নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় ঢাকার দৈনন্দিন জীবনের কিছু সমস্যা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭


আমরা যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকা রাজধানীতে বসত গড়ে তুলেছি তাদের সমস্যার শেষ নাই।
আমাদের দৈনন্দিন বিশেষ করে শহর জীবনে একের পর এক সমস্যা লেগেই থাকে ।তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা
হল ঢাকার রাস্তাগুলো । বিশেষ করে রাজধানীতে সরকারি রাস্তাগুলোর জন্য যখন টেন্ডার পাশ হয় তখন থেকেই সরকারি
কন্ট্রাককারী বা ঠিকাদার মনে হয় মানবতা বিক্রি করে দেন। কেননা তারা বেছে ঠিক যখন বর্ষাকাল বা বৃষ্টি মৌসুম তখন
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজে হাত দেন অথচ তারা চাইলে কিন্তু এই খোঁড়াখুঁড়ির কাজগুলো খড়া মৌসুমে করতে পারেন আর
তাতে জনবহুল জীবনেও ভোগান্তি অনেকটা কম হয়। আমার মনে হয় আসলে সরকারি কাজগুলোর ঠিকাদার সাহেবরা একটা
কাজ পেলে সেটা থেকে কতবার টাকা নেন তার সঠিক হিসাব নাই ।দেখাগেল সরকারি ঠিকাদার সাহেবরা বর্ষা মৌসুমে একটা
খোঁড়াখুঁড়ির কাজ যখন প্রথমে শুরু করেন কয়েকদিন খোঁড়াখুঁড়ির পর শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি বর্ষা তার পর সেটাকে বন্ধ রেখে দেন
আবার কয়েকদিন পর সেই খোঁড়া স্থানে বিষ্টির যে পানি ভরাত হয়ে থাকে সেগুলোকে সেচা শুরু করেন আর সেই সেচা শেষ
হতে না হতেই আবার শুরু হয় বর্ষা আবার খোঁড়া স্থানে পানি ভড়াত হয়ে যায় ।আর এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন
এমন কি বছের পর বছরও লেগে যায় এক স্থানের কাজ শেষ করতেই ।অথচ একটা কাজ ঠিক সময় মত তদারকি করলে
আমাদের শহরবাসীদের কোনো দূরভোগ পোহাতে হয় না। আর কথা নয় চলুন হাস্য কৌতুহলে শহরের রাস্তার কিছু ছবি দেখি।


হ্যা মানছি এগুলো নতুন কিছু নয়।এগুলো আমাদের রাজধানী বসবাসকারীদের জন্য রোজকার দূরভোগ । তবে
এর থেকে কি রেহায় নাই ।

মনে হচ্ছে ঢাকা শহর নয় এ যেন কোনো নদীর ওপর দিয়ে ভার্স্যমান গাড়ি যাতায়েত করছে ।

তাই আমাদের ঢাকা শহর বা রাজধানী বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে সরকারী ঠিকাদারী লোকদের কাছে বিশেষ
আন্তরীক অনুরোধ থাকবে আপনেরা দয়া করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রেখে খড়া মৌসুমে এই কাজগুলো
ধরুন এবং ততখনায় শেষ করুন ।


সুজলা সুফলা আর শস্য শ্যামলা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার জন্য ঢাকার
বাসযোগ্য জায়গা উচ্ছেদ করে সেখানে ক্ষেত খামারের কাজ শুরু করা যেতে পারে কি বলেন আপনেরা ? ঢাকার রাস্তাঘাট খুঁড়ে নেওয়া যেতে পারে খাল এবং সেচ প্রকল্প। একদিকে ঢাকাও অবসবাসযোগ্য হলো অন্যদিকে আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়ে কিছু উদ্বৃত্তও থাকলো।
কথা খারাপ না।এগুলো আমাদের সময়ের দাবী।

বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। কিন্তু শুধুমাত্র বর্ষাকাল এলেই ঢাকার রূপ পালটে যায়। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য শুরু হয় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। ঢাকায় সারাবছরের জন্য বর্ষাকাল ঘোষণা করা হলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজের জন্য আর বছরের বাকি দশ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, ঢাকাও ফিরে পাবে তার হারানো শীর্ষত্ব।সরকারি ঠিকাদার সাহেবরা ভাবেন এইবার কি করবেন আপনেরা ?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

রাকু হাসান বলেছেন: নিত্য এসব ভোগ করছি । মাঝে মাঝে খুব রাগ হয় ।যামু কই :(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সাথে থাকো ভাগ্নে আরো ছবি আপলোড করে আসছি তারপর ভরপুর কথা হবে।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৭ বছরে, রাস্তার জন্য টাকা বরাদ্ধ করে, রাস্তা করে ও রাস্তা মেরামত করে ৫ হাজারের মতো সুপার ধনী হয়েছে বাংলাদেশে; এগুলোকে আরো শতবার ভাংগা হবে, তাতে আরো ৩/৪ শত সুপার ধনী হবে আগামী ৫ বছরে

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আর উন্নয়ন হবেও বলে মনে হয়না।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কেমন মশলা দেয় যে প্রতি বছর রাস্তা মেরামত করতে হয়? এগুলো সব চোর চাট্টার দলের কাজ...

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
ঢাকা শহর নিয়ে আমজনতা ছাড়া আর কেউই ভাবেনি।
ঢাকা এখন একটি জলন্ত আগ্নেয়গিরি।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

অভিশপ্ত জাহাজী বলেছেন: টেন্ডারের প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলতে চাই। শুধুই রাস্তা ঘাট না, সরকারি প্রত্যেকটা সেক্টরে টেন্ডার নিয়ে কি পরিমান রাজনীতি হয় তা চিন্তার বাহিরে।
যখন পলিটেকনিকে পড়তাম, ২০১৩-১৪ এর কথা , নেতার টেন্ডার পাওয়া লাগবেই , হলে থাকার সুবাদে বাধ্য ছিলাম তাদের সাথে যেতে। টেন্ডার পাওয়া নিয়ে তার যেই প্রতিপক্ষ ছিল তাকে মারার জন্য মহড়া দেওয়া হয় আমাদের নিয়ে। সবার হাতে লাঠি ,রড ,কারো কারো হাতে পিস্তল। কোনো অলিগলি না , মহাখালীর রাজপথের কথা বলছি। পুলিশ এসে জানান দিল যে নেতার প্রতিপক্ষ এলাকায় নেই। কি করলে কি হবে সব জানান দিল পুলিশ কর্মকর্তা। সেই মহড়া শেষে ২-৩শ স্টুডেন্ট কে ৩-৪শ করে দিয়েছে। এইটা তো একটা দিনের কথা বললাম মাত্র। সেই একটা টেন্ডার পাওয়ার জন্য এরপরও আরো কয়েকদিন যেতে হয়েছে। ভাবুন কি পরিমান ক্ষমতা আর টাকার প্রভাবে আছে। রাজনৈতিক সাপোর্টের কথা নাইবা বললাম।
তাহলে হিসাব করুন টেন্ডার পাশ না হতেই এত টাকা ইনভেস্ট করছে তারা। রাজনীতিবিদদের দিতে হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দিতে হচ্ছে। এর পর নিজের ভোগের টাকা বাদ দিলে উন্নয়ন বলতে কি আর কিছু থাকে দাদা ?
আমরা যে মগের মুল্লুকের দেশে থাকি। কারো কোনো জবাবদিহিতা করার দরকার নেই।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

তার ছিড়া আমি বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে পঁচা শহর বলতে ঢাকা শহরকেই বুঝি। (এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত)

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এটা নতুন কিছু না।
সারা বছরের, সারা জীবনের ঘটনা।
অথচ নেতাদের বড় বড় কথা। তাদের কি লজ্জা করে না?

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

সূচরিতা সেন বলেছেন: ঢাকার বাসিন্দাদের কষ্ট দেখার মত মানুষ নাই।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট আপুমণি। ইহা জাতির প্রিয় শহর। আদরের রাজধানী শহর। ইহার নামা ফাকা ( ঢাকা!)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.