![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*************ফ্যান্টসী কিংডম ভ্রমন কল্প*****************
এস এম নাজমুস সাকিব
রচনাকালঃ মার্চ ২০১৪
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
গত বছর নন্দন পারক. গিয়েছিলাম। বেশ মজা হয়েছে সে সময়। ছাত্র ছাত্রীরা ও তাদের অবিভাবকবৃন্দ সহ আমরা শিক্ষকগন বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছি।তাইতো এবার আমাদের কোচিং এর ব্যবস্থাপক পরিচালক ফিরোজ আহমেদ রুবেল স্যার বেশ উদ্দিগ্ন ছিলেন। কেননা গতবারের চেয়ে যেন কোন অংশে আনন্দের মাত্রার কমতি না ঘটে। তাইতো তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে,পার্কে বিশেষ করে পিকনিকস্পটে ঘুরে দেখে অবশেষে ফ্যান্টাসী কিংডমকে নিরবাচন করার জন্য আমাদের মতামত চান। আমরাও ভেবে চিন্তে ফ্যান্টান্সীকে নির্বাচন করি অবশেষে সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২৬সে ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ৮টায় গুলশান নতুন বাজার অ্যামেরিকা এ্যাম্বাসির সামনে, ফ্যান্টান্সীর উদ্দেশ্যে একত্রিত হই। রুবেল স্যারের নিখুত দায়িত্ত বন্টনের প্রেক্ষাপটে আমাদের যাত্রা শুরু হয় জটিলতা বিবর্জিত। ভ্রমনের জন্য চাই আরামদায়ক পরিবেশ, চাই জটিলতামুক্ত অবস্থা, আমাদের সু- ব্যাবথা, সু-পরিবেশের কোন কমতি ছিলনা। কেননা আমরা ভাড়া করেছি বি আর টি সি দোতলা ঝকঝকে নতুন বাস।
বিনোদনের জনে চাই সাউন্ড সিস্টেম সেটার ও অ্যারেঞ্জ করেছি। বাচ্চাকাচ্চা ও মহিলাদের ভ্রমন
গত অসুবিধা এড়াতে ট্যাবলেট, পলিথিনের ব্যাবস্থা রেখেছি। তাছাড়া সকালের নাস্তা হিসাবে বাটার ব্রেড, এগ , ব্যানানা , মিনারেল ওয়াটার। নির্ধারিত সময়ে সাউন্ড সিস্টেম না আসায় আমাকে বাধ্য হয়ে দোকানে যেতে হলো। দোকানে যেয়ে সাউন্ড বক্সসহসাউন্ড সিস্টেম নিয়ে আসি, সাথে নিয়ে আসি অভিজ্ঞ সিস্টেমারকে।সিস্টেমার এসে সাউন্ডবক্স চেক করার জন্য
বক্সের প্রয়োজনিয় ক্যাবল কানেক্ট দিয়ে পুরোনো দিনেরগান বাজাল।এরপর রুবেল স্যারের নির্দেশেবাসে যাত্রি সংখ্যা কাউন্টকরে ৮.৪৫ মিনিটে ফ্যান্টসীরউদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু
করি।যাত্রা শুরুর সাথে সাথে স্পিকারে বেজে ওঠে হিট song। সুরের মূর্ছনায় ছাত্র-ছাত্রিরা আনন্দে উদ্বেলিত, dj song বাজলে তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও প্রকাশ করতে কোন কার্পণ্য করেনি মোটেই। আমরা ক’জন শিক্ষক দোতলায় ছিলাম। কারণ ছাত্র-ছাত্রিদের বসার ব্যবস্থা করেছি দোতলাতেই।আর অবিভাবকবৃন্দদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে নীচ তলাতে। অবিভাবকদের
আলাদা করা হয়েছে সঙ্গত কারনেই। ছাত্রছাত্রীদের আবেগ অনুভূতি আনন্দের মাত্রা কারো দ্বারা খর্ব হোক তা আমরা চাইনি কোন মতেই। তাইতো গানের ওয়েলকাম টোনের সাথে সাথে চিৎকার উল্লাসে আনন্দের হিল্লোল ছাত্রছাত্রীরা চারিদিকে ছড়িয়ে দিলে তা সবাই ভাগাভাগি করে নিই। বাঁধ সাধিনি তাদের উত্তেজনায়। এদিকে গাড়ি বারিধারা পার হয়ে কুড়িল ফ্লাইওভারে উঠে স্নাক ওয়্যাকের মতো সাঁ সাঁ করে এগিয়ে যাচ্ছে। ফ্লাইওভারের প্রতিটি বাঁকে আমাদের বাকাচ্ছে।
চারিদিকে প্রকৃতি বেশ স্বাভাবিক। শহরের ব্যস্ততা কেবল জমে উঠেছে। রাতান্তে ব্যস্ততায় মানুষ
রাস্তায় নেমে আসে গাড়ির চাপে মানুষের পদচারনায় ভিড়ে ঢাকা রুপ নেয় তার স্বরূপে আজও তেমনি । এ বাস্তাতার ছাপ প্রতিভাত হয় সকাল থেকে রাত অবধি। কুড়িল থেকে খিলখেত পার
হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসতে রাস্তার দুধারে সাজানো গাছপালা, পরিবেশ বেশ গোছালো সবুজে সমারোহ আমাদের ভ্রমন উল্লাসের চেত্র মিলিয়ে এক দারুন কম্বিনেশন। dj song এর তালে তালে স্মুথ ড্যান্সের কম্বিনেশনে দৃষ্টি নন্দন যাত্রা আমাদের। গান কালেকশন ছিল পর্যাপ্ত। গান কালেকশনের দায়িত্ত আমার উপরে থাকলেও আমি আবার ভায়া ভাবে আমার বন্ধু মাহবুবের উপর দায়েত্ত অর্পিত করি। মাহবুবের গান কালেকশনের আধুনিক রুচিবোধ ভালোবলেই গান কালেকশনের দিকটা ওর উপরে ছেরে দিয়েছি। এজন্যইতো একের পর এক গান চলছে এর
সাথে সাথে বাড়ছে উত্তেজনাও। এ উত্তেজনার মাত্রা আরো চাঙ্গা করতে ফারুক স্যার গানের মাঝে মাউথ স্পিস দিয়ে ইংলিশ ভোকাল দিতে থাকেন। ফারুক স্যারের এ ভোকালের দরুন এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। এ নতুন মাত্রা আরো চাঙ্গা করতে নাহিদ স্যারও ভোকাল দেয়ার সতস্ফুরতোতা অনুভব করেছেন তার সাথে বাদ যায়নি song কালেক্টর মাহবুবও। আজমপুর, উত্তরা , আব্দুল্লাপুর পার হয়ে ১০.৪৫ মিনিটে আশুলিয়ার জামগড়া আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত পার্কে গাড়ি পার্ক করি। গাড়ি পার্ক হতেই ছাত্র ছাত্রিরা নামার জন্য ব্যাকুল। মাঝ পথেই আমরা সকালের নাস্তা সারভ করি। সকালের নাস্তা খেয়ে সবাই পরিতৃপ্ত। একেকজন একেক দায়িত্ত নেয়ায় খাদ্য সারভ করতে কোন সমস্যার সন্মূখিন হতে হয়নি। এদিকে ছাত্র ছাত্রিদের পাতা ঝড়ার মতো প্রশ্ন আমাদের দিকে ঝরে পড়ছে। আমাদের নামতে দেয়া হবে কখন, কেন দেরি হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদের বললাম রুবেল স্যার টিকিটের ব্যবস্থা করতে গেছে স্যার আসলেই আমরা বাস থেকে সরাসরি গেটে চলে যাব। মিনিট সাতেক পরে রুবেল স্যার আসলে বাস থেকে নামিয়ে একেক স্যারের দিয়েত্তে গেটে নিয়ে আসি। গেটে এসে সবাইকে নামিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এরপর প্রত্যেকে ব্যাচ ও টিকেট দিয়ে দেয়া হলে ফ্যান্টাসি কিংডমের কর্তব্যরত গেট ম্যান ব্যাচ পেস্ট আপ করে দেয়। তারপর যথারিতি একে একে স্কুলের প্যারোড শেষে ক্লাসে প্রবেশ করার মতো আমরা প্রবেশ করি। ভিতরে প্রবেশ করতেই ছাত্র- ছাত্রিদের চোখ মুখে আনন্দেরস্পস্ট ছাপ লক্ষ করেছি। হবেই না কেন? যার সম্পর্কে পক্ষকাল ব্যাপী আলোচনা, কোন
রাইডে কেমন উত্তেজনা অনুভূতি লাগবে সেই কাল্পনিক বার্তা বাস্তবে উপলব্ধি করবে শান্তির পরশ হৃদয় ছুয়ে গেল যেন হু হু করে আনন্দের হিল্লোল আমাদের প্রতিটি অঙ্গে লেপ্টে দিচ্ছে অনবরত। ফ্যান্টসির আবহাওয়া হেন আমাদের সুস্বাগত যানাচ্ছে। কেননা আমরা এখানকার
একদিনের অতিথি স্বাগতম আমাদের প্রাপ্য অধিকার। সবাইকে একত্রিত করে ভিতরে হেড এ ফটোসেশন করা হলো তার পর চারিদিকে চোক বুলিয়ে চলে আসলাম প্যান্ডেল
সদৃশ্য আমাদের নির্ধারিত জোনে। যা ফ্যান্টসির কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রাখা আমাদের জন্য নির্ধারিত জোন। অল্প সময়ের মধ্যে সবাই প্যান্ডেল এ আসলে রুবেল স্যারের নেতৃত্তে একেক স্যারের
অধিনে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে দেয়া হলো- ফলোশ্রুতিতে আমার ও একটি গ্রুপ পরল। আমার গ্রুপে সাবিত, তৌকির ,ইস্তেয়াক, শান্ত, পলাশ, রেদুয়ান সহ আমার ফ্রেন্ড মাহবুব।https://www.facebook.com/RoginSutarGhuri/photos/pcb.865085900223543/865085863556880/?type=1
চলবে…………………..
©somewhere in net ltd.