![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তরুণ একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, প্রোগ্রামার, শখের লেখক। আমি আমারনোটসেরও সম্পাদক। আমি তরুণ তাই নিয়ম মেনে চলতে ভাল লাগে না। আমার মন যা চায় তা-ই করি। তাই ব্লগ শুরু করলাম।
ভাগ্যক্রমে আমি ইন্টারে পড়ার সময় আমার বাংলা শিক্ষকের কাছে শকুন্তলার পুরো কাহিনীটা শুনতে পেরেছিলাম। পুরোটা মনে নেই, যতটুকু মনে আছে বলছি। আপনারা কেউ যদি কাহিনীটা জেনে থাকেন তাহলে দয়া করে কোনো ভুল থাকলে শুধরে দেবেন, কোনো মজার ডিটেইল থাকলে তাও জানান। কাহিনীটা আমারনোটসে দেব বলে এটা সঠিক হওয়া চাই। তাই সাহায্য চাইছি।
বিশ্বামিত্র নামে এক বড় ঋষি ছিল। সে উপাসনা করতে করতে অনেক এগিয়ে যাচ্ছিল। দেবতারা মনে করলো সে তাদেরকেও ছাড়িয়ে যাবে। তাই দেবতারা মেনকা নামের এক অপ্সরাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলো তার মনোযোগ সরানোর জন্য। তারা সফলও হলো। অপ্সরা মেনকার গর্ভে জন্ম নিল শকুন্তলা। শকুন্তলাকে রেখে তারা চলে গেল (আসল কাহিনীতেও নাকি এমন লেখা আছে- ‘চলে গেল’)। একটা শকুন্ত বা ভাসপাখি তাকে লালন পালন করতে লাগলো। শকুন্তলা শকুন্ত পাখির পাখনার আশ্রয়ে বড় হতে থাকে। একসময় মহামুনি কণ্ব শকুন্তলাকে শকুন্তের কাছে দেখতে পান। তিনি শকুন্তলার দায়িত্ব নেন এবং শকুন্ত তাকে রক্ষা করেছিল বলে তার নাম দেন শকুন্তলা।
শকুন্তলা কণ্বের আশ্রমে বড় হতে থাকে। একদিন দুষ্মন্ত (দুশন্তো) নামে এক রাজা হরিণশিকারে বনে আসেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে তিনি কণ্বের আশ্রমে যান। তবে কণ্ব আশ্রমের বাইরে ছিলেন। ঘটনাতো তোমরা বইয়েই পড়েছো। কণ্বের আশ্রমে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে দেখলো, শকুন্তলাকে তার পছন্দ হলো, তাদের বিয়ে হলো এবং শকুন্তলা গর্ভবতী হলো। কণ্ব একসময় ফিরে এলেন, ফিরে এসে শকুন্তলা ও দুষ্মন্তের কথা জানতে পারলেন। প্রথমে তিনি মেনে নিতে পারেন নি, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছিলেন।
মাঝে এক ঘটনা ঘটলো। শকুন্তলার কাছে দুর্বাসা নামে এক ঋষি পানি চেয়েছিলো। দুর্বাসা ঋষি কথায় কথায় অভিশাপ দিতো। শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তাই পানি দিতে দেরি হয়েছিলো। তাই দুর্বাসা ঋষি শকুন্তলাকে অভিশাপ দিলো- তুই যার জন্য আমাকে পানি দিতে দেরি করলি সে তোকে কখোনোই চিনতে পারবে না। পরে তিনি অভিশাপটি পুনর্বিবেচনা করেন, এবং যে অভিজ্ঞান (প্রমাণ) হিসেবে কিছু দেখালে সেই লোক শকুন্তলাকে চিনতে পারবে।
রাজা দুষ্মন্ত খবর পেলেন তার রাজ্যে তাকে প্রয়োজন। সে শকুন্তলাকে একটি আংটি দিয়ে বললো আমার রাজ্যে এটা নিয়ে গেলে তোমাকে আমি চিনবো। রাজা চলে যায়।
শকুন্তলা একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিলো। তার নাম ছিল ভরত (বানানটা ঠিকই আছে, ভারত কিংবা ভর্তা নয়)। কয়েকবছর পর আর থাকতে না পেরে ভরতকে নিয়ে শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তের সঙ্গে দেখা করতে গেল। শকুন্তলা ও ভরত নৌকা দিয়ে যাচ্ছিল। শকুন্তলা পানি খেতে গিয়ে তার হাত থেকে আংটিটা খুলে পানিতে পড়ে যায়।
শকুন্তলা দুষ্মন্তের কাছে যান। তাকে সব ঘটনা বলেন কিন্তু দুষ্মন্ত সব কথাই ভুলে গেছেন। বাধ্য হয়ে শকুন্তলা প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসেন। সেই রাজ্যেই এক পরিবারে আশ্রয় নেন।
