![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে এখন পরিবেশ প্রকৌশলীদের বেশ রমরমা! বিভিন্ন যায়গায় তাঁরা তাত্ত্বিক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। বিডি নিউজ২৪ এ তো রীতিমতন যুদ্ধ চলছে! অনেকই এই প্রকল্পের ব্যাপারে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করে চলেছেন বিরামহীন ভাবে, কেনো গ্রহণযোগ্য দালিলিক প্রমাণ ছা্ড়াই! খুব ভালো লাগলো..! তা, জনাব পরিবেশ প্রকৌশলীগণ, কিছু গ্রহণযোগ্য নক্সাপাতি দেখান! যা দেখে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, এই প্রকল্পের ফলে সুন্দরবনের এবং সেখানকার জীববৈচিত্রের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কোনো ক্ষতি হবে না। আর পরিবেশ প্রকৌশলী হিসাবে আপনাদের কথায় বিশ্বাস আমরা কেন রাখবো? আপনারা লিখিত আকারে এইসব তত্ত্ব হাইকোর্টে জমা দিন। এতে করে আজ থেকে ২০ বছর পর যদি সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হয়, তখন আপনার মতন পরিবেশ প্রকৌশলীকে আমরা যেন কোর্টের মাধ্যমে খুঁজে পাই। হ্যাঁ, হয়তো আমি বা আমার মতন অনেকেই এজগত ছেড়ে পরোলোকে চলে যাবেন, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম থেকে যাবে! ভুলে যাবেন না, তারা নিশ্চই তখন আদালতের দারস্ত হবে। তখন যেন আপনাদের এই আশ্বস্তবানী আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দেখতে পায় এবং আপনার প্রতি আদালতের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে! এসব ঝগড়া বিবাদ বাদ দিয়ে, একটি স্বাধীন ও যোগ্য কমিশনের অধীনে জাপান, ইওরোপ থেকে প্রকৌশলী এনে বিষয়টি সুরাহা করবার কথা চিন্তা করুন। একজন বা দুজন সরকারী সুবিধাভোগী প্রকৌশলীর সাহিত্য বা উকিল কর্মে আমরা আম জনতা বিশ্বাস করি না। কারণ দেশে অনেক যোগ্য প্রকৌশলী থাকতেও রাজউক ‘এদায়িত্ব আমার না, আমার এইটা নাই, ওইটা নাই’ এইসব বলে বড় বড় দুর্ঘটনার দায় এড়িয়ে যায়! রানা প্লাজার ছাড়পত্রও একজন প্রকৌশলী দিয়েছিলেন! যমুনা সেতুও ভালো ভালো প্রকৌশলী নক্সা করে দিয়েছেন... কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে কি হাল! সারা বছরই... আঠা লাগিয়ে সেই সেতু চলাচলের উপযোগী রাখতে হয়! আমরা অত কারিগরী টার্ম বুঝি না, শুধু বুঝি ধানের চাতালের পাশ দিয়ে গেলে গায়ে ছাই এসে পড়ে। আর ...বর্জ্য ব্যবস্থাপনা! হা হা সেটি ২ বছর পর কি অবস্থায় গিয়ে দাড়াবে? সুন্দর বনের কি হবে সেটি ছেড়েই দিলাম! কিন্তু আপনার ওই আধুনিক ব্যবস্থাগুলো বিকল হবে না? ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি এখনো সমূদ্রে গিয়ে পড়ছে.... ভুপালের অবস্থা কি? দেশে লক্ষ লক্ষ একর খাস জমি পড়ে আছে.... সেই জমিগুলোতে এই প্রকল্প করুন, সুন্দরবনে কেন? বার বার বলছেন সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনাদের কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। আস্থা রাখতে পারি এমন একদল প্রকৌশলীর সন্নিবেশ ঘটিয়ে (যেখানে, পরিবেশ, শব্দ, বিদ্যুৎ, কাঠামো, পরিবহন, হাইড্রোলিক, ক্যামিকেল প্রভৃতি বিষয়ের এক বা একাধীক আস্থাভাজন প্রকৌশলীরা থাকবেন) একটি প্রতিবেদন উচ্চ আদালতের মাধ্যমে (তর্ক-বিতর্ক ও আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে) সার্টিফাইড করিয়ে প্রকাশ করুন, খাস বাংলা ও অখাস ইংরেজীতে। আর, আদালত যদি এই মর্মে রায় দেয় যে, “হ্যা এটি করা যেতে পারে, তবে ভবিষ্যতে এই কারণে সুন্দরবনের যদি কোনো ক্ষতি হয় তবে এই প্রতিবেদন প্রণয়ণকারী সকল প্রকৌশলীকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে” তবেই আমার মতন নির্বোধ বান্দা এই প্রকল্পে আস্থা রাখতে রাজী আছি। আমিও কোনো এ্যাকটিভিষ্ট নই। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি। বিদ্যুৎ না থাকলে গাছের নীচে বসে শরীর জুড়াই, এসি চালাই না! চালাবো কি, নেইই!!!
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: হা হা হা হা.....
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশে বর্তমানে যে দুষন আছে আলোচিত বিদ্যুতকেন্দ্রটির কারনে ১% ও বাড়বেনা
Click This Link
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
বাউন্ডুলের গল্প বলেছেন: লেখক বলেছেন: সমগ্র দেশের হয়তো বাড়বে না, কিন্তু আশ-পাশের এলাকা হিসাবে সুন্দরবনের উপর কি কোনো প্রভাবই পড়বে না? কি জানি ভাই আমি বিশেষজ্ঞ নই। সাধারণ ধারনায় যা বুঝি তাই .....
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: কোথায় কি বলছেন? প্রচুর টাকা পেয়েছে তো সরকারের ফেভারে কথা বলছে, আর জানার কি দরকার?