![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনামটা দেখে খটকা লাগতে পারে। হ্যা ভাই, ইহাই বাস্তবতা! চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী'র মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে(এই পোস্ট দেবার উদ্দ্যেশ্য কোনওভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খাটো করা নয়)।
যে কাজ গুলো কখনও করবেন নাঃ
১) তর্কে জড়াবেন নাঃ কখনও আপনি তাদের শিকার হন, তাহলে দ্রুত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে তাদের কাজের বৈধতা নিয়ে তর্কে জড়াবেন না। না না না। একদম না। তাদের ভুল হলেও চ্যালেঞ্জ করবেন না। আপনার যুক্তিতে তাদের পরাস্ত করলেও আপনাকে জালে আটকানোর মত হাজারটা বৈধ/অবৈধ রাস্তা তাদের হাতে আছে, এবং সেগুলো প্রয়োগ হবে।
২) আমার অমুক পুলিশের বড় কর্তা, তমুক মন্ত্রী, সমুক এমপি, ইত্যাদি বলে পালটা হুমকি দিবেন নাঃ এটাও আরেকটা ব্লান্ডার। এই কাজও করবেন না, অন্তত তাদের এসব কথা বলবেন না। লাভ কিছুই হবে না(যদি এমন কেও থাকে, বেশ, তাদের জানান, সাহায্য চাইতে পারেন, কিন্তু এসব বলে ছাড় পাবার চেষ্টা না করাই ভাল!)। এসব বরং তাদের কাছে উপাদেয় 'শিকার'! সোহেল তাজ(সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) এর ভাগ্নে কে পিটিয়েছি, সেনাবাহিনীর এক্টিং মেজরকে ধরেছি, সহকারী জজ বিচারককে হাতকড়া পড়িয়ে আটক করেছি, সচিবের ছেলেকে ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করেছি; এগুলো তাদের কাছে তৃপ্তি সহকারে অত্যন্ত মুখরোচক গর্বের বিষয়। আমরা কাউকেই ছাড়িনা, দেখেছ হে?
যা যা করবেনঃ
১) শান্ত থাকুনঃ প্রথমত শান্ত থাকবেন, চ্যাঁচামেচি, কান্নাকাটি কাকুতি মনতি এসব করে কোনও ফায়দা নাই। তারা আপনাকে ধরেছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে থাকুন। বিপদ বা ঝামেলার গভীরতা কিন্তু আপনার প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে! পালটা হুমকি বা ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে আরও ঝামেলায় জড়াবেন। যদি সেরকম 'মামা', 'চাচা' থেকে থাকে, তো চেষ্টা করেন সেই চ্যানেলে, কিন্তু প্রকাশ্য হুমকি দিবেন না। মনে রাখবেন, আপনাকে হাজারও ঝামেলায় জড়ানোর মত রসদ কিন্তু তাদের আছে!
