নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোয়া কুনুত সহ অতি প্রয়োজনী কয়েকটা দোয়া অর্থ সহ বাংলায় উচ্চারণ

০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৪


দোয়া কুনুত বাংলায় উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।

এই দোয়ার অর্থ হল:
হে আল্লাহ আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল, মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি অকৃতজ্ঞ হই না, হে আল্লাহ আমরা তোমারই দাসত্ব করি তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি, আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত, আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামাজ পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, আপনার শাস্তিকে ভয় পাই। নিঃসন্দেহে আপনার শাস্তি ভোগ করবে কাফির সম্প্রদায়।

আহমদ বিন হাম্বল, মুহাম্মাদ ইবনে ইসা আত-তিরমিজি এবং আবু দাউদের বর্ণনা থেকে জানা যায় হাসান ইবনে আলী রাঃ এই দোয়াটি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর কাছ থেকে শিখেছিলেন। দাউদ আরো বলেছেন যখন মুসলমানদের উপর কোন বিপদ অথবা বিপর্যয় আসতো তখন মুহাম্মদ (সঃ) দোয়া কুনুত পড়তেন।
অন্যদিকে রমজান মাসে বিতর নামাজে মাগরিবের ন্যায় দুরাকায়াত পড়ে তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে দাড়িয়ে তৃতীয় রাকায়াত পড়ে তারপর সালাম ফিরাবে। অনেকের মতে নবী (সাঃ) দ্বিতীয় রাকআতে বৈঠকে না বসে ও তাশাহুদ না পড়ে তিন রাকআত বিতর সালাত আদায় করতেন।তৃতীয় রাকআতে উঠে সূরা ফাতেহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়তে হবে। তারপর দোয়া কূনুত পাঠ করে রুকুতে যেতে হবে, আবার রুকুর পরেও দোয়া কূনুত পড়া যায়। এবং অন্যান্য নামাজের মতো শেষ করতে হবে।

নিশ্চয় আমাদের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে আসলে এই দোয়াতে কত ফজিলত, এবং এই দোয়ার মধ্যে রয়েছে আল্লাহ কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবেদন। অথচ এ দোয়াটি আমরা অনেক মানুষেই জানি না। তা-ই আসুন দোয়া কুনুত শিখার চেষ্টা করি।


দোয়া মাসুরা
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুল্মান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই; অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু।



আয়াতুল কুরসীর বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

‪এর অর্থ হলো‬: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তার। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

আর ‪‎ফজিলত হলো:
জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]
হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]

মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয়ে লিখেছেন।এসব বিষয়ে আমরা অধিকাংশ লোকই অজ্ঞ।আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো কি পরীক্ষার জন্য দরকার, সামনে কি কোন পরীক্ষা আসছে?

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সবাইকে হেদায়েত দান করুক।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



জান্নাতে প্রবেশ করতে কারো জন্য মৃত্যুই যদি বাধা হয়ে থাকে, তার উচিত সেই বাধা দুর করা; সঠিক সমাধান?

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সব বাধাই ঠেলে একদিন মৃত্যুর মহা শরবত পান করতে হবে ।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চাঁদগাজীর মন্তব্য দেখলে হাসি পায় আর মেজাজ গরম হয় । আল্লাহ হেদায়েত দিন তাকে

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার প্রিয় সূরা হলো সূরা ওয়াকিয়া।

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৩৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: একেক জনের কাছে একেক জিনিস প্রিয় গুরু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.