নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**সার্থ ছারা মানুষ নাই,এই কথার ভিত্তি নাই..কেননা,এখনো সার্থ ছারা মানুষ আছে বলেই,পৃথিবীটা টিকে আছে**

সব জীবেতে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই. মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি,গর্ব করি তাই

আমি আনোয়ার

আমি আবেগের ডালপালা ছড়িয়ে বসে থাকি, আমার শিকড় আবেগের । কিছুটা মিশ্র, আবেগে লুতুপুতু হতেও পারি আবার কঠোর ও হয়ে যাই । তুমি কেমন সেটার উপর নির্ভর করবে আমি সাবাবিক সভাবের আনোয়ার নাকি রুক্ষ স্বভাবের আনোয়ারকে ডিজার্ভ করো। মন চাইলে ফেসবুকেও এডিং মারতে পারেন। http://www.facebook.com/anwaralhaz

আমি আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবিজীর ওপর কুরাইশদের অত্যাচার

২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

বুখারি, মুসলিম সহ আরও অনেক হাদিস কিতাব ঘাটলাম বহুদিন কিন্তু কোথাও নবিজীর ওপর কুরাইশরা যে সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন করত সে বিষয়ে নিচের হাদিসটি ছাড়া আর কোন হাদিস পাই নি, যেমন -



মুহাম্মদ ইবনে মুছান্না এবং মুহাম্মদ ইবনে বাশশার বর্ণনা করেছেন…. আব্দুল্লাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ সিজদায় ছিলেন এবং তাঁর আশে পাশে কতিপয় কুরাইশ ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। এমন সময় ওকবাহ ইবনে আবু মুআইদ উটনীর নাড়ীভুড়ি নিয়ে আসল এবং তা রাসুলুল্লাহ এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করল। যাতে তিনি তাঁর মাথা তুলতে পারলেন না। তারপর ফাতিমা এসে তাঁর পিঠের উপর হতে সেগুলি সরাইয়া দিলেন এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করেছে তাকে অভিসম্পাত করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ বললেন, হে মাবুদ!আপনার উপরেই কুরাইশদের আবু জেহেল ইবনে হিশাম, ওতবাহ ইবনে রাবীয়া, শায়বাহ ইবনে রাবীয়া, ওকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালাফ এদের বিচারের ভার সমর্পিত। তবে বর্ণনাকারী শো’বা শেষের দুটি নামের কোনটি রাসুলুল্লাহ বলেন তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেন।……………. মুসলিম, বই নং-১৯ হাদিস নং- ৪৪২২



এ কাজটাও মনে হয় কুরাইশরা করেছিল একারনে যে , কাবা ঘরকে তারা তাদের উপাসনালয় মনে করত। নবিজী ইসলাম চালু করে দাবী করে সেটা তার । এখানেই কুরাইশরা আপত্তি করে। তাদের বক্তব্য - মুহাম্মদ যদি নতুন ধর্ম চালু করেই থাকে তাহলে সে আলাদা উপাসনালয় তৈরী করে নিক। তাদের উপসনালয়ে কেন সে অনধিকার প্রবেশ করে ভিন্ন ধর্ম প্রচার করবে? মক্কার কাবা শরিফ যে হযরত আদম বা ইব্রাহিম তৈরী করেছিল এর কোন নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সূত্র নেই তবে কিছু হাদিসে উল্লেখ আছে যে এটা নূহ নবীর প্লাবনের পর ধ্বংস প্রাপ্ত হলে হযরত ইব্রাহিম ও তার পূত্র ইসমাইল পূন: নির্মান করেন। হাদিস ছাড়া অন্য কোন সূত্র এ তথ্যকে সমর্থন করে না। বলা বাহুল্য, হাদিস কোন ইতিহাস গ্রন্থ নয়। আরবরা যে নবিজীর ইসলামের প্রতি দারুন সহনশীল ছিল তারও একটা ঘটনা দেখলাম আছে আর একটা হাদিসে -



-ইসহাক ইবনে ইব্রাহিম হানজালি, মুহাম্মদ ইবনে রাফে এবং আবদ ইবনে হুমাইদ বর্ণনা করেন, উসামাহ ইবনে যায়েদ বলেন যে রাসুলুল্লাহ একটি গাধায় সওয়ার হলেন যার উপর বসার গদির নীচে একটি ফদকের তৈরী মখমল বিছানো ছিল। তিনি তার পিছনে উসমাহ কে বসালেন। বনূ হারেছ ইবনে কজরায় গোত্রের আবাস এলাকায় অসুস্থ সা’দ ইবনে উবাদাহকে তিনি দেখতে যাচ্ছিলেন। তা বদর যুদ্ধের পূর্বেকার ঘটনা ছিল। এমন একটি মজলিসের নিকট দিয়ে যেতেছিলেন, যে মজলিসে মুসলমান, মুশরিক, মূর্তিপূজারী ও ইহুদি সব সস্প্রদায়ের লোক ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ও ঐ মজলিসে ছিল এবং আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাও ছিলেন। কাফেলার সওয়ারীদের পায়ের ধুলায় মজলিসকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। এতে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই চাদর দিয়ে তার নাক ঢাকিয়া বলল, আপনারা আমাদের মাঝে ধূলা উড়াইবেন না। রাসুলুল্লাহ তাদেরকে সালাম করে যাত্রা বিরতি করলেন এবং বাহন হতে অবতরণ করে তাদেরকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিলেন। আর তাদের সামনে কুরআন পাঠ করলেন। তখন আব্দল্লাহ ইবনে উবাই বলে উঠিল, আপনি যা বলতেছেন তা সত্য হলেও আপনি আমাদেরকে কষ্ট না দিয়ে উত্তম ব্যবস্থা হল, আপনি আপনার বাসস্থানে চলে যান। সেখানে আমাদের মধ্যকার যে ব্যাক্তি আপনার নিকট যাবে তাকে আপনি উপদেশ দান করবেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের এই মজলিসে আপনি যেমন ইচ্ছা দাওয়াত দিন আমরা তা পছন্দ করি। আমাদের তা পছন্দনীয়। তখন মুসলমান, মুশরিক ও ইহুদির মধ্যে পরস্পর ঝগড়া ও কলহের সৃষ্টি হলো। এমন কি একটি তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টির উপক্রম হল।………… সহি মুসলিম, বই-১৯, হাদিস-৪৪৩১



এ হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে আরবরা নবির ধর্মের ব্যপারে উদার ছিল। তবে এ হাদিসের ঘটনার কাল নবির মক্কার জীবন নাকি মদিনার জীবনকালে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে মদিনার জীবনের সময়েই হবে কারন বলা হচ্ছে বদরের যুদ্ধের আগের ঘটনা। যাহোক, এখানে যে জনসভা দেখা যাচ্ছে দেখা যায় অমুসলিমরা নবির ধর্ম প্রচারে বাধা দিত না , তারা যেটা করত তা হলো তিনি যেন তাদের মধ্যে গিয়ে সেটা জোর করে প্রচার না করেন। অথচ দেখা যাচ্ছে এক মুসলমান সে অসহিষ্ণু ও অমুসলিমদের কোন রকম আপত্তি বা অসুবিধাকে পাত্তা বা সম্মান করছে না।



তবে নবিজীর ওপর নির্মম অত্যাচারের যে কাহিনী শুনে এসেছি এতকাল , এ সম্পর্কিত কোন হাদিস বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থাকলে পাঠকবর্গ সেগুলো এখানে রেফারেন্সসহ জানাতে পারেন যাতে করে প্রকৃত চিত্রটা বুঝতে পারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.