২) নীতি, ব্যক্তিত্ব; ইত্যাদি সাময়িক বিসর্জন দেন, যদি ঝামেলা এড়াতে চানঃ আপনি কি শর্ট টেম্পার্ড? তাহলেই গেছেন। এস.আই. তো বটেই, এ.এস.আই. এমনকি কন্সটেবলের মুখেও(কাউকে হেয় করা বা কোনও পদমর্যদাকে ছোট করা এই লেখার উদ্দ্যেশ্য নয়) তুই তোকারি শোনার জন্য প্রস্তুত থাকুন, এটা অবশ্যম্ভাবী। আর প্রতিবাদ করলে বোনাস হিসাবে চড় থাপ্পড়ও জুটতে পারে, সুতরাং সাবধান, উপায় নাইরে ভাই! প্রেস্টিজ বলে কোনও শব্দ থাকলে তা সাময়িক ডিকশনারি থেকে হাপিশ করে দিতে হবে। বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে পুরোপুরি আত্মসমর্পন করা।
৩) এইটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মেজাজ হারাবেন নাঃ পুলিশ সদস্যরা যদিও কম যায়, সাথে যদি থাকে পুলিশের সোর্স(সোর্স ভাইসাহেবেরা কিন্তু বড়ই ওয়েল ম্যানার্ড! এক একটা হিরোঞ্চি আর গাঁজাঞ্চি, আর কিছু না বলি, বুঝে নেন ) তারা তুই তোকারি, গালিগালাজ, অশালীন ইঙ্গিত, ফোনে বা কারও সূত্র ধরে কারো কাছে সাহায্য চাইলেও তাকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা; ইত্যাদি করে নানাভাবে উত্যক্ত করার চেষ্টা করবে, কিন্তু খবরদার! উত্তেজিত হয়েছেন তো মরেছেন! শান্ত ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করুন। ধরে নেন, এটাও একটা ফাঁদ, একটু সাবধান থাকলেই এড়ানো যাবে।
৪) পুলিশ সদস্যদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুনঃ জানিনা চক্ষুলজ্জ্বা নাকি ভবিষত ঝামেলা এড়ানোর জন্য; পুলিশ সদস্যরা কিন্তু আপনার সাথে সরাসরি কোনও 'ডিল' করবে না। বাই দা ওয়ে, 'ডিল' হচ্ছে তাদের জন্য, যারা ঝামেলা এড়াতে চান দ্রুত। তা না হলে, আপনি চাইলে পরের দিন আদালতে যেতে পারেন, দারুন সব অভিজ্ঞতা হবে, রাতে থানা হাজতে, দুনিয়া জোড়া নাম ফুটবে, পরদিন জেল হাজতে কিংবা ভাগ্য ভাল থাকলে দু'/চার দিনের রিমান্ডও কপালে জুটে যেতে পারে যা হোক, আপনার সাথে ডিল করবে সোর্স বা এরকম মিডলম্যান ভাইসাহেবেরা, কিন্তু খেয়াল রাখবেন, আপনি যেন পুরোপুরি ওদের হাতে পড়ে না যান! মিনিট দুই'/তিনের জন্য আড়াল হলেই কিন্তু তখন আবার হবে 'প্রাইভেট ডিল', শুধু বলি, এমন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতা আরও ভীতিকর হবে।
৫) বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিনঃ একটা কথা আগেও বলেছি, এই লেখার উদ্দ্যেশ্য কারও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা বা কাউকে হেয় করা না। সাধারণত এরকম আটক হতে পারেন পেট্রল টিমের হাতে, এবং সাধারণত এসব পেট্রল টিম লিডার এএসআই বা বড়জোর এসআই পর্যায়ের, এবং আশা করি একটু ভেবে দেখার চেষ্টা করলেই উদ্দ্যেশ, গতিবিধি, কর্মকান্ড সম্বন্ধে ধারণা পেতে পারেন। আপনি যদি সামান্যতম হলেও কারও থট রিড করতে পারেন, তাহলে যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। পরিস্থিতি অনুযায়ি তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত কিছু নিতে হবে। চেষ্টা করবেন তাদের কাছে এই বার্তা দেয়ার যে আপনি তাদের 'উপযুক্ত' শিকার নন, আপনাকে হয়রানি করা তাদের জন্য লাভজনক কিছু না।
৬) নিশ্চিত হউন, তারা আসলেই পুলিশ তোঃ এই গুম খুনের অসময়ে আন অথরাইজড কারও হাতে পড়া এড়িয়ে যান! যদি সিভিল ড্রেসে কারও হাতে আটক হবার মত পরিস্থিতি হয়, তাহলে চেষ্টা করুন আশপাশে কিছু সাক্ষি রাখার। দরকার হলে এমন কিছু করুন যাতে আশপাশে একটা মব হয় অন্তত(ফ্ল্যাশ মব হইলেও চলে )
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৮
