নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিয় প্লাটিপাস

...

অ্যামাটার

...

অ্যামাটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়ান মুভি Prisoner of the Mountains(1996)

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২

প্রখ্যাত রুশ পরিচালক সের্গেই বাদরভ পরিচালিত যুদ্ধের পটভুমির জীবনঘনিষ্ট ছবি প্রিজনার অফ দা মাউন্টেইন্স(রুশঃ কাভকাজেস্কি প্লেন্নিক)।

মূল চরিত্রে অভিনয় করেন পরিচালকের ছেলে প্রয়াত অভিনেতা সের্গেই বাদরভ জুনিয়র।

এক সেনা টহলের সময় মুসলিম চেচেন যোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় রুশ মিলিটারি কনভয়। চেচেন যোদ্ধারা দু'জন রুশ সৈন্য(একজন সেনা সার্জেন্ট, আরেকজন তরুন সৈনিক) আটক করে নিয়ে যায় চেচনিয়ার প্রত্যন্ত এক গ্রামে।

আটক দুজন রুশ জানতে পারে, তাদের হত্যা করা হবে না। বরং আটকের উদ্দ্যেশ্যেই তাদের কনভয়ে এমবুশ করা হয়েছিল। আসলে তাদের ধরেছিল গ্রামের মুরব্বী গোছের জনৈক আবদুল, যার ছেলে আটক আছে রুশ বাহিনীর হাতে, সে এই দুই সৈনিকের সাথে তার ছেলের বন্দী বিনিময় করতে চায়। আটক জিম্মিদের নিয়ে নিজের ছেলেকে উদ্ধারের আলোচনা চালিয়ে যায় আব্দুল।



রুশ সৈন্যরা ছিল আব্দুলেরই বাড়িতে। তাদের রাখা হয় গোয়াল ঘরে, খড়ের বিছানায়। জিম্মি আটক দশা থেকে এক সময় তারা সেই দরিদ্র চেচেন পরিবারেরই সদস্য হয়ে যায় এক রকম। গৃহস্থালি কাজে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করে তারা। শত্রু থেকে সম্পর্ক ক্রমশ বন্ধুত্বে গড়াতে থাকে। কিন্তু গ্রামবাসী শত্রুদের সাথে এই বন্ধুত্ব ভাল চোখে দেখে না। আব্দুলের কিশোরী মেয়ে প্রেমে পড়ে জিম্মি থাকা তরুন রুশ সৈনিকের। সে লুকিয়ে জিম্মি সৈন্যদের জন্য খাবার নিয়ে আসত। কিন্তু বাইরে কঠোর পিতা আব্দুলের ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারে না।

দুজনের মধ্যে সার্জেন্ট ছিল প্রকৃত যোদ্ধা। সে চেচেনদের বিশ্বাস করতে পারেনি। পালানোর বুদ্ধি আঁটতে থাকে।

কিন্তু অপর সৈনিক অকারন উত্তরাধিকার শত্রুতায় বিশ্বাসী ছিলনা। এক দেশ, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক বর্ণ; তাহলে কেন এই শত্রুতা? চেচেনরা রাশিয়ান্দের আজন্ম শত্রু মনে করে, গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই আছে স্বজন হারানোর বেদনা, কারও ছেলে, কারো বাবা; সবাই রুশ দের সাথে যুদ্ধে স্বজন হারিয়েছে। অপর দিকে রুশরাও এক বিন্দুও বিশ্বাস করেনা চেচেনদের। প্রতিদিনই এক জন/দু'জন মারা পড়ছে চেচেনদের সাথে যুদ্ধে। কিন্তু কেন এই নিছক শত্রুতা? শুধু ধর্মের বিভাজন বলে? কেবলই উত্তরাধিকার সূত্রে জাতিতে জাতিতে বয়ে বেড়ানো এই অহেতুক শত্রুতা?

তরুন সৈনিক ইভান এই কৃত্তিম দুশমনিতে বিশ্বাস করেনা। সে আব্দুলের কিশোরী কন্যা দিনা-কে সরাসরি বিয়ে করতে চায়।

কিন্তু তাদের মাঝে আছে ধর্মের দেয়াল আর পাহাড়ো সম জাতিগত ঘৃণা আর শত্রুতা।

এভাবেই যুদ্ধ আর ভালবাসার দোতানায় এগিয়ে গেছে কাহিনী। শেষের দিকে কিছু নাটকীয়তা আছে, সেটা আর বলে দেখার মজা নষ্ট করলাম না।



*বলে রাখা ভাল, এই মুভিটা যখন রিলিজ হয়, ঠিক সেই সময় চেচেনদের সাথে রাশিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছিল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দেখা দরকার........

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

অ্যামাটার বলেছেন: হুমম। দেখিয়েন...

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৬

ব্লগার ইমরান বলেছেন: চেচেন ভাইদের কথা মনে করি্যে দিলেন :(

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

অ্যামাটার বলেছেন: হ্যাঁ! চেচেনরা কিন্তু প্রায় নিরস্ত্র অবস্থায় এক কালের সুপার পাওয়ার রাশিয়াকে সেইরকম নাকানি চুবানি খাইয়েছে। চেচেন নেতা সাবেক সোভিয়েত বিমান বাহিনীর জেনারেল জোখার দুদায়েভের কৌশলের কাছে রাশানরা মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মার খেয়েছে।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

ব্লগার ইমরান বলেছেন: ভাই উক্ত জেনারেলের ব্যাপারে আরো কিছু জানাতে পারবেন কি ?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৭

অ্যামাটার বলেছেন: দুদায়েভ ১৯৯৬ সালে রাশিয়ার এয়ার স্ট্রাইকে নিহত হন। নেটে সব তথ্য পাবেন। উইকিতে first chechen war সেকশনটা দেখতে পারেন, বিস্তারিত আছে।


ছবিতে মাঝের জন দুদায়েভ, তখন স্বাধীন চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: সম্পদ দখলের জন্য মানুষ মগজ হারায়ে ফেলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.