নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকেই জ্বালাতে হবে আশার রবি, সোনালি প্রভাতের রাঙ্গা ছবি, তোমাকেই আঁকতে হবে......
সারা জীবন খালি দলিল-আদিল্লাহর বহস আর তর্ক-বিতর্ক, মুনাযারা করেই যাবেন নাকি স্থায়ী কোনো সমাধানের পথ ধরবেন? স্থায়ী সমাধান ছাড়া মুসলিমদের মধ্যে কেবল ঘৃণা-বিদ্বেষ, পরস্পর দূরত্বই তৈরি হবে, বৃহৎ ও জাতীয় স্বার্থে ঐক্য হবে না। সত্য কথা বলতে এইসব সাময়িক ঝগড়া ঝাটি, মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে কোপাকুপি-মারামারি-কাটাকাটি-গ্রুপিং দেখতে দেখতে আর ভাল্লাগে না। সারাক্ষণ শুধু এই ধরণের আলাপ। এই পৃথিবীতে মুসলিমরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াবে কীভাবে, সেই আলাপ দেখা যায় না।
বন্দুকের নলের সামনেও আমরা চুলাচুলি করি! সারা দুনিয়ায় এমনকি খোদ বাংলাদেশেও মুসলমানরা বিভিন্নভাবে যুলুমের শিকার, প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছে আর আমরা আগুনের মাঝখানে বসে মুনাযারা করছি! এখন দরকার বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদের বৃহৎ ঐক্য। মুসলিমদের উপর পশ্চিমা ও জায়নবাদীদের মোড়লগিরি এবং ওয়ার অন টেরর নামে মুসলিম কোপানির বিরুদ্ধে পরমতসহিষ্ণু বৃহৎ শক্তি গড়ে তোলা। যেটা ফিলিস্তিনিরা পেরেছে!
এই কাজের সাধারণ দুইটা তরিকা বাতলে দেই,
এক.
নিজেদের বৃহৎ স্বার্থে পরমতসহিষ্ণু হয়ে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া উচিত। এটা হবে রাজনৈতিক ঐক্য।
এই ঐক্য শুধু মুসলমান-মুসলমানে না, যারা মানুষের হিতাকাঙ্খী, বন্ধুবর লিবারেল মানবতাবাদী তাদেরকেও সাথে নিতে হবে।
দুই.
দুনিয়ার তাবৎ ফিরকাবাজি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে, সুতরাং রাষ্ট্রের বাগডোর হাতে নিন, সহজেই সমাধা হয়ে যাবে, নতুবা আজীবন কিলাকিলি আর চুলাচুলিতে ব্যস্ত থেকে পশ্চিমাদের গোলামি করেই যেতে হবে। আর তারাও চায় আমরা দুনিয়ার সব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এসবে লিপ্ত থাকি, ওরা দুনিয়ার নেতৃত্ব দিক।
23 শে মে, 2018 ঈ.
©somewhere in net ltd.