নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদ এবং সামূদ জাতির ধ্বংসের কিছু কথা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

ইসলামী মতে আদ জাতি হচ্ছে নূহের পুত্র সাম ইবনে নূহ'র উত্তরাধিকারী, যিনি উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে এসেছিলেন এবং আদিত্যদের পূর্বপুরুষ ছিলেন। আদ এবং সামূদ উভয় গোত্রই ইরামের দুইটি শাখা। আদ সম্প্রদায়ের ১৩টি পরিবার বা গোত্র ছিল। আম্মান থেকে শুরু করে হাযারামাউত এবং ইয়েমেন পর্যন্ত তাদের বসবাস ছিল। উল্লেখ্য যে নূহের প্লাবনের পরে এরাই সর্বপ্রথম মূর্তিপূজা শুরু করেছিল।
এখানে আদ, সামূদ এবং ফেরাউন তিনটি জাতির কথা উল্লেখ করা হয়। যাদের উপরে আল্লাহু তাআলার গজব নাযিল হয়েছিল। আদ এবং সামূদ জাতিদ্বয়ের বংশতালিকা উপরের দিকে ইরামে গিয়ে এক হয়ে যায়। তারা অত্যন্ত দীর্ঘকায় জাতি ছিল এবং অহংকারী ছিল। এই আদ জাতির দৈহিক গঠন ও শক্তি সাহসে অন্য সব জাতি থেকে স্বতস্ত্র ছিল। কোরআনে তাদের স্বাতস্ত্র্য অতন্ত্য পরিষ্কার ভাষায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলা হয়েছে এমন দীর্ঘকায় এবং শক্তিশালী জাতি ইতিপূর্বে পৃথিবীতে সৃজিত হয়নি। এতদসত্ত্বেও কোরআনে তাদের দেহের মাপ অনাবশ্যক বিবেচনা করে উল্লেখ করেনি। ইসরাঈলী রেওয়ায়েতসমূহে তাদের দৈহিক গঠন এবং শক্তি সস্পর্কে অদ্ভুত ধরনের কথাবার্তা বর্ণিত আছে। হযরত ইবনে আব্বাস এবং মুকাতিল থেকে তাদের উচ্চতা বার হাত তথা ১৮ ফুট বর্ণিত আছে। বলাবাহুল্য তারা ইসরাঈলী রেওয়ায়েত দৃষ্টেই একথা বলেছেন।

কোন কোন তফসীরবিদ বলেন ইরাম আদ তনয় শাদ্দাদ একটি বেহেশত নির্মাণ করে। এই অনুপম প্রাসাদটি বহু স্তম্ভের উপর দন্ডায়মান ছিল এবং স্বর্ণ-রৌপ্য ও মণিমুক্তা দ্বারা নির্মিত ছিল যাতে মানুষ পরকালের বেহেশতের পরিবর্তে এই বেহেশতকে পছন্দ করে নেয়।
কিন্তু এই বিরাট প্রাসাদটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর যখন শাদ্দাদ তার সভাসদ নিয়ে সেই বেহেশতে প্রবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করল তখন আল্লাহুর পক্ষ থেকে আযাব নাযিল হল। ফলে সাবাই ধ্বংস হয়ে গেল এবং কৃত্রিম বেহেশতও ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

ফেরাউনকে কীলকওয়ালা বলার বিভিন্ন কারণ তফসীরবিদগণ বর্ণনা করেছেন। অন্য এক তফসীরের বর্ণিত রয়েছে যে এই শব্দের মধ্যে তার জুলুম-নিপীড়ন এবং শাস্তির বর্ণনা রয়েছে। ফেরাউন যার প্রতি কুপিত হত, তার চার হাত-পায়ে কীলক মেরে রৌদ্রে শুইয়ে তার শরীরের উপর সাপ-বিচ্ছু ছেড়ে দিত। কোন কোন তফসীরবিদ এ প্রসঙ্গে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার ফলে ফেরাউন তাকে এই ধরনের শাস্তি দেয়ার দীর্ঘ কাহিনী বর্ণনা করেছেন।আদ, সামূদ এবং ফেরাউন গোত্রের অপকীর্তির ফলে আল্লাহু তাআলা তাদের উপর আযাব নাযিল করেছেন। আল্লাহ্‌ তা'আলা প্রতিটি লোকের প্রতিটি ক্রিয়া-কর্ম ও গতিবিধির উপর দৃষ্টি রাখছেন এবং সবাইকে তার প্রতিদান ও শাক্তি দেবেন।