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: খুবই দরকারী টিপস...আমি একবার আমার বিয়ের পাত্রীসহ এমন ঝামেলায় পড়েছিলাম। তবে দু'জনই ঠান্ডা মাথায় কোন রকম খরচাপাতি ছাড়াই রেহাই পেয়েছি। ওনাদের সাথে আজাইরা বাহাদুরি, তাফালিং না দেখিয়ে শান্তভাবে সত্য, সত্যের কাচাকাছি কথা বলে ম্যানেছ করাই ভালো। পুলিশ চাইলেই আপনাকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে পারে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মেজাজ হারাবেন না ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২২
অ্যামাটার বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! হাহহাহা.।।।
আপনার পাত্রী সহ
আপনার ঘটনাটা জানতে ইচ্ছা করছে ভাই। সমস্যা না থাকলে শেয়ার করেন, শুনি
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭
আরজু পনি বলেছেন:
পুলিশি খপ্পরে মাথা ঠান্ডা রাখা আর চালাকির সাথে তাদেরকে টেক্কা দেয়া জরুরী ।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের উপর লেভেলে কাছের কেউ থাকলে বিপদে কাজে আসে খুব বেশি ।
কাজেই পরিচিত পুলিশ বন্ধুদের ফোন নম্বর কাছে রাখাটা জরুরী
আপনার পুলিশি অভিজ্ঞতা নিয়ে বয়সকালে একটা বই লিখবেন আশা করি । প্রথম ক্রেতা আমি হবো
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৩
অ্যামাটার বলেছেন: লিখব, যদি মনে থাকে।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কঠিন কতগুলা উপদেশ!!!!বধোহয় এরকম আচরন আমার আগেই জানা ছিলো তাই অনেক বার শশুর বাড়ির লোকেগো কাছের থিকা বাইচা গেছি।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলাদেশে মানুষকে পুলিশ হয়কারী করে কারন অধিকাংশ মানুষ নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার জানে না এবং আইন জানে না। আইন যদি জানে তাহলে সেই ক্ষেত্রে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না।
যেমন রাতের বেলা আপনার চলাচলে পুলিশ বাধা দিতে পারে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে। আপনি যদি কোন দুনাম্বারী কাজে না গিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার ভাবে বলবেন, কোথায় গিয়েছেন, কেন গিয়েছ। ব্যাস। তারপরও যদি আপনাকে বলে তারা আপনাকে আটক করবে বা ৫৪ ধারায় আটকাবে - সেইক্ষেত্রে নিজের আইডি কার্ড দেখাবেন বা অন্য কাউকে ফোন দিয়ে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে বলবেন। ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন পরিচয় বিহীন ব্যক্তিদের আটক করার ক্ষমতা পুলিশের আছে।
আর সাহসটাই বড় কথা। লেখাপড়া জানা কোন মানুষ যদি কিছুটা সাহস রাখে তাহলে ঝামেলা কমে ৯০%। অহেতুক মিথ্যে কথা বললেই ঝামেলা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৬
অ্যামাটার বলেছেন: সাধারণত নিরীহ পথচারীদের ভয় পাওয়ার কারণ নাই। তবে যদি আপনার কোনও দুর্বলতা থাকে, মানে আপনি কোনও কারণে 'অনিরীহ' হন, তাহলেই সেরেছে। তারা পেয়ে যাবে শিকার। ওই দুর্বলতা পুঁজি করে শুরু হবে রশি ধরে টান, স্বভাবতই মানুষ তখন কেস-কাচারির ঝামেলা এড়াতে যা পারে, সেভাবে তাৎক্ষনিক তাদের 'ম্যানেজ' করে বাধ্য হয়ে।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
লিংকন১১৫ বলেছেন: vai dhoinna
onek dorkari post ..........
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এই পোষ্ট তো শুধু প্রিয়তে নয় পকেটেও রাখতে হবে কখন পুলিশ ধরে ফেলে !
