নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু আজব গুহার কথা

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৫


এই বিশ্ব জগতে কত কিছু যে আজব আছে তার কোন শেষ নেই। আশ্চর্য, বিচিত্র, ভয়াবহ, ব্যতিক্রমী, রোমাঞ্চিত নানা ধরনের উপাদানে ভরপুর আমাদের এই বিশ্ব। তেমন আশ্চার্য,আজব এই গুহাটি। এখানে শুধু মানুষই না, যে কোন প্রণী ভিতরে একবার প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না।এটি মানুষ খেকো গুহা নামে পরিচিত।আসলেই গুহা কি মানুষ খেতে পারে? হয়তো পারে আবার নাও পারে। কিন্তু আমি যে গুহার কথা বলছি শুধু মানুষ কেন, কোন জীব ঢুকলেই আর জীবিত বেরিয়ে আসতে পারে না। তাহলে এবার জানা যাক সেই ভয়ানক মানুষ খেকো গুহা সম্পর্কে।
গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্রাবোর মতে প্রাচীন গ্রিক শহর হিয়ারাপোলিসে ছিল এপোলো দেবতার একটি মন্দির। মন্দিরটি এক সময় নানা কারণে রহস্যময় মন্দির হিসেবে পরিচিতি হয়ে ওঠে। সেই মন্দিরের পাশেই ছিল একটি গুহা। সেই গুহাটির বৈশিষ্ঠ ছিল যে সেই গুহার ভিতরে কোন জন্তু-জানোয়ার ছুঁড়ে দিলে তা আর ফিরে আসতো না। এমনকি কোন মানুষও যদি সেই গুহার প্রবেশ মুখ সামান্যও অতিক্রম করতো তাহলে সেও আর ফিরে আসতো না। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে পুরোহিতরা এই গুহার ভিতরে নিরাপদে ঢুকতে পারতো আবার বের হয়েও আসতে পারতো। তবে পুরোহিতরা যখন বেরিয়ে আসতো তখন তাদের মুখমণ্ডল ফুলে যেত এবং রক্তাত্ত্ব হয়ে যেত। প্রাচীন গ্রিক বাসীদের বিশ্বাস ছিল সেই গুহাটি হলো পরলোকে যাওয়ার পথ এবং সেখানে রাজত্ব করে অপদেবতারা। সাধারণ মানুষ বা জীব-জানোয়াররা সেখানে গেলে অপদেবতারা তাদের মেরে ফেলে আর দেবতারা গেলে তাদের ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলে অপদেবতাদের সাথে লড়াই করে ফিরে আসতে পারে।স্ট্রাবো এই তথ্যটি তার পুঁথিতে লিখেছিলেন ২০০০ বছর আগে। অবশ্য বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের মানুষ ভূত, প্রেত, দেবতা বা অপদেবতা বিশ্বাস করে না।তাছাড়া বিজ্ঞানও তাদের সমর্থন করে না

এটি এমন এক গুহা যার আলাদা আকাশ আছে, মেঘ,বৃষ্টি,কুয়াশা আছে। আরো আছে খাল বিল পাহাড়ও। শুনে অবাক হচ্ছেন? চলুন ঘুরে আসি চীনের চঙকিং প্রদেশে। এমনই একটি গুহা রয়েছে এখানে।পৃথিবীতে যেমন আকাশ রয়েছে। আকাশে মেঘ এবং কুয়াশা আছে। তেমনি এই গুহার ভেতরেও রয়েছে আলাদা আকাশ। সেই আকাশে আছে মেঘ এবং কুয়াশা। শুধু তাই না, গুহাটির মধ্যে খাল, বিল, পাহাড়সহ আছে আরো অনেক কিছু। চীনের এই গুহাটির নাম ‘ইয়ার ওয়াং ডং চঙকিং প্রদেশের বাসিন্দারা অনেক আগে থেকেই গুহাটি সম্পর্কে জানতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা গুহাটির ভিতরে সামান্য যাতায়াতও করতেন। তবে তারা ভিতরের কোনো দৃশ্য ধারণ করে বাইরে নিয়ে আসেননি। আর স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া বাইরের কেউই তেমন যেতেন না গুহাটির মধ্যে। যে কারণে ইয়ার ওয়াং ডং গুহাটি সম্পর্কে মানুষের অজানা ছিল।