আদ জাতির অমার্জনীয় পাপের ফলে প্রাথমিক গজব হিসাবে তিন বছর বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকে। তাদের শস্যক্ষেত সমূহ শুষ্ক বালুকাময় মরুভূমিতে পরিণত হয়। বাগ বাগিচা জ্বলে-পুড়ে যায়। এতেও তারা শিরক এবং মূর্তিপূজা ত্যাগ করেনি। কিন্তু অবশেষে তারা বাধ্য হয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে। তখন আসমানে সাদা, কালো এবং লাল মেঘ দেখা দেয় এবং গায়েবী আওয়াজ আসে যে, তোমরা কোনটি পছন্দ করো?" লোকেরা বলল কালো মেঘ। তখন কালো মেঘ এলো। লোকেরা তাকে স্বাগত জানিয়ে বলল, "এটি আমাদের বৃষ্টি দেবে"। জবাবে বলা হয়, বরং এটা সেই বস্তু, যা তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিলে। এটা বায়ু এতে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। তার পালনকর্তার আদেশে সে সব কিছুকে ধ্বংস করে দেবে। ফলে অবশেষে পরদিন ভোরে আল্লাহর চূড়ান্ত গজব নেমে আসে। সাত রাত্রি এবং আট দিন ব্যাপী অনবরত ঝড়-তুফান বইতে থাকে। মেঘের বিকট গর্জন ও বজ্রাঘাতে বাড়ী-ঘর সব ধ্বসে যায়, প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে গাছ-পালা সব উপড়ে যায়, মানুষ ও জীবজন্তু শূন্যে উত্থিত হয়ে সজোরে যমীনে পতিত হয়।

তিনিই প্রথম আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন, এবং সামুদকেও; অতঃপর কাউকে অব্যহতি দেননি।
সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব। আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক। এখন আগামীকল্যই তারা জানতে পারবে কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক। আমি তাদের পরীক্ষার জন্য এক উষ্ট্রী প্রেরণ করব,অতএব, তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ এবং সবর কর। এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানিরপালা নির্ধারিত হয়েছে এবং পালাক্রমে উপস্থিত হতে হবে। অতঃপর তারা তাদের সঙ্গীকে ডাকল। সে তাকে ধরল এবং বধ করল। অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী। আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত খোয়াড়ের ন্যায়।

ভুমিকাঃ
তাদের পূর্বে মিথ্যাবাদী বলেছে নূহের সম্প্রদায়, কুপবাসীরা এবং সামুদ সম্প্রদায়। সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। আদ ও সামুদ গোত্র মহাপ্রলয়কে মিথ্যা বলেছিল। অতঃপর সমুদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দ্বারা। সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনিব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে। এটি আল্লাহর উষ্টী তোমাদের জন্যে প্রমাণ। অতএব একে ছেড়ে দাও, আল্লাহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে। একে অসৎভাবে স্পর্শ করবে না। অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পাকড়াও করবে।


সালেহ(আ) কে সামুদ জাতি নিকট পাঠানো:
আর সামুদ জাতি প্রতি তাদের ভাই সালেহ কে প্রেরণ করি; তিনি বললেন, হে আমার জাতি। আল্লাহর বন্দেগী কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন উপাস্য নাই। তিনিই যমীন হতেতোমাদেরকে পয়দা করেছেন, তন্মধ্যে তোমাদেরকে বসতি দান করেছেন। অতএব; তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে চল আমার পালনকর্তা নিকটেই আছেন, কবুল করে থাকেন; সন্দেহ নেই। আমি সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ভাই সালেহকে এই মর্মে প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। অতঃপর তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে প্রবৃত্ত হল।


সালিহ(আ) কর্তৃক সত্যের প্রতি আহ্বানঃ
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না? আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন। তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে? উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ? শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানেরমধ্যে ? তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর। এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না; যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না;