শকুন্তলার আংটিটা একটা মাছ গিলে ফেলেছিল। সেই মাছটা এক জেলে ধরে ফেলে। যখন সে পেটের ভিতর আংটিটা পায় তাতে দেখে যে এটার মধ্যে দুষ্মন্তের নাম লেখা আছে, তখন সে আংটিটা দুষ্মন্তের কাছে নিয়ে গেল। তবুও রাজা দুষ্মন্ত মনে করতে পারলো না। পরে সে একটি দৈববাণী (অদৃশ্য দেবতার কথা) শুনতে পেলেন- আংটিটা শকুন্তলার এবং সে তোমার স্ত্রী।
পরে তিনি শকুন্তলাকে খুঁজে বের করেন এবং তাকে স্বীকার করে নেন। একসময় ভরত বড় হয়। তাকে দায়িত্ব অর্পণ করে দিয়ে রাজা শেষ জীবন ধর্মকর্মে কাটিয়ে দেন।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১১
আদনান শামীম বলেছেন: ঋষি? আচ্ছা ঠিক করে দেব।
আংটিটা কি রাজা হারায়? আমার তো মনে পড়ে শকুন্তলাই হারিয়েছিল।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২২
k-79er34b বলেছেন: জানিনা তবে জানিয়ে দিতে পারি । এলিয়েনরা এসব পারে ।
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭
আদনান শামীম বলেছেন: জানিয়ে দেবেন? আমার আগে আপনিই জানানোর দ্বায়িত্ব নিলেন। ভালো।
আমার পক্ষ থেকে আপনার এলিয়েন বন্ধুদের সালাম জানাবেন।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই কাহিনী দিয়ে একতা কাপুর নয়া সিরিয়াল বানাইতে পারে। অথবা নিজের কোন সিরিয়ালে এহেন কাহিনী ঢুকাতেও পারে। তারে এই আইডিয়াটা কি করে দেওয়া সম্ভব?
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫
আদনান শামীম বলেছেন: আসলেই তো। এত সিরিয়াল হচ্ছে, এটা নিয়ে কোনো সিরিয়াল হল না কেন।
হয়ত আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। কদিনের মধ্যেই হয়তো তিনি শকুন্তলার উপর নতুন সিরিয়াল (কুম কুম তলা বা এ জাতীয় নামের) বানাবেন। ওদের মাথায় এরকম ফালতু আইডিয়া এমনিতেই সারাদিন ঘুরঘুর করে।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৬:১৩
নুশেরা বলেছেন: আর শকুন্তলা রাজার দেয়া আংটিটি হারায়; রাজা শকুন্তলাকে আশ্রমে রেখে রাজধানীতে ফেরার পরপরই।
এখন বোধহয় ঠিকমতো বোঝাতে পারলাম।
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯
আদনান শামীম বলেছেন: ও এবার বুঝলাম। কিন্তু আংটিটা পানিতে পড়ার কথা আমার মনে পড়ছে। সেটা কখন? আর নৌ যাত্রাটা যদি রাজার ফেরার পরপরই হয়ে থাকে তো সেই যাত্রাটা কিসের জন্য, রাজার কাছে যাওয়ার জন্য তো নয় নিশ্চয়ই?
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১৪
সম্ভব,অসম্ভব বলেছেন: কাহিনি তো জটিল---স্বর্গে তাহলে বারাঙ্গনা আছে?
শকুন্তলা গর্ভবতী হলো বিয়ের আগেই- পুরানো এই সব গল্পগুল তে এই সব বিষয় গুল খুব সহজেই আসে দেখছি,
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
আদনান শামীম বলেছেন: স্বর্গের বারাঙ্গনারদের কথা এতদিনে জানলেন তাহলে। আমাদের স্কুলের হুজুর স্যার (ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক) আমাদেরকে ক্লাস এইটেই একথা জানিয়েছিলেন। অনেকে তখন নামাজ পড়া শুরু করেছিল!
আপনিও তাহলে ইবাদত শুরু করে দেন!
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯
আদনান শামীম বলেছেন: গর্ভবতী হয় আরো কতকিছু হয়। সাহিত্য মানেই এগুলা থাকবে।
আমার ভাইতো ইংরেজি সাহিত্যে পড়েছে, তাই এগুলো শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
মানুষ বলেছেন: পরীক্ষার হলে রাজা দুষ্মন্তরে চরিত্রহীন লেখার জন্য একবার ধমক খাইছিলাম
১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩
আদনান শামীম বলেছেন: রাজা দুষ্মন্ত্ আসলে ভাল মানুষ(!), জাস্ট তখনকার সংস্কৃতির শিকার।
এখন যেমন মানুষে সিগারেট খায়, তেমনি ঐ পাবলিক...