গুহা বিশেষজ্ঞ এবং ফটোগ্রাফারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল ইয়ার ওয়াং ডং গুহার গোপনীয়তা আবিষ্কার করেন এবং ভেতরের বেশ কিছু দুর্লভ ছবি তুলে নিয়ে আসেন।অভিযাত্রীদের মতে গুহাটির ভিতরে মেঘ বালুকনা জলীয়বাষ্পসহ রয়েছে আলাদা আবহাওয়া যা অনেকটা শীতল। আবহাওয়ার পাশাপাশি আর্দ্রতাও শীতল। যে কারণে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ অনেকটা কষ্টসাধ্য। গুহার ভিতরে যে খাল রয়েছে তা খুবই ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী। কেননা এসব খালের পানিতে রয়েছে তীব্র স্রোত যা সহজেই কাউকে ভাসিয়ে নিতে পারে।
অভিযাত্রী দলের একজন সদস্য রবি শোনের ভাষ্যমতে এর আগে এত বিস্তৃত কোনো গুহা তাদের আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ইয়ার ওয়াং ডং এর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ কিছু বিষয় যা সত্যি তাদের অবাক করেছে। বিশাল সেই গুহাটি প্রায় ৮২০ ফুট উঁচু। উপরের অংশের অর্ধেকটাই কুয়াশা এবং মেঘে ঢাকা। গুহাটির ভিতরে যে পানি রয়েছে তা নোনতা স্বাদযুক্ত। গুহা শব্দটির সাথে একটু বেশিই অ্যাডভেঞ্চার কাজ করে। আমাদের দেশে অবশ্য তেমন কোনো বড় গুহা নেই যেগুলো আছে খুবই ছোট। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা হচ্ছে হ্যাং সান ডং ভিয়েতনামের শেষ সীমানায় লাওস সীমান্ত এটি অবস্থিত। যদিও এখনো জানা যায়নি হ্যাং সান ডং থেকেও কি ইয়ার ওয়াং ডং গুহা বিশাল ? তবে এখনো সে গুহা সম্পকে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি,হ্যাঁ সেটার সম্পকে জানতে হলে আপাতত আরো কিছুদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

সূত্র: দ্যা ডেইলী মেল।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



"গুহাটির ভিতরে যে পানি রয়েছে তা নোনতা স্বাদযুক্ত। "

-ওখানে গ্রীক দেবতারা প্রস্রাব করতো ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনি কি শিউর ওটা দেবতাদের পস্রাব ছিল ? শিউর থাকলে বলেন পোস্টে অ্যাড করে দেই । ;) B-)

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

মানবী বলেছেন: সুন্দর ব্যতিক্রম পোস্ট! প্রায় প্রতিটি গূহার সৃষ্টি সুক্ষ জলধারার কারনে আর তাই খুব সম্ভবত সব গুহার ভিতরে জলাশয়/জলাধার দেখা যায় আর শোনাযায় জলস্রোতের এক রোমান্চকর শব্দ(অন্তঃত আমি যে গুটি কয়েক গূহা দেখেছি সেসব এমন ছিলো)।

এসব জলধারা শুধু পাহার বা কঠিন শিলার চিরে গূহা সৃষ্টি করে তা নয়, এসব গূহার দেয়াল আর ছাদ জুড়ে সৃষ্টি করে অসাধারান শিল্পকর্ম। বিশ্বের কোন চিত্রকর বা আর্কিটেক্ট অথবা ভাস্করের পক্ষে এমন শিল্পকর্ম সৃষ্টি অসম্ভব বলেই মনে হয়।

ভিন্নরকম কিছু গূহা সম্পর্কে তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপি এবং শুভ_কামনা থাকলো ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দারুণ তথ্যপূর্ণ। বেশ রহস্যময়।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনি খুঁশি হয়েছেন দেখে আমারো মনে হল পোস্টটি সার্থক হয়েছে ।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: থ্যাঙ্কু ফাতেমা আপু। :)

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

সুমন কর বলেছেন: আগের পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছেন কি !!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জি, ভয় পাইছি, :)

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: থ্যাঙ্কু আপনাকে মামুন ভাই। :)

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

ক্লে ডল বলেছেন: আশ্চর্য! গুহার ভেতরে মেঘ!!

চমৎকার বিষয় শেয়ার করেছেন!

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: :):):)(:(:(:হাসু মামা ,




ইয়ার ওয়াং ডং গুহার জন্যে না হয় আপাততঃ আরো কিছুদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু হিয়ারাপোলিসের মানুষ খেকো গুহাটির রহস্য এখনও ভেদ হলোনা যে ! এ সম্পর্কে জানালে ভালো হতো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৫

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: :-* কত কি জানার আছে, তাই না? চমৎকার লিখেছেন, এইরকম পোস্ট আরও চাই।

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মানুষ খেকো গুহার রহস্য কী?
এটা আসলেই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। মিথে অনেক কিছুই বলা থাকে - কিন্তু ঘটনার তো একটা নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকবে। এটার রহস্য সম্পর্কে আরো জানা জরুরী হয়ে গেছে।

চীনের গুহাটা সম্পর্কে বলা যায় - গুহার ভেতরেও একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এটার রহস্য আসলে প্রকৃতি নিজেই। বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যায়ও এটাই জানা যাবে।

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট হাসু মামা!! :)

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পোস্টে লাইক হাসু মামু!! :)

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: গুহার ভেতর অন্য পৃথিবী!

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

এইচ এম ওমর ফারুক বলেছেন: মহান আল্লাহ তা’য়ালার সৃষ্টি সম্পর্কে যত জানি ততই অবাক হই। আল্লাহ তা’য়ালা অসীম তিনিই ভাল জানেন তার সৃষ্টি সম্পর্কে।

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

অদৃশ্য বলেছেন:



দুর্দান্ত... গুহাগুলো সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো...

শুভকামনা...

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

ভীনদেশী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
তর্থপূর্ণ পোস্ট। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.