের উল্টো পাশের বড় বড় মাছ।
পার্কের মূল মহলের মধ্যে রাখা হয়েছে নানান প্রত্নতত্ব। এদের মধ্যে বিশেষ করে দেশী-বিদেশী পুরনো মুদ্রা, ডাক টিকিট, যুদ্ধের অস্ত্র, বহুকাল আগের তৈরি ঘড়ি, প্রার্থণার অলংকার, ধর্মীয় পুরাকীর্তি, সিঁদুর দানী, পাথরের আসবাবপত্র, বিভিন্ন রঙের পাথর, শত বছরের পুরনো কলেরগান, সবচেয়ে ছোট গ্রামোফোন, বিরল পান্ডুলিপি, বাঁশ পোকা, বিভিন্ন প্রজাতির মৃৎ শিল্প, বিভিন্ন প্রকার ক্ষুদ্র পতঙ্গ, পাতা পোকা, ১৭০০-১৮০০ সালের পিতলের চুলের কাটা, রুপার চায়ের পাত্র, পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম কোরআন শরীফ, আড় বাঁশি ইত্যাদি।
পর্যটকদের জন্য এখানে নির্মান করা হয়েছে নানান প্রস্তর শিল্প, মৃত্তিকা শিল্প, বাশ ও বেত শিল্পের মানুষ ও প্রাণীর মূর্তি। মাটি দ্বারা নির্মিত হয়েছে পল্লী সংস্কৃতির নানান স্মৃতিকথা, গ্রামীণ নারীর জীবনযাত্রার বিমূর্ত ছবি। জেলে, কৃষক, ধোপা ইত্যাদি নানান পেশাজীবী গ্রামীণ মানুষের মধ্যযুগের জীবনযাত্রা কেমন ছিল তার ধারনা দিতেই নির্মিত হয়েছে এ মাটির শিল্প।
এখানে রয়েছে পানির উপর বাঁশের তৈরি কুটির ও রেস্তরা, ছোট ছোট দিঘীগুলোতে রয়েছে মাছ চাষ, পুকুরের মধ্যে ইট-সিমেন্টের তৈরি কাকড়া ও ঝিনুক, পানসী নৌকা, ১৯৭১ সালের রাজাকারের জন্য কৃত্তিম ফাঁসির মঞ্চ, ডাইনোসরের মূর্তি, কৃত্তিম রেল লাইন, বাগেরহাটের মিনিয়েচার ইত্যাদি। রয়েছে একটি কাঠের তৈরি বড় ঘর ও তার পাশে রয়েছে রান্নার সকল ব্যবস্থা।
বণ্য প্রাণীদের সাথে পরিচয় করানোর জন্য এখানে আনা হয়েছে অনেক প্রজাতির পশু-পাখি। এদের মধ্যে বানর, বনবিড়াল, হরিণ, তিতিরপাখি, তুর্কী মুরগী, সাদা ময়ূর, বক, বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর, ঈগল, মদন টাক পাখি, সাদা ঘুঘু-হাস পাখি, পেঁচা, বেজী, কবুতর, কোয়েল, কুমির ইত্যাদি।
প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চন্দ্রমহল ইকোপার্কটি খোলা থাকে। প্রবেশের জন্য ৪০ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে।
মহাত্মা গান্ধী এবং মাদার তেরেসা
বাংলার তিন গর্ব বেগম রোকেয়া, ওসমানী এবং সূর্যসেন
ফেলানির স্মরনে নির্মিত ভাস্কর্য
শহীদ মিনার
কিছু বিবিধ ছবি
১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৩
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: পোস্টে ঘুরে যাবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো; লোকজন আসেন?
১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৫
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: জী ভাইয়া, লোকজন আসে। আমি রমজান মাসে গিয়েছিলাম, সে কারণে লোকজন কম ছিল। তবে শীতকালে পিকনিক করতে এবং বিভিন্ন ছুটির দিনে বহু লোক আসে।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।+++
১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। শুভ কামনা।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪
বারিধারা বলেছেন: বাগেরহাটে কি লঞ্চে যাবার কোন উপায় আছে? গুগল ম্যাপে দেখলাম একটা লঞ্চ টার্মিনাল আছে এবং বড়সড় একটা লঞ্চ সেখানে ভিড়েও আছে।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাগেরহাটে লঞ্চ টার্মিনাল আছে তবে ঢাকা থেকে সরাসরি লঞ্চে করে যাওয়া যায় না। আমি খুলনা থেকে বাসে করে বাগেরহাট গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আমার বাড়ি খুলনা হওয়ায় সুবাদে ৪ বার করে চন্দ্রমহলে গিয়েছি। সত্যি অনেক সুন্দর একটা জায়গা। বিশেষ করে তাদের সংগ্রহশালা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছিল।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাহ !
যাই হোক, আমিও খুলনার চিজ।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৮
শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ভাই।
প্রিয়তে রাখলাম সুন্দর সুন্দর ছবি গুলো।
১২ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ওয়াও ! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: তুমি খুব ভালো ছবি তুলো । সাদা ঘরে কাঠের জানালার ছবিটা সুন্দর লাগলো । ঘরটাও অনেক সুন্দর আশাকরি ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৮
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৯
বজ্রকুমার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চন্দ্রমহল ইকো পার্ক সম্পর্কে এত এত তথ্য ও চিত্র তুলে ধরার জন্য।