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৭:০২
নুশেরা বলেছেন: ভাই শামীম,
আশ্রমপিতা কন্বের অনুপস্থিতেই কিন্তু রাজা শকুন্তলাকে বিয়ে করে। গান্ধর্ব মতে।
শকুন্তলা কিন্তু পুত্রসহ রাজার কাছে যায়নি। পুত্রের জন্মের আগেই, মানে গর্ভবতী অবস্থাতেই রাজধানীতে যায় (যাবার পথেই আঙটি হারায়; এটা অবশ্য আপনার ঠিকই মনে আছে) এবং রাজা কর্তৃক অস্বীকৃত ও প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে বনে এসে আশ্রয় নেয়, সেখানেই ভরত জন্মায়।
আর অভিশাপটা প্রথমে দুর্বাসা আরও কড়া দিয়েছিলেন। রাজা আর কখনো চিনতেই পারবেনা শকুন্তলাকে। পরে শকুন্তলার সখী প্রিয়ংবদা বা অনসূয়া কারও অনুরোধে একটু রিকনসিডার করেন । "অভিজ্ঞান" হিসেবে কিছু দেখালে রাজা চিনবে শকুন্তলাকে। সেই "অভিজ্ঞান" মানে প্রমাণ হল রাজার দেয়া সেই আংটি, যা শকুন্তলা বেচারি হারিয়ে ফেলায় রাজা আর তাকে চেনেনি।
আচ্ছা, আপনি উইকিতে একটা পাত্তা লাগিয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে নিতে পারেন কিন্তু।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
আদনান শামীম বলেছেন: অনুপস্থিতিতে... ঠিক করলাম।
উইকিতে কিছুই পেলাম না। এমনকি ঈশ্বরচন্দ্র পর্যন্ত নাই।
কিন্তু বোর্ডের বাংলা সংকলন বইতে দেওয়া আছে- (গদ্যের পর শব্দার্থ ও টীকা অংশে) "..এর পর অভিজ্ঞান হিসেবে নিজের আঙটি শকুন্তলাকে প্রদান করে রাজধানীতে ফিরে যান। রাজকীয় দ্বায়িত্বের চাপে একসময়ে তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যান। ইতোমধ্যে শকুন্তলার গর্ভে পুত্র ভরতের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর শকুন্তলা ভরতকে নিয়ে রাজার কাছে এলে তিনি তাকে চিনতে পারেন নি। পরে দৈববাণীতে সব অবগত হয়ে স্ত্রীপুত্রকে গ্রহণ করেন।..."
"প্রিয়ংবদা বা অনসূয়া ".... একটু ক্লিয়ার তথ্য পেলে ভাল হত। আচ্ছা আপনি এক কাজ করেন। আপনাকে লেখাটার একটা প্রুফ কপি দেই সেটার মধ্যে পয়োজনীয় পরিবর্তন করে আমাকে পাঠিয়ে দিন বরং। এখান থেকে doc ফাইলটি নিয়ে amarnotes@জিমেইল.কম এ পাঠিয়ে দিন -
Click This Link
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৭:৪৮
বিডি আইডল বলেছেন: বিশাল রুপকথা..কাহিনীর মধ্যে অনেক ফাক আছে
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪১
আদনান শামীম বলেছেন: রুপকথা তো বিশাল... কিন্তু আমি এখানে আসলে শিক্ষার্থীদের যতটুকু লাগতে পারে ততটুকু দিয়েছি। তবে ইন্টারেস্টিং বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য বাদ পরে গেলে এখানে বলতে পারেন অথবা অনেক পরিবর্তন থাকলে এখান থেকে প্রুফ ভার্সন ডাউনলোড করে পরিবর্তন করে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন -
Click This Link
নুশেরা কে দেয়া আমার মন্তব্যটি দেখুন।
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩
নুশেরা বলেছেন: বয়ষ্ক মানুষের স্মৃতি খুব নির্ভরযোগ্য না
আমি সত্যিই আপনার লেখা মডিফাই করার যোগ্যতা রাখিনা।
এটা খুজে পেলাম। দেখুন কাজ লাগতে পারে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Shakuntala
আর সুনীলের বইটার ইলাস্ট্রেশন নন্দলাল বসুর। অসাধারণ। আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার, বোদ্ধামানুষ; ঠিক বুঝবেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
আদনান শামীম বলেছেন: "আমি সত্যিই আপনার লেখা মডিফাই করার যোগ্যতা রাখিনা। " - বলেন কি! আপনার কাছে তো আমি কিছুই না।
...ও! ইংরেজি উইকিতে পেয়েছেন তাহলে। আচ্ছা আমি পড়ে দেখি কিছু করতে পারি কিনা।
বোদ্ধামানুষ? কি জানি... তবে দুঃখিত, আমি আসলে বই পড়ার মত কোনো অবস্থায় এখন নেই। পড়াশোনার প্রচুর চাপ। তবে পরে হয়তো দেখবো কোনোদিন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:০৮
নুশেরা বলেছেন: বুড়ি না, অভিশাপ দিয়েছিল এক ঋষি; সম্ভবত দুর্বাসা মুনি। আর আংটি হারায় রাজা রাজধানীতে ফেরার পরপরই।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শকুন্তলা বইটি দেখতে পারেন। সুখপাঠ্য।