নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ বিদায় আব্দুল জব্বার

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬


জন প্রিয় শিল্পী আব্দুল জব্বারের কন্ঠে গাওয়া ওরে নীল দরিয়া আমায় দেরে দে ছাড়িয়া গানটি যেন চরম সত্য শিহরনে পৌঁছাল। সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলার জনপ্রিয় ও স্বাধীনতাযুদ্ধের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বার। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সকাল ৯টা ১০মিনিটে প্রিয় শিল্পী বিদায় নিয়ে ওপারে চলে যান। আর তার মধ্য দিয়েই শেষ হয় গান গেয়ে মানুষকে জাগিয়ে তোলা কণ্ঠশিল্পীর জীবনের পরিভ্রমণ। তার গানের কথামতো পিচঢালা এই পথ ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান অদেখা কোন এক স্বপ্ন ভুবনে।সত্তরের দশকে সুপারহিট সারেং বউ চলচ্চিত্রে আবদুল জব্বার গেয়েছিলেন তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় ও আবেগসান্দ্র গান ও রে নীল দরিয়া।এধরনের অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান গেয়েছেন আব্দুল জব্বার। তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়,সালাম সালাম হাজার সালাম এবং জয় বাংলা বাংলার জয় গান তিনটি বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এবং ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছিল।

সালাম সালাম হাজার সালাম
সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কণ্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে


সালাম সালাম হাজার সালাম ফজল-এ-খোদা রচিত এবং আব্দুল জব্বার কর্তৃক সুরারোপিত একটি জনপ্রিয় দেশাত্ববোধক গান। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই গান রচিত হয়।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আব্দুল জব্বারের কণ্ঠে গানটি ব্যপকভাবে প্রচারিত হয়, ২০০৬ সালে এটি বিবিসি কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গান হিসেবে শ্রোতা মনোনীত ২০ সেরা গানের মধ্যে ১২তম অবস্থানে অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল।

[sbসংগম ১৯৬৪সালের একটি উর্দু চলচ্চিত্র ।]
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন জহির রায়হান।আর চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন বিখ্যাত সংগীতপরিচালক ও সংগীতশিল্পী খান আতাউর রহমান। এই ছবিতে মোট ৬টি টি গান রয়েছে। গানগুলোতে কন্ঠ দেন বশীর আহমেদ, ফেরদৌসী বেগম, আবদুল জব্বার, আখতার সাদ, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ ছবিতে সঙ্গীতের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখনীয়। ছবির কাহিনী থেকে গানগুলোই অধিক জনপ্রিয়তা পায়।

তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয় ?
দুঃখের দহনে, করুন রোদনে, তিলে তিলে তার ক্ষয়।
আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে যায়।
শুকনো পাতার মর্মরে বাজে কত সুর বেদনায়।
আকাশে বাতাসে নিষ্ফল আশা হাহাকার হয়ে রয়।
প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে,
জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে।
কেউ তো জানে প্রাণের আকুতি বারে বারে সে কি চায়।
স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দূরে সরে চলে যায়।
ধরণীর বুকে পাশাপাশি তবু কেউ বুঝি কারো নয়।

তুমি কি দেখেছ কভু শিল্পী আব্দুল জব্বার রচয়িতা -মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সুরকার: সত্য সাহা ছায়াছবি: ১৯৬৮ সালের চলচ্চিত্র এত টুকু আশা

পিচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি
তার সাথে এই মনটারে বেঁধে নিয়েছি
রঙ ভরা এই শহরে যতই দেখেছি
গোলক ধাঁধার চক্করে ততই পড়েছি।
সারি সারি জনতার এই যে ভীড়ে
কেউ তো কারো পানে দেখো চায় না ফিরে
তাইতো আমি ভাই এই ভাবটাকে চালাই
এপার ওপার করে শুধু পালিয়ে বেড়াই।
দিন যায় রাত যায় এমনি করে
অলিগলি পথ-ঘাট ঘুরে ঘুরে।
ছোট ছোট মানুষের অন্ন কেড়ে
বড় বড় বাড়িগুলো উঠছে বেড়ে
তবুই যেথা যাই আরে নাই যে কোনো ঠাঁই
বেঁচে থাকার তরে শুধু নগদ কিছু চাই।
দিন যায় রাত যায় এমনি করে
অলিগলি পথ-ঘাট ঘুরে ঘুরে।

পীচ ঢালা পথ এহতেশাম পরিচালিত ১৯৭০ সালের বাংলাদেশী রোম্যান্টিক-নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন আহমদ জামান চৌধুরী।আর এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রবীন ঘোষ। আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন করিম সাহাবউদ্দীন। গীত রচনা করেছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আহমদ জামান চৌধুরী এবং গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ওস্তাদ ফজলুল হক, সাবিনা ইয়াসমিন, শাহনাজ বেগম, আব্দুল জব্বার, খুরশিদ আলম, লাভলি ইয়াসমিন ও মিলি জেসমিন ।
এ ছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে নাচের পুতুল ছবির শিরোনাম গান নাচের পুতুল এ কণ্ঠ দেন।১৯৭৮ সালে সারেং বৌ চলচ্চিত্রে আলম খানের সুরে ও..রে নীল দরিয়া গানটি দর্শকপ্রিয়তা পায়।

তাছাড়াও ১৯৮০ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের ৮ জন ব্যক্তিকে একুশে পদক ১৯৮০ দেওয়া হয়,আর সে আটজনের ভিতর অন্যতম একজন হলেন,জনপ্রিয় এই শিল্পী আব্দুল জব্বার ।

স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান। এটি ১৯৯৬ সাল যে আটজনকে পদক দেয়া হয় তাদে মধ্যে শিল্পী আব্দুল জব্বার অন্যতম একজন ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গুণী এই শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: শুভ হোক প্রিয় শিল্পীর আগমী পথ চলা ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ঈদমুবারক ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঈদ মোবারক ।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঈদ মোবারক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.