নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**সার্থ ছারা মানুষ নাই,এই কথার ভিত্তি নাই..কেননা,এখনো সার্থ ছারা মানুষ আছে বলেই,পৃথিবীটা টিকে আছে**

সব জীবেতে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই. মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি,গর্ব করি তাই

আমি আনোয়ার

আমি আবেগের ডালপালা ছড়িয়ে বসে থাকি, আমার শিকড় আবেগের । কিছুটা মিশ্র, আবেগে লুতুপুতু হতেও পারি আবার কঠোর ও হয়ে যাই । তুমি কেমন সেটার উপর নির্ভর করবে আমি সাবাবিক সভাবের আনোয়ার নাকি রুক্ষ স্বভাবের আনোয়ারকে ডিজার্ভ করো। মন চাইলে ফেসবুকেও এডিং মারতে পারেন। http://www.facebook.com/anwaralhaz

আমি আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হনিহঞ্জের লাউয়াছড়ায়

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সেই ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, পাখিদের কিচির মিচির, বানর- হনুমানের কোলাহলের কথা আপনারা ভুলে গেছেন? আমি ভুলতে পারিনি। শেভরন গ্যাস অনুসন্ধানের সিসমিক জরীপ চালানোর আগে তারা এমনই গুঞ্জরনে সারা জঙ্গল মাতিয়ে রাখতো, তাদের সে অঞ্চলে তারা ছিল সবাই রাজা, দিনমান তাদের আনন্দ উদযাপন দেখতে যেতো কিছু পর্যটক।



সে লাউয়াছড়ায় আমি গত ঈদে গিয়ে দেখি চারধার সুনসান, গাছপালা সব আগেরই মতন কিন্তু সে জঙ্গলের সর্বত্র প্রাণের অনুপস্থিতি, হঠাৎ করে মনে হলো তাদের কি যেন হয়েছে, অভিমানে থম ধরে আছে পুরো জঙ্গল। হ্যাঁ অভিমান করেছে প্রাণীকূল, তারা আগের মতো কথা বলেনা, ঝগড়া করে না, সুর করে ধরেনা কোন হেমন্তের গান। আসলে তারা আর সে জঙ্গলেই নেই, জঙ্গল ছেড়ে বাঁচতে তারা ছুটে গিয়েছিলো লোকালয়ে- সেখানে কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, কেউ কেউ না খেতে পেয়ে প্রাণত্যাগ করেছে, কেউ কেউ ভয়ে ভুলে গেছে গানের সুর তাল। এসবই হয়েছে সামান্য সিসমিক জরীপ চালানোর জন্য- সশব্দে সে জরীপে অসংখ্য বোমা ফাটানো হয় জঙ্গলে, কিছু জায়গায় ধরানো হয় আগুন, আর তাতেই প্রাণীকূলের এই অভিমান। যারা আগে গিয়েছেন এবং জরীপের পরে গিয়েছেন তারা মুহূর্তেই টের পাবেন প্রানীকূলের এই অভাবনীয় নীরবতা।



সব বন-জঙ্গল আমরা মানুষেরা খেয়ে ফেলেছি, কখনো প্রাণীকূলের কথা ভাবিনি এতটুকুও, ঠেলতে ঠেলতে বাকী ছিল উত্তর আর দক্ষিণের সামান্য কিছু বনাঞ্চল, এবারে আয়োজন করেছি সেটুকুও খেয়ে ফেলার। কোন দেশের কি স্বার্থ, কোন মানুষের কত লাভ তা দেখতে কিংবা ভাবতে আমি রাজি নই- আমার চোখে ভাসে কেবল উৎকণ্ঠিত মায়া হরিনীর ভীত চোখের কথা, চোখ কুঁচকানো সেই ডোরাকাটা রাজার বিরক্তির কথা, ধোঁয়ায় পুড়ে যাওয়া পথভোলা কোন মৌমাছির পাখার কথা, আবাস হারানো সেই পাখিটির কথা। এই সুন্দরবন তাদেরই বাপ দাদার ভিটাবাড়ি...



আড়িয়াল বিলে রুখে দাঁড়িয়েছিলো মানুষ, নানা জায়গায় অধিগ্রহনের প্রতিবাদ করে মানুষ তাদের বাপ দাদার জমি রক্ষায়, এখন পাখিদের হয়ে- মৌমাছির হয়ে- বাঘের হয়ে- হরিণের হয়ে প্রতিবাদ করবে কে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.