আমাদের দেশে ছিনতাইকারী থেকে আমি পুলিশকে বেশী ভয় পাই।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিনুর রহমান বলেছেন: এই পোষ্ট তো শুধু প্রিয়তে নয় পকেটেও রাখতে হবে কখন পুলিশ ধরে ফেলে ! আমাদের দেশে ছিনতাইকারী থেকে আমি পুলিশকে বেশী ভয় পাই।
সহমত। আমিও প্রিয়তে নিলাম।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১২
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: টিপস গুলো খুব কাজের।
তবে ভাই আসলেই ছিনতাইকারীর চেয়ে পুলিশরে বেশি ভয় পাই। আব্বুর এক বন্ধু আছে পুলিশ অফিসার। মাঝে মধ্যে বাসায় আসলে বাসা থেকে দ্রুত বের হয়ে যাই।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৫
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: মিনিট দুই'/তিনের জন্য আড়াল হলেই কিন্তু তখন আবার হবে 'প্রাইভেট ডিল',এটা একটু বিস্তারিতভাবে বলেন।
ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশ সবচেয়ে ক্ষমতাশালী।তারা চাইলে যেকাউকেই খুজে বের করতে পারে।কিন্তু এরপরেও ফাইনালি তারা আপনার আমার মতই রক্ত মাংসের মানুষ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
অ্যামাটার বলেছেন: নির্দিষ্ট করে কী আর বলব, কিছু রিলেভেন্ট লিঙ্ক দেই, তাহলে বুঝতে পারবেন;
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link
৪) http://www.chalomannoakhali.com/news/33/
৫) Click This Link
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৭
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কঠিন কতগুলা উপদেশ!!!!বধোহয় এরকম আচরন আমার আগেই জানা ছিলো তাই অনেক বার শশুর বাড়ির লোকেগো কাছের থিকা বাইচা গেছি।
১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৩
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: ছাত্রলীগ থেকে বাঁচার কিছু টিপস নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেন, ভাইজান।
পোস্টে হাততালি থাকল।
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১২
ইমিনা বলেছেন: পুলিশ ভয় পাই এবং পুলিশ দেখলেই রাগ লাগে। খুব খুব রাগ লাগে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
অ্যামাটার বলেছেন: শুধু শুধু ভয় পাওয়ার কারণ নাই।
সমাজে একটা অদৃশ্য শ্রেণী বৈষম্য আছে, আর এই বৈষম্যের কারণে সাধারণত টার্গেট তারাই হয়, যাদের হয়রানির শিকার হলে "কিছু করার" ক্ষমতা নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: হুম পড়লাম আর বুঝছি কি কি লিংক দিসেন।তবে পুলিশের সল্ভ করা কেইসগুলো থেকে সমাজ সম্পর্কে যেভাবে ধারণা পরিষ্কার হতে পারে তার তুলনায় অন্য কোন মাধ্যম সেভাবে পরিষ্কার হতে সহায়ক কিনা সন্দেহ আছে!
