নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা ও ভালোবাসা দিবস

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২


ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা।বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা।তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয় । বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। বিশেষ করে ভালোবাসা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।ভালোবাসা রোগ কোনো চিকিৎসীয় শিরোনাম নয়, এবং এটি ভালোবাসায় পতিত হওয়াকে মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিকভাবে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।
ঐতিহাসিকভাবে, ভালোবাসা রোগ বলতে বোঝায় ভালোবাসা সংশ্লিষ্ট এক ধরনের মানসিক পীড়া। স্বীকৃত রেনেসা ব্যক্তিত্ত্বরা; উদাহরণস্বরূপ ইবনে সিনা বিষন্নতাকে এই মানসিক পীড়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দায়ী করেছেন।

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে।

কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।ভালোবাসার সাধারন এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। কল্পনাবিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়।
যেকোন পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের নিয়ে গঠিত। স্বামী এবং স্ত্রী, অথবা বিবাহিত জীবনের এই দুই অংশীদারের যে-কেউ একজন সংসারের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ-কর্মের চালক। পরিবার প্রধানের দিক থেকে বংশানুক্রমিক সদস্যদের মধ্যে দাদা, দাদি, বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ, নাতি, নাত-বউ এবং নাতনি অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে, জ্ঞাতি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চাচা ও চাচী, চাচার ছেলে ও মেয়ে, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের ছেলেমেয়ে এবং এই ধারাবাহিকতায় অন্যান্যরা। বংশীয় ও জ্ঞাতিগত উভয় শ্রেণীতে পরিবার প্রধানের সকল সন্ধানযোগ্য পূর্ব-পুরুষ ও উত্তরপুরুষ বিগত দিনের অব্যাহত সদস্যতা এবং ঘনিষ্ঠতার পারস্পরিক অনুভবের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা গড়ে উঠে।
লা বেল্লে ড্যাম স্যান্স মারসি (১৮৯৩), শিল্পী: জন উইলিয়াম ওয়াটারহাউজ (১৮৪৯-১৯১৭)

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান ভালবাসাকে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখায়। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী তাদের জীবনকালের দীর্ঘ সময় পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই সময়ে ভালবাসা একটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালোবাসা কিভাবে মানব বিবর্তনের দ্বারা গড়ে উঠেছে এর উপর ভিত্তি করে ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা যেতে পারে।সেক্সের জৈবিক মডেলকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি ড্রাইভ হিসাবে মনে করা হয় যা অত্যধিক ক্ষুধা বা তৃষ্ণার মতো। হেলেন ফিশার প্রেম বিষয়ে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ । প্রেমের অভিজ্ঞতাকে তিনি তিনটি আংশিক ওভারল্যাপিং পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন: উদাহরণস্বরূপ, লালসা, আকর্ষণ, এবং সংযুক্তি। কামনা হল যৌন বাসনা পূরণ করার জন্য এক ধরনের অনুভূতি । রোমান্টিক আকর্ষণ মূলত নির্ধারণ করে কোন ব্যক্তির সঙ্গী কতটা আকর্ষণীয় তার উপর । তাছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে, যেমন, একি সাথে একটি বাড়িতে অবস্থান করা, পিতামাতার প্রতি কর্তব্য, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনুভূতিগুলিও জড়িত থাকে। এই তিনটি রোমান্টিক শৈলীগুলির সাথে নিউরাল সার্কিটগুলি, নিউরোট্রান্সমিটার এবং তিনটি আচরণগত নিদর্শন সংযুক্ত সব সময় কার্যকর ভূমিকা পালন করে ।কামনা হল যৌন বাসনার প্রাথমিক ধাপ যা টেসটোসটাইন এবং এস্ট্রোজেনের মতো রাসায়নিক পদার্থ বর্ধিত ত্যাগ করে। এর প্রভাব কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় । আকর্ষণ আরও individualized এবং রোমান্টিক হয় একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীর জন্য, যার মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র লালসা বিকশিত হয়। স্নায়ুবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ মূলত প্রেমে পড়ে যখন তার মস্তিষ্ক নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সেটের রাসায়নিক পদার্থ ত্যাগ করে। উদাহরণস্বরূপ, নিউরোট্রান্সমিটার হরমোন, ডোপামিন, নোরপাইনফ্রাইন, এবং সেরোটোনিন এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে । amphetamine একি ধরনের পদার্থ ত্যাগ করে যার ফলে মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, হার্টের কম্পনের হার বৃদ্ধি পায় , ক্ষুধা এবং ঘুম হ্রাস পায়, এবং উত্তেজনা বেড়ে যায় । গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই পর্যায় সাধারণত দেড় থেকে তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।যেহেতু কামনা এবং আকর্ষণ এর পর্যায়গুলিকে অস্থায়ী বলে মনে করা হয়, তাই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য একটি তৃতীয় পর্যায় প্রয়োজন। সংযুক্তি হল এক ধরনের বন্ধন যার কারণে সম্পর্ক অনেক বছর এমনকি কয়েক দশক পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সংযুক্তি সাধারণভাবে বিবাহ বা শিশু জন্মদান করার মত অঙ্গীকারগুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তাছাড়া পারস্পরিক বন্ধুত্ব বা পছন্দের বিষয়গুলি ভাগ করে নেয়ার কারণেও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্পমেয়াদী সম্পর্কের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ক্ষেত্র বেশি পরিমাণে রাসায়নিক অক্সিটোসিন এবং ভাসপ্রেসিন নির্গত হয়। এনজো ইমানুয়েল এবং তার সহকর্মীরা রিপোর্ট করেন যে প্রোস্টেট অণুটি স্নায়ু বৃদ্ধিকারক ফ্যাক্টর (এনজিএফ) নামে পরিচিত, যখন লোকেরা প্রথম প্রেমে পড়ে তখন তার মাত্রা অনেক বেশি থাকে, কিন্তু এক বছর পর তারা আবার পূর্ববর্তী স্তরে ফিরে আসে।

