নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিপি - ডুমুরের চার পদ

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৪



বাংলাদেশের প্রায় বিলুপ্তপ্রায় একটি সবজি ডুমুর। বহুবিধ ওষধি গুণ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ এই সবজি বিলুপ্ত প্রায় হলেও এখনো গ্রাম বাংলায় এটি খাওয়ার প্রচলন লক্ষ্য করা যায় । আমার রান্না করা ডুমুরের প্রচলিত দুইটি এবং নিরীক্ষাধর্মী দুইটি রেসিপি শেয়ার করছি সবার সাথে।

১) ডুমুর চিংড়ির ভর্তা



উপকরণ – ডুমুর ২৫০ গ্রাম, চিংড়ি ১৫০ গ্রাম, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, পেঁয়াজ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ চা চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমত।

প্রণালী – ডুমুর মাঝখান থেকে কেটে এর ভেতরের বীজ বের করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। চিংড়ির মাথা ও শিরা ফেলে কুঁচি করে নিন। হলুদ ও সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প তেলে ২ মিনিট ভেজে নিন। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ হালকা ভাজুন। এবার ডুমুর ও চিংড়ি এক সাথে মিশিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।

২) ডুমুরের কোফতা ভুনা



উপকরণ – ডুমুর ৫০০ গ্রাম, ময়দা আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই ১ কাপ, লবণ স্বাদ মত, তেল ২ কাপ।

প্রণালি - ডুমুর মাঝখান থেকে কেটে ভেতরের বিচি বের করে গরম পানিতে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। ডুমুরের সাথে ময়দা এবং আধা চা চামচ করে জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, গরম মশলা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, মরিচ কুঁচি এবং লবণ দিয়ে সামান্য পানি নিয়ে মাখিয়ে গোল করে তেলে ভাজতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশী ভাজা না হয়। কারণ এতে গ্রেভির সময় ভেতরে মশলা ঢুকবে না। অন্য একটি পাত্রে তেল গরম করে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি এবং বাকি মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুঁচি, গরম মশলা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে ভুনে নিতে হবে। এবার এতে টক দই দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে ডুমুরের কোফতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। মশলা মাখা মাখা হলে চুলা বন্ধ করে ভাত অথবা পরোটার সাথে পরিবেশন করতে হবে।

৩) ডুমুরের নাগেটস



উপকরণ - ডুমুর ৫০০ গ্রাম, আলু মাঝারি আকারের ১ টি, শুকনা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মশলা আধা চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, ধনিয়া বাটা আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ মত, ডিম ১ টা, ব্রেডক্রাম্ব ২ কাপ, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি – ডুমুর এবং আলু সেদ্ধ করে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। এবার এতে ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নাগেটসের আকার করতে হবে। ডিম ফেটিয়ে নাগেটসগুলো ডিমে চুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে বাদামী করে ভাজলেই তৈরি হয়ে যাবে ডুমুরের নাগেটস। সসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

৪) ডুমুরের লাড্ডু



উপকরণ – ডুমুর ৫০০ গ্রাম, মিষ্টি আলু সেদ্ধ মাঝারি আকারের ২ টা, ঘি ১ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১.৫ টেবিল চামচ, কাজুবাদাম কুঁচি ২ টেবিল চামচ, মোরব্বা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, চেরি কুঁচি সাজাবার জন্য।

প্রনালি – ডুমুর মাঝখান থেকে কেটে ভেতরের বিচি বের করে নিতে হবে। পানি গরম করে ডুমুর সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে মিহি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পাটায় বেটে অথবা ব্লেন্ডারে মিহি করে নেওয়া যেতে পারে কারণ হাত দিয়ে চটকে নিলে পুরোপুরি মিহি হবে না। ডুমুরের সাথে সেদ্ধ মিষ্টি আলু চটকে মিশিয়ে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে ডুমুরের মিশ্রণটি দিয়ে ভালো ভাবে নাড়তে হবে। এবার এতে চিনি মেশাতে হবে। চিনি গলে পানি বের হলে এতে গুঁড়া দুধ এবং কনডেন্সড মিল্ক দিতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এলে কাজুবাদাম এবং মোরব্বা কুঁচি মিশিয়ে চুলা বন্ধ করতে হবে। এবার একটি ছড়ানো ডিশে মিশ্রণটি ঢেলে ঠাণ্ডা করতে হবে। দুই হাতে ঘি মেখে মিশ্রণটি অল্প অল্প করে হাতের তালুতে নিয়ে গোল গোল করে লাড্ডু বানাতে হবে। গুঁড়া দুধে লাড্ডুগুলো গড়িয়ে চেরি কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে ভিন্ন স্বাদের ডুমুরের লাড্ডু।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

জাতির বোঝা বলেছেন: ডুমুরের ফুল বলে একটি বাগধারা পড়েছিলাম। আজ দেখলাম খাবার।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: খাওয়া হয়নি কখনো আপনার ডুমুর দিয়ে তৈরি খাবার?

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ডুমুর ভীষণ উপকারি ...



