নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক হওয়ার ক্ষুদ্র ইচ্ছা মাঝে মাঝেই মনের ভিতর সুড়সুড়ি দেয়। তাই মাঝে মাঝে লিখতে চেষ্টা করি। তবে সামুতে লেখা বা মন্তব্য করায় বড়ই অনিয়মিত। তবে নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। পেশায় আমি একজন ছাত্র। দেশের কোন একটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মধ্যে আছি।

আপেক্ষিক মানুষ

খারাপ মানুষ দেখেছ? কই আমিতো দেখতে পাই না। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে খারাপ বলে কিছু নেই, সবই আপেক্ষিক।

আপেক্ষিক মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের জীবন ও স্বপ্ন

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

একটি স্বপ্ন বা ইচ্ছা বা চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে গিয়ে যদি কেউ তার অন্যসব স্বপ্ন গুলো হতে বহু কিলোমিটার দুরে সরে যায় তাহলে মনে হয় ওই লোকটিকেই মধ্যবিত্ত বলে। কতইনা বৈচিত্র্যময় কৌশল সমাজে নিজের অভাব, কষ্ট, দৈন্যতাকে নতুন একটা চাদরে ঢেকে রাখার। অবশ্য চাদরটিকে মোটেই নতুন বলা যায় না, কারন হয়ত কোন কালে কে তাকে উপহার দিয়েছিল বা সে নিজেই কিনেছিল তা কে জানে। সে ওই চাদরটিকে কোন সিন্ধুকের ভিতর রাখে আর বাইরে হাওয়া লাগাতে বের হলে তবেই সেই হাজার বছরের পুরনো কিন্তু নতুন চাদরটি বের হয়।
আসলে সমাজে প্রচলিত কিছু বাক্য হলো কষ্ট দুর করার জন্য সকলের সাথে মেশো বা গল্প কর। কিন্তু মধ্যবিত্তের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কিন্তু ঠিক উল্টো। আর সেটি হল একা থাকা আর নিজেকে কিছু সময় দেওয়া। সে যখন সকলের সাথে থাকে তখন সে তার দৈন্যতাকে পাথর চাপা দিয়ে হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলে। কিন্তু ওই দৈন্যতাকে ঢেকে রাখতে গিয়ে তার বুকটা যে ফেটে যায় সেটা কেউ দেখে না। তাই সে যখন একা থাকে তখন হয়ত তার ওই আটকে রাখা দৈন্যতা শিকল মুক্ত হয়, সেটিকে আর পাথর চাপা দিয়ে রাখতে হয় না। অভিনয়টা তো অন্তত করতে হয় না।
হয়ত কখনো সে কনো ব্রিজের উপর দাতিয়ে থাকে আর নদি দেখে, তখন হয়ত তার মুখে এক্টা ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। তার জীবনের সাথে স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ মা, অন্ধ বাবাটাকে টেনে হিঁচড়ে আগামীর দিকে নিয়ে যেতে যেতে এখন সে ক্লান্ত। হয়ত হঠাত তার ঠোটের এক কোনায় ফিক করে একটু হাসির রশ্মি দেখা যায়। তার মনে পরে তার ছেলে এসে তাকে বলেছিল আব্বু আমি A+ পেয়েছি। তার মুখে এক্টু তৃপ্তির শিখা দেখা দেয়। আবার যখন তার ছেলে বলে আব্বু আমি ঢাকাই ভাল কলেজে পড়তে চাই তখন তার মুখে অভিনয়ের হাসি দেখা যায় কিন্তু তার মনে কাল মেঘ ঘনিয়ে আসে, ছোটখাটো বজ্রপাতের শব্দও কানে আসে। আবার মনে পরে যখন তার ছেলে তার সামনে এসেছিল তখন সে দেখেছিল ছেলে শার্টের পকেট ছেড়া। তখন সে এক্টা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে এক সময় সন্ধ্যা নেমে আসে। সে তার খুলে যাওয়া চাদরে আচলটা বাম কাধে ছুড়ে দিয়ে বাড়ির পথে কুয়াশার ভিতর অদৃশ্য হয়ে যায়।
এটাই আসলে মধ্যবিত্তের জীবন এবং পরিবার, যেখানে আছে হাসি কান্না আছে অভিমান আছে আড্ডাবাজি, শাসন আর আছে দৈন্যতাকে ঢেকে রাখার চোখ ধাধানো সব কৌশল। এই মানুষ গুলোই আসলে জীবনের প্রকৃত স্বাদ বুঝতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে যাদের আমরা মধ্যবিত্ত মনে করি, ওরা আসলে গরীব; আমরা নিজকে ঠুনকো মান দেয়ার জন্য নিজকে মধ্যবিত্ত ভাবি; নিজকে সঠিক জায়গায় ভাবতে পারলে আমাদের চেস্টার প্যাটার্ণ আরো ভালো হতো।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

তাসলিমা কাজি বলেছেন: অপু না তুমি? :-o

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আপনার কথা আমার বোধগম্য হল না!

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৫

সাইফুল ইসলাম মাহিন বলেছেন: প্রথম আর শেষ দুটো লাইনই খুব খাটি ....

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজের মধ্যবিত্ত।
মধ্যবিত্তদের দুঃখ কষ্ট গুলো আমার চেয়ে ভালো আর কে জানে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.