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
ধ্রুঊবতারা বলেছেন: মনে করিয়ে দিলেন ভাই। বছর দুই আগের কথা। গার্লফ্রেেন্ডের কম্পিউটার এক্সাম ছিল। কিছু টপিক্স ও বুঝতেছিল না। যেহেতু এই বিষয়ে আমার খানিকটা জ্ঞান আছে ভাবলাম কিছু সাহায্য করি। তো একদিন সংসদ ভবনের সামনে বসে গেলাম বই খাতা নিয়ে।
কিছুক্ষণ পর দেখি এক মামা আমাকে ডাকছে। তো গেলাম বিষয় কি জানতে। কয়, কি করতেছেন এখানে। বললাম, পড়ালেখা; কালকে পরীক্ষা আছে। বলল, উনি কে? বললাম গার্লফ্রেন্ড।জানতে চাইল, কিসে পড়ে? বললাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। বলে, আপনি কি করেন? বললাম, জব করি, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কয়, বেড়ায় হেলান দিছেন ক্যান। আমি বললাম, সবাই তো দেয়। কয়, না এখানে হেলান দেওয়া নিষেধ। আমি বললাম, কোথাও তো লেখা নেই। বলে, আপনি জানেন এখানে কতজনকে ধরে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হইছে। মনে মনে বলি, আমারেও করাই দিলে তো বেশ ভালই হয়। এমনিতে তো মেয়ের বাপ কোনদিনই মানবে না। মুখে বললাম, জানতাম না। ইতমধ্যে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়ে গেছে মজা দেখতে।
তো মামা বলল, বড়সাহেব ভেতর থেকে সি সি ক্যামেরায় দেখে আপনাদের ধরে নিয়ে যেতে বলছে। আমি বললাম, চলেন।
কিন্তু তিনি আমাদের নিয়ে গেলেন পাশের বক্স থাকে ওখানে। আরেকজনকে ডেকে আনল(অবশ্যই কোন বড়সাহেব না)। ওই মামা গোবেচারা টাইপ। তো আগেরজন বলল, এরা বেড়ায় হেলান দিছে কি করা যায় কন তো? নতুন মামা র আগ্রহ কম। বলল, দেখেন কি করবেন আপনি। আগেরজন বলল, দুইজনই ইঞ্জিনিয়ার; কালকে পরীক্ষা আছে। নতুন মামা দেখি হাসে।
আগেরজন এইবার কইল বাড়ি কই? আমি বললাম, ময়মনিসংহ। কয়, মমিসিং এর কোন থানা। বললাম, গৌরীপুর। উনি বলল, আমার বাড়ি ফুলপুর। আপনি তো আমার পাশের থানায়, এলাকার লোক দেইখা ছাইড়া দিতাছি। আর কোনদিন হেলান দিয়েন না। এখন চলে যান।
সামনে একটা রিক্সা যাচ্ছিল। মামাই তারে ডাক দিয়া কইল, এই রিক্সা উনাদের ফার্মগেট দিয়া আস।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
অ্যামাটার বলেছেন: আপনার তো ভাই হইসে কাহিনি।
আপনি জানেন এখানে কতজনকে ধরে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হইছে।
উলটা সেই মামারে গিয়া মিষ্টি খাওয়াইয়া আসেন মিয়া
১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ধ্রুঊবতারা বলেছেন: আমারে তো বিয়া করায় নাই। মিষ্টি খাওয়ামু ক্যান? ভাই, খুব চাইছিলাম বিয়াডা যাতে করাই দেয়। মামা দিলো না।
১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নীল ভোমরা বলেছেন: পুলিশের আসল নকল চেনার উপায় কি?
১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪০
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: এটা পড়ুন।
Click This Link
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৭
অ্যামাটার বলেছেন: ভেতরে কোণও লেখা নাই।
এই পোস্টটি লেখক নিজে সরিয়ে ফেলেছেন, বিস্তারিত জানতে পোস্টটির লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
১৯| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
ছবিঘর বলেছেন: অামি পুলিশ ভুই পাই
২০| ১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
জাফরুল মবীন বলেছেন: বেশ ভালো বলেছেন।কিন্তু একটা রহস্য মনে রয়েই গেল।এই অতিবাস্তব লেখাটার অভিজ্ঞতা কোথায় থেকে পেলেন
?হা হা হা! জাস্ট একটু ফান করলাম;আশা করি মনে কিছু করবেন না।
সামুতে আমি নবাগত।আপনার ব্লগবাড়িতে এটাই আমার প্রথম প্রবেশ।শুধু এই পোষ্টটির জন্যই আমার আজকের এই গৃহপ্রবেশ স্মৃতিতে চিরজাগরূক হয়ে থাকবে।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
অ্যামাটার বলেছেন: স্বাগতম এবং ধন্যনাদ
২১| ১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: সাধারণ নাগরিকদের উচিত পুলিশদের অযথা হয়রানির বদলে পুলিশদের কেও হয়রানি করা
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৭
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাইডি কি পুলিশের শিকার, নাকি নিজেই শিকারী?