পোষ্টে ভীষণ দরকারি
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হা হা ! সুন্দর ছন্দময় কথা। মন্তব্যে ধন্যবাদ :)

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

জুন বলেছেন: আগে পথে ঘাটে অনেক ডুমুর গাছ দেখা যেত । মা খালাদের মুখে শুনতাম এগুলো জংলী ডুমুর বিষাক্ত। সেটা শুনে আর কখনো তা খেতে চেষ্টা করিনি । তবে ইতালী ঘুরতে গিয়ে নেপলসের পথের পাশে কিছু কিছু মানুষকে জলপাই ও অন্য ভুমধ্যসাগরীয় ফলের সাথে ডুমুর নিয়ে বসতে দেখেছি। তখন গাইডের অনুরোধে খেয়ে দেখলাম বেশ মিষ্টি ফল ডুমুর। এখন বাংলাদেশে বিদেশি শুকনো ডুমুর মালার মত গাথা বিক্রি করে । মাঝে মাঝে এনে খাই । তবে বেশ দাম সেই ডুমুরের।
কিন্ত আপনার ডুমুর কি সেই সবুজ সবুজ যা আমাদের দেশে হয় শোভন ? খেলে কোন ক্ষতি হবে না তো ?
রেসিপি পোস্ট খুব ভালোলাগলো ।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: পথে ঘাটে যে ডুমুর দেখা যায় সেগুলো দিয়েই করেছি। আর ডুমুর যে বিষাক্ত এটা জানতাম না। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ডুমুর খাওয়ার প্রচলন বেশি। আপনি যে ডুমুর খেয়েছেন সেটাও এই একই ডুমুর। তবে আপনি খেয়েছেন পাকা ডুমুর। আর রান্নার জন্য সবুজ কাঁচা ডুমুরই ব্যবহার করা হয়। আর আপনি নিশ্চিন্তে ডুমুর দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। কোন ক্ষতি হবে না। ডুমুরে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, আয়রন সহ বহু পুষ্টি পাবেন।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: জীবনে দুই একবার ডুমুর ভাজি খেয়েছি, ডুমুর দিয়ে এত কিছু তৈরি করা যায় জানা ছিল না।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: প্রথম দুটি রেসিপি তো প্রচলিত। পরের দুইটি আমার নিরীক্ষাধর্মী রেসিপি। সবগুলোই মজার।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনি কাঁচা ডুমুরের কিছু ছবি দিতে পারতেন???


ডুমুরের আঞ্চলিক নামঃ জগই, জগ, হরমল ইত্যাদি।
আচ্ছা, খোকশা আর ডুমুর কি আলাদা???


@তারেক_মাহমুদ ভাই,
-- তেল দিয়ে ডুমুরের ভাজি আর ডাল, দারুন খাবার।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: খোকশা ও ডুমুর একই গোত্রের হলেও এক জিনিস না।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: শেষের মন্তব্যে কাঁচা ডুমুরের ছবি দিয়েছি। দেখে নিন।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জীবনে একবার চিংড়ি দিয়ে ডুমুর ভুনা খেয়েছি।

অবহেলিত ডুমুর এবার কাজে লাগুক।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হুম ! :)

৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

শামচুল হক বলেছেন: দারুণ রেসেপি।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

নাজিম সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ, ডুমুর আমার প্রিয় ফল। কচি ডুমুর লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমার ব্লগ পোস্ট থেকে ঘুরে যাবার জন্য :)

৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ডুমুর দিয়েও যে এত পদ হয় জানতাম না।

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এখন জানলেন :)

১০| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: নিজাম উদ্দিন মণ্ডল, এটা হল কাঁচা ডুমুর ।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

আফসানা মারিয়া বলেছেন: হায়!টিনএজে ডুমুরের ভর্তা করে খেতাম!

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাহ ! :)

১২| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট!
ছোটবেলায় ডুমুর দিয়ে লাটিম বানিয়ে খেলতাম, এটা যে খাওয়ার উপকরণ হতে পারে তা জানা ছিল না। আমাদের এলাকায় (নরসিংদীর মনোহরদী) এখনো ডুমুর রান্নার প্রচলন হয়ে উঠেনি।
পোষ্ট দেখে উদ্বুদ্ধ হলাম, এবার বাড়ি গিয়ে ট্রাই করবো। :)

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এটা বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে বেশ প্রচলিত একটি সবজি, বিশেষ করে দক্ষিণাচলে।

মন্তব্যে ধন্যবাদ :)

১৩| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ২:১৯

সোহানী বলেছেন: এই একটা জিনিস দেশে খাওয়া হয়নি। প্রথমবার ড্রাই ডুমুর খেয়েছিলাম সুইজারল্যান্ডে। কানাডায় পাকা ডুমুর পাওয়া যায় তবে কাঁচা নয়। যাহোক লোভ দেখিয়েছেন যখন তখন ট্রাই করবো .............. :-B

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: কে আপু, ট্রাই করে জানিয়েন কেমন হল খেতে। :)

১৪| ১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ডুমুরের ফুল খেতে এসেছিলাম ;)

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আহারে ;)

১৫| ১১ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভর্তা টা অনেক পছন্দ হইছে !!

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আচ্ছা আপু ! আশা করি বাসায় ট্রাই করবেন। :)

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: :-B

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: :)

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেখতে খুবই সুস্বাদু লাগছে সবগুলো খাবার। আমি বানাতে টানাতে পারবনা, শেফ ভাই আছে, তুমিই বানিয়ে দিও! :)
ভালো থেকো।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হি হি ! দেশে আসো আগে, খাওয়াবো তোমাকে বানিয়ে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.