নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলুন আজ আপনাদের সাথে খুলনার ঐতিহ্যবাহী একটা খাবারের রেসিপি শেয়ার করি। নারকেল দুধে ডুমুর চিংড়ি।দেশি ডুমুর এমনিতেই আমাদের দেশে বন বাদাড়ে অবহেলিত ভাবেই হয়ে থাকে। অনেকে হয়তো ছেলেবেলায় এটা দিয়ে খেলেছেনও। অনেকের মুখে আবার প্রচলিত আছে এই ডুমুর খেলে নাকি পাগল হয়ে যায়! আদতে ব্যাপারটা একদমই সত্যি নয়। বহুবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডুমুর। রেসিপি শেয়ার করার আগে চলুন জেনে নেই ডুমুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
ডুমুরে একাধারে রয়েছে ক্যালরি, আমিষ, আঁশ, ভিটামিন এ, বি, সি, লৌহ এবং ক্যালসিয়াম। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর ইত্যাদি রোগের নিরাময়ের জন্য দেশী ডুমুর একটি যথাযথ ফল।
এবার আসি রেসিপিতে। নারকেল দুধে ডুমুর চিংড়ি রান্না করতে আমাদের লাগবে -
ডুমুর ৫০০ গ্রাম
চিংড়ি ১৫০ গ্রাম
নারকেল দুধ ৫০০ মিলি
পেঁয়াজ কুঁচি ১/৪ কাপ
তেজপাতা ২ টা
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ
তেল ১/৪ কাপ
লবণ স্বাদ মত
প্রণালী – ডুমুর মাঝখান থেকে কেটে এর বিচি বের করে কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। প্যানে তেল গরম করে প্রথমে তেজপাতা এবং পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে প্রথমে বাটা মশলা এবং পরে সব গুঁড়া মশলা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।নারকেল দুধ যুক্ত করুন। এবার এতে ডুমুর দিয়ে দিন। সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। ৭৫ ভাগ সেদ্ধ হয়ে আসলে চিংড়ি দিন। হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করুন।ডিশে সাজিয়ে ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
রেসিপি তো জানলেন। তো কবে বাসায় তৈরি করছেন মজাদার নারকেল দুধে ডুমুর চিংড়ি?
০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২১
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: এটা আরও অনেক ভাবেই রান্না করা যায়। ভাজি, ভর্তা, মিক্স সবজির সাথে এমনকি হালুয়াও বানানো যায়।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রন্ধনশিল্পে ভালো করতে কি যোগ্যতা লাগে?
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২১
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ১) রান্নার ব্যাসিক জানতে হবে।
২) রান্নার প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স করতে হবে।
৩) হোটেল এবং ট্যুরিজম সেক্টরে কাজ করে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
৪) নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে হবে অর্থাৎ রন্ধন শিল্পের কোন সেক্টরে আপনি কাজ করতে চান সেটা জানতে এবং বুঝতে হবে।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর রেসিপি। তবে আগে জানা ছিলনা এই ডুমুরটা যে রন্ধনেও যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১৮
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ব্লগ পোস্ট থেকে ঘুরে যাওয়ার জন্য।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ডুমুর হারিয়ে যাওয়ার পর্যায়ে যায়নি। তবে ডুমুর রেসিপি এখন হারানোর পথে।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: দেশি ডুমুর এখন প্রায় দেখাই যায় না। অনেকে আবার জানেই না এটা কিভাবে এবং কত ভাবে খাওয়া যায়।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কোনোদিন ডুমুর খাইনি। জানেন খাবোও না।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: কেন খাবেন না?
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি গোপালগন্জে বেড়াতে গেলে
প্রায়শ ডুমুর খাই ।
ভালই লাগে ,তবে কখনো রেসিপি জানতে চাইনি ।
............................................................................
তাই প্রিয়তালিকা ভুক্ত করলাম ।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাহ ! বাসায় বানিয়ে জানাবেন।
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ডুমুর যে রান্না করে খাওয়া যায় এটা বহুত শুনছি। কিন্ত এ জীবনে কোন দিন খাবার রুচি হয়নি।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আচ্ছা !
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমিও কখনও ডুমুর খাইনি।
বাজারে পাওয়া যায় কিনা জানিনা/
তবে এইবার ট্রাই করবো।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: বাজারে কদাচিৎ পাওয়া যায়। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে গেলে অথবা গ্রামাঞ্চলে পেতে পারেন।
৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
সোহানী বলেছেন: ছোটবেলা থেকে বাগধারা ডুমুরের ফুল পড়তে পড়তে ডুমুরের ফল নিয়ে আগ্রহ হতেই দাদী বললো এটা খেলে পাগল হয়ে যায়। তাই ভয়ে ডুমুরের গাছের কাছেও ভীড়তাম না। প্রথম কাঁচা এবং পাকা ডুমুর খাই সুইজারল্যান্ডে যেয়ে। খেয়েতো অবাক এতাই স্বাদের। এখন কানাডায় কিনে খাই তবে কাঁচা কিন্তু গাছ পাঁকা ডুমুর। অসম্ভব মজা যদিও দামটা অনেক বেশী অন্যান্য ফলের তুলনায়।
আপনার রেসিপিটা দারুন। অবশ্যই ট্রাই করবো কারন আপনার রান্নার ভক্ত আমি।
০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আপু, দেশের বাইরে যে ডুমুর খেয়েছেন সেটার সাথে আমাদের দেশি ডুমুরের স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। বাইরের ডুমুরের স্বাদ অনেক ভালো। দেশি ডুমুরে আলাদা কোন স্বাদ নেই। কষ কষ ভাব বেশী থাকে। তাই দেশি ডুমুর পাকা অবস্থায়ও খাওয়া যায় না। রান্না করেই খাওয়া যায়। তবে আপনার কানাডার ডুমুর দিয়ে এই রেসিপি ট্রাই করলে সেটার স্বাদ আরও বেশী হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: খুলনার এক বন্ধুর কাছে শুনে এই রেসিপি একবার ট্রাই করার জন্য ওঁকে কিছু ডুমুর পাঠাতে বলেছিলাম।
সে প্রায় এক বস্তা ডুমুর পাঠিয়েছিল। অত ডুমুর নিএ কি করব ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না- যাকেই সাধি সে-ই বলে এই জিনিস ক্যামনে খায়?
পরে নিজেই আগে রেঁধে দেখলাম। বিরাট ধরা-পরে চিংড়িমাছ সহ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফালা ছাড়া গতান্তর ছিল না।