সামুদ সম্প্রদায় কর্তৃক সত্যকে প্রত্যাখ্যানঃ
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন। তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর। তারা বলল-হে সালেহ, ইতিপূর্বে তোমার কাছে আমাদের বড় আশা ছিল। আমাদের বাপ-দাদা যা পূজা করত তুমি কি আমাদেরকে তার পূজা করতে নিষেধ কর? কিন্তু যার প্রতি তুমি আমাদের আহবান জানাচ্ছ আমাদের তাতে এমন সন্দেহ রয়েছে যে, মন মোটেই সায় দিচ্ছে না। সালেহ বললেন-হে আমার জাতি! তোমরা কি মনে কর, আমি যদি আমার পালনকর্তার পক্ষ হতে বুদ্ধি বিবেচনা লাভ করে থাকি আর তিনি যদি আমাকে নিজের তরফ হতে রহমত দান করে থাকেন, অতঃপর আমি যদি তাঁর অবাধ্য হই তবে তার থেকে কে আমায় রক্ষা করবে? তোমরা তো আমার ক্ষতি ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি করতে পরবে না ছালেহ তাদের কাছ থেকে প্রস্থান করলো এবং বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, আমি তোমাদের কাছে স্বীয় প্রতিপালকের পয়গাম পৌছিয়েছি এবং তোমাদের মঙ্গল কামনা করেছি কিন্তু তোমরা মঙ্গলকাঙ্খীদেরকে ভালবাস না। (7:79)


কাফিরদের দ্রুত অকল্যাণ কামনাঃ
সালেহ বললেন, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা কল্যাণের পূর্বে দ্রুত অকল্যাণ কামনা করছ কেন? তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না কেন? সম্ভবতঃ তোমরা দয়াপ্রাপ্ত হবে। তারা বলল, তোমাকে এবং তোমার সাথে যারা আছে, তাদেরকে আমরা অকল্যাণের প্রতীক মনে করি। সালেহ বললেন, তোমাদের মঙ্গলামঙ্গল আল্লাহর কাছে; বরং তোমরা এমন সম্প্রদায়, যাদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।


ঈমানদারকে কাফিরগণ দ্বারা তাচ্ছিল্যকরণ:
তোমরা স্মরণ কর, যখন তোমাদেরকে আদ জাতির পরে সর্দার করেছেন; তোমাদেরকে পৃথিবীতে ঠিকানা দিয়েছেন। তোমরা নরম মাটিতে অট্টালিকা নির্মান কর এবং পর্বত গাত্র খনন করে প্রকোষ্ঠ নির্মাণ কর। অতএব আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক সর্দাররা ঈমানদার দারিদ্রদেরকে জিজ্ঞেস করলঃ তোমরা কি বিশ্বাস কর যে সালেহ কে তার পালনকর্তা প্রেরণ করেছেন; তারা বলল আমরা তো তার আনীত বিষয়ের প্রতি বিশ্বাসী। দাম্ভিকরা বললঃ তোমরা যে বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আমরা তাতে অস্বীকৃত।


এক ব্যাক্তির হঠকারিতা ও চক্রান্তঃ
আর সেই শহরে ছিল এমন একজন ব্যক্তি, যারা দেশময় অনর্থ সৃষ্টি করে বেড়াত এবং সংশোধন করত না। তারা বলল, তোমরা পরস্পরে আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ কর যে,আমরা রাত্রিকালে তাকে ও তার পরিবারবর্গকে হত্যা করব। অতঃপর তার দাবীদারকে বলে দেব যে, তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। আমরা নিশ্চয়ই সত্যবাদী। সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল। যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।


পরীক্ষাঃ
পূর্ববর্তীগণ কতৃক 2453; নিদর্শন অস্বীকার করার ফলেই আমাকে নিদর্শনাবলী প্রেরণ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। আমি তাদেরকে বোঝাবার জন্যে সামুদকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম। অতঃপর তারা তার প্রতি জুলুম করেছিল। আমি ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশেই নিদর্শন প্রেরণ করি। অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক। আর হে আমার জাতি! আল্লাহর এ উষ্ট্রীটি তোমাদের জন্য নিদর্শন, অতএব তাকে আল্লাহর যমীনে বিচরণ করে খেতে দাও, এবং তাকে মন্দভাবে স্পর্শও করবে না। নতুবা অতি সত্বর তোমাদেরকে আযাব পাকড়াও করবে। সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের। তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে। তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল। তবু তারা উহার পা কেটে দিল। তখন সালেহ বললেন-তোমরা নিজেদের গৃহে তিনটি দিন উপভোগ করে নাও। ইহা এমন ওয়াদা যা মিথ্যা হবেনা। অতঃপর তারা উষ্ট্রীকে হত্যা করল এবং স্বীয় প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। তারা বললঃ হে ছালেহ, নিয়ে এস যদ্দ্বারা আমাদেরকে ভয় দেখাতে, যদি তুমি রসূল হয়ে থাক।