প্রেম (ইংরেজি: Romance, রোমান্স) হল ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও রহস্যময় অনুভূতি। এটি হল কোন ব্যক্তির প্রতি যৌন আকর্ষণের সাথে সম্পর্কিত কোন আবেগীয় আকর্ষণ হতে উদ্বুদ্ধ একটি বহিঃপ্রকাশমূলক এবং আনন্দঘন অনুভূতি। গ্রিক চারটি আকর্ষণের মধ্যে এটি আগেপ, ফিলিয়া কিংবা স্টরজ-এর তুলনায় ইরোসের সঙ্গে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানী চার্লস লিন্ডহোমের সংজ্ঞানুযায়ী প্রেম হল "একটি প্রবল আকর্ষণ যা কোন যৌন-আবেদনময় দৃষ্টিকোণ হতে কাওকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরে, এবং যাতে তা ভবিষ্যতে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার মনোবাসনাও অন্তর্ভুক্ত থাকে।" কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতে অপর ব্যক্তির প্রতি একইসাথে শক্তিশালী মানসিক এবং যৌন আকর্ষণ কাজ করে। প্রেমের সম্পর্কে যৌনতার তুলনায় ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি অধিক গুরুত্বের অধিকারী হয়।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পর্কসমূহের সূচনাপর্বে প্রেমের অনুভূতি অধিকতর দৃঢ়ভাবে কাজ করে। তখন এর সঙ্গে এমন এক অনিশ্চয়তা এবং দুশ্চিন্তা অনুভূত হয় যে এ ভালোবাসা হয়তো আর কখনো ফিরে নাও আসতে পারে।প্রধানত শিল্পাঙ্গনে, বিশেষ করে সাহিত্য এবং উপন্যাসে একটি প্রধানতম এবং গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষক বিষয় হিসেবে প্রেমের ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়াও এর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে কিশোর কিশোরীদের রূপকথার গল্প ও নারীদের উপন্যাসসমূহে এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়র। এর মত জগদ্বিখ্যাত রচয়িতাদের সাহিত্যকর্মে।

