![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলে এই বিখ্যাত গার্ডেনের মালিক ছিলেন জমিদার নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরী। উনিশ শতকের শেষের দিকে এটি ছিল
বলধার সেই জমিদারের বাগানবাড়ি। আর ঠিক তখনই প্রথম ঢাকার উচ্চবিত্তদের মধ্যে এটা একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মাধ্যম
হয়ে উঠেছিল। নিয়মিত সেখানে বসতো গান বাজনা ও গল্প,কবিতার আসর। ধারণা করা হয় বলধা নাম থেকেই বলধা
গার্ডেনের নাম দেয়া হয়।
ঢাকার ওয়ারী এলাকায় অবস্থিত বলধা গার্ডেন জায়গাটা খুবই মনরোম একটা জায়গা ।এই বলধা গার্ডেনে প্রচুর দূর্লভ গাছপালা রয়েছে। তদানীন্তন ঢাকা জেলা, বর্তমান গাজীপুর জেলার বলধার জমিদার নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ সালে এই বলধা গার্ডেনের সূচনা করেন। তিনি দুটি উদ্যান তৈরি করেন। প্রথম উদ্যানটির নাম রাখেন সাইকী। পরবর্তিতে তৈরি করা হয় দ্বিতীয় উদ্যান সিবলী। নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর কোনো এক সময়ে এই দুটি উদ্যানকে সম্মিলিতভাবে বলধা গার্ডেন নামে আখ্যায়িত করা হতে থাকে। ৩.৩৮ একর জায়গার উপর এই উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে। নরেন্দ্রনারায়ণ এখানে একটি পারিবারিক জাদুঘরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বলধা গার্ডেন দু'টি অংশে বিভক্ত একটি অংশের নাম সাইকী এবং অন্যটি সিবলী। সাইকী অর্থ আত্মা এবং সিবলী অর্থ প্রকৃতির দেবী। দুটি শব্দই গ্রিক পৌরাণিক শব্দ।সাইকী অংশের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে নীল, লাল, সাদা, হলুদ, জাতের শাপলায় ভরা অনেক গুলো শাপলা হাউজ, বিরল প্রজাতির দেশী বিদেশী ক্যাকটাস, অর্কিড, এনথুরিয়াম, ভূজ্জ পত্র গাছ, বিচিত্র বকুল, আমাজান লিলি ও সুরংগ সহ একটি ছায়াতর ঘর।
আর সিবলী অংশের মূল আকর্ষণ হচ্ছে শংখ নদ, পুকুর, ক্যামেলিয়া, আশোক, আফ্রিকান টিউলিপস। এখানে আরো আছে সূর্যঘড়ি, জয় হাউজ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এই জয় হাউসে বসে এখানকার ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে তার বিখ্যাত ক্যামেলিয়া কবিতাটি লিখেছিলেন ।ইতিহাস থেকে জানা যায় জমিদার নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ফুলগাছ এবং অনান্য উদ্ভিদ এনে রোপন করেছেন নিজের তৈরী এই গার্ডেনটিতে। বলধা গার্ডেন প্রকৃতপক্ষে ফুল এবং উদ্ভিদের একটি মিউজিয়াম। তবে সত্যিকারের একটি মিউজিয়ামও ছিল বলধা গার্ডেনে। তাতে কয়েকটি ধাতব মূর্তি ছিল। বলধা গার্ডেনে যেমন দেশ বিদেশের বিভিন্ন উদ্ভিদ রয়েছে ঠিক তেমনি দেশ বিদেশের খ্যাতিমান লোকেরা বলধা গার্ডেন দেখতে আসতেন। এখনো বলধা গার্ডেন নিয়ে ঢাকাবাসীর আগ্রহের কমতি নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলধা গার্ডেন পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি এ গার্ডেনের বহু বিদেশী ফুলের বাংলা নামকরণ করেছিলেন।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমিও সেরকমি কিছু শুনেছিলাম।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
ফেনা বলেছেন: ভাল পোষ্ট। প্রিয়তে রখলাম।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা এটার পরিবেশ নোংরা করে দিয়েছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সেটাই ভাবছি গুরু ভাই।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রশাসনের নজর না থাকাতে এসব জায়গায় এখন পরিবার নিয়ে যাওয়া যায় না। আবার হকারদের দৌরাত্মতো আছেই...
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমিও তেমনটাই কিছু শুনেছি তাই একদিন দেখতে যাবো ভাবছি।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০
রাকু হাসান বলেছেন:
চাইলেই যেতে পারি, কিন্তু আজও যাওয়া হয়নি । রবীন্দ্রনাথ যে এখানে এসে ছিলেন সেটা জানতাম না,একদম ই । খুব সুন্দর হয়েছে পোস্ট।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছে আছে তবে ঘুরে এসে হহত কিছু লেখতে পারবো না।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
চাঙ্কু বলেছেন: বলধা গার্ডেন হল প্রেমকুঞ্জ!
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সেটাই দেখতে যাবো।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
একবার গিয়েছিলাম বলধা গার্ডেনে৷অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি৷আপনি দেখে আসতে পারেন৷
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০১
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমিও একবার যাবো ভাবছি।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বলেন কবে কখন যাবেন আমিও যাবো ।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দুঃখীত আমি একাই যাবো।
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
সূচরিতা সেন বলেছেন: ভালো লাগল এই গার্ডেন সম্পর্কে জেনে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বলধা গার্ডেনে নাকি অসামাজিক কার্যকলাপ চলে?