নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৩০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরার সেই মাউন্ট রাশমোর ইতিহাস

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭


মাউন্ট রাশমোর ন্যাশনাল মেমোরিয়াল বা সংক্ষেপে মাউন্ট রাশমোর হলো যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের কিস্টোনে অবস্থিত গ্রানাইট পাথরের পাহাড় কেটে তৈরি করা একটি মনুমেন্ট। ভাস্কর গাটজন বর্গলাম এটি নির্মাণ করেছিলেন। ৬০-ফুট (১৮ মি) উচ্চতার এই প্রেসিডেন্সিয়াল ভাস্কর্য দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ১৩০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকৃত যে চারজন মার্কিন রাষ্ট্রপতির আবক্ষমূর্তি স্থান পেয়েছে তাঁরা হলেন, জর্জ ওয়াশিংটন, থমাস জেফারসন, থিওডোর রুজভেল্ট, এবং আব্রাহাম লিংকন।সম্পূর্ণ মেমোরিয়ালটির ক্ষেত্রফল প্রায় ১,২৭৮.৪৫ একর বা ৫.১৭ কিমি২ অবস্থিত। এই মনুমেন্টটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ দি ইন্টেরিয়রের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।পর্যটন সাউথ ডাকোটার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প, এবং মাউন্ট রাশমোর হচ্ছে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আকর্ষণ। ২০০৪ সালে ২০ লক্ষেরও বেশি পর্যটক মাউন্ট রাশমোর প্রদর্শন করেছেন।

এই পর্বতটি ডাকোটা জাতির মানুষের কাছে সিক্স গ্র্যান্ডফাদার নামেও পরিচিত। যদিও এর নামকরণ করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের একজন খ্যাতনামা আইনজীবী চার্লস ই রাশমোরের নামানুসারে। ১৮৮৫ সালে পরিচালিত এক অভিযানে তিনি এই পর্বতটি আবিস্কার করেন।প্রথমে রাশমোর সাউথ ডাকোটার ব্ল্যাক হিল্‌স অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজ এবং কংগ্রেসের সদস্যদের সাথে অনেক আলোচনার পর এই প্রকল্পটি কংগ্রেসের অনুমোদন পায়। এই ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯২৭ সালে আর এটি শেষ হয়েছিল প্রায় ১৪ বছর পর অর্থাৎ ১৯৪১ সালে। এটি তৈরির সময় কিছু মানুষ দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির স্বীকার হন তবে এখনও পযন্ত কেউ মারা যায়নি বলেই শোনা যায়।ঐতিহাসিক ডোএন রবিনসন ১৯২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সাউথ ডাকোটার মাউন্ট রাশমোরকে নিয়ে এই চিন্তাধারাটি শুরু করেছিলেন। তিনি ভাস্কর গুটজন বোর্গলামকে ব্ল্যাক হিল্‌স অঞ্চলটি ভ্রমণ করে দেখতে বলেন যে ভাস্কর্য তৈরির পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব কী না। বোর্গলাম এর আগে স্টোন মাউন্টেনে কনফেডারেট মেমোরিয়াল তৈরিতেও কাজ করেছেন। এটি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। কিন্তু সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে মতানৈক্য হয়। মূল পরিকল্পনা ছিলো গ্র্যানাইট পিলারগুলোতে ভাস্কর্য আঁকা হবে যা নিডল নামে পরিচিত। যদিও পরে বোর্গলাম বুঝতে পারেন এই ক্ষয়প্রাপ্ত নিডলগুলো ভাষ্কর্যকে ধারণ করার জন্য সুগঠিত নয়। সেগুলো খুব চিকন। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ১৯২৫ সালে ৩রা মার্চ মাউন্ট রাশমোর কমিশনকে কাজটির দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন।রাষ্ট্রপতি কুলিজের ইচ্ছায় ওয়াশিংটনের সাথে দুই রিপাবলিকান এবং এক ডেমোক্র্যাট রাষ্ট্রপতি ভাস্কর্যে স্থান পান।

বোর্গলাম বিভিন্ন কারণে মাউন্ট রাশমোরকে এই কাজের জন্য উপযুক্ত সাইট হিসেবে মনোনীত করেন। যেমন যে শিলা দ্বারা এই পর্বতটি গঠিত তা মসৃণ এবং খুব মানসম্পন্ন গ্র্যানাইটের তৈরি। এই গ্র্যানাইট ক্ষয়প্রাপ্ত হবার হার কম। প্রতি ১০,০০০ বছরে এটি মাত্র ১ ইঞ্চি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তার ফলে এটি নিশ্চিত হয় যে ভাস্কর্যকে এটি ভালোভাবে ভিত্তিমূলক দৃঢ়তা প্রদান করতে সমর্থ হবে।তাছাড়া এটি ওই এলাকার সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫,৭২৫ ফুট বা ১,৭৪৫ মি। পর্বতটি যেহেতু দক্ষিণপূর্ব দিকে মুখ করে আছে তাই দিনে বেশিরভাগ সময় এটি সূর্যালোক পায়।

সূত্রঃএখানে
এখানে

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জানি.....
তবুও সুন্দরভাবে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু । মডুরা আমারে কঠিন নজরে রাখছেন কিছু কইলাম না কারন আমি খুবই ভালো মানুষ। B:-/

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গুরুভাই।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

রাকু হাসান বলেছেন:

ঠিকাচ্ছে মামা জানিলাম । :) একদম অজানা ছিল।শেষের তথ্য পড়ে খুব অবাক হলাম । ১০ হাজার বছরে মাত্র ১ ইঞ্চি !! :| কি খবর ! ;)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সেইরম মজবুট মেডিসিন খাওয়ানো হয়েছে থুক্কু ভাগ্নে সেইরম মসল্লা দিয়ে তৈরি মনে হচ্ছে। ;) খবর সময় ভালো না। ;)

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মামা কি ওয়াচে নাকি B:-)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: না ভাগ্নে ঠিক ওয়াচে না তয় একখান পোস্ট ১ম পাতা থেকে পত্যাখান হয়েছে।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেদের দেশপ্রেম আর বানিজ্য দুটোর প্রকাশেই দারুন আইডিয়া ছিল এটি।

++++


১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অথচ আমরা হলে........................ । থাক সে কথা । ;)
ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০

সনেট কবি বলেছেন: আমারো একবার সেখানে যেতে ইচ্ছে করে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমারো মন চায় মামা।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট, ভালো লাগলো বিখ্যাত স্থাপনা সম্পর্কে জনতে পেরে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দারুন তথ্য সমৃদ্ধ ইতিহাস জেনে ভালো লাগল ভাই হাসু।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.