নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ পুরকৌশলী ফজলুর রহমান খান

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

ফজলুর রহমান খান এর সম্মানে প্রকাশিত বাংলাদেশের ডাক টিকিট।
ফজলুর খান ১৯২৯ সালের ৩রা এপ্রিল মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।ফজলুর রহমান খান তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত স্থপতি এবং পুরকৌশলী। তিনি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার যা বর্তমানে উইওলস টাওয়ার নামে পরিচিত, এটার নকশা প্রণয়ন করেন। তাকে বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ পুরকৌশলী বলা হয়।ফজলুর রহমান খান ১৯৪৪ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যা বর্তমানে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর নামে পরিচিত সেখানে ভর্তি হন। ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে পঞ্চাশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তৎকালীন আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যা বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত সেখান থেকে বাকি পরীক্ষা সমাপ্ত করেন ৷ কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার এবং আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষার উভয় ফলের ভিত্তিতে তাকে বিশেষ বিবেচনায় ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়৷ এ মূল্যায়নে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। জনাব এফ আর খান ১৯৫২ তে যুগপৎ সরকারী বৃত্তি ও ফুল ব্রাইট বৃত্তি নিয়ে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন ৷ সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তত্ত্বীয় ও ফলিত মেকানিক্স-এ যুগ্ম এম এস করার পর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন ।

ফজলুর রহমান খানের নকশায় গড়া সিয়ার্স টাওয়ার, শিকাগো। ১৯৭৪ সালে নির্মিত এই ভবনটি অনেক বছর ধরে বিশ্বের উচ্চতম একটা ভবন হিসেবে ছিলো।
ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পরপরই তিনি আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপকের পদে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি শিকাগো শহরের স্কিডমোর, ওউইং এবং মেরিল নামের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৫৬ সালে দেশে ফিরে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পূর্ব পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে আমেরিকার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিড মোর এর আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে এ কোম্পানীর শিকাগো অফিসের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন ৷ পাশাপাশি তিনি আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এর স্থাপত্য বিভাগে অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত হন । সেখানে পরে তিনি প্রফেসর এমিরিটাস হয়েছিলেন ।

১৯৬৯ সালে নির্মিত জন হ্যানকক সেন্টার যার প্রধান ডিজাইনার ছিলেন ব্রুস গ্রাহাম এবং ফজলুর রহমান খান ছিলেন স্থাপত্য প্রকৌশলী ।
ডঃ এফ আর খান নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, লি হাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইস ফেডারেল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন ৷১৯৯৯ সালে তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার মরণোত্তর প্রদান করা হয়।ফজলুর রহমান খানকে নিয়ে গুগল তার ৮৮ তম জন্মদিনে ডুডল প্রকাশ করেন।শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার তার অনন্য কীর্তি। তিনি ১৯৭২ সনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ড' এ ম্যান অব দি ইয়ার বিবেচিত হন এবং পাঁচবার স্থাপত্য শিল্পে সবচেয়ে বেশী অবদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবার গৌরব লাভ করেন তিনি ৬৫,৬৮,৭০,৭১,৭৯ সাল ৷ ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সনে আমেরিকার নিউজ উইক ম্যাগাজিন শিল্প এবং স্থাপত্যের উপর প্রচ্ছদ কাহিনীতে তাকে মার্কিন স্থাপত্যের শীর্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে ৷ স্থপতি ডঃ এফ, আর, খান আন্তর্জাতিক গগনচুম্বী ও নগরায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ৷ তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে শিকাগোর জন হ্যানকক সেন্টার, জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের হজ্ব টার্মিনাল এবং মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য মডেল অঙ্কন ৷১৯৯৮ সালে শিকাগো শহরের সিয়ার্স টাওয়ারের পাদদেশে অবস্থিত জ্যাকসন সড়ক পশ্চিম পার্শ্ব এবং ফ্রাঙ্কলিন সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগস্থলটিকে নামকরণ করা হয় "ফজলুর আর. খান ওয়ে" ।

