নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা কি মাদকবিরোধী যুদ্ধ নাকি নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে ভয় দেখানোর কৌশল

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক দফতর অফিস ফর ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) বলেছেন তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর সর্বখন নজর রাখছেন ।তবে লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফে বাংলাদেশের মাদক বিরোধী যুদ্ধের ওপর যে প্রতিবেদনটি ছাপিয়েছেন তার শিরোণাম হল বাংলাদেশ ড্রাগস ওয়ার ইউজড টু হাইড পলিটিক্যাল অ্যাসাসিনেশনস।এর অর্থ হল বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো আড়াল করতে ঘিয়ে সুবিদাবাদীরা মাদকবিরোধী লড়াইকে ব্যবহার করছেন।আর এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন টেলিগ্রাফের তিন সাংবাদিক বেন ফার্মার, সুজানা স্যাভেজ এবং নিকোলা স্মিথ।তারা প্রথমত চট্টগ্রামে হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শুরু করেছিলেন এই প্রতিবেদনটি। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের একজন কর্মী ছিলেন। অন্যদিকে র‍্যাব দাবি করছেন যে হাবিবুর রহমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ইয়াবার মতো মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে বাংলাদেশে এটা মানতে কোনো অসুবিদা নেই। র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী হাবিবুর রহমান একজন মাদক ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামে তিনি এবং তার সহযোগীরা যখন তাদের গোপন আস্তানায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন, তখন তারা পুলিশের দিকে গুলি চালান। সেই বন্দুকযুদ্ধে হাবিবুর রহমান মারা যান।কিন্তু অন্যদিকে হাবিবুর রহমানের পরিবারই টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন যে পুলিশের ভাষ্য একেবারেই বানোয়াট। হাবিবুর রহমানকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে বেরুনোর পর ধরে নিয়ে যায়।এবং হাবিবুর রহমানেরই আরেক ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন মসজিদ থেকে বেরুনোর পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর পুলিশ হেফাজতে রেখেই তাকে হত্যা করা হয়।এই আত্মীয়কে উদ্ধৃত করে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয় সে মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকাসক্ত কোনটাই নয়। সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় এবং জমি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তাকে হাবিবুর রহমানকে এই ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়াকে উদ্ধৃত করেছে টেলিগ্রাফ যিনি দাবি করেছেন এই মাদকবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে মাদক ব্যবহার বন্ধের সম্পর্ক খুবই অল্প। তিনি বলেছেন এই বছরের শেষ নাগাদ যে নির্বাচন হওয়ার কথা হয়ত এটি সম্ভবত তার আগে ভয়-ভীতি দেখানোর একটি কৌশল। তিনি আরও বলেছেন নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এরকম হত্যা তত বাড়বে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এসব কাজ করে সরকার নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে! জনগন তাদের উপর আস্থা হারাচ্ছে!!


এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার, হাবিবুর সহ বন্দুকযুদ্ধের বেশীরভাগ ঘটনাটা বানোয়াট!!X(

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সরকারের এই মূহর্তে ভেবে কাজ করা উচিত। |-)

২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

শাহাদাত নিরব বলেছেন: আমরাও চাই মাদক মুক্ত দেশ
এটা সবার প্রত্যাশা তবে সেটা যেনো বিচার বহির্ভুত না হয় ।
ব্যাক্তিগত হিংসা বা দলীয় হিংসার কারন যেনো না হয়।
ব্লগে যারা নিয়মিত রাজনীতি নিয়ে লিখে তারা শুধুই ৭১' আর ৭৫' নিয়ে লিখে বর্তমান নিয়ে কেউই কর্নপাত করে না ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তারা এখনকার বিষয় গুলো দেখেও না দেখার মত।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার আসলে চায় টা কি?

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তেমন কিছু না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.