রোমান্টিকতা (ইংরেজি ভাষায়: Romanticism) পশ্চিমা বিশ্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা বা আন্দোলনের নাম যা সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, সমালোচনা এবং ইতিহাস-লিখনের ক্ষেত্রে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিক থেকে শুরু হয়ে ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই আন্দোলন সক্রিয় ছিল। সাধারণ ক্লাসিসিজ্‌ম এবং নব্য-ক্লাসিসিজ্‌মের নিয়মানুবর্তিতা, সৌষ্ঠব, ভারসাম্য, আদর্শিকতা, স্থিরতা এবং যৌক্তিকতাকে বর্জনের মাধ্যমে রোমান্টিকতার উদ্ভব ঘটেছিল। এছাড়া একে আলোকপ্রাপ্তি এবং অষ্টাদশ শতকের যুক্তিবাদ ও ভৌত বস্তুবাদের সাধারণ প্রতিবাদ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। রোমান্টিকতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল যুক্তিহীনতা, কল্পনা, স্বতঃস্ফূর্ততা, আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং লৌকিকতা বহির্ভূত স্বজ্ঞা। রোমান্টিক সাহিত্যিকদের অনেকে সাদা খাতা সামনে রেখে মনে যা আসত তা-ই লিখে যেতেন। সাহিত্যের উৎস হিসেবে চেতন মনের তুলনায় অবচেতন মনকে প্রাধান্য দিতেন।
ফ্লার্টিং: হেনরি গারবোল্ট কর্তৃক অঙ্কিত পোষ্টার।
দ্য ফ্লার্টেশন ইউজিন ডি ব্লাস্ট কর্তৃক অঙ্কিত। দৈহিক ভাষা পর্যবেক্ষণ: পুরুষের ফ্লার্টিং।
শারীরিক ভাষা পর্যবেক্ষণ: হায়নেস কিং কর্তৃক অঙ্কিত জেলাসি অ্যান্ড ফ্লার্টেশন।
দৈহিক ভাষা পর্যবেক্ষণঃ পুরুষের ফ্লার্টিং - চোখের ইশারা। এদুয়ার মানে কর্তৃক অঙ্কিত।
ফ্লার্ট, ফ্লার্টিং বা প্রণয়চাতুর্য যার অর্থ হচ্ছে খেলাচ্ছলে প্রেমের ভান করা বা প্রেম প্রেম দুষ্টুমি । এটা হল এক ব্যক্তির প্রতি অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত অথবা দুজন ব্যক্তির মাঝে পারস্পারিকভাবে সঙ্ঘটিত একটি মানব আচরণ যাতে কোন ব্যক্তির প্রতি যৌন এবং প্রেমময় আগ্রহ প্রদর্শন করা হয়। আলাপ, দৈহিক ভাষা যেমন চোখের ইশারা অথবা সীমিত শারীরিক সংস্পর্শ এর অন্তর্গত। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে স্বীকৃত ফ্লার্টিং-এর মাত্রার বিভিন্নতা দেখা যায়।অধিকাংশ সংস্কৃতিতেই, প্রকাশ্যভাবে যৌন সুবিধার সুযোগ গ্রহণ করা সামাজিকভাবে অস্বীকৃত, কিন্তু পরোক্ষ বা ইঙ্গিতসূচক সুবিধা গ্রহণকে প্রায়শই গ্রহণযোগ্যরূপে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, কিছু লোক শুধুমাত্র নিছক আনন্দ নেবার জন্যই খেলাচ্ছলে ফ্লার্ট করে থাকেন।

ভালোবাসা নিয়ে আমরা অনেক সাহিত্য পড়েছি যেমন,লাইলী,মজনু,শিরীন,ফরহাদ এবং রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট যেটা হচ্ছে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত একটি বিয়োগান্তক নাটক, যা গড়ে উঠেছে দুজন প্রেমিক-প্রেমিকাকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু বিবাদমান দুই পরিবারকে একত্রিত করে। এটি শেকসপিয়রের জীবদ্দশায় সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পাঠকনন্দিত নাটক। একই সাথে হ্যামলেট এবং ম্যাকবেথও ছিলো পাঠক নন্দিত ও সমান জনপ্রিয়।

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী এবং চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারন তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ এবং কর্মের জন্য এই ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩শে এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ই নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০শে নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ই মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত। বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী এবং শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালোবাসা নিয়ে লেখা আপনার এই পোষ্ট অনেক ভালো লেগেছে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ওস্তাদ।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ভালোবাসা সম্পর্কে, সার্থক আপনার চিন্তা সাধন, ভালো লাগলো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম ভাই।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: ভালোই লিখেছেন। কিন্তু আপনি জানেন কি ১৪ ফেব্রুয়ারি - দেশের ইতিহাসে একট কলঙ্কিত দিন।
ভালবাসার উচ্ছাসে মেতে থাকা তরুণ তরুণীদের
ক’জনই বা জানেন সেই দিনের ঘটনা!
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারীতে একটু
ফিরে যেতে চাই। কি ঘটেছিল সেদিন?
এই লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পর এই খারাপ ইতিহাস জানলাম।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ গুরু ভাই।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন:

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর দৃশ্য।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অসধারন হয়েছে ভাই হাসু ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.