![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ আছেন কেননা আমি আছি, বৃক্ষপত্র আছে, প্রাণী আছে এবং সকল চৈতন্য আছে। সকল অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু তিনি, সকল বিশ্বাসের অন্তঃসার তিনি, সকল আরম্ভের আরম্ভ তিনি । আমি আমার সকল চেতনা দিয়ে, সকল অতীত দিয়ে সকল ইচ্ছা দিয়ে, প্রতিমুহূর্তে তাঁকে অনুভব করি।
আদিকাল থেকে মুসলিম সমাজে চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো, মামাতো অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে প্রথা বিদ্বমান। এ সম্বন্ধে কোরানে সহজ সরল ফয়সালা থাকা সত্বেও অজ্ঞাত কারনে সেটি বিতর্কিত করে এই প্রথা বহুল প্রচলিত আছে। প্রধান আয়াতটি বিস্তারিত ও সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলি সংক্ষেপ বর্ণিত হলো:
পবিত্র কুরআনের সূরা আহজাব(৩৩) এর ৫০-৫২নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-
হে নবী! আমি আপনার জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীগণকে, যাদের আপনি মহর প্রদান করেছেন এবং বৈধ করেছি ফায় হিসাবে আল্লাহ আপনাকে যা দান করেছেন তন্মধ্যে যারা আপনার মালিকানাধীন হয়েছে তাদের, এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা আপনার সঙ্গে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মুমিন নারী নবীর নিকট নিজকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। ইহা বিশেষ করে আপনারই জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়। যাতে আপনার কোন অসুবিধা না হয়। মুমিনদের স্ত্রী এবং তাদের মালিকানাধীন দাসীগণ সম্বন্ধে যা নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে বা কাছে রাখুন, তাতে কোন দোষ নেই--। ইহার পর অন্য কোন নারী আপনার জন্য হালাল নয়; আপনার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও হালাল নয়--।
আয়াতে বর্ণিত ধারাগুলি একমাত্র নবীর জন্য; নবীকে ডেকেই তার জন্য কোন্ কোন্ নারীগণ বিয়ের জন্য বৈধ-অবৈধ তা একে একে বর্ণিত হয়েছে, তারপরও বলা হয়েছে যে, ওগুলি মোমেনদের জন্য নয়; ‘নয়’ মানেই নিষিদ্ধ অর্থাৎ হারাম। প্রধান ধারাগুলি পাঠকদের সহজবোধ্য এবং প্রচলিত ধারণা সংশোধনের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী সাজানো হলো:
১. হে নবী! বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীদের, যাদের মোহর আপনি প্রদান করেছেন।
২. (হে নবী!) বৈধ করেছি ফায় হিসাবে আল্লাহ আপনাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য থেকে যারা আপনার মালিকানাধীন হয়েছে তাদের।
৩. (হে নবী!) বিয়ের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাদের, মামার কন্যা ও খালার কন্যাদের, যারা আপনার সঙ্গে দেশ ত্যাগ করেছে।
৪. (হে নবী!) কোন মুমিন নারী নবীর নিকট নিজকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে তা’ও নবীর জন্য বৈধ।
অর্থাৎ উল্লিখিত ১ থেকে ৪নং বিধি-বিধানগুলি একমাত্র নবীর জন্য হালাল এবং সাধারণের জন্য নয়।
‘নয়’ মানেই নিষিদ্ধ অর্থাৎ হারাম।
