নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'\'শহীদ আসাদ স্বরনে\'\' ৬৯র পথ ধরে স্বৈরাচার শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪১


৬৯-এর পথ ধরে স্বৈরাচার-সাম্প্রদায়িকতা-শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র- ভোটাধিকার এবং
সাম্প্রদায়িকতা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে শহীদ আসাদ এখনো প্রেরণা জোগায়।রোববার ছিল শহীদ আসাদ দিবস। আর এই উপলক্ষে রাজনৈতিক সামাজিক দলের ব্যানারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আসাদের স্মৃতিস্তম্বে ফুল দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর বক্তব্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ সেখানে শহীদ আসাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না,বাংলাদেশ নামক এই দেশটি অনেক রক্ত ক্ষয়ের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছিলাম। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের পথ চলার নায়ক শহীদ আসাদের রক্তের পথবেয়ে ২৪শে জানুয়ারি পূর্বপাকিস্তানে লাখো মানুষের যে গণভ্যুত্থান সৃষ্টি হয় তা পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল আইয়ুব খানের তখত তাউস কাপিয়ে দিয়েছিল তার পতনের দরজা খুলে গিয়েছিল। ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট পাকিস্তানী বাইশ পরিবারের একচেটিয়া শোষণ এবং আমলাতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে খতম করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পায়।তবে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এখনো ঠিক একই ধরনের হাজার হাজার পুঁজিপতির শোষণ এবং আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র এদেশের কোটি কোটি মানুষের উপর শোষণ নির্যাতন চালাচ্ছে।আজ দেশের সাধারন মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পরছে। তাই আজও ১৯৬৯-এর শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ৬৯-এর পথ ধরে স্বৈরাচার-সাম্প্রদায়িকতা-শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদ দিবসে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আসাদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, সজীব সরকার রতন, পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা ইমরান হোসেন ও জোনায়েত হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর নেতৃবৃন্দ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ করার পর নেতৃবৃন্দ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অপরদিকে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক শহীদ আসাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেছেন শহীদ আসাদের রক্তদানই আইয়ুব শাহীর পতনের পথ তৈরি করে। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই স্বাধীনতা সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়েছিল।

নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে শহীদ আসাদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানা যায়।

শহীদ আসাদ পরিচিতি:
আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ছিলেন একজন শহীদ ছাত্রনেতা। তিনি আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় ১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে তিনি সর্বসমক্ষে শহীদ আসাদ নামেই অধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। শহীদ আসাদ হচ্ছেন ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনে পথিকৃৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন অন্য দু'জন হচ্ছেন শহীদ রুস্তম এবং শহীদ মতিউর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবীর স্বপক্ষে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্যান্য আসামীদের মুক্তি দাবীর আন্দোলনে আসাদের মৃত্যু পরিবেশকে আরো ঘোলাটে করে তুলে এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৬৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষাণীর ডাকে হরতাল আহ্বানের ফলে ব্যবসায়ীরা তাতে পূর্ণ সমর্থন জানায়। আর তারই প্রেক্ষাপটে গভর্নর হাউজ ঘেরাও করা আর তারই ফলে ছাত্র সংগঠনগুলো পূর্ব থেকেও নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি তারিখে ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যাতে প্রধান ভূমিকা রেখে ছিলেন শহীদ আসাদ।১৯৬৯সালে ১৭ই জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুষ্ঠিত বৈঠকে ছাত্ররা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ডাক দেন। ফলে গভর্নর হিসেবে মোনেম খান ১৪৪ ধারা আইন জারী করেন যাতে করে চার জনের বেশি লোক একত্রিত হতে না পারে।
পূর্ব পরিকল্পনা অণুসারে ১৯৬৯সালের ২০শে জানুয়ারি তারিখে দুপুরে ছাত্রদেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পার্শ্বে চাঁন খাঁ'র পুল এলাকায় মিছিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান। পুলিশ তাদেরকে চাঁন খাঁ'র পুল ব্রীজে বাঁধা দেয় এবং চলে যেতে বলে। কিন্তু বিক্ষোভকারী ছাত্ররা সেখানে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান নেন এবং আসাদ ও তার সহযোগীরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এমন অবস্থায় খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসার গুলিবর্ষণ করে। তৎক্ষণাৎ গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০১

আখ্যাত বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা আসলে আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে।
স্বৈরাচার-সাম্প্রদায়িকতা -শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জীবন দিলেন আসাদ।
আসাদ কে শহীদ নয়, বীর বলা যেতে পারে।
শহীদ সাম্প্রদায়িক পরিভাষা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঠিক আছে। ভালো লাগল আপনার মন্তব্যটি।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার তো রাজনৈতিক পোস্ট দেওয়া নিষেধ...হোম মিনিস্টার
আগের পোস্ট ড্রাফটে কেন????

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এটাতো কোনো রাজনীতি পোস্ট না। ড্রাফতে না এক্কেবারে কেচি মারছি B-)

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: শহীদ এব বীর আসাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু আপনার মঙ্গল করুক।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: শহীদ আসাদ ছাড়াও আরও অনেক শহীদ আছেন। তাদের কথাও মনে রাখতে হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঠিক বলেছেন গুরু ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.