নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই। আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। দেশকে ভালোবাসি। তাই দেশের মাটি ও মানুষকে নিয়ে লিখতে ভালোবাসি। দেশের মানুষকে নিয়ে কাজ করতে তৈরী করেছি আমার বাংলা পোস্ট! www.amarbanglapost.com এই সামাজিক ব্লগটিকে। আমি নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ

আমার বাংলা পোষ্ট

সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে পছন্দ করি।

আমার বাংলা পোষ্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে এখন ধর্ষণের মহা উৎসব চলতেছে।

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

দেশে আমাদের মা-বোনেরা যেভাবে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ভারতের মতো আমাদের দেশেও ধর্ষণের মহা উৎসব শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে নারী। বিশেষ করে গত কিছু দিন যাবত তা বেপক আকারে ধারণ করেছে। পেছনের কারণ কি? কারণ একটাই এই সব অপরাধীদের বিচার না হওয়া। কে করবে তাদের বিচার? প্রশাসন করবে? নাকী আদালত করবে? যে প্রশাসন এদের বিচার করবে, সে প্রশাসনের একজন কিছুদিন আগে বললেন, বর্ষবরণের যৌন হয়রানী না কি কিছু লোকের দুষ্টামি ছিল। এই প্রশাসন এদের বিচার তো করলোই না বরং অপরাধীদেরকে দুষ্ট আখ্যায়িত করেছেন। দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, আদালত তাদের বিচার করবে? প্রশাসন যদি অপরাধীদের কে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলেও আদালত অপরাধীদের বিচার করবে না। কেননা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। অতি দয়ালু আদালত ধর্ষকদের প্রতি দয়া করতে গিয়ে মৃত্যুদন্ড বাতিল করে দিয়েছেন। একজন নারীর অমূল্য সম্পদ হল তা সতীত্ব। যা একবার হারিয়ে গেল কোটি টাকার বিনিময়েও তা ফিরিয়ে পাওয়া সম্ভব নয়। এই আদালতের কাছে ধর্ষকের প্রাণের মূল্য আছে কিন্তু নারীর ইজ্জত হারানোর মূল্য নাই। তাই তো আজ ধর্ষকরা উল্লাসিত। আদালত ও প্রশাসনের দয়ায় ধর্ষকরা ধর্ষণ করার জন্য অনুপ্রাণীত। আমি সব চেয়ে বেশি অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে, আমাদের দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে বসে আছেন একজন নারী। এবং এখানেও শেষ নয়, তিনি আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনের অধিকারী হয়ে নারীদের জন্য কি করতেছেন? তিনি একজন নারী হয়েও নারীদের জীবনের ও ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে পারতেছেন না। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে একটি হুঙ্কারও পর্যন্ত দিলেন না। তিনি কথায় কথায় নারীর ক্ষমতায়ণের কথা বলেন। অথচ নিজেই সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে বসে আছে। যে নারী দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনের অধিকারী হয়েও নারীদের জীবনের ও ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে পারেন না। বাংলার নারীদের জন্য এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? অথচ তিনি যদি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে একটি হুঙ্কার দেন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন যে, অপরাধী যেই হোক, তাদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়েও আসো। তাহলে কি অপরাধীদের রক্ষা আছে? কিন্তু তিনি তা করবেন না। কেননা, এর অধিকাংশ অপরাধীই তার দলীয় লোকজন। তিনি কি এই নির্দেশ দিবেন নিজের দলীয় লোকদের কে জেলে পঁচিয়ে মারতে? এজন্যই আদালত ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যদন্ড বাতিল করার পরও তিনি এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিবাদ করেন নি দেশের নারীবাদীরাও। ধর্ষকদের ভাগ্য ভালো যে, আমি প্রধান মন্ত্রী হই নাই। আমি যদি প্রধান মন্ত্রী হতাম তাহলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতাম ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে হাতে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য করার প্রয়োজন যে, নারী ধর্ষণের পিছনে চলচিত্রও দ্বায়ী। কেননা চলচিত্র শিক্ষাও দেওয়া হয়, চার পাঁচ জন মিলে কিভাবে একজন নারীকে ধর্ষণ করতে হয়। কিভাবে কৌশলে নারী দেহ ভোগ করতে হয়। চলচিত্রে ধর্ষকদের হাত থেকে নায়িকা রক্ষা করার জন্য নায়ক রেডি থাকলেও বাস্তবে থাকে না। যার কারণে ধর্ষকরা ভালো করেই জানে যে, আমরা যদি বাস্তবে কয়েকজন মিলে একটি নারীকে ধর্ষণ করলেও পিছন থেকে এসে আমাদের কে প্যাঁদানি দেওয়ার কেউ নাই। অতএব, গণধর্ষণ চালিয়ে যাও..............। দুনিয়ার সরকার তোমাদের অপকর্মের বিচার না করলেও শেষ বিচার দিবসের মালিক তোমাদের বিচার করবেন। সৈয়দ রুবেল-আমার বাংলা পোস্ট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.