পক্ষান্তরে কথিত হয়, একমাত্র ‘ঘ’ নং ধারাটি বিশেষ সুযোগ হিসাবে নবীর জন্য নির্দিষ্ট যা অন্য মোমেনদের জন্য নহে। বাকি তিনটি ধারা মোমেনদের জন্য বৈধ! ধারণাটি হালাল কি হারাম তা’ নিম্নের আলোচনায় পাঠকগণ নিশ্চিৎ হতে পারেন:
ক. ১ নং ধারা সাধারণ মোমেনদের জন্য রাসুল (সাঃ)’র বিবাহিতা স্ত্রীগণ কি করে বৈধ হতে পারে! সেখানে বলেছে, রাসুল (সাঃ)’র মোহর প্রদত্ত্ব বিবাহিত স্ত্রীগণ একমাত্র রাসুল (সাঃ)’র জন্যই বৈধ। রাসুল (সাঃ) তালাক দিলেও অন্য কেউ তাদের বিয়ে করতে পারবে না। ইহা অন্য আয়াতেও ঘোষিত আছে যে, “নবী পত্নীগণ এমনকি নবীর মৃত্যুর পরেও অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে না।” [দ্র: ৩৩: আহজাব-৫৩]। অতএব ধারাটি সাধারণের জন্য যে নির্ঘাৎ হারাম তা নিঃসন্দেহ।
খ. ২ নং আয়াতে বলেছে যে, যুদ্ধে বন্দিনী নারীদের মধ্যে রাসুল (সাঃ)’র অধীনে আশ্রিতা অর্থাৎ ফায় হিসাবে যারা ছিল তাদের মধ্য থেকে রাসুল (সাঃ) স্ত্রী হিসাবে যাদের গ্রহণ করেছেন/করেন, তারাও ‘ক’ নং ধারা মোতাবেক সাধারণের জন্য চিরতরে হারাম।
গ. ৩ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, নিকট বোনদের মধ্যে যারা রাসুল (সাঃ)’র কারণে বা সঙ্গে দেশ ত্যাগ করেছেন, কেবলমাত্র তারাই রাসুল (সাঃ)’র জন্য হালাল; যে সকল ঘনিষ্ঠ বোনগণ তাঁর সাথে দেশ ত্যাগ করেনি তারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত নবীর জন্যও হারাম। অতএব সাধারণের জন্য হালাল ভাবাই হারাম।
ঘ. ৪ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, এর পরেও যেকোন মোমেন নারী নবীকে বিয়ে করতে চাইলে এবং নবীর ইচ্ছা থাকলে বিয়ে করতে পারেন। অর্থাৎ যে নারী স্বয়ং নবীকে বিয়ে করতে চায় এবং নবীও বিয়ে করতে রাজি; সেই নারীকে সাধারণের বিয়ে করার খায়েশ চুড়ান্ত ধৃষ্ঠতা এবং হারামী কাজ।
বিশেষ বা অতিরিক্ত সুবিধাগুলি নবীকে কেন দেয়া হলো তাও আয়াতে সহজ করেই বলা হয়েছে যে, রাসুল (সাঃ)’র যেন কোন প্রকার কষ্ট-ক্লেশ বা অসুবিধা না হয়। সুতরাং সাধারণ মোমেনগণ কিছুতেই বিশেষ বা অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়! সুতরাং উল্লিখিত ধারাগুলির একটিও তাদের জন্য হালাল ভাবাই চুড়ান্ত হারাম।
তবুও তারা দাবি করছেন যে, ধারাগুলি একমাত্র নবীই মানবে, অন্য মোমেনগণ মানবে না! অর্থাৎ আয়াতটি তাদের শোনা দরকার নেই, বোঝার দরকার নেই, মানাও প্রয়োজন নেই! মোমেনগণ শুনবে এবং মানবে সূরা নিসা’র ২৩ নং আয়াত।
সেখানে বর্ণিত ১৪ সম্পর্কীয় নিষিদ্ধ নারীগণ ব্যতীত বাকি যাকে-তাকেই ইচ্ছা করলে বিয়ে করতে পারে। এমন যুক্তির বদৌলতে ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের বিয়ে করছে এবং করাচ্ছে; সেখানে এমনকি আছে তা পাঠকদের দেখা উচিৎ:
তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে: তেমাদের মাতা, কন্যা, ভগ্নী, ফুফু, খালা, ভ্রাতুষ্পুত্রী, ভাগিনী, দুধ-মাতা, দুধ-ভগিনী, শাশুড়ী ও তোমাদের স্ত্রীদিগের মধ্যে যার সহিত সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে; তবে যদি তাদের সহিত সংগত না হয়ে থাক তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। এবং তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা; পূর্বে যা হয়েছে. হয়েছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [ ৪: নিসা-২৩]