গযবের বিবরণ:
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। অতঃপর পাকড়াও করল তাদেরকে ভূমিকম্প। ফলে সকাল বেলায় নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে রইল। অতঃপর আমার আযাব যখন উপস্থিত হল, তখন আমি সালেহকে ও তদীয় সঙ্গী ঈমানদারগণকে নিজ রহমতে উদ্ধার করি, এবং সেদিনকার অপমান হতে রক্ষা করি। নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা তিনি সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী। আর ভয়ঙ্কর গর্জন পাপিষ্ঠদের পাকড়াও করল, ফলে ভোর হতে না হতেই তারা নিজ নিজ গৃহসমূহে উপুর হয়ে পড়ে রইল। যেন তাঁরা কোনদিনই সেখানে ছিল না। জেনে রাখ, নিশ্চয় সামুদ জাতি তাদের পালনকর্তার প্রতি অস্বীকার করেছিল। আরো শুনে রাখ, সামুদ জাতির জন্য অভিশাপ রয়েছে। তারা এক চক্রান্ত করেছিল এবং আমিও এক চক্রান্ত করেছিলাম। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি। অতএব, দেখ তাদের চক্রান্তের পরিনাম, আমি অবশ্রই তাদেরকে এবং তাদের সম্প্রদায়কে নাস্তনাবুদ করে দিয়েছি।এই তো তাদের বাড়ীঘর-তাদের অবিশ্বাসের কারণে জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। নিশ্চয় এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন আছে। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং পরহেযগার ছিল, তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছি। আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।


উপসংহারঃ
আপনি তাদের কোন অস্তিত্ব দেখতে পান কি? এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন। আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূহ আঃ নিয়ে হলিউডে মুভি আছে। খুব সম্ভব ছবির নাম “নোয়াহ”।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জী ।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো আরব অন্চলের রূপকথা, যুগ যুগ চলে আসছিলো।

ফেরাউন কি একজন রাজা? নাকি অনেক রাজাদের উপাধি?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হুম।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমার মনে হয় ফেরাউন কোনও বংশ বা গোত্রের উপাধি।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দরভাবে ঘটনাগুলি বর্ণনা করেছেন। আদ ও সামুদ জাতির উপর গজবের কথা কোরআনে আছে যা আপনি উল্লেখ করেছেন। অনেক বইয়ে কোরআন আর সহিহ হাদিসের বাইরে অনেক বর্ণনা আছে যেগুলির সত্যতা নিশ্চিত করা যায় না। এই জাতি দুটির উপর আজাব থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই পুরনো কিচ্ছা কত আর বলবেন। নতুন প্রজন্ম এইসব আর শুনতে চায় না।আর এইগুলো কোন ভাল কথাও না।ছেলে মেয়েদের সাথে এই গল্প করতে পারবেন, নাকি করা উচিত।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হুম।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব রূপকথা শুনে আমাদের বিনোদন বাড়বে, হয়তো; করোনা, অর্থনীতি, মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা বলুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমার কোনো অভিজ্ঞতা নাই।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এসব আমার কাছে রুপ কথা বলে মনে হয়। এবং যথেষ্ঠ হাস্যকর লাগে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বেশি বেশি করে হাসেন।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১

মেরুভাল্লুক বলেছেন: এই ধরনের আযাব যদি আবার আসে তাহলে মাদ্রাসায় ময়লানাদের গনহারে লূতী চর্চা করার জন্যই আসবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: :||

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তথ্যসূত্র ইন্টারনেট" - শুধু এটুকুই বোধকরি যথেষ্ট নয়। সূত্রের লিঙ্ক দিলে ভালো হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.