সিয়ার্স টাওয়ার Sears Tower এর নকশা প্রনয়ন করেন ফজলুর রহমান খান । জন হ্যানকক সেন্টার এর নকশা করেন ফজলুর রহমান খান। জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।
হজ্ব টার্মিনালের ছাদ কাঠামো অবদান আছে ফজলুর রহমান খান।
মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য নকশা করেন ফজলুর রহমান খান।


তিনি ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবাসে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন ৷ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।১৯৯৯ সালে ফজলুর রহমান খানের স্মরণে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে ।৪ টাকা মূল্যমানের এই টিকিটটিতে রয়েছে ফজলুর রহমান খানের আবক্ষ চিত্র, আর পটভূমিতে রয়েছে সিয়ার্স টাওয়ারের ছবি।তিনি ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবাসে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন ৷ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।১৯৮২ সনের ২৬শে মার্চ জেদ্দায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ মৃত্যুর পর তার দেহ আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শিকাগোতে তাকে সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
https://www.google.com/doodles/fazlur-rahman-khans-88th-birthday
http://www.scholarsbangladesh.com/journal/frkhan.php

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তার নামই আজ প্রথম জানলাম।
নিজের উপরই নিজের রাগ লাগছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ রাগের কি আছে ।এগুলো কোনও ব্যপার না রাগ ঠাণ্ডা করেন। :)

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সিয়ার্স টাওয়ার বা সেরকম উচু দালান নির্মানে উনার কিছু মৌলিক রিসার্চ রয়েছে। যার ফলে উচু দালান নির্মান সম্ভব হয়।

শ্রদ্ধা এই মানুষটির প্রতি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: তার এত অবদান অথচ আগে কখনো তার নামও শুনিনি। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমরা হয়ত এরকম আরো কত কি জানি না কে জানে ?

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এফ আর রহমান সম্পর্কে পাঠ্য বইয়ে পড়েছি। আজ আরও অনেক তথ্য জানা গেল। তথ্য বহুল পোস্ট। এটি অনেকের জন্য প্রেরাণাদায়ক হবে । বিশেষ পুর প্রকৌশলীদের জন্য তো অবশ্যই সুন্দর ।+

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সুন্দর মন্তব্য দানে।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ারের বেসমেন্টে একটা প্যাসেজ আছে ডক্টর ফজলুর রহমানের নাম | সেখানে উনার নিকেলের একটা মূর্তিও আছে | আর উনার পরিচয় আছে নিকেলের প্লেটে | কয়েক বছর আগে ওটা দেখতে গিয়ে আমি যখন বললাম আমার কান্ট্রি অফ অরিজিন আর ডক্টর ফজলুর রহমানের কান্ট্রি অফ অরিজিন এক তখন ওখানকার লোকরা বললো তোমার গ্রেট একটা কান্ট্রি থেকে আমেরিকায় এসেছো | উই আর ভেরি হ্যাপি তো হ্যাভ ইউ গাইস ...| আমি খুবই গর্বিত হলাম সেদিন আরো একবার ডক্টর ফজলুর রমানের জন্য |

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এরকম হাজারো তারা সারা জীবন চির অমর হয়ে থাকুক আমাদের সকলের মাঝে।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।জানা হলো একজন বিখ্যাত মানুষ সম্পকে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

লিযেন বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। ধন্যবাদ। :)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ;)

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: উনি আমাদের গর্ব বাংলাদেশের গর্ব।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাঙালি জাতির গর্ব উনি।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আধুনিক বহুতল ভবনের ডিজাইনে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছেন তিনি। তাঁকে বলা হয় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর আইনস্টাইন, বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কম্পিউটারের সাহায্যে ডিজাইন করার ক্ষেত্রে পথিকৃত বিবেচিত হন। তাঁর উদ্ভাবিত টিউবুলার ডিজাইনসহ বিভিন্ন ডিজাইন সারা পৃথিবীতে এখন বহুতল ভবনের ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়।

https://en.wikipedia.org/wiki/Fazlur_Rahman_Khan

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য। :)

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য। :)

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য। :)

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য। :)

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যমূলক মন্তব্যের জন্য। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.