প্রথমেই স্মরণীয় যে, আয়াতে বর্ণিত ১৪ সম্পর্কীয় নারীগণ বাদে ‘বাকি যাকে-তাকেই বিয়ে করার নির্দেশ সেখানে নেই’, তবুও তারা দাবি করছেন।
ইহাতে ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের কথাও উল্লেখ নেই সত্য; এই সুযোগটিই জ্ঞাত কারনে কূট-কৌশলে ব্যবহার করছেন! কৌশলটি যে একেবারেই দূর্বল এবং যুক্তিহীন তা নিজেরাও জানেন বিধায় সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করতে গেলে আয়াতটি শুনতেই চান না বরং উত্তেজিত হন এবং সর্বশক্তি দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেন।
জ্ঞানীগণ কেন ভাবে না যে:
১. নিকট ভাই-বোন সম্পর্কীয় ৩নং ধারাটি সাধারণের জন্য বৈধ হলে বাকি ৩টি ধারা স্বভাবতঃই সাধারণের জন্য বৈধ বলে স্বীকার করতে হয়। কিন্তু তা যে সম্ভব নয়, তার যুক্তি-প্রমান পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে।
২. আহজাবের ৫০ নং আয়াতে রাসুল (সাঃ)’র মা-বোন ও মেয়েদের কথা উল্লেখ নেই! তাই বলে কি রাসুল (সাঃ)’র জন্য তারা হালাল ছিল? আছে কি এমন কোন ঐতিহাসিক সাক্ষি-প্রমান? না থাকলে ইহাই প্রমান যে, তিনিও সাধারণের সঙ্গে ২৩ নং আয়াত অনুসরণ করেছেন। সুতরাং ইহাতে ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের কথা উল্লেখ নেই বলেই যে সাধারণের জন্য হালাল হবে! ৩৩:৫০ নং আয়াতের আলোকে এমন যুক্তি অবান্তরই নয় বরং অবৈধ।
৩. ২৩ নং আয়াতে কাফের, মুশরিক, পতিতা বা অমুসলিমদের কথা উল্লেখ নেই; তাই বলেই কি ইসলামী শরিয়ত তাদের সঙ্গে বিয়ে সম্পর্ক হালাল মনে করে?
সমগ্র কোরান প্রধানত ৩ ভাগে বিভক্ত: আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ।
৪:২৩ নং আয়াত যেমন নিষেধ-আদেশসুচক, অনুরূপ ৩৩:৫০-৫২ নং আয়াতও আদেশ-নিষেধসুচক; কিন্তু নির্দিষ্ঠ একটি বিষয় সংবলিত। অতএব শরিয়তের উচিৎ উভয় আয়াতকেই সমভাবে বুঝে মূল্যায়ণ করা, এবং মেনে চলা; ‘একটি মানি অন্যটি মানি না’ এমন ধর্ম দর্শন মুসলিম জাতির জন্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনকে বিয়ে করা হারাম:
‘আপন ভাইবোন বিয়ে কেন হারাম?’ এর মধ্যেই উত্তর নিহিত আছে; কারন উভয়ের রক্ত-বীর্যের একতা বা মান শতভাগ সমানে সমান। মা-বাপ কেন হারাম? কারন তাদের রক্ত সন্তানের গায়ে আধা-আধি বিদ্যমান। অর্থাৎ রক্ত-বীর্যের অনুর্ধ আধা-আধি সমতা থাকলে সেখানে যৌন সম্পর্ক হারাম।
অনুরূপভাবে মামা-খালার দেহের রক্ত ও মায়ের রক্ত একই; তাদের সন্তান মামাতো, খালাতো ভাই বোনদের দেহের রক্ত স্ব-রক্তের আনুপাতিক সমতা আধা-আধি; অনুরূপ চাচা, ফুফু ও বাবার দেহের রক্তের মান সমান এবং তাদের সন্তান চাচাতো, ফুফাতো ভাইবোনদের রক্ত স্ব রক্তের অনুপাত অনুরূপ আধা-আধি সমানে-সমান; তাই বলেই আদিকাল থেকে নিখুঁতভাবেই সকল ঐশী গ্রন্থে এদের মধ্যে বিয়ে সম্পর্ক অশ্লীল তথা হারাম ঘোষিত হয়ে আসছে। সমকামীতা হারাম হওয়ার কারনও অনুরূপ সুত্র।
কোরান নতুন কিছুই নয়, অতীত কেতাবের সমার্থক/সমর্থক ও ইহারই বিশদ ব্যাখ্যা মাত্র (দ্র: ৫: ৪৮; ১০:৩৭)। কিন্তু একমাত্র মোসলমানদের মধ্যে এই বেদাত (নব্য) অবৈধ বিয়ে প্রথা চলে আসছে হাজার বছরের অধিককাল থেকে!
ভাবুকগণ ভাবেন, ইহার সুত্রপাত বংশীয় অহংকার এবং সম্পদের লোভ! এবং পরম্পরায় অন্ধ বিশ্বাস। মুসলিম বিশ্বে এমন কোন পরিবার নেই যাদের দু’চার পুরুষের মধ্যে কেউ না কেউ ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে সম্পর্ক করে নি।
লজ্জার বিষয়:
খালাতো বোনের অন্যত্র বিয়ে হলে তার সন্তান যাকে মামা ডাকতো; সেই মামা, ভাগ্নীর মা অর্থাৎ খালাতো বোনটিকে স্বয়ং বিয়ে করলে যে সন্তান আসে সে প্রকৃতপক্ষে কি মামুর জন্ম নয়! অতএব পর্যায়ক্রমে কালের বিবর্তনে মুসলিম জাতির মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ আমরা অবৈধ সন্তান কি না! আশা করি নায়েবে রাসুলগণ ইহার বৈধতার ব্যাখ্যা প্রদান করে সাধারণের সন্দেহ দূর করবেন; অন্যথায় স্ব স্ব স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এক্ষুণি জরুরী।
প্রকাশ থাকে যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতেও এদের মধ্যে রক্তের আনুপাতিক সমতার কারণে বিয়ে সম্বন্ধ সঙ্গত মনে করে না। কারণ এতে সাধারণতঃ দৈহিক ও মানসিক বিপর্যস্ত কু সন্তান জন্ম নিয়ে বংশ পরম্পরায় উহার বিস্তার ঘটে। সে কারনেই সম্প্রতি সৌদি আরবেও এই জঘন্য বিয়ে প্রথা বাতিলের পরামর্শ চলছে।
সন্তানগণ এজন্য দায়ি নয় বটে! কিন্তু যখন তাদের অবৈধ জন্ম-প্রজন্মের পরিচয় জানতে পাবে তখন তাদের সম্মিলিত প্রশ্নবানের আঘাত প্রচলিত শরিয়ত সামাল দিতে পারবে তো?
তথ্য সুত্র।http://www.noakhaliweb.com.bd/index.php?cmd=details_news&newsId=6864
সবশেষে বলতে হয় উপরের লেখাটির প্রতি আমি একমত নই,
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯
এস বাসার বলেছেন: টিপূ সুলতান , কাজ কাম নাই,? নতুন থিউরী বাতলানোর কি দরকার?
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
মাহমূদ হাসান বলেছেন: @ এস বাসার, থ্যাংকস!
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৮
ও.জামান বলেছেন: যা বোঝেন না তা বলবেন না। ধর্মীয় গ্রন্থের অপব্যাখ্যা করবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭
Shes Thikana বলেছেন: আমি ভাবতে পারছিনা লেখক কোন খুঁটির জুরে এরকম পোস্ট সাজালেন
এই লেখকের নাম কী? উনি বড্ড জ্ঞানী দেখতে পাচ্ছি! ভদ্রলোক কি খৃষ্টান নাকি? খৃষ্টানদের সিস্টেম মুসলমানদের উপর চাপানোর পাঁয়তারা ভদ্রলোকের।
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالاَتُكُمْ وَبَنَاتُ الأَخِ وَبَنَاتُ الأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُواْ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلاَئِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلاَبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُواْ بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إَلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। [আন-নিসাঃ২৩]
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
আর নারীদের মধ্যে সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ, শুধু তারা ছাড়া তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে নিজেদের সম্পদের মাধ্যমে [মাহর দানের মাধ্যমে] তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। [আন-নিসাঃ ২৪]
=====================
এ সমস্ত আয়াতগুলোকে কোথায় বলা হয়েছে, খালাত, চাচাত, মামাত ইত্যাদি বোনদেরকে বিয়ে করা যাবেনা। আর এরা কখন মানুষের নিজের বোন হয়ে গিয়েছে? কুর'আনের একজায়গা থেকে একটা আয়াত নিয়ে ওটাকে সব জায়গায় প্রয়োগ করার চেষ্টা করে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা কিছু মানুষ সবসময়ই করেছে। আমাদের লেখক ভদ্রলোক কি উপরের আয়াত দু'টো